ভারতে টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশও পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশকেও টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ (রোববার) সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশে চুক্তির টিকা সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, “টিকা সরবরাহের অবস্থা কী- সেটি জানার জন্যই ভারত যাচ্ছি। যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে, তাহলেই এটি সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “করোনার কারণে যেহেতু সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, তাই ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে যেসব বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন, যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আবেদন করলেই তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।”

তিনি বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এটি ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে, ভারতেরও রফতানি বেড়েছে। এটি সবার জন্যই ভালো। হাইকমিশনারকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।




ইরানের ৩৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরান সংশ্লিষ্ট ৩৬টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কার্যক্রম বা সহিংস সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে ওয়েবসাইটগুলো অফলাইনে নেওয়া হয়েছে। তবে ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলো নতুন ডোমেইন ঠিকানায় আবার অনলাইনে ফিরে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন ইউনিয়ন (আইআরটিভিইউ) ব্যবহৃত ৩৩টি ওয়েবসাইট ও কাতাইব হিজবুল্লাহ (কেএইচ) ব্যবহৃত তিনটি ওয়েবসাইট মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় আদালতের আদেশ অনুসারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেএইচ হচ্ছে ইরানপন্থী ইরাকের মিলিশিয়া গ্রুপ, যাদের যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রেখেছে। যেসব সাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রেস টিভি। এটি ইরান সরকারের প্রধান ইংরেজি ভাষার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। এ ছাড়াও আল আলম নামে আরবি ভাষার একটি টিভি চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ দুটি চ্যানেল ইরানের আল আলম ডট আইআর ও প্রেসটিভি ডট আইআর ব্যবহার করে অনলাইনে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায়, আইআরটিভিইউর যে ৩৩টি ডোমেইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মালিকানায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। ইআরটিভিইউ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিস অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলের কাছ থেকে কোনো লাইসেন্স নেয়নি। কেএইচও আলাদা করে লাইসেন্স নেয়নি।

গতকাল ইরানসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এগুলো বন্ধ করেছে এমন নোটিশ দেখায়। ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি ইরানি সম্প্রচারমাধ্যমের ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে। এসব সাইট ইরানি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রাইসির বিজয়ের পরপরই সেখানকার ওয়েবসাইটগুলো বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। গত অক্টোবর মাসে মার্কিন কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, তাঁরা ইরানের ওয়েব ডোমেইনের একটি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই ডোমেইনগুলো থেকে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড করপোরেশনের (আইআরজিসি) পক্ষে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। ওই সময় মোট ৯২টি ডোমেইন বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে ইরানের সংবাদ সংস্থা ওয়াইজেসি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে বাকস্বাধীনতার আহ্বান জানায়, তা পুরোপুরি মিথ্যা।




আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মার্কিন দূতাবাসকর্মীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনো মৃত সেই কর্মকর্তার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একজন কর্মকর্তা মারাও গেছেন।

তিনি বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরণের ব্যবস্থাগ্রহণ করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আফগান্তিানে ভ্যাক্সিন ঘাটতির কারণে এরই মধ্যে কাবুলে ভ্যাক্সিন পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, টেস্টের পর দূতাবাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার  করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরপর ১১৪ জনকে কোয়ারেইন্টেনে রাখা হয়েছে। ডাক্তারি পরামর্শে বাকিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপতত কাবুলে কূটনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে করোনার ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহের দ্রুত গতিতে বেড়েছে, এতে দেশটির স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ পড়ছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯  হাজার মানুষ, মারা গেছেন ৩৯০০ জন।




ফিলিস্তিনিদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রও সমান অপরাধী: হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যা সমর্থন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

ব্লিঙ্কেন গত সোমবার এক বক্তব্যে ফিলিস্তিন জনগণের ওপর তেলআবিবের সাম্প্রতিক আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে উল্লেখ করেন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।  খবর ফিলিস্তিন বার্তা সংস্থা শাহাবের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্রের পাশাপাশি আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।

এর প্রতিক্রিয়ায় হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা কুদস দখলদার ইসরাইল সরকারের প্রতি আমেরিকার সামরিক সমর্থন এবং তেলআবিবের হাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তুলে দেওয়ার মার্কিন নীতির তীব্র নিন্দা জানাই। আমেরিকা এ সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র সাধারণ জনগণকে হত্যার অপরাধে সমান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে— আমেরিকা যদি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তরিক হয়, তবে তাকে স্বাধীনচেতা ফিলিস্তিন জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন জনগণকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করতে হবে।

গত ১০ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলায় ৬৯ শিশু, ৩৯ নারী ও ১৭ বৃদ্ধসহ ২৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মার্কিন সমর্থনে চালানো এ হামলায় আহত হন আরও ১৯১০ ফিলিস্তিনি নাগরিক। এই ১১ দিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে ও হামলা বন্ধ করতে তিনবার বৈঠকে বসলেও আমেরিকার বিরোধিতার কারণে তেলআবিবের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয়নি।




ইসরায়েলের সেনারা এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ২২৬ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।

ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের হিসাব রাখা একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি (বন্দি এবং সাবেক বন্দি) নামের স্থানীয় এই সংস্থাটির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ লাখ বন্দীর মধ্যে ৫০ হাজার শিশু এবং ১৭ হাজার নারী। এ ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ৫৪ হাজার প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দখলদার ইসরায়েল।

এই প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলো এমন এক নীতি, যার ফলে কোনো বিচার ও অভিযোগ গঠন ছাড়াই গ্রেপ্তার হওয়াদের বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়াতে পারে ইসরায়েলি প্রশাসন।

এনজিওটির বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যেসব ফিলিস্তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং নানা নিষ্ঠুর আচরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।

ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী আছেন। এর মধ্যে ১৪০ শিশু, ৪১ জন নারী এবং ৪৪০ জন প্রশাসনিক আদেশের বন্দী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিশরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৭৯ সালে এক শান্তি চুক্তির পর ইসরায়েল সিনাই উপদ্বীপ মিশরকে ফেরত দেয়।




এবার বাগদাদের মার্কিন ‘কূটনৈতিক কেন্দ্রে রকেট হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত একটি মার্কিন কূটনৈতিক স্থাপনায় রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগেও অনেকবার বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছে।

ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়েনে মারত্তো টুইটার পোস্টে জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বাগদাদে অবস্থিত ডিপ্লোমেটিক সাপোর্ট সেন্টার হামলার শিকার হয়। এ ধরনের হামলায় ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই মুখপাত্র আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়, যার লক্ষ্য ছিল কূটনৈতিক কেন্দ্র। কূটনৈতিক কেন্দ্রের কাছেই রকেটটি পড়ে। তবে এতে হত্যাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কর্নেল ওয়েনে মারত্তো।

২০০৩ সালে তৎকালীন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে অভিযোগ তুলে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও ব্রিটেন। তখন থেকেই ইরাকে রয়েছে মার্কিন সেনা। তবে ২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনের নামে বাড়ানো হয় মার্কিন সেনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকে মার্কিন বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করেছে।




ভারতের উত্তরপ্রদেশে বিষাক্ত মদ পানে মৃত ২২, গুরুতর অসুস্থ ২৮

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের উত্তরপ্রদেশে আলিগড়ের তিন গ্রামে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরো ২৮ জন। জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মালখান সিংহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলার তিন গ্রাম কারসুয়া, আন্দলা ও ছেরত গ্রামের বেশ কিছু মানুষ মদ পান করার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ১৫ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

পুলিশ জানিয়েছে, আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বিষাক্ত মদ পান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। আলিগড় পুলিশের এসএসপি কলানিধি নৈথানি জানিয়েছেন, এ ঘটনার মূল আসামি অনিল চৌধরীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো দু’মূল অভিযুক্ত ঋষি শর্মা ও বিপিন যাদব পালিয়ে গেছেন। ওই দু’অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ। ওই গ্রামগুলোর আশপাশের পাঁচটি মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। দোকান থেকে মদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত এসএসপি। এ ছাড়া জেলার ৫০০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত।




আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আটককৃত সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এ দাবি জানান। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ বাদ, আসন্ন জাতীয় বাজেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ দেশব্যাপী চলমান জেল জুলুম ও মামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণাও করে দলটি।

অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আগামী ২ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং ৩ জুন দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইজরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ও সংযোজনের দাবিতে ৫ই জুন শনিবার বিকেল তিনটায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া টিকা সংগ্রহ ও বিতরণকে দুর্নীতিমুক্ত করার পাশাপাশি একটি সার্বজনীন কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।




ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকার ওষুধ ও ৫০ হাজার ডলার দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি।  আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না।  যতদিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।

বুধবার সকালে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মেডিকেল ত্রাণসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  এ সময় বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী ও ৫০ হাজার মার্কিন ডলার উপহার দেওয়া হয়।  ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হলো।

বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবার বলতে চাই— আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  আমরা চাই না, এ বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।’ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে।  সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’ ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ওই অর্থ দিয়ে মেডিকেলসামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।’




তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক::

তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ইসলাম গ্রহণ করলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী আয়েশা রোজালি। তুরস্কে ঘুরতে গিয়ে দেখেন বিখ্যাত ব্লু মসজিদ বা সুলতান আহমেদ মসজিদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা এ অভিনেত্রী। মনোমুগ্ধকর এই মসজিদ ভ্রমণ করে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ব্রিটিশ বংশোদ্ভুদ রোজালি। দুই বছর আগে তুরস্কের মসজিদটি ভ্রমণ করেন তিনি।

মসজিদ দেখার পর থেকেই ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। অবশেষে ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর রোজালি পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। রোজালি বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণে আগ্রহীদের আমি সহায়তা করতে চাই। আমি চাই আরো বেশি মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসুক। মুসলিম হওয়ার আগে আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করতাম না।’

তুরস্ক ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, তুরস্কে এসে ধর্ম সম্পর্কে জানার আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। গুগলে সার্চ করে ব্লু মসজিদের সন্ধান পাই। মনে মনে ভাবি যে এই মসজিদে আমার যাওয়া উচিত। মসজিদটি পরিদর্শনের আগে স্থানীয় দোকান থেকে হিজাব কিনি। ভেবেছিলাম, চুল দৃশ্যমান রাখলে মানুষ আমার ওপর রাগ করবে। তাই হিজাবটি কিনি। যেন কেউ আপত্তি জানাতে না পারে।

মসজিদ ভ্রমণে এসে রোজালি ইসলাম সম্পর্কে জানেন এবং আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রোজালি জানান, ব্লু মসজিদে প্রবেশ করে একটি তাসবিহ ও জায়নামাজ নেই এবং কিছুক্ষণ তাসবিহ পাঠ করি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমি তাসবিহ পড়ি। মসজিদের চারপাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। মসজিদের ভেতরের সৌন্দর্য অবাক করার মতো। ভেতরে পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও নীরব।

তিনি আরও বলেন, আমার সামনে অনেক মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখি। মসজিদের ভেতরের অবিশ্বাস্য মুগ্ধকর দৃশ্য ও নীরব পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। আমাকে দেখে কেউ আওয়াজ করছেন না দেখে খুবই অবাক হই। এরপর একপর্যায়ে আমি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামকে আমার জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করি। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণের পর আমার মনে হয়েছে যেন আমি নবজীবন লাভ করেছি।