ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইসরায়েলের তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পাল্টা জবাবে ইয়েমেন থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, এগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফলভাবে ভূপাতিত করা গেছে কিনা তা এখনও তদন্তাধীন।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর জেরুজালেমের দক্ষিণে এটজিওন ব্লক ও হেবরনসহ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদাইদায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনের তিনটি বন্দর খালি করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করেছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।

রোববার (৬ জুলাই) ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েলের তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিওন বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান সম্পূর্ণ সফল হয়েছে এবং এর ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেন কয়েক দফায় ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

 




প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। শনিবার তেহরানে আশুরা উপলক্ষে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার এই উপস্থিতি দেখা যায়, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে উঠে আসে। ৮৫ বছর বয়সী খামেনিকে ইমাম খোমেইনি মসজিদে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে উপস্থিত জনতার প্রতি হাত নাড়াতে ও সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখা যায়।

১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। তার সকল ভাষণই এ পর্যন্ত রেকর্ড করা ছিল। শনিবারের ভিডিওটি তার প্রথম সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান যে, আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন, তবে তাকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ২৬ জুন খামেনির পূর্বে রেকর্ডকৃত ভাষণে তিনি ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমরা আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর মাধ্যমে। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আপনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, নিজ দেশের মধ্যে খুব সম্মানিত। কিন্তু সত্যটা বলুন— আপনি তো একেবারে মার খেয়ে গেছেন।

ইরান স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধের সময় তাদের ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে কমপক্ষে ২৮ জনকে হত্যা করে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন। তবে এরপর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি তারা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’কে এসব স্থাপনায় প্রবেশের অনুমতি বাতিল করেছে। যুদ্ধ চলাকালে আইএইএ’র পরিদর্শকরা তেহরানে অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু ইসরাইলি হামলায় ইরানের উচ্চপর্যায়ের বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান একটি আইন স্বাক্ষর করে আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেন। এরপর পরিদর্শকরা তেহরান ত্যাগ করেন। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সংলাপ আবার শুরু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পারমাণবিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ আবার চালু করা যায়।

যুদ্ধ শুরুর আগে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৃহস্পতিবার বলেন, ইরান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশটি এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে না।




ইরানি হামলার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ৩৯ হাজার ইসরাইলির আবেদন

ঘরবাড়ি ক্ষতির আবেদন ৩০,৮০৯টি,  যানবাহন ক্ষতির সংখ্যা ৩৭১৩

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ চলাকালে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় পর্যুদস্ত ইসরাইলিরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ৩৯ হাজার আবেদন জমা দিয়েছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করেছে ইসরাইলের কর কর্তৃপক্ষ। ১৩ জুন ইরান-ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোট ৩৮ হাজার ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘরবাড়ি-ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৩০ হাজার ৮০৯টি। এ ছাড়া, ৩ হাজার ৭১৩টি আবেদন জমা পড়েছে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে। যন্ত্রপাতি আর অন্যান্য জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৮৫টি।

ইসরাইলি ওয়েবসাইট বেহাদ্রেই হারেদিমের তথ্যমতে, শুধু তেল আবিবেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৪ হাজার ৯৩২টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন শহরে আবেদন জমা পড়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি।

ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলিদের কী পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেটা এখনো জানানো হয়নি।

# পার্সটুডে




সাইপ্রাসে জমি কিনছে ইসরাইলিরা; দ্বীপটি কি ফিলিস্তিনের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

 ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইহুদীবাদীরা সাইপ্রাস দ্বীপে জমি কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

দখলদার ইসরাইলের নাগরিকত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি সেখানে তারা বাসস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।

পার্সটুডে জানাচ্ছে- সাইপ্রাসের প্রভাবশালী পত্রিকা পলিটিক এসব তথ্য জানিয়েছে।

পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ১৫ হাজারেরও বেশি ইহুদিবাদী ইসরাইলি সাইপ্রাসে জমি কিনেছেন। তারা সেখানে তাদের জন্য একটি স্বাধীন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন। ইসরাইলিরা এখন সাইপ্রাসকে তাদের জীবনযাপনের জন্য অনেক নিরাপদ স্থান হিসেবে মনে করছে।

ইরানের সাথে যুদ্ধ চলাকালে দখলদারর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কিছু সময় সাইপ্রাসে কাটিয়েছেন সেখানে তিনি অবকাশ যাপন করেছেন।

এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, সাইপ্রাস কি ফিলিস্তিনের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে?#

-পার্সটুডে




গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার অভিযোগে ইরানে ৭০০ ইসরায়েলি ভাড়াটে সৈনিক গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার অভিযোগে ইরানে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। গত ১২ দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (২৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ বলছে, আটককৃতদের ‘ইসরায়েলি ভাড়াটে সৈনিক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ইরানে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

নূরনিউজ-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, শুধু গত ১২ দিনেই প্রায় ১০ হাজার ড্রোন জব্দ করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এসব ড্রোন বিস্ফোরক বহনে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।

তবে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি ইরানি কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে এবং দেশবিরোধী সকল নাশকতা চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পারমাণবিক স্থাপনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে কঠোরতা
এদিকে ইরানের পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা সীমিত করতে একটি বিল পাস করেছে। নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে আইএইএ’র পরিদর্শকরা কেবলমাত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রবেশাধিকার পাবেন।

নূরনিউজ জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে বা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না হলে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। ফলে আগের মতো স্বচ্ছভাবে পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা আর সম্ভব হবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর প্রেক্ষাপটে ইরানের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন কূটনৈতিক চাপের জন্ম দিতে পারে।




ইসরায়েলের বড় অপরাধ, শাস্তি অবধারিত: আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে—এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। শাস্তি অবধারিত, এবং সেই শাস্তি তারা এখন ভোগ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এই প্রথমবারের মতো সরাসরি এমন কঠোর অবস্থান তুলে ধরলেন খামেনি। তার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার)

খামেনি বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ করেছে। এ অপরাধের জবাব দিতেই হবে। তারা শাস্তি পাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া চলবে।’

প্রসঙ্গত, ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ভেতরে সরাসরি হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও হামলা শুরু করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তার কারণে খামেনি তার বাসভবন ছেড়ে বাংকারে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিকল্প প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন, যদি তার ওপর হামলার ঝুঁকি বাস্তবে রূপ নেয়।

ইরানে রাজনৈতিক, বিচারিক, প্রশাসনিক এবং সামরিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ খামেনির হাতেই। তাই তার কোনো অনুপস্থিতি বা ক্ষয়ক্ষতি ইরানের জন্য বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্স, পাকিস্তান, গ্রিস এবং ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, এই ঘটনা শুধু ইরান-ইসরায়েল নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন সংকটের মুখে ফেলতে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা




মাল্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্স ও ব্রিটেনও একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে

স্পেন সহ বেশ কয়েকটি দেশের অনুসরণ করে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে দেশটি আগামী মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বলেছেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে গত ৪৫ বছরের জাতীয় বিতর্কের অবসান ঘটাবে। পার্সটুডে জানিয়েছে, মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “দিন দিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া এই মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না।”

রবিবার এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, যেখানে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

অ্যাবেলা জর্ডানের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি চিকিৎসার জন্য মাল্টায় আনা ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথেও দেখা করেন।

২০ জুন একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে এই পদক্ষেপ দেয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড গত বছর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, অন্যদিকে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও ঘোষণা করেছে যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি ভাবছে।# সূত্র: পার্সটুডে




ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। পণবন্দীদের উদ্ধার ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে মাইক্রোসফট দাবি করেছে, তাদের অ্যাজিওর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজায় সরাসরি হামলা বা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

শনিবার (১৭ মে) মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মাইক্রোসফটের করপোরেট ওয়েবসাইটে একটি স্বাক্ষরবিহীন ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এটিই সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি যে গাজা যুদ্ধে তারা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।

এ স্বীকারোক্তির প্রায় তিন মাস আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসরকারি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০ গুণ বাড়িয়েছে এবং এতে মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য অনুবাদ, বিশ্লেষণ ও যাচাই করার কাজে অ্যাজিওর ব্যবহার করা হত। এসব তথ্য পরবর্তীতে ইসরাইলের নিজস্ব এআই-চালিত টার্গেটিং সিস্টেমের সাথে মিলিয়ে দেখা হত।

এ অংশীদারিত্ব ইসরাইল, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের এআই প্রযুক্তি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তৈরি করে এবং এতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কর্মীদের উদ্বেগ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সামনে আসায় তারা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে এবং একটি বাইরের সংস্থাকে অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তবে তারা ওই সংস্থার নাম বা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

মাইক্রোসফটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সফ্টওয়্যার, পেশাদার পরিষেবা, অ্যাজিওর ক্লাউড স্টোরেজ ও এআই পরিষেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাষা অনুবাদ। তারা ইসরাইলি সরকারের সাথে কাজ করেছে যাতে তারা তাদের জাতীয় সাইবারস্পেসকে বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে, হামাসের হাতে আটক আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টায় ‘বাণিজ্যিক চুক্তির সীমার বাইরে’ কিছু প্রযুক্তি ও ‘জরুরি সহায়তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

তবে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি, তাদের প্রযুক্তি ইসরাইলি সেনাবাহিনী কিভাবে ব্যবহার করেছে এবং মাইক্রোসফট কিংবা তাদের নিযুক্ত বাইরের তদন্তকারী সংস্থা আদৌ ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা।




গ্রেফতারের ভয়ে ভ্যাটিকান সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ভ্যাটিকানে নতুন পোপের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামীকাল (রোববার) ভ্যাটিকানে পোপ লিও চতুর্দশ-এর অভিষেক তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছেআন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে তিনি এই সফর বাতিল করেছেন।

গত কয়েকদিনে নেতানিয়াহুর দপ্তর ইতালি ও ভ্যাটিকানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলযাতে তারা নিশ্চিত হতে পারে যেতার বিরুদ্ধে জারি হওয়া আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে না। তবে যেসব উত্তর তারা পেয়েছেনতাতে পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নিযে কারণে শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আইসিসি নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

আইসিসির আদেশে বলা হয়ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।

আদালত আরও বলেছেদুইজনের প্রত্যেকের অন্যদের সাথে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসাবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যানিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।”#

সূত্র: পার্সটুডে




হিউম্যান রাইটস ওয়াচ: তেল আবিব জীবন ধ্বংস করতে চাইছে; সানচেজ: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে যে গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরাইলি সরকারের লক্ষ্য হল এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ধ্বংস করা।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের অপরাধ এক বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই অপরাধের সর্বশেষ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে খান ইউনিসের পূর্বে ইউরোপীয় হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ইসরাইল ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে যার ফলে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত ও নিখোঁজ হন। পার্সটুডে অনুসারে ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে ইসরাইল গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কারণে জীবন ধ্বংস হচ্ছে এবং এই এলাকার বাসিন্দাদের শেষ আশ্রয়স্থলও ধ্বংস হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলার পরপরই ইউরোপীয় হাসপাতালে বোমা হামলা এবং এটি বন্ধ করে দেয়ার অর্থ হচ্ছে একটি নীরব মৃত্যুর পথ তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে মূলত গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে অশুভ পরিকল্পনা চলছে । বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর সেনাবাহিনী উদ্ধার কর্মীদের লক্ষ্য করে রাস্তায় হামলা চালানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা (ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে সকল দেশকে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কানাডা: গাজার ক্ষুধাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

এই প্রসঙ্গে, কানাডার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকার গাজার ক্ষুধাকে “রাজনৈতিক হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

স্পেন: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও বুধবার বলেছেন যে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা একটি গণহত্যাকারী শাসনব্যবস্থা এবং আমাদের এই ধরনের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক না রাখার অধিকার রয়েছে। সানচেজের বক্তব্যের পর, শাসকগোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিকৃত অঞ্চলে নিযুক্ত স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত আনা সালোমনকে তলব করেছে।

আমস্টারডামের মেয়র: ইউরোপকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে

আমস্টারডামের মেয়র ফেমকে হালসেমা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস, অনাহার এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার জন্য ডাচ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন: “ইউরোপকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে।” মানবাধিকার সংকট মোকাবেলায় দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে হালসেমা বলেন,  “গাজার জনগণের ভাগ্য ডাচ রাজধানীর অনেক বাসিন্দাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।” তিনি আরো বলেন,  “গাজায় গণহত্যামূলক সহিংসতা নিয়ে কথা বলা অযৌক্তিক নয় এবং এখন রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করার সময়।”

ইতালি: গাজায় ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একই সাথে গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক এবং অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জার্মানি: গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজ বুধবার গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য একটি মানবিক কর্তব্য।

পার্সটুডে