ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি দুর্গাপুরের শিক্ষার্থীদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে মহানবী (সাঃ) এর কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরাও। মিছিলটি কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় কলেজ চত্বরে এসে শেষ। সেখানে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী জুবায়ের আব্বাসী হীরা,মোঃ সানি, রাসেল মিয়া, জহিরুল ইসলাম, মোঃ আলিফসহ অনেকেই।

এই সময় বক্তব্যে তারা বলেন,বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানায় দ্রুত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। সেই সাথে কটূক্তিকারী হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তা নাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তাঁরা।

 




ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়: এরদোগান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ইরানকে এমন একটি দেশ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।

পার্সটুডে আরও জানায়, পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের সংকটের কথা তুলে ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অপরাধের প্রতি ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন: অবৈধ  দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল এই উপত্যকাটিকে কবরস্থানে পরিণত করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন: যেসব দেশ ইসরাইলকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে তারাও অবৈধ ইহুদিবাদীদের অপরাধের অংশিদার। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেছেন: কয়েক দশক আগে হিটলারকে যেভাবে বিশ্ব ঐক্যের ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছিল, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নেতানিয়াহুকেও থামানো।

এরদোগান লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন: “ইসরায়েলকে অবশ্যই তার অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে হবে এবং সকল ধ্বংসাত্মক অভিযানের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।#

পার্সটুডে




শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরাইল মুছে যাবে: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, সংগঠনটির সাবেক পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধকে আরো বেশি শক্তিশালী ও  ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আরো বেশি ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

হামাসের নয়া পলিটব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন নেতার কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ মন্তব্য করেন। ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের পর এসব নেতা সিনওয়ারকে বার্তা পাঠিয়ে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছিলেন।

ইসমাইল হানিয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসে গত ৩১ জুলাই তেহরানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হন।

সিনওয়ার তার বার্তায় আরো বলেন, এই তাজা রক্ত ​​ও শহীদদের বরকতময় কাফেলা নাৎসি ইহুদিবাদী ইসরাইলের মোকাবিলায় আমাদের দৃঢ়তা ও শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং পরিণতিতে এই দখলদার শক্তি ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে বিতাড়িত হবে ও মুছে যাবে।

হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান বলেন, সেই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাত প্রমাণ করেছে যে, আমাদের নেতা ও যোদ্ধাদের রক্ত সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তের চেয়ে মোটেও দামী নয়। #

পার্সটুডে




তেহরান-দামেস্ক সহযোগিতার ফলে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয় ঘটবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, সিরিয়ার সাথে সহযোগিতা বজায় রাখা অপরিহার্য এবং এই অংশীদারিত্ব গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে পরাজয় ঘটাবে।

নাসিরজাদেহ গতকাল (রোববার) সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেজর জেনারেল আলী মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় এ মন্তব্য করেন।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজায় দখলদার ইসরাইলের আক্রমণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার কঠোর সমালোচনা করেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালিয়ে আসছে যাতে অন্তত ৪০ হাজার ৭৩৮ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

জেনারেল নাসিরজাদেহ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমরা ইসরাইলি অপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি না।” ফলে, ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে এবং এই সহযোগিতা অবশ্যই ইসরাইলের পরাজয় ডেকে আনবে।”#

পার্সটুডে




একাত্তরের প্রশ্নের সমাধান করতে চাই: নাহিদকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সাথে রোববার সচিবালয়ে তার দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা ১৯৭১-এর প্রশ্নটিকে সমাধান করতে চাই। কিন্তু বিগত সরকার আমাদেরকে আলোচনার কোনো সুযোগ দেয়নি এবং ইচ্ছে করেই ৭১ ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখত। চাইলে বহু আগেই এটির সমাধান করা যেত। আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী।’

এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭১ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আওয়ামী লীগের আদর্শে ১৯৭১ ছিল ‘ইতিহাসের শেষ অধ্যায়’। কিন্তু আমরা মনে করি এটি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। ১৯৪৭ বা পাকিস্তান আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হতো না। আমরা পাকিস্তানের সাথে ৭১-এর প্রশ্নটিকে সমাধান করতে চাই। একটি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আমাদের পরস্পরের সাথে সম্পর্ক মজবুত করা প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে যেকোনো দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।’

তিনি বলেন, উপনিবেশবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে পাকিস্তান আন্দোলন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের জনগণের দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।

ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও পাকিস্তানের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের গভীর বন্ধন রয়েছে। যদিও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বাংলাদেশকে বিশেষত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি চ্যানেল দেখা যায় না সে বিষয়ে হাইকমিশনার উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পাকিস্তান হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং অন্তর্র্বতী সরকারকে সমর্থন করে।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দু’দেশই খুব ভালো করছে। তাই এক্ষেত্রে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।

পাকিস্তান হাইকমিশনার বন্যা দুর্গতদের জন্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিলে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপাতত সাহায্যের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে তখন জানানো হবে।

হাইকমিশনার বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে গত ১৫ বছর তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে বিশেষ করে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে এবং এয়ারপোর্টে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় স্বার্থে আমরা একাত্তরের বিষয়গুলো সমাধান করে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।

বৈঠকে মিডিয়া, ক্রীড়া, যুব ও সংস্কৃতি এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

হাইকমিশনার পাকস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অভিনন্দন জানান এবং সিরিজ হেরে যাবেন বলেও আশঙ্কা করেন।

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগে এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের উদ্যোগে কাওয়ালী গানের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান হাইকমিশনার।

পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আলোচনা শেষ হয়।

সাক্ষাৎকালে কাউন্সিলর কামরান দাঙ্গাল, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জায়িন আজিজ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস




আল-খলিলের কাছে পাল্টা গুলিতে তিন ইসরাইলি পুলিশ নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের আল-খলিল শহরের কাছে পাল্টা হামলায় অন্তত তিন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হয়েছে।

আজ (রোববার) সকালে তারকুমিয়া শহরের চেকপয়েন্টের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দুই কর্মকর্তা নিহত হয় এবং তৃতীয়জন পরে হাসপাতালে মারা যায়।

ইসরাইলের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ৩৫ নং রুটে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং দখলদার বাহিনী বন্দুকধারীদের তাড়া করে।

ইসরাইলি মিডিয়ার তথ্য মতে, বন্দুকধারীরা পুলিশের গাড়ি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় ওই গাড়িতে গুলি চালায় এবং তারা পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

অধিকৃত ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে পশ্চিম তীরে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে তখন এই তিন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।

গত বুধবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে “গ্রীষ্মকালীন অভিযান” নামে ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। চারদিনের টানা আগ্রাসনে অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং অনেকে আহত হয়েছেন।#

পার্সটুডে




গাজায় আরো দুই ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো দুই সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরাইলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (শনিবার) মধ্য গাজার একটি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এই দুই রিজার্ভ সেনা নিহত হয়। নিহতদের একজন হচ্ছে লজিস্টিক অফিসার ইয়োতাম ইজ্জাক পেলেত এবং অন্যজন ট্রাক চালক মোরদেশাই ইয়োসেফ বেন শোয়াম।

ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, পেলেত গাজা শহরের দক্ষিণে জেইতুন এলাকার আশপাশে সৈন্যদের সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য একটি বহুরের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আর বেন শোয়াম ছিল সরবরাহ বহরের অন্যতম ট্রাক চালক। মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরে অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে তারা নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়।  ইসরাইল সরকার বলছে, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই দুই সেনার মৃত্যুতে তাদের সামরিক প্রাণহানির সংখ্যা ৩৩৪-এ পৌঁছেছে।#

সূত্র : পার্সটুডে




ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত; কিয়েভকে বেলারুশের হুঁশিয়ারি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে, রাশিয়ার হাতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত, ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠা, কিয়েভে বড় ধরনের কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে কিয়েভের প্রতি বেলারুশের হুঁশিয়ারি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটি ইউক্রেনের বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনিবার রাতে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনের ৩২টি ড্রোন ও চারটি ট্যাকটিক্যাল ‘তুচকা-ইউ’ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সেনা কমান্ডার অ্যালেক্সি স্মিরনোভ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সাদা আল-বালাদ জানিয়েছে, কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে যাচ্ছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়ার কিছুক্ষণ পর দেশটির রাজধানীতে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এ সম্পর্কে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ড তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা করেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ঘোষণা করেছে, রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ করা যায়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে এক নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর রাশিয়া পাল্টা হামলা শুরু করছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্কে ইউক্রেনের হামলাকে ‘বড় ধরনের উস্কানিমূলক হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

আরেকটি খবর হচ্ছে, বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, কিয়েভ যদি মিনস্কের বিরুদ্ধে বেপরোয়া নীতি চালিয়ে যায় তাহলে বেলারুশ মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।

ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন বেলারুশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর ওই হুঁশিয়ারি দিল মিনস্ক। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।

বেলারুশের আকাশসীমায় ইউক্রেনের অন্তত ১২টি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো খবর দেয়ার পর ইউক্রেনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত থাকলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কেবল বাড়িয়েই তুলবে।

এদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালানোর পর বেলারুশ তার ইউক্রেন সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে। #

পার্সটুডে




যুদ্ধ শুরু হলে দখলদার সেনারা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে: হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে তাহলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা মারাত্মক ধ্বংসাত্মক জবাব দেবে এবং দখলদার সেনারা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

হাসান নাসরুল্লাহ গতকাল (বুধবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শোকাবহ আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন। তিনি বলেন, “যদি আপনাদের ট্যাংক লেবাননে কিংবা দক্ষিণ লেবাননে আসে তাহলে কোনো ট্যাংক আস্ত ফেরত যাবে না।”
গত অক্টোবর মাস থেকে ইসরাইল এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যখন স্থল আগ্রাসন শুরু করে তারপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অভিযানে কিভাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার একটি বিবরণ তুলে ধরেন হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি জানান, হিজবুল্লাহর অভিযানে এ পর্যন্ত ইসরাইলের ৯,২৫৪ জন হতাহত হয়েছে যার মধ্যে অনেক কর্মকর্তা এবং সাধারণ সৈনিক রয়েছে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর অভিযানে ৩,০০০ পঙ্গু হয়েছে, ৬৫০ জন প্যারালাইজড হয়েছে, ১৮৫ জন সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার সেনা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত লেবাননে আমাদের ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে।”
এর পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে ইসরাইলের নতুন নতুন অবৈধ ইহুদি বসতিতে হামলা হতে পারে যেসব অবৈধ বসতি এর আগে হামলার বাইরে ছিল।#
পার্সটুডে




ইসরাইলি জাহাজে ইয়েমেনের নতুন হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী নতুন করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বাণিজ্যিক জাহাজ এবং সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-মাউয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনারা সম্প্রতি যে গণহত্যা চালিয়েছে তার জবাবে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি জাহাজ ও সামরিক অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

জেনারেল সারি বলেন, এডেন উপসাগরে ‘এমএসসি ইউনিফিক’ নামে ইসরাইলের একটি জাহাজে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী যৌথভাবে ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। দ্বিতীয় অভিযানে ইসরাইলের ভেতরে কয়েকটি সামরিক অবস্থানে সেনারা ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের দক্ষিণে উম্মুল রাশরাশ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয় বলে তিনি জানান এবং সফলভাবে হামলার লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার দাবি করেন।

জেনারেল সারি সতর্ক করে বলেন, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে ইসরাইলি অবরোধ প্রত্যাহার এবং সেখানে বর্বর আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকবে। একই সাথে জেনারেল সারি ফিলিস্তিনিদের জন্য সমস্ত আরব এবং মুসলিম দেশের সামরিক বাহিনীকে তাদের ধর্মীয়, নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।#

পার্সটুডে