যদি আজ ফিলিস্তিনিদের নির্বাসিত করা হয় তাহলে আগামীকাল কার পালা?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

সোমবার একদল ফরাসি বুদ্ধিজীবী লে মন্ডে পত্রিকায় একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন যেখানে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের চরমপন্থী নীতির নিন্দা জানানো হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের পরিকল্পনার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পার্স টুডে অনুসারে, এই দলটি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের নীতির সমালোচনা করে ঘোষণা করেছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইরি সরকার চরমপন্থী গোষ্ঠীর প্রভাবে গাজা এবং সম্ভবত পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে একটি নতুন ‘অভিবাসন সংস্থার’ মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া এই পরিকল্পনাটি জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করছে। লেখকরা এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক নিয়ম, নৈতিক নীতি এবং মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করেন এবং সতর্ক করে দেন যে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ফরাসি বুদ্ধিজীবীরা যুক্তি দেখান যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকার আমেরিকার সহায়তায় বোমাবর্ষণ এবং অনাহারের মুখে অমানবিক পরিস্থিতিতে দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে গণ-নির্বাসনের জন্য প্রস্তুত করছে। গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা এই কর্মকাণ্ডগুলো ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর একটি নতুন আধিপত্যবাদী মতাদর্শের অংশ যা অন্যান্য জাতির অধিকারকে সম্মান না করে কেবল তার ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করে।

ফরাসি চিন্তাবিদরা জুন মাসে ইমানুয়েল ম্যকরন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন। কিন্তু একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলছেন যে ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিলে এই পরিকল্পনাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে।

লেখকরা সতর্ক করে বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারের চরমপন্থী নীতি গ্রহণ অন্যান্য সরকারের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে এবং জিজ্ঞাসা করেন: যদি আজ ফিলিস্তিনিদের নির্বাসিত করা হয় তাহলে আগামীকাল কার পালা?

এই গোষ্ঠীটি গাজার ট্র্যাজেডিকে সরকারি নীতির বাইরে এবং বৈশ্বিক মূল্যবোধের পতনের লক্ষণ বলে মনে করে। তারা ইউরোপীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং দলগুলোকে এই মতাদর্শের স্পষ্ট নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ এই জরুরি অবস্থার মুখে নীরব থাকা অপরাধ।

লেখকরা জোর দিয়ে উপসংহারে পৌঁছেছেন যে,পতনের দ্বারপ্রান্তে থাকা বিশ্বে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিবন্ধে যারা সাক্ষর করেছেন:

মিশেল ডুক্লোস, জাতিসংঘে সাবেক ফরাসি প্রতিনিধি এবং সিরিয়ায় সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং মন্টেইন ইনস্টিটিউটের বিশেষ উপদেষ্টা

জিন-পল চেনিওলু, বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আইআরএমএমও  (iReMMO-)ইনস্টিটিউটের সভাপতি (ভূমধ্যসাগরীয় ও পশ্চিম এশীয় গবেষণা ও অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট)

বার্নার্ড অরকেড, ফরাসি জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র (CNRS)-এর বিশিষ্ট গবেষণা পরিচালক এবং iReMMO-এর সদস্য

জ্যাক হান্টসিঙ্গার, এস্তোনিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, ইসরাইলে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং বার্নার্ডিন কলেজের সদস্য

জামাল আল-শালবি, হাশেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জারকা, জর্ডান) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক

ব্রিজিট করমি, লিবিয়া, মাল্টা এবং সিরিয়ায় প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

অ্যান্টোইন আরঝাকোভস্কি, গবেষণা পরিচালক, কলেজ বার্নার্ডিন প্যারিস

অ্যানি ইয়েস লোভালোয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইআরইএমএমও

 

সূত্র: পার্সটুডে




পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন সরকারের লোলুপ দৃষ্টি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইসনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় কিয়েভে পাঠানো সাহায্যের টাকা ফেরত নেওয়ার অজুহাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন যখন ইউক্রেন সরকারের সাথে খনিজ সম্পদ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনও কোন ফল পায়নি, তখন আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

“ফরেন পলিসি”র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এরিক মেয়ার খনি খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ইসলামাবাদে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে এক বৈঠকে মেয়ার বলেন যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি পাকিস্তানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ফরেন পলিসির মতে, মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতারা পাকিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণে আমেরিকার ইচ্ছা সম্পর্কে ইউক্রেনের মতোই একই রকম সংকেত পাঠাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ কমিটির সভাপতি জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি বলেছেন যে খনিজ এলাকা পাকিস্তানের সাথে অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।

২০২৩ সালের পর পাকিস্তান সফরকারী মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের প্রথম প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে বার্গম্যান গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফর করেন।

পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তামা ও সোনার বিশাল মজুদ, সেইসাথে লিথিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ এবং অনুমান করা হয় যে এর আয়তন প্রায় ৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে যা যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণ। যদিও পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মূল্য বর্তমানে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তার খনিজ সম্পদ নিয়ে গর্ব করে আসছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ফরেন পলিসি মনে করে যে এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন সরকারের এই ধরনের বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ ইসলামাবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে খনি খাতে বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উপর দেশের নির্ভরতা কমাতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে।#

সূত্র: পার্সটুডে




আল-আকসা মসজিদটি ভেঙে থার্ড টেম্পল নির্মাণের প্রচারণায় ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পবিত্রতম স্থানগুলোর একটি আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড গভীর উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। মসজিদটি ধ্বংস করে সেখানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের আহ্বান এবং পরিকল্পনার অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে আল-আকসা মসজিদে হামলার উসকানি এবং সেই জায়গায় নতুন ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় জানায়, এই ধরনের আহ্বান শুধু ধর্মীয় অবমাননা নয়, বরং এটি সরাসরি মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে আঘাত এবং পবিত্র স্থানের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রচেষ্টা জেরুজালেমে ইসরায়েলি আগ্রাসনের অংশ এবং ধর্মীয় সহিংসতা উসকে দেওয়ার কৌশল।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে তৃতীয় ইহুদি মন্দির গড়ে তোলার দৃশ্য। আগামী বছর জেরুজালেমে শিরোনামের এই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

ফিলিস্তিনিদের মতে, আল-আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি তাদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র স্থান। যদিও প্রাঙ্গণের প্রশাসনিক দায়িত্ব জর্ডানের হাতে, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে প্রবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা।

অন্যদিকে, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ বিশ্বাস করে, এই স্থানেই প্রাচীনকালে প্রথম ও দ্বিতীয় টেম্পল স্থাপিত ছিল, যা রোমান সাম্রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ৭০ সালে ধ্বংস করে। সেই ঐতিহাসিক পটভূমিকে সামনে রেখেই তারা এখানে তৃতীয় মন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা এই দাবি আরও জোরদার করছেন। জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ২০২৪ সালের আগস্টে আল-আকসা প্রাঙ্গণে টেম্পল মাউন্ট স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে বিতর্কে জড়ান। জানা গেছে, তিনি ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তত ছয়বার আল-আকসা সফর করেছেন। প্রতিবারই এই সফর ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সরকার এই ঘটনাগুলোকে একটি পরিকল্পিত উসকানি হিসেবে দেখছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বর্তমানে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ কার্যত ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও বসতি স্থাপনকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জোরপূর্বক মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করছে এবং সেখানে ধর্মীয় আচার পালন করছে, যা বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিষিদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যে অনেকেই এই পরিস্থিতিকে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন, যেখানে মুসলিম ও ইহুদি অংশে জায়গা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আশঙ্কা করছেন, আল-আকসার ক্ষেত্রেও হয়তো ইসরায়েল এমনই কিছু পরিকল্পনা করছে।

এই পরিস্থিতিতে আল-আকসা মসজিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুসলিম বিশ্ব ও ফিলিস্তিনি জনগণ আন্তর্জাতিক সংহতি ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছে। তারা বলছে, এই পবিত্র স্থানকে রক্ষা করা কেবল একটি ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।




খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি সৈন্য নিহত; গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদকারী ইসরাইলি ডাক্তারদের তলব

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলকে হতাহত করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: গত বুধবার, এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা খান ইউনুস শহরের দক্ষিণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তিনটি D9 সাঁজোয়া বুলডোজারকে অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, একই এলাকায় একটি পৃথক অভিযানে, কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা একটি শত্রু সামরিক ইউনিটকে একটি ফাঁদে আটকে থাকা সুড়ঙ্গ খোলার জন্য প্রলুব্ধ করতে সফল হয়েছিল। বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্য সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার সাথে সাথে একের পর এক বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে তাদের বেশ কয়েকজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবারও, কায়জান আল-নাজ্জার এলাকায় আরও তিনটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বুলডোজারকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে একটি “ইয়াসিন ১০৫” ক্ষেপণাস্ত্র, একটি “শাওয়াজ” বোমা এবং একটি ব্যারেল বোমা।

অন্য খবরে, ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ইসরাইলের সেনাবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করে একটি আবেদনে স্বাক্ষরকারী সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন রিজার্ভ ডাক্তারকে সামরিক কমান্ডারদের সাথে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠায়।

ইসরাইলে প্রকাশিত দৈনিক “হারেৎজ”, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে সামরিক কমান্ডাররা এই বৈঠকে স্বাক্ষরকারীদেরকে তাদের স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন এবং তাদের যুদ্ধ না করার এ পদক্ষেপকে “অবৈধ” বলে বর্ণনা করেছেন।

বিমান বাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তার হারেৎজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: “আমি চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয় পাই না।” যা ঘটছে তা হলো কিছু রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন।

গত মঙ্গলবার আরেকটি দৈনিক “ইসরায়েল হায়োম” লিখেছে যে ৩,০০০ ইসরাইলি শিক্ষা কর্মী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া, ইসরাইলের ২০০ বন্দী পরিবার এবং মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধবন্দীরা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছে।

এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দুটি আবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেগুলোতে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন।

একটি আবেদনপত্র তৈরি এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন সাইবার ইউনিটের যোদ্ধারা এবং অন্যটি করেছেন ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা “আমান”-এর বিশেষ অপারেশন ইউনিটের অভিজ্ঞ সদস্যরা।

অন্যদিকে, ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে যে সরকারের নৌবাহিনীর ৪৫০ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা অবিলম্বে যুদ্ধ অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এই পদক্ষেপ এমন এক পরিস্থিতিতে নেওয়া হয়েছে যেখানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া এবং এর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা বিশেষ করে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইলের ভেতরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।সূত্র: পার্সটুডে




গাজায় ৪১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে অন্তত ৪১২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। দখলদার সেনাবাহিনী শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঘোষণা করেছে, উত্তর গাজায় যুদ্ধের সময় একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সৈন্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১২ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার নিহত সৈনিকের নাম গালেব স্লিমান আল-নাসাসরা। তিনি সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। গত ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েল পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর উপত্যকায় এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন।

নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় শনিবার গাজাজুড়ে আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন বহুসংখ্যক মানুষ।

আল জাজিরা বলছে, শনিবারও দিনজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য চুক্তির দাবি জানানোর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




কলকাতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশে মমতার বার্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইমামদের একটা ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি কিন্তু খুঁজে বার করব সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে এবং কিছু বাচ্চা ছেলেকে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ইঁট ছুঁড়িয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশের কথা একাধিকবার টেনে এনেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? আপনি ইউনূসের সঙ্গে গোপন মিটিং করুন, চুক্তি করুন। দেশের ভালো হলে খুশি হবো। কিন্তু আপনাদের প্ল্যানিংটা কী? কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা?

মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ভাষণের যে লাইভ দেখানো হয়েছে, সেখানেই এই প্রসঙ্গগুলো আছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলের একটি পোস্টের প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, কাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি, হোম মিনিস্ট্রির সোর্স কোট করে বলেছে যে- ইসমে বাংলাদেশ কা হাথ হ্যায়।
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যের শেষ অংশটি হিন্দিতে, যার অর্থ হলো- ‘এতে বাংলাদেশের হাত আছে’।

এর পরেই তিনি বলেন, যদি এই সহিংসতায় বাংলাদেশের হাত থাকে, তাহলে তার দায় তো কেন্দ্র সরকারের। সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। রাজ্যের হাত নেই এতে।

মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা এবং বিএসএফের দায় নিয়ে এই একই কথা ভাষণের শেষ দিকে আরও একবার বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের সংশোধনি নিয়ে প্রথম দফায় গত মঙ্গল ও বুধবার এবং দ্বিতীয় দফায় শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী সুতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়েছিল। ওই সহিংসতার জেরে শনিবার তিনজনের মৃ্ত্যু হয়েছিল – যাদের দুজন হিন্দু ও একজন মুসলমান বলে রাজ্য পুলিশ জানায়।




ইয়েমেন পিছু হটবে না: ওয়াশিংটনের ভুল স্বীকার করে নিউজউইকের প্রতিবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

একটি মার্কিন সংবাদপত্র এক নিবন্ধে ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে।

পার্সটুডের মতে,আমেরিকার সংবাদপত্রটি একটি প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে যে,প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান আক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ওয়াশিংটনের আক্রমণ বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে অমান্য করে চলেছে এবং ইসরাইল এবং লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।”

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক মাস আগে ১৫ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আক্রমণ শুরু করে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার কর্তৃক সংগৃহীত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) থেকে প্রাপ্ত তথ্য উদ্ধৃত করে নিউজউইক লিখেছে যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং সেইসঙ্গে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন যেটি ১০ এপ্রিল হ্যারি এস. ট্রুম্যানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল সেখান থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন অবকাঠামোগুলোতে প্রতিদিন কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে, এসব হামলায় ইয়েমেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে  পিছু হটার খুব কম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।” নিউজউইক আরও লিখেছে,  ‘গত রোববারসহ  সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইয়েমেনিরা তেল আবিব এবং ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চলে অসংখ্য সফল ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছে’। #

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতের উত্তরাখণ্ডে বন্ধ করে দেয়া হল আরও ৭ মাদ্রাসা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল অভিযোগে রোববার (১৩ এপ্রিল) হলদোয়ানির কর্মকর্তারা কমপক্ষে সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

যদিও দ্য সিয়াসাত ডেইলি ও মুসলিম মিরর বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তরাখণ্ডজুড়ে কমপক্ষে ১৭০টি মাদ্রাসা সিল করে দেয়া হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলও।

প্রতিবেদন মতে, জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে।

এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। দাবি করা হচ্ছে, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিলগালা করা হয়েছে।

হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদরাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।

গত ২৬ মার্চ উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদরাসা রয়েছে, যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদরাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।




মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ৮৫ বছর বয়সে দেশের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সংবাদটি তার জামাতার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জামাতা আল্লাহর কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তাকে সৎকর্মশীলদের মধ্যে স্থান দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ১৯৯৩ সালে পেনাংয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের পর এই পদে আসীন হন। তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করে।

তার মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আব্দুল্লাহ আল বাদাবীর অবদান ও নেতৃত্বের জন্য তাকে স্মরণ করা হবে।