ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ কেমন লোক? কী তার পরিচয়?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইয়োভ গ্যালান্টকে যুদ্ধমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ইসরাইল কাটজকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছেন।

১৯৫৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী এই ইহুদিবাদী নেতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স এবং কৃষিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পার্সটুডে জানাচ্ছে, উগ্র এই ইসরাইলি নেতা এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং গোয়েন্দামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশেষ করে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করার কারণে ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের মধ্যে উগ্রবাদী নেতা হিসেবে কাটজের পরিচিতি রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইরান, এমনকি জাতিসংঘের বিরুদ্ধেও চরম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলার রেকর্ড তার রয়েছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোর সমর্থক ইসরাইল কাটজ। তিনি বহুদিন যাবত ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল কাটজ দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রধান কাজ।

# পার্সটুডে




লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৪০, আহত ৫৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননে পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক শহরসহ বেকা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় এসব হামলা চালানো হয় বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পরে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া, আজ (বৃহস্পতিবার) দিনের শুরুতে রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাসহ বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে অন্তত চারবার বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলাগুলোর আগে বুধবার ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বেকা উপতকার কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অবৈধ নির্দেশ জারি করেছিল।

গত এক বছরে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নিহত হয়েছেন গত ছয় সপ্তাহে।

ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহও প্রতিদিন তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার হামলা চালিয়ে আসছে। গতকাল (বুধবার) হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

# পার্সটুডে




মার্কিন নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই মুসলিম নারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ডেমোক্রেটদের হতাশার দিনেও আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছেন দুই মুসলিম নারী রাশিদা তালাইব ও ইলহান ওমর। টানা চতুর্থবারের মতো প্রতিনিধি পরিষদে জয়ী হলেন দেশটির আইনসভার একমাত্র ফিলিস্তিনি মার্কিন সদস্য রাশিদা তায়েব। তিনি মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১২তম কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ডিসট্রিক্টে বড়সংখ্যক আরব–মার্কিন জনগোষ্ঠীর বসবাস।

আর সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর জয় পেয়েছেন মিনেসোটাতে। এর আগে দুইবার তিনি অঞ্চলটির দায়িত্বে ছিলেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাশিদা তায়েব গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী জেমস হুপারকে পরাজিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে ওমর তার নির্বাচনী প্রচারে কঠোর পরিশ্রমের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা এক লাখ ১৭ হাজার ৭১৬ জনের বাসায় গিয়েছি। আমরা এক লাখ ৮ হাজার ২২৬টি কল করেছি ও এক লাখ ৪৭ হাজার ৩২৩টি ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। এটি আমাদের সকলের ভালো ভবিষ্যতের জন্য একটি বিজয়। আমি আগামী দুই বছর আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি।”

তালেব এবং ওমর দুজনেই “দ্য স্কোয়াড” নামে পরিচিত আইন প্রণেতাদের অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীটি আলেকজান্দ্রা ওকাসিও-কর্টেজসহ কংগ্রেসের প্রগতিশীল সদস্যদের নিয়ে গঠিত।




ইতিহাস গড়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যের জয় ও কয়েকটিতে এগিয়ে থাকার খবর আসার পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন তার সমর্থকরা।

ইতোমধ্যে ২৪৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ের অনেকটা কাছাকাছি পৌছে গেছেন ট্রাম্প। বিপরীতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যেসব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ফল ঘোষণা বাকি আছে সেগুলোর বেশিরভাগেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ পূর্বাভাসে ট্রাম্পের আরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইতিহাস গড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারী অপরাধী হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার রেকর্ড গড়বেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান যাচাই করে নিউইয়র্ক টাইমসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে তার জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প ৩০১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এবং কমলা ২৩৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন।

এদিকে এপির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪৭ ইলেকটোরাল ভোট। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৪ ভোট। কমলা পেয়েছেন ৪৭.৪ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১.২ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে। টাইম জোনের তারতম্যের কারণে রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে।




হাইফা বন্দরের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাইফা নগরীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।

সংগঠনটি গতকাল (রোববার) শেষ বেলায় এক বিবৃতিতে বলেছে, হাইফা বন্দরের এলিয়াকিম প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে এক স্কোয়াড্রন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

বিবৃতিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণ এবং তাদের সম্মানিত ও সাহসী প্রতিরোধের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে ইসরাইলি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। এর পাশাপাশি লেবাননের জনগণের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করাও এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এবং তারা ইসরাইল-বিরোধী সংগ্রামের অংশ হিসেবে এলিয়াকিম ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

হাইফা বন্দর নগরীতে ড্রোন হামলার পাশাপাশি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় মেতুলা ইহুদি বসতিতে গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, অধিকৃত নেতানেয়া শহরের বেইত লিদ সামরিক ঘাঁটি এবং ইসরাইলের পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিগেড কমান্ডের সদর দপ্তরেও গতকাল হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে।#

# পার্সটুডে




ইসরাইলি আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের সুন্নি আলেম সমাজের তীব্র নিন্দা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এদেশের সুন্নি আলেম সমাজ। তারা বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের পেছনে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।

যেকোনো হঠকারিতার ব্যাপারে অবৈধ ও অপরাধী ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী সরকার ২৬ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয়।

পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা বিশেষ করে সুন্নি আলেম সমাজ নিন্দা জানিয়েছেন:

ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ ফায়েক রুস্তামি এ সম্পর্কে বলেন: ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শক্তি এবং বিশ্ববাসী ইরানের সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরাইল বাঘের লেজে পা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তাকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

ওস্তাদ রুস্তামি আরো বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যেখানেই ইরানের ভূমিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এখন ইরানের দাঁতভাঙা জবাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ইরানের অপর প্রখ্যাত সুন্নি আলেম ও দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুস সালাম মোহাম্মাদি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন: ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবানন বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গাজা ও লেবাননে বর্তমানে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে যা ইহুদিবাদী সরকারের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও কুকর্মের বাস্তব উদাহরণ।

দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল নিজের সম্ভাব্য পতনের খবর জানে এবং অচিরেই তার অনিবার্য ধ্বংস সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের জনগণ, প্রতিরোধ অক্ষ, আলেম সমাজ ও মুসলিম চিন্তাবিদরা ইসলাম, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তারা কোনো অবস্থায় ইরানের ভূমিতে কাউকে আগ্রাসন চালাতে দেবেন না।

এদিকে ইরানের কেরমানশাহ শহরের সুন্নি আলেম ও জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুর রহমান মোরাদি পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের কারণ হিসেবে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এই আগ্রাসী হামলার জন্য মূল্য দিতে হবে।

ইরানের আরেক সুন্নি আলেম ও রাওয়ানসার শহরের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মাদ মাহমুদিও ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন: অপরাধী ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনেক আগেই নিজের পাশবিক সত্ত্বাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচনা করে দিয়েছে। এবার সে ইরানের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, ইসরাইল অপরাধযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু চেনে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।#

– পার্সটুডে




হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননে শক্তিশালী সশস্ত্র মুক্তিকামী সংগঠন হিজবুল্লাহ’র হামলায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের আরও চার সেনা নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করার সময় এই সন্ত্রাসীরা হিজবুল্লাহর হামলার শিকার হন।

ইসরায়েলি সন্ত্রাস বাহিনী জানায়, নিহত সেনারা সবাই একই ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার, একজন উপকমান্ডার, একজন সামরিক রাব্বি এবং একজন সাধারণ সেনা রয়েছেন। আহত ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, এই হামলায় হিজবুল্লাহর তিন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল লেবাননে অবৈধ স্থল অভিযান শুরু করে।

ইমরাইলের এ সন্ত্রাসী অভিযানে হিজবুল্লাহ’র মুক্তিকামী যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর পাল্টা জবাব দেয়।

উল্লেখ্য, ০১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধে ইসরায়েলের ৩১ সন্ত্রাসী সেনা নিহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আক্রমণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোকেও লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ রোববারও সীমান্তে হিজবুল্লাহর ড্রোন ও রকেট ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।




পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ প্রকাশ

ডিএনিব নিউজ ডেস্ক :

পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি একটি ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ চালানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল শনিবার ভোররাতে ইরানের তিন প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আগ্রাসী হামলা চালানোর পর গুতেরেস এ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিচ এক বিবৃতিতে একথা জানান। তিনি বলেন, গুতেরেস সকল পক্ষকে সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বিশেষ করে গাজা ও লেবাননে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।

ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করার পর গুতেরেসে উদ্বেগ প্রকাশের খবর পাওয়া গেল। ইসরাইলি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগ আকাশে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। এই বাহিনী বলেছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে চার ইরানি সৈন্য শহীদ হয়েছেন।#

# পার্সটুডে




গাজার যুদ্ধে ফিরতে চাইছে না বহু ইসরাইলি সেনা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বহু সংখ্যক সেনা গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-ময়দানে আর ফিরতে চাইছে না। যুদ্ধের ময়দানে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানো এই সেনার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালালেও এখনো সেখানকার বিরাট অংশ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইসরাইলের গণমাধ্যম হামাকোম সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ২০ জন সেনা ও তাদের মা-বাবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারের ভেতর দিয়ে প্রকাশ হয়েছে যে, সেনা সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজন যুদ্ধের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট।

সাক্ষাৎকার দেয়া লোকজন বলেছে, টানা ১২ মাসের বেশি যুদ্ধ করার পরেও কোনো সমাধান আসেনি এবং সেনারা এখন ক্লান্ত। হামাকোম বলছে, এর অর্থ হচ্ছে যুদ্ধের কারণে সেনারা তাদের নৈতিক মনোবল হারিয়েছে।

সাক্ষাৎকার দেয়া সেনারা জানিয়েছে, তারা হতাশ, অনুৎসাহিত এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। গাজা উপত্যকায় একের পর এক ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ দেখে তাদের এই মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে।

পাশাপাশি সহকর্মীদের মৃত্যুতেও তারা ভীষণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে জাবালিয়া, যাইতুন এবং সুজাইয়া এলাকায় ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।#

পার্সটুডে




এবার গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান ইসরাইলি মন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজা উপত্যকা থেকে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের উগ্র ডান-পন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। তিনি দাবি করেছেন, গাজা একটি ‘ইসরাইলি ভূখণ্ড’ এবং সে কারণে ফিলিস্তিনিদের এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

গতকাল (সোমবার) নিজের উগ্র সমর্থকদের নিয়ে ‘গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেন-গাভির। তিনি সেখানে এক বক্তৃতায় গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ অবরুদ্ধ এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।

ইহুদিবাদী এই মন্ত্রী বলেন, “আমরা গাজার সকল অধিবাসীকে স্বেচ্ছায় এই উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদেরকে আমরা অন্যান্য দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ, এই ভূখণ্ড আমাদের।”

বেন-গাভিরের পাশাপাশি ইসরাইলের উগ্র অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ গত এক বছর ধরে গাজাবাসীকে উৎখাত করে এই উপত্যকার দখল নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রথমবার বেন-গাভির গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ তাদের আবাসভূমি ত্যাগ করার আহ্বান জানালেন।

ইসরাইলি এই মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী বহু দেশ ইসরাইলের মিত্র এবং তারা গাজাবাসীকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বেন-গাভির এমন সময় গাজাকে ইসরাইলের অংশ বলে দাবি করলেন যখন বাস্তবতা হচ্ছে, গোটা ইসরাইলি ভূখণ্ডের মালিক গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা। তাদের ভূখণ্ড জবরদখল করে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র গঠিত হয়।

সে সময় এই ভূখণ্ডের মূল অধিবাসী ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদীদের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে গাজায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের পক্ষে আর কোনোদিন তাদের জন্মভূমিতে ফেরত যাওয়ার সুযোগ হয়নি।#

পার্সটুডে