যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে বন্দী মুক্তি দিতে রাজি দেবে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সমস্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মিশর এবং কাতারের সঙ্গে কায়রোতে আলোচনা চলছে হামাসের।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেন, ‘একটি গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা বাধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়। বরং সমস্যাটি হলো দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদার ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবের অধীনে, হামাস ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে এবং মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনায় প্রবেশ করবে।

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে একাধিক ধাপে বন্দী বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পর ইসরায়েল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন আক্রমণ শুরু করে।

ইসরায়েলি বিরোধী রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং বন্দীদের পরিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ  আন্ত: ডেস্ক:

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




পরোক্ষ আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল: আরব বিশ্লেষক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আরব বিশ্বের একজন সিনিয়র বিশ্লেষক ওমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পরোক্ষ আলোচনার জন্য তেহরানের অনড় অবস্থানকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল বলে মনে করছেন।

আরব বিশ্বের সিনিয়র বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতওয়ান শনিবার রাই আল-ইয়াওম ওয়েবসাইটে লেখা এক নিবন্ধে ওই মন্তব্য করেন। ওমানে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত নিবন্ধে তিনি আরও লিখেছেন: ওমানের রাজধানী মাস্কাটে শনিবার শুরু হওয়া ‘ইচ্ছার যুদ্ধ’ খেলায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি বড় গোল করতে সফল হয়েছে।

পার্সটুডে আরও জানায় আতওয়ান আরও বলেছেন: আলোচনার ‘পরোক্ষ’ প্রকৃতির ওপর জোর দিয়েই ওই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পরোক্ষ আলোচনার বিষয়টি আমেরিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে, তারা ‘সরাসরি’ আলোচনা করতে চেয়েছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এটা এমন একটি বিবৃতি ছিল যা নেতানিয়াহুকে অবাক করেছে এমনকি হতবাকও করেছে।

আরব এই বিশ্লেষক বলেছেন: ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে আমেরিকার প্রতিনিধিদল দুর্বল এবং ভঙ্গুর এক অবস্থানে থেকে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে বিশ্বের ২০০ টিরও বেশি দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ওপর শুল্ক আরোপে মার্কিন নীতির ব্যর্থতার পর-যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এমনকি বিশেষ করে ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান) তাদের মিত্ররাও নতুন শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ইরানিরা অভিজ্ঞ কূটনীতিক আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বে ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আরাকচি, যিনি ২০১৫ সালেও ৫+১ গ্রুপের সাথে পরমাণু চুক্তির আলোচনায় অভিজ্ঞতা এবং আলোচনার কৌশলে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের নীতির কাছে নতি স্বীকার করেন নি তারা। উল্টো বরং তাদের সমস্ত শর্ত আমেরিকার ওপর চাপিয়ে দিতে সফল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ড্রোন, কিংবা গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সাথে সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো উত্থাপন না করা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ইরানের শর্তগুলো মেনে নিয়েই আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হয়েছে।

আরব বিশ্বের এই অভিজ্ঞ বিশ্লেষক সর্বাত্মক সামরিক হামলার হুমকি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার কারণ হিসেবে আমেরিকার সাথে লড়াইয়ে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানের দৃঢ় অবস্থানকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন: ইরানিরা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না। কারণ তিনি ২০১৮ সালে একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ইরানিরা খুব ভালো করেই জানে যে ট্রাম্প ইসরা‌ইল সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বের প্রথম মাসগুলোতে আমেরিকা বিশ্ব মঞ্চে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছিল। বলা বাহুল্য যে ইরান এবং তার মিত্ররা এখন ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পেরে খুশি এবং আনন্দিত। প্রবাদে যেমনটি বলা হয়েছে: শেষ হাসি হাসে যে, সে সবচেয়ে ভালো হাসে…। ভবিষ্যৎই বলে দেবে এই যুদ্ধে আসল বিজয়ী কে।# পার্সটুডে




ভারতে ওয়াকফ আইন পাস : পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ওয়াকফ আইন। এ নিয়ে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিলের দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে।

তবে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে ওই আইনের অধীনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা।

প্রশাসনের দাবি, অবৈধভাবে জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলেছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মাদ্রাসা কমিটির কাছে নোটিশ পাঠায় প্রশাসন। সেই নোটিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসা কমিটিই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলডোজার নিয়ে আসে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- স্থানীয় প্রশাসন এটি ভেঙে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পান্নার বিডি কলোনিতে গত ৩০ বছর ধরে অবৈধভাবে চলছিল মাদ্রাসাটি। বছরের পর বছর ধরে একাধিক নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন এবং কঠোর প্রয়োগের সতর্কতা জারির পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছায় কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোখা যাবে। এই ধরনের সম্পত্তিগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




আমেরিকার সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমান গেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমানে গেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।

এই সফর প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি তার এক্স পেজে দেওয়া বার্তার প্রথমেই পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইমরানের ১৫৯ নম্বর আয়াতের একাংশ উল্লেখ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, আপনি কোন সংকল্প করলে আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন।

এরপর বাকায়ি আরও লিখেছেন, “আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের নিয়ে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মাস্কাট যাচ্ছি। ইরানের সম্মান-দৃঢ়তা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সব ধরণের সক্ষমতা কাজে লাগাতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আজই আমেরিকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল ওমানের রাজধানী মাস্কাটে পৌঁছাবে বলে কথা রয়েছে। সেখানে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হবে।

ইরান আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না বলে এর আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর গাজার জনগণকে অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ব্যাপক বিতর্কিত এই পরিকল্পনা সম্পর্কে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে, একটি ইসরায়েলি রাষ্ট্রের পাশাপাশি। এটাই একমাত্র সমাধান, যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর করা ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী’।”




চীনে ইরানি তেলের রপ্তানিতে রেকর্ড; এপ্রিল মাসের জন্য ইরানি তেলের মূল্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীনা বন্দরে ইরানি তেল পরিবহনকারী বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, কিন্তু এই পদক্ষেপ এখনও কোনও ফল দেয়নি। পার্সটুডের তথ্য অনুযায়ী, এসএন্ডপি নামক একটি প্রতিষ্ঠান শনিবার জানিয়েছে মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন ১.৯১ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে।

এছাড়া, কেপলার এই তথ্য প্রকাশ করেছে যে, চীনা বন্দরগুলোতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ট্যাঙ্কারগুলো থেকে তেল খালাস অব্যাহত রেখেছে এবং মার্চ মাসে আমদানি করা আট মিলিয়ন টন তেল ১০টি অনুমোদিত ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে চীনে প্রবেশ করেছে। এসব তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে কয়েকটি আগে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বহন করত।

এপ্রিল মাসে ইরানি তেলের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়মূল্য ঘোষণা

২০২৫ সালের চতুর্থ মাসে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি ইরানি অপরিশোধিত তেলের বিভিন্ন ধরণের বিক্রয়মূল্য ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী এপ্রিল মাসে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে “ইরানি হালকা অপরিশোধিত তেল” নর্থ সি ব্রেন্ট তেলের চেয়ে পৌনে দুই ডলার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া, এই মাসে এই বাজারগুলোতে “ইরানি ভারী অপরিশোধিত তেল” বিক্রি হচ্ছে পাঁচ সেন্ট কমে।

ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদনের মাত্রা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

শনিবার ওপেক প্লাসের জয়েন্ট মনিটরিং কমিটির ৫৯তম ভিডিও কনফারেন্সে ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ বলেছেন, “বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য অনিশ্চয়তার মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব, সরবরাহ চেইনে পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা।” তিন জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং সর্বসম্মত উৎপাদন স্তর মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।#

সূত্র: পার্সটুডে




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়ার সমালোচনা মিসরের গ্র্যান্ড মুফতির

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ বলে সম্প্রতি যে ফতোয়া দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়ন (IUMS), সেই ফতোয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. নাজির মুহাম্মদ আয়াদ। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।

সোমবার (৭ এপ্রিল) মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের ফতোয়াটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি এই ফতোয়াটিকে একেবারে অযৌক্তিক এবং ভুল বলে মন্তব্য করেন।

ড. আয়াদ বলেন, এমন একটি ফতোয়া শুধু মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিভেদ এবং উগ্রপন্থার উত্থান ঘটাতে পারে, যা বৈশ্বিক শান্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি দাবি করেন, ফতোয়া ইস্যু করার সময় যাদের পক্ষে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আছে, তাদের উচিত আরও চিন্তা-ভাবনা করা এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে শান্তি এবং ঐক্য বজায় থাকে।

তবে ড. আয়াদ ইসরায়েলের গাজার প্রতি মানবিক সহায়তা অবরোধ করার সিদ্ধান্তেরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেন এবং এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজার সাধারণ জনগণের জন্য সহায়তা প্রেরণ একটি নৈতিক দায়িত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটিকে মেনে চলা উচিত।

ড. নাজির আয়াদ ২০২৪ সালের আগস্টে মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে এক প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ মডেল প্রবর্তনের জন্য পরিচিত এবং সারা বিশ্বে উগ্রপন্থা ও ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে তার কাজের জন্য আলোচিত।

তিনি সবসময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের প্রতি জোর দিয়েছেন এবং ইসলামিক সমাজের মধ্যে সংহতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন।




গাজায় সাংবাদিক হত্যা অব্যাহত; ইহুদি বসতিতে হামাসের রকেট হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক :

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের একইসাথে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন তীব্রতর হয়েছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, আল-আরাবি আল-জাদিদ নিউজ ওয়েবসাইট সোমবার গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ঘটনাবলী সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে লিখেছে: গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হত্যাকাণ্ড এবং কঠোর অবরোধের কারণে মানবিক সংকটের অবনতি হওয়ার কথা উল্লেখ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে দেইর আল-বালা শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যাতে এই এলাকাগুলোতে সামরিক হামলা চালানো যায়।

এই প্রসঙ্গে, ফিলিস্তিনি সূত্রগুলি দেইর আল-বালা শহরের পশ্চিমে একটি বাড়িতে বোমা হামলা এবং শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের ভিতরে একটি তাঁবুতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি শহীদ ও আহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে বোমা হামলার খবর দিয়েছে। বোমা হামলায় ২ জন সাংবাদিক নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। হামলার পর ক্যামেরার সামনে একজন সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।

দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফা শহরের এলাকাগুলোতেও ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে।

ইসরাইলি আর্টিলারি ইউনিট গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে আল-জায়তুন এলাকার পূর্বাঞ্চলেও গোলাবর্ষণ করেছে।

ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো গতকাল গাজা উপত্যকায় হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিকের শহীদ হওয়ার খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের একইসাথে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং সবুজ সংকেতে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের আক্রমণের জবাবে হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড রবিবার রাতে আশদোদের ইহুদিবাদী বসতি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালায়, যার ফলে ২৭ জন ইহুদি আহত হয়।

এছাড়াও, ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে তারা আল-শুজাইয়ায় পূর্বে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইহুদিবাদী সামরিক যান উড়িয়ে দিয়েছে।

ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য পপুলার ফ্রন্টের সামরিক শাখা শহীদ আবু আলী মুস্তাফা ব্রিগেডস উত্তর গাজা উপত্যকায় একটি ইসরাইলি দখলদার সেনাবাহিনীর ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে, দুর্গাপুরে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ সর্বস্তরের  তৌহিদী জনতা। ‎

সোমবার (০৭ এপ্রিল) বাদ যোহর দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক আলোচনা সভা শেষে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ সমাবেশ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাপনী বক্তব্য ও আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

‎এসময় বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাবিবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রুহুল আমিন সিরাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওলী উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দুর্গাপুর শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুবদল দুর্গাপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ আব্দুল কাদির, ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মুফতি আবু ওয়াক্কাস, মুফতি জামাল উদ্দিন খান কারিমী, মাওলানা মন্জুরুল হক, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতি শাব্বির আহমদ, মুফতি এনায়েত উল্লাহ খান প্রমুখ। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব সম্রাট গণি সহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা যুগ্ন-আহবায়ক রাতুল খান রুদ্র সহ বিভিন্ন ইসলামী দল গুলোর নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসুচীর সমাপ্তি ঘটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাওলানা আব্দুর রব।

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে শত শত নারী, পুরুষ, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করছে। আমরা মুসলমান হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমরা এই হত্যাকান্ডের  ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । দুর্গাপুরে সকল ইসরায়েলি পন্যের বয়কট করার ঘোষনা দিচ্ছি।

‎আমেরিকা সহ যারা মানববতার কথা বলছে, তারাই ইসরাইলে অস্ত্র ও বোমা সরবরাহ করে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই, আমেরিকা সহ যারা ইসরাইলকে সমর্থন করছে তাদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ফিলিস্তিনিদের উপর যে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবে বিচার করতে হবে। বিশে^র সকল ইসরাইলি দুতাবাসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহবান জানানো হয়।