তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে কী ছিল?

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শুক্রবার তারা দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। এ অবস্থায় কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গত মে মাসে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর তালেবান বাহিনী এত দ্রুত এত বেশি সাফল্য পেয়ে যাবে, তা ছিল বাইডেন প্রশাসনের ধারণার বাইরে। এখন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন বলছে, শিগগিরই কাবুলেরও পতন ঘটতে পারে তালেবানের হাতে ।

পরিস্থিতির এমন অবনতির পরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন না বাইডেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দূতাবাসের কর্মী প্রত্যাহারের কাজটি তারা সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে চান।

তালেবান বাহিনীর এই অগ্রযাত্রার মধ্যে সেই শান্তি চুক্তির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তির মূল ধারা চারটি, যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ নামটিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না এবং এরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তালেবান হিসেবে পরিচিত। এই চুক্তিটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের, যদিও তালেবান নিজেদেরকে চুক্তির নথিতে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির শিরোনাম ছিল – ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি’। এটি দারি, পশতু এবং ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হবে বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। তারিখ হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি হিজরি চান্দ্র ও সৌর বর্ষও উল্লেখ করা ছিল।

সমন্বিত ওই শান্তি চুক্তির চারটি ধারা একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।

প্রথম ধারায় বলা হয়, আল-কায়েদাসহ কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তালেবান নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও তারা করবে।

দ্বিতীয় ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, এটা বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনা তারা করবে এবং সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সূচিও ঘোষণা করা হবে।

তৃতীয় ধারায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর সময়সূচি ঘোষণার পর, এবং তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার নিশ্চয়তা ঘোষণা করার পর তালেবান পক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই আলোচনা শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়।

চতুর্থ ধারায় বলা হয়, আন্তঃআফগান দরকষাকষি ও আলোচনায় আলোচ্যসূচির একটি অংশে থাকবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টি। আন্তঃআফগান আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্থায়ী ও সমন্বিত একটি অস্ত্রবিরতির তারিখ ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণার সময়ই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হবে।

চুক্তিটির পরের তিনটি অংশের প্রথম অংশে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করণীয় তার বিবরণ রয়েছে। বলা হয়েছে, চুক্তি স্বক্ষরের ঘোষণার দিন থেকে পরের ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম অংশে সেখানে ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রথমটিই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে। যেখানে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই চুক্তি ঘোষণার প্রথম ১৩৫ দিনের মধ্যে আট হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেবে। এবং একই সময়ের মধ্যে তারা সেদেশের পাঁচটি সেনাঘাঁটি থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, পরের সাড়ে নয় মাসের মধ্যে বাকি বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং বাকি সেনাঘাঁটিগুলো থেকেও সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়টি মূলত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সময় বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে তালেবান গোষ্ঠী তাদের হাতে বন্দি ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে বলে ঐকমত্য হয়।

চতুর্থ বিষয়টি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তালেবানের যেসব সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই তালিকাও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ২৭ অগাস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।

পঞ্চমটি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তালেবানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে এবং ২০২০ সালের ২৯ মের মধ্যে তারা এ কাজটি করবে।

ষষ্ঠ বিষয়টি হল, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং আফগানিস্তানকে বিভক্ত করতে হুমকি দেওয়া বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে।

চুক্তির দ্বিতীয় অংশে তালেবানের করণীয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাঁচটি দফা বাস্তবায়ন করবে তালেবান।

প্রথমটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে নিজেদের কোনো সদস্য বা আল-কায়েদাসহ অন্য কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

দ্বিতীয় দফাটিও প্রায় একই ধরনের, যেখানে বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে পারবে না, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তৃতীয় দফাটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে সদস্য ও তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় যথাক্রমে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়া, অন্য কোনো ভ্রমণ অনুমতি না দেওয়া বা অন্য কোনো আইনি নথি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চুক্তিটির তৃতীয় অংশে আরও তিনটি দফা রয়েছে, যার প্রথমটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি আফগান ইসলামিক সরকার গঠনের চেষ্টা করবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে আন্তঃআফগান আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনার মাধ্যমে গঠিত আফগান ইসলামিক সরকারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা ওই সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

চার পৃষ্ঠার ওই চুক্তির নথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।




আসামে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো-সংরক্ষণ বিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভায় শুক্রবার পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো সংরক্ষণ বিল। এই বিল অনুসারে গরু নিয়ে যাওয়া, গো হত্যা, গরুর গোশত বিক্রির ক্ষেত্রে নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। গরুর গোশতের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এই বিলে। তবে অনেকের মতে এটি খাতায় কলমে না করলেও গরুর গোশত বিক্রিতে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হবে আসামে। এদিন প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনার পর বাজেট সেশনের শেষ দিনে দি আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১ পাস করা হয়।

এদিকে এই বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন।

বিরোধীরা এই বিলে ৭৬টি সংশোধনী আনতে চেয়েছিলেন। আন্তঃজেলা গরু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া, মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার নির্দেশে শিথিলতা আনা, আইন না মানলে ৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মহিষকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তথ্য বলছে লোয়ার আসামে বিফকে ঘিরে প্রচুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বার বার। আমাদের লক্ষ্য সম্প্রীতি। কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেতে পারবেন। তবে যারা গরুর গোশত খান না তাদের আবেগকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত মুসলিমরা এর বিরোধিতা করবেন না।’

কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘গরুর ব্যবসার সাথে যুক্তদের প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো দরকার ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




কাবাঘরে স্বর্ণখচিত নতুন গিলাফ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কাবাকে আবৃত করে রাখা কাপড়টিকে বলে কিসওয়া বা গিলাফ। প্রতি বছর ৯ জিলহজ কাবা শরিফে পুরনো গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানোর রেওয়াজ চালু আঝছ। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে নতুন গিলাফ দেখে মুগ্ধ হন।

পুরাতন গিলাফটি খুলে তা কেটে বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকারপ্রধানদের উপহার দেওয়া হয়। গিলাফ পরিবর্তনের কাজে মসজিদুল হারামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক নেতৃত্ব দেন। এ সময় সৌদি বাদশার প্রতিনিধিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে ও পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবা শরিফের গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি র্স্বর্ণ ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। এর মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান এক মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া, যা পরস্পরের সঙ্গে সেলাই করা।

প্রতিবছর একটি সতর্কতামূলকসহ মোট দুটি করে গিলাফ তৈরি করা হয়। হাতে তৈরি করতে সময় লাগে আট থেকে নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। মক্কার উম্মুদ জুদ নামক এলাকার বিশেষ কারখানায় এগুলো তৈরি করা হয়।

আজ সোমবার ফজরের সালাতের পরেই মিনা থেকে দলে দলে হাজিরা উপস্থিত হবেন আরাফার ময়দানে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজিরা সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে খুতবা পাঠ করবেন মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। খুতবা পাঠ শেষে জোহর ও আসরের ওয়াক্তের মাঝামাঝি সময়ে হাজিরা জামাতের সঙ্গে কছর নামাজ আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার জিকির-আসকার ও ইবাদতে মশগুল থাকবেন।

এরপর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এশার ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সারা রাত অবস্থান করবেন। মিনায় জামারাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। ১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দিন মিনায় হাজির হয়ে তিনটি জামারায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপকালে ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে হাজিরা পাথর নিক্ষেপ করবেন। আরব নিউজ ও আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছরও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কোনো হজযাত্রীকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবে বাস করা দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ব্যক্তি হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। গতবারও বিধিনিষেধের মধ্যে ১ হাজার মুসলিমকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।




ভারতে টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশও পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশকেও টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ (রোববার) সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশে চুক্তির টিকা সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, “টিকা সরবরাহের অবস্থা কী- সেটি জানার জন্যই ভারত যাচ্ছি। যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে, তাহলেই এটি সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “করোনার কারণে যেহেতু সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, তাই ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে যেসব বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন, যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আবেদন করলেই তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।”

তিনি বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এটি ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে, ভারতেরও রফতানি বেড়েছে। এটি সবার জন্যই ভালো। হাইকমিশনারকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।




ইরানের ৩৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরান সংশ্লিষ্ট ৩৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কার্যক্রম বা সহিংস সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে ওয়েবসাইটগুলো অফলাইনে নেওয়া হয়েছে। তবে ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলো নতুন ডোমেইন ঠিকানায় আবার অনলাইনে ফিরে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন ইউনিয়ন (আইআরটিভিইউ) ব্যবহৃত ৩৩টি ওয়েবসাইট ও কাতাইব হিজবুল্লাহ (কেএইচ) ব্যবহৃত তিনটি ওয়েবসাইট মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় আদালতের আদেশ অনুসারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেএইচ হচ্ছে ইরানপন্থী ইরাকের মিলিশিয়া গ্রুপ, যাদের যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রেখেছে। যেসব সাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রেস টিভি। এটি ইরান সরকারের প্রধান ইংরেজি ভাষার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। এ ছাড়াও আল আলম নামে আরবি ভাষার একটি টিভি চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ দুটি চ্যানেল ইরানের আল আলম ডট আইআর ও প্রেসটিভি ডট আইআর ব্যবহার করে অনলাইনে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, আইআরটিভিইউর যে ৩৩টি ডোমেইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মালিকানায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। ইআরটিভিইউ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিস অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলের কাছ থেকে কোনো লাইসেন্স নেয়নি। কেএইচও আলাদা করে লাইসেন্স নেয়নি।

গতকাল ইরানসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এগুলো বন্ধ করেছে এমন নোটিশ দেখায়। ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি ইরানি সম্প্রচারমাধ্যমের ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে। এসব সাইট ইরানি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রাইসির বিজয়ের পরপরই সেখানকার ওয়েবসাইটগুলো বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। গত অক্টোবর মাসে মার্কিন কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, তাঁরা ইরানের ওয়েব ডোমেইনের একটি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই ডোমেইনগুলো থেকে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড করপোরেশনের (আইআরজিসি) পক্ষে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। ওই সময় মোট ৯২টি ডোমেইন বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে ইরানের সংবাদ সংস্থা ওয়াইজেসি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে বাকস্বাধীনতার আহ্বান জানায়, তা পুরোপুরি মিথ্যা।




আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মার্কিন দূতাবাসকর্মীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনো মৃত সেই কর্মকর্তার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একজন কর্মকর্তা মারাও গেছেন।

তিনি বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরণের ব্যবস্থাগ্রহণ করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আফগান্তিানে ভ্যাক্সিন ঘাটতির কারণে এরই মধ্যে কাবুলে ভ্যাক্সিন পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, টেস্টের পর দূতাবাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার  করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরপর ১১৪ জনকে কোয়ারেইন্টেনে রাখা হয়েছে। ডাক্তারি পরামর্শে বাকিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপতত কাবুলে কূটনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে করোনার ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহের দ্রুত গতিতে বেড়েছে, এতে দেশটির স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ পড়ছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯  হাজার মানুষ, মারা গেছেন ৩৯০০ জন।




ফিলিস্তিনিদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রও সমান অপরাধী: হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যা সমর্থন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

ব্লিঙ্কেন গত সোমবার এক বক্তব্যে ফিলিস্তিন জনগণের ওপর তেলআবিবের সাম্প্রতিক আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে উল্লেখ করেন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।  খবর ফিলিস্তিন বার্তা সংস্থা শাহাবের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্রের পাশাপাশি আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।

এর প্রতিক্রিয়ায় হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা কুদস দখলদার ইসরাইল সরকারের প্রতি আমেরিকার সামরিক সমর্থন এবং তেলআবিবের হাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তুলে দেওয়ার মার্কিন নীতির তীব্র নিন্দা জানাই। আমেরিকা এ সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র সাধারণ জনগণকে হত্যার অপরাধে সমান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে— আমেরিকা যদি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তরিক হয়, তবে তাকে স্বাধীনচেতা ফিলিস্তিন জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন জনগণকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করতে হবে।

গত ১০ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলায় ৬৯ শিশু, ৩৯ নারী ও ১৭ বৃদ্ধসহ ২৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মার্কিন সমর্থনে চালানো এ হামলায় আহত হন আরও ১৯১০ ফিলিস্তিনি নাগরিক। এই ১১ দিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে ও হামলা বন্ধ করতে তিনবার বৈঠকে বসলেও আমেরিকার বিরোধিতার কারণে তেলআবিবের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয়নি।




ইসরায়েলের সেনারা এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ২২৬ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।

ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের হিসাব রাখা একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি (বন্দি এবং সাবেক বন্দি) নামের স্থানীয় এই সংস্থাটির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ লাখ বন্দীর মধ্যে ৫০ হাজার শিশু এবং ১৭ হাজার নারী। এ ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ৫৪ হাজার প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দখলদার ইসরায়েল।

এই প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলো এমন এক নীতি, যার ফলে কোনো বিচার ও অভিযোগ গঠন ছাড়াই গ্রেপ্তার হওয়াদের বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়াতে পারে ইসরায়েলি প্রশাসন।

এনজিওটির বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যেসব ফিলিস্তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং নানা নিষ্ঠুর আচরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।

ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী আছেন। এর মধ্যে ১৪০ শিশু, ৪১ জন নারী এবং ৪৪০ জন প্রশাসনিক আদেশের বন্দী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিশরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৭৯ সালে এক শান্তি চুক্তির পর ইসরায়েল সিনাই উপদ্বীপ মিশরকে ফেরত দেয়।




এবার বাগদাদের মার্কিন ‘কূটনৈতিক কেন্দ্রে রকেট হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত একটি মার্কিন কূটনৈতিক স্থাপনায় রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগেও অনেকবার বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছে।

ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়েনে মারত্তো টুইটার পোস্টে জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বাগদাদে অবস্থিত ডিপ্লোমেটিক সাপোর্ট সেন্টার হামলার শিকার হয়। এ ধরনের হামলায় ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই মুখপাত্র আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়, যার লক্ষ্য ছিল কূটনৈতিক কেন্দ্র। কূটনৈতিক কেন্দ্রের কাছেই রকেটটি পড়ে। তবে এতে হত্যাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কর্নেল ওয়েনে মারত্তো।

২০০৩ সালে তৎকালীন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে অভিযোগ তুলে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও ব্রিটেন। তখন থেকেই ইরাকে রয়েছে মার্কিন সেনা। তবে ২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনের নামে বাড়ানো হয় মার্কিন সেনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকে মার্কিন বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করেছে।




ভারতের উত্তরপ্রদেশে বিষাক্ত মদ পানে মৃত ২২, গুরুতর অসুস্থ ২৮

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের উত্তরপ্রদেশে আলিগড়ের তিন গ্রামে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরো ২৮ জন। জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মালখান সিংহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলার তিন গ্রাম কারসুয়া, আন্দলা ও ছেরত গ্রামের বেশ কিছু মানুষ মদ পান করার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ১৫ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

পুলিশ জানিয়েছে, আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বিষাক্ত মদ পান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আলিগড় পুলিশের এসএসপি কলানিধি নৈথানি জানিয়েছেন, এ ঘটনার মূল আসামি অনিল চৌধরীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো দু’মূল অভিযুক্ত ঋষি শর্মা ও বিপিন যাদব পালিয়ে গেছেন। ওই দু’অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ। ওই গ্রামগুলোর আশপাশের পাঁচটি মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। দোকান থেকে মদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত এসএসপি। এ ছাড়া জেলার ৫০০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত।