ভারতে ওয়াকফ আইন পাস : পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ওয়াকফ আইন। এ নিয়ে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিলের দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে।

তবে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে ওই আইনের অধীনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা।

প্রশাসনের দাবি, অবৈধভাবে জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলেছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মাদ্রাসা কমিটির কাছে নোটিশ পাঠায় প্রশাসন। সেই নোটিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসা কমিটিই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলডোজার নিয়ে আসে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- স্থানীয় প্রশাসন এটি ভেঙে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পান্নার বিডি কলোনিতে গত ৩০ বছর ধরে অবৈধভাবে চলছিল মাদ্রাসাটি। বছরের পর বছর ধরে একাধিক নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন এবং কঠোর প্রয়োগের সতর্কতা জারির পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছায় কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোখা যাবে। এই ধরনের সম্পত্তিগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




আমেরিকার সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমান গেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমানে গেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।

এই সফর প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি তার এক্স পেজে দেওয়া বার্তার প্রথমেই পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইমরানের ১৫৯ নম্বর আয়াতের একাংশ উল্লেখ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, আপনি কোন সংকল্প করলে আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন।

এরপর বাকায়ি আরও লিখেছেন, “আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের নিয়ে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মাস্কাট যাচ্ছি। ইরানের সম্মান-দৃঢ়তা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সব ধরণের সক্ষমতা কাজে লাগাতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আজই আমেরিকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল ওমানের রাজধানী মাস্কাটে পৌঁছাবে বলে কথা রয়েছে। সেখানে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হবে।

ইরান আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না বলে এর আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর গাজার জনগণকে অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ব্যাপক বিতর্কিত এই পরিকল্পনা সম্পর্কে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে, একটি ইসরায়েলি রাষ্ট্রের পাশাপাশি। এটাই একমাত্র সমাধান, যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর করা ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী’।”




চীনে ইরানি তেলের রপ্তানিতে রেকর্ড; এপ্রিল মাসের জন্য ইরানি তেলের মূল্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীনা বন্দরে ইরানি তেল পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, কিন্তু এই পদক্ষেপ এখনও কোনও ফল দেয়নি। পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, এসএন্ডপি নামক একটি প্রতিষ্ঠান শনিবার জানিয়েছে মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন ১.৯১ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে।

এছাড়া, কেপলার এই তথ্য প্রকাশ করেছে যে, চীনা বন্দরগুলোতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ট্যাঙ্কারগুলো থেকে তেল খালাস অব্যাহত রেখেছে এবং মার্চ মাসে আমদানি করা আট মিলিয়ন টন তেল ১০টি অনুমোদিত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে চীনে প্রবেশ করেছে। এসব তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে কয়েকটি আগে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বহন করত।

এপ্রিল মাসে ইরানি তেলের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়মূল্য ঘোষণা

২০২৫ সালের চতুর্থ মাসে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি ইরানি অপরিশোধিত তেলের বিভিন্ন ধরণের বিক্রয়মূল্য ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে “ইরানি হালকা অপরিশোধিত তেল” নর্থ সি ব্রেন্ট তেলের চেয়ে পৌনে দুই ডলার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া, এই মাসে এই বাজারগুলোতে “ইরানি ভারী অপরিশোধিত তেল” বিক্রি হচ্ছে পাঁচ সেন্ট কমে।

ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদনের মাত্রা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

শনিবার ওপেক প্লাসের জয়েন্ট মনিটরিং কমিটির ৫৯তম ভিডিও কনফারেন্সে ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ বলেছেন, “বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য অনিশ্চয়তার মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব, সরবরাহ চেইনে পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা।” তিন জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং সর্বসম্মত উৎপাদন স্তর মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।#

সূত্র: পার্সটুডে




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়ার সমালোচনা মিসরের গ্র্যান্ড মুফতির

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ বলে সম্প্রতি যে ফতোয়া দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়ন (IUMS), সেই ফতোয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. নাজির মুহাম্মদ আয়াদ। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।

সোমবার (৭ এপ্রিল) মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের ফতোয়াটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি এই ফতোয়াটিকে একেবারে অযৌক্তিক এবং ভুল বলে মন্তব্য করেন।

ড. আয়াদ বলেন, এমন একটি ফতোয়া শুধু মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিভেদ এবং উগ্রপন্থার উত্থান ঘটাতে পারে, যা বৈশ্বিক শান্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি দাবি করেন, ফতোয়া ইস্যু করার সময় যাদের পক্ষে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আছে, তাদের উচিত আরও চিন্তা-ভাবনা করা এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে শান্তি এবং ঐক্য বজায় থাকে।

তবে ড. আয়াদ ইসরায়েলের গাজার প্রতি মানবিক সহায়তা অবরোধ করার সিদ্ধান্তেরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেন এবং এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজার সাধারণ জনগণের জন্য সহায়তা প্রেরণ একটি নৈতিক দায়িত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটিকে মেনে চলা উচিত।

ড. নাজির আয়াদ ২০২৪ সালের আগস্টে মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে এক প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ মডেল প্রবর্তনের জন্য পরিচিত এবং সারা বিশ্বে উগ্রপন্থা ও ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে তার কাজের জন্য আলোচিত।

তিনি সবসময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের প্রতি জোর দিয়েছেন এবং ইসলামিক সমাজের মধ্যে সংহতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন।




গাজায় সাংবাদিক হত্যা অব্যাহত; ইহুদি বসতিতে হামাসের রকেট হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক :

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের একইসাথে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন তীব্রতর হয়েছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, আল-আরাবি আল-জাদিদ নিউজ ওয়েবসাইট সোমবার গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ঘটনাবলী সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে লিখেছে: গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হত্যাকাণ্ড এবং কঠোর অবরোধের কারণে মানবিক সংকটের অবনতি হওয়ার কথা উল্লেখ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে দেইর আল-বালা শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যাতে এই এলাকাগুলোতে সামরিক হামলা চালানো যায়।

এই প্রসঙ্গে, ফিলিস্তিনি সূত্রগুলি দেইর আল-বালা শহরের পশ্চিমে একটি বাড়িতে বোমা হামলা এবং শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের ভিতরে একটি তাঁবুতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি শহীদ ও আহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে বোমা হামলার খবর দিয়েছে। বোমা হামলায় ২ জন সাংবাদিক নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। হামলার পর ক্যামেরার সামনে একজন সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।

দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা শহরের এলাকাগুলোতেও ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে।

ইসরাইলি আর্টিলারি ইউনিট গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে আল-জায়তুন এলাকার পূর্বাঞ্চলেও গোলাবর্ষণ করেছে।

ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো গতকাল গাজা উপত্যকায় হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিকের শহীদ হওয়ার খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের একইসাথে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং সবুজ সংকেতে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের আক্রমণের জবাবে হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড রবিবার রাতে আশদোদের ইহুদিবাদী বসতি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালায়, যার ফলে ২৭ জন ইহুদি আহত হয়।

এছাড়াও, ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে তারা আল-শুজাইয়ায় পূর্বে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইহুদিবাদী সামরিক যান উড়িয়ে দিয়েছে।

ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য পপুলার ফ্রন্টের সামরিক শাখা শহীদ আবু আলী মুস্তাফা ব্রিগেডস উত্তর গাজা উপত্যকায় একটি ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনীর ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে, দুর্গাপুরে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ সর্বস্তরের  তৌহিদী জনতা। ‎

সোমবার (০৭ এপ্রিল) বাদ যোহর দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক আলোচনা সভা শেষে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ সমাবেশ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাপনী বক্তব্য ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

‎এসময় বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাবিবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমিন সিরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওলী উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দুর্গাপুর শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুবদল দুর্গাপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ আব্দুল কাদির, ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মুফতি আবু ওয়াক্কাস, মুফতি জামাল উদ্দিন খান কারিমী, মাওলানা মন্জুরুল হক, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতি শাব্বির আহমদ, মুফতি এনায়েত উল্লাহ খান প্রমুখ। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব সম্রাট গণি সহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা যুগ্ন-আহবায়ক রাতুল খান রুদ্র সহ বিভিন্ন ইসলামী দল গুলোর নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসুচীর সমাপ্তি ঘটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাওলানা আব্দুর রব।

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে শত শত নারী, পুরুষ, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করছে। আমরা মুসলমান হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমরা এই হত্যাকান্ডের  ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । দুর্গাপুরে সকল ইসরায়েলি পন্যের বয়কট করার ঘোষনা দিচ্ছি।

‎আমেরিকা সহ যারা মানববতার কথা বলছে, তারাই ইসরাইলে অস্ত্র ও বোমা সরবরাহ করে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই, আমেরিকা সহ যারা ইসরাইলকে সমর্থন করছে তাদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ফিলিস্তিনিদের উপর যে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবে বিচার করতে হবে। বিশে^র সকল ইসরাইলি দুতাবাসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহবান জানানো হয়।




আমেরিকা ভুল করলে পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে ইরান : ড. আলী লারিজানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আমেরিকা যদি কোনো ভুল করে, তাহলে ইরান জনগণের চাপে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতার সিনিয়র উপদেষ্টা ড. আলী লারিজানি।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে ইরানি টিভি’র একটি নিউজ টকশোতে এ মন্তব্য করেন আলী লারিজানি।

আলী লারিজানি বলেছেন, ইরানের সাথে সামরিক পদক্ষেপ পরিণতিহীন নয়। ইসলামী বিপ্লবের নেতার ফতোয়া হল পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত নয়। কিন্তু আমেরিকা বা ইসরায়েল যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অজুহাতে ইরানে বোমা হামলা চালায়, তাহলে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের এই সদস্য বলেন, বোমা হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা যাবে না। ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, বোমা হামলার ঘটনা ঘটলে, এমনকি বিলম্বও লক্ষ্য করা যাবে না।

ইরান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে লারিজানি আরও বলেন, বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ ট্রাম্পের কথাকে একধরনের বাগ্মীতা বলে মনে করেন। বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের আচরণ একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া এবং কানাডার জন্য তিনি একটি রেখা টেনেছিলেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দ্বিধায় পরমাণু সমঝোতার অঙ্গীকারগুলোকে পদদলিত করেছে। ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা পরমাণু সমঝোতাকে ভালো চুক্তি বলে মনে করেননি, কারণ আমেরিকায় একজন প্রেসিডেন্ট সহজেই ওই চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছেন, অপরদিকে ইরান সমঝোতার অঙ্গীকারগুলো পূরণ করেছে।

লারিজানি বলেন, ইরান বৃহৎ শক্তিগুলোর মাঝে একটি বিশেষ অবস্থান পেয়েছে, এবং বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইরানের সাথে একটি স্বাধীন সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, কিন্তু আমেরিকার চাপের কারণে তারা তাদের অবস্থানে অটল থাকতে পারে না।

ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের এই সদস্য আরও বলেন, আমেরিকা ছাড়া ইসরাইল এ অঞ্চলে কিছুই করতে পারবে না। ইহুদিবাদী ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ইস্যুকে সম্পূর্ণরূপে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সমস্ত দেশ জানে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েলের অঙ্গীকারের ওপর তেমন কোনো আস্থা নেই।

সূত্র : পার্সটুডে।




ইসরায়েলি হামলায় হামাসের মুখপাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় তিনি প্রাণ হারান।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে নিজের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন।

কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হামাসের এই মুখপাত্রের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কানৌয়ার লাশের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল গাজায় তাদের অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে হামাসের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই প্রাণ হারিয়েছেন।

হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানৌয়ার তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তিনি নিহত হন। একই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে ইসরায়েল। বারহুম এবং আল-বারহুম উভয়ই ২০ সদস্যের হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা “রাজনৈতিক কার্যালয়ের” সদস্য ছিলেন।

হামাস সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংস্থার ১১ জন নিহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজার ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৮২৮ জন।

তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি বলে জানিয়েছে। এই হিসেবে, যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে যেসব হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়েছেন তাদেরকে নিহত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।




গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই গণমাধ্যম কর্মী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় পৃথক ইসরায়েলি হামলায় দুই গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন আলজাজিরার সাংবাদিক। প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিনিধিদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সোমবার উত্তর গাজায় আলজাজিরার সাংবাদিক হোসাম শাবাত নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বেইত লাহিয়ার পূর্ব অংশে তার গাড়ি লক্ষ্যবস্তু করে আঘাত হানে ইসরায়েলি সেনারা।

মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার আরেক সাংবাদিক তারেক আবু আযজুম বলেন, ২৩ বছর বয়সী শাবাত এর আগেও আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গাজায় সংবাদ প্রতিবেদন চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন। তিনি কোনোভাবে ফিল্ড থেকে সরতে রাজি হননি। ফলে আহতাবস্থাতেই সংবাদ সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

আবু আযজুম বলেন, কোনো পূর্ব সতর্কীকরণ ছাড়াই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

ইসরায়েলি হামলায় আলজাজিরারসহ ২ সাংবাদিক নিহত
এবার আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ফিলিস্তিন
এর আগে একই দিন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় প্যালেস্টাইন টুডে-তে কর্মরত সাংবাদিক মোহাম্মদ মনসুরও নিহত হয়েছেন।

আবু আযজুম বলেন, মনসুর তার বাড়িতে স্ত্রী এবং ছেলের সাথে ছিলেন। সেখানে হামলা করে তাকে হত্যা করা হয়। এ আক্রমণটিও কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই করা হয়েছিল।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই দুই সাংবাদিকের হত্যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারত্ব কর্তৃক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাতে প্রেস অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠীগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজার মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সাংবাদিক হত্যায় প্রধান দায়ী। সেইসাথে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোও এই জঘন্য অপরাধের দায় এড়াতে পারে না। তারাও সাংবাদিক হত্যায় সম্পূর্ণরূপে দায়ী।

কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শাবাত ও মনসুর হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কি না তা নিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সিপিজের প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বলেছেন, একজন সাংবাদিক, একজন বেসামরিক নাগরিককে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ। সংস্থাটি এমন বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করছে। সে হিসেবে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিককে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি যুদ্ধাপরাধের সমান হবে। সাংবাদিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের কখনই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।