ফিলিস্তিনি শহিদদের কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেরুজলেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসার পাশে একটি কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ ফিলিস্তিনিদের কবর দেওয়া হয়। খবর আনাদোলুর।

ইসরায়েল সরকার পরিচালিত জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ বোরবার আল-আকসার পাশে ওই মুসলিম কবরস্থানটি গুঁড়িয়ে দেয়।

এ সময় অসংখ্য কঙ্কাল কবর থেকে বের হয়ে পড়ে থাকে। এ সময় ফিলিস্তিনিরা এগুলো কুড়িয়ে সমাহিত করার চেষ্টা করেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে যেসব ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছিলেন, আল-আকসার পাশে আল-ইয়ুসুফিয়া নামে বহু পুরনো মুসলিম কবরস্থানটিতে তাদের দাফন করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী এ দেশটি।




প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের জন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ২০২২ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে এ সভা হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছরের হজে সব দেশ থেকে আগের মতো মুসল্লি অংশ নিতে পারবে বলে আশা করছে সৌদি আরব।




সরকারী খরচে ফ্রি করোনা পরীক্ষা করতে পারবে প্রবাসীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিদেশগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার খরচ দিতে হবে না। ভর্তুকি হিসেবে করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষার ফি দেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।

মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আমিরাতগামী কর্মীদের বিমান উড্ডয়নের ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। পরীক্ষা প্রতি খবচ এক হাজার ৬০০ টাকা।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে করোনা পরীক্ষার খরচ দেওয়া হবে। প্রবাসীদেরই জমানো টাকায় এ তহবিল গঠিত। এর আগে সৌদি আরবগামীদের জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় দেশটিতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকতে।

দুবাই এক্সপো-২০২০ এ যোগ দিতে আমিরাতে রয়েছেন ইমরান আহমদ। মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশের রেমিটেন্স-যোদ্ধা, তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে টাকা পাঠান। অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকারও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে তৎপর। এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এক হাজার ৬০০ টাকা মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর।

আমিরাতের শর্তানুযায়ী যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। বিমান উড্ডয়নের ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে দ্বিতীয় দফায় র‌্যাপিড টেস্ট করাতে হয়। বিমানবন্দরে এ সুবিধা না থাকায় গত মে থেকে আমিরাত যেতে পারছিলেন না বাংলাদেশিরা। ৪০ থেকে ৫০ হাজার কর্মী দেশে আটকা পড়েন। তারা আন্দোলনে নামেন বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্টের ল্যাব স্থাপনের দাবিতে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই-তিন দিনের মধ্যে করোনার র‌্যাপিড টেস্টের ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান বাছাই নিয়ে নানা টানাপোড়েনে ১১ দিন যায়। আটকে পড়াদের আবার আন্দোলনে নামেন। এরপর আমিরাতের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ১৩ দিন পার হয়। অবশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ছয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু রয়েছে। বাকি দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই।




ত্রাণ গ্রহণে কাবুল বিমানবন্দর চালু, যাত্রী ফ্লাইট শিগগিরই

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের জন্য একটি কারিগরি দল আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর চালু করতে সমর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত।

আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

কাবুলে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সাঈদ বিন মুবারাক আল খায়ারিন আল হাজার জানান, এরই মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর কার্গো ফ্লাইট চালুর অবস্থায় এসেছে, শিগগিরই যাত্রী পরিবহণকারী বেসামরিক ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত হবে।

আলজাজিরার মতে, কাতারি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আফগান কর্তৃপক্ষের সহায়তায় কাবুল বিমানবন্দরের রানওয়ে মেরামত করা হয়েছে।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ এবং কান্দাহারের উদ্দেশে দুটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানায় আলজাজিরা।




চলে গেলেন শতাধিক যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চলে গেলেন মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। রবিবার ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিমানের এমডি ড. আবু সালেহ মো. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তার লাশ দেশে আনা হবে।

গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর তাকে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

সর্বশেষ হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর… তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন… তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে… তিনি কোমায় আছেন।

শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন। এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

 




কাবুল থেকে সরে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সেনাদের প্রত্যাহারের আগে এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের (৩১ অগাস্ট) মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবেন তিনি।

কাবুল বিমানবন্দরে নিয়োজিত ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, “প্রত্যেক বিদেশি বেসামরিক ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাহিনীগুলো কাবুল ত্যাগ করা শুরু করবে।”

সারা দেশজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে অগ্রসর হয়ে ১৫ অগাস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। ওই দিনই আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সেনাবাহিনী ভেঙে পড়ে। এতে দেশটিতে প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তালেবান জানিয়েছে, তারা বিদেশি ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক আফগানদের আকাশপথে কাবুল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করবে।

গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কাবুল ছাড়তে ইচ্ছুক আরও প্রায় লাখ খানেক মানুষ পড়ে থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজারেরও কম সেনা আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮০০ সেনা ছিল।

v




করোনায় বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের চার কোটিরও  বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থা জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। যা করোনার কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির পুরোটা সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শিশুরা যত বেশি সময় ধরে স্কুলের বাইরে থাকবে, সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকি ততই বাড়বে। ফলে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।

দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। আর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ১৭ মার্চ। পরে সরকার করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, করোনার কারণে স্কুলে যেতে না পারায় শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিশুদের কেবল পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, একইসঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক শিশুরা।




তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে কী ছিল?

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শুক্রবার তারা দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। এ অবস্থায় কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গত মে মাসে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর তালেবান বাহিনী এত দ্রুত এত বেশি সাফল্য পেয়ে যাবে, তা ছিল বাইডেন প্রশাসনের ধারণার বাইরে। এখন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন বলছে, শিগগিরই কাবুলেরও পতন ঘটতে পারে তালেবানের হাতে ।

পরিস্থিতির এমন অবনতির পরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন না বাইডেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দূতাবাসের কর্মী প্রত্যাহারের কাজটি তারা সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে চান।

তালেবান বাহিনীর এই অগ্রযাত্রার মধ্যে সেই শান্তি চুক্তির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তির মূল ধারা চারটি, যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ নামটিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না এবং এরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তালেবান হিসেবে পরিচিত। এই চুক্তিটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের, যদিও তালেবান নিজেদেরকে চুক্তির নথিতে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির শিরোনাম ছিল – ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি’। এটি দারি, পশতু এবং ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হবে বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। তারিখ হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি হিজরি চান্দ্র ও সৌর বর্ষও উল্লেখ করা ছিল।

সমন্বিত ওই শান্তি চুক্তির চারটি ধারা একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।

প্রথম ধারায় বলা হয়, আল-কায়েদাসহ কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তালেবান নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও তারা করবে।

দ্বিতীয় ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, এটা বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনা তারা করবে এবং সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সূচিও ঘোষণা করা হবে।

তৃতীয় ধারায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর সময়সূচি ঘোষণার পর, এবং তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার নিশ্চয়তা ঘোষণা করার পর তালেবান পক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই আলোচনা শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়।

চতুর্থ ধারায় বলা হয়, আন্তঃআফগান দরকষাকষি ও আলোচনায় আলোচ্যসূচির একটি অংশে থাকবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টি। আন্তঃআফগান আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্থায়ী ও সমন্বিত একটি অস্ত্রবিরতির তারিখ ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণার সময়ই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হবে।

চুক্তিটির পরের তিনটি অংশের প্রথম অংশে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করণীয় তার বিবরণ রয়েছে। বলা হয়েছে, চুক্তি স্বক্ষরের ঘোষণার দিন থেকে পরের ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম অংশে সেখানে ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রথমটিই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে। যেখানে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই চুক্তি ঘোষণার প্রথম ১৩৫ দিনের মধ্যে আট হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেবে। এবং একই সময়ের মধ্যে তারা সেদেশের পাঁচটি সেনাঘাঁটি থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, পরের সাড়ে নয় মাসের মধ্যে বাকি বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং বাকি সেনাঘাঁটিগুলো থেকেও সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়টি মূলত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সময় বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে তালেবান গোষ্ঠী তাদের হাতে বন্দি ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে বলে ঐকমত্য হয়।

চতুর্থ বিষয়টি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তালেবানের যেসব সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই তালিকাও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ২৭ অগাস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।

পঞ্চমটি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তালেবানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে এবং ২০২০ সালের ২৯ মের মধ্যে তারা এ কাজটি করবে।

ষষ্ঠ বিষয়টি হল, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং আফগানিস্তানকে বিভক্ত করতে হুমকি দেওয়া বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে।

চুক্তির দ্বিতীয় অংশে তালেবানের করণীয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাঁচটি দফা বাস্তবায়ন করবে তালেবান।

প্রথমটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে নিজেদের কোনো সদস্য বা আল-কায়েদাসহ অন্য কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

দ্বিতীয় দফাটিও প্রায় একই ধরনের, যেখানে বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে পারবে না, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তৃতীয় দফাটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে সদস্য ও তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় যথাক্রমে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়া, অন্য কোনো ভ্রমণ অনুমতি না দেওয়া বা অন্য কোনো আইনি নথি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চুক্তিটির তৃতীয় অংশে আরও তিনটি দফা রয়েছে, যার প্রথমটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি আফগান ইসলামিক সরকার গঠনের চেষ্টা করবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে আন্তঃআফগান আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনার মাধ্যমে গঠিত আফগান ইসলামিক সরকারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা ওই সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

চার পৃষ্ঠার ওই চুক্তির নথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।




আসামে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো-সংরক্ষণ বিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভায় শুক্রবার পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো সংরক্ষণ বিল। এই বিল অনুসারে গরু নিয়ে যাওয়া, গো হত্যা, গরুর গোশত বিক্রির ক্ষেত্রে নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। গরুর গোশতের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এই বিলে। তবে অনেকের মতে এটি খাতায় কলমে না করলেও গরুর গোশত বিক্রিতে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হবে আসামে। এদিন প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনার পর বাজেট সেশনের শেষ দিনে দি আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১ পাস করা হয়।

এদিকে এই বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন।

বিরোধীরা এই বিলে ৭৬টি সংশোধনী আনতে চেয়েছিলেন। আন্তঃজেলা গরু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া, মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার নির্দেশে শিথিলতা আনা, আইন না মানলে ৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মহিষকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তথ্য বলছে লোয়ার আসামে বিফকে ঘিরে প্রচুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বার বার। আমাদের লক্ষ্য সম্প্রীতি। কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেতে পারবেন। তবে যারা গরুর গোশত খান না তাদের আবেগকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত মুসলিমরা এর বিরোধিতা করবেন না।’

কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘গরুর ব্যবসার সাথে যুক্তদের প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো দরকার ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




কাবাঘরে স্বর্ণখচিত নতুন গিলাফ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কাবাকে আবৃত করে রাখা কাপড়টিকে বলে কিসওয়া বা গিলাফ। প্রতি বছর ৯ জিলহজ কাবা শরিফে পুরনো গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানোর রেওয়াজ চালু আঝছ। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে নতুন গিলাফ দেখে মুগ্ধ হন।

পুরাতন গিলাফটি খুলে তা কেটে বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকারপ্রধানদের উপহার দেওয়া হয়। গিলাফ পরিবর্তনের কাজে মসজিদুল হারামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক নেতৃত্ব দেন। এ সময় সৌদি বাদশার প্রতিনিধিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে ও পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবা শরিফের গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি র্স্বর্ণ ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। এর মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান এক মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া, যা পরস্পরের সঙ্গে সেলাই করা।

প্রতিবছর একটি সতর্কতামূলকসহ মোট দুটি করে গিলাফ তৈরি করা হয়। হাতে তৈরি করতে সময় লাগে আট থেকে নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। মক্কার উম্মুদ জুদ নামক এলাকার বিশেষ কারখানায় এগুলো তৈরি করা হয়।

আজ সোমবার ফজরের সালাতের পরেই মিনা থেকে দলে দলে হাজিরা উপস্থিত হবেন আরাফার ময়দানে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজিরা সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে খুতবা পাঠ করবেন মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। খুতবা পাঠ শেষে জোহর ও আসরের ওয়াক্তের মাঝামাঝি সময়ে হাজিরা জামাতের সঙ্গে কছর নামাজ আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার জিকির-আসকার ও ইবাদতে মশগুল থাকবেন।

এরপর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এশার ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সারা রাত অবস্থান করবেন। মিনায় জামারাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। ১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দিন মিনায় হাজির হয়ে তিনটি জামারায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপকালে ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে হাজিরা পাথর নিক্ষেপ করবেন। আরব নিউজ ও আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছরও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কোনো হজযাত্রীকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবে বাস করা দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ব্যক্তি হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। গতবারও বিধিনিষেধের মধ্যে ১ হাজার মুসলিমকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।