বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় নিউজরুমে সাংবাদিকের আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞ এক সাংবাদিক।

বেতন বকেয়া থাকায় হতাশায় গত রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অফিসের নিউজরুমেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সংবাদে বলা হয়, বেতনের অভাবে আত্মহত্যা করা ওই ভারতীয় সাংবাদিকের নাম টি কুমার। ৫৬ বছর বয়সী এই গণমাধ্যম কর্মী ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় (ইউএনআই) ফটো জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অফিসের নিউজরুমে টি কুমার আত্মহত্যা করেন। এর পরদিন সোমবার অন্য সহকর্মীরা তার মরদেহটি উদ্ধার করেন।

এ দিকে টি কুমারের মৃত্যুতে ভারতের সাংবাদিকতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে মাসের পর মাস বেতন ও বকেয়া অর্থ না পাওয়া এবং সাংবাদিকদের যে বৃহত্তর আর্থিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়, বর্তমানে সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইয়ের কর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গত ৬০ মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠান তাদেরকে কোনো ধরনের বেতন পরিশোধ করেনি। বিবৃতির মাধ্যমে বার্তা সংস্থাটির কর্মীরা জানিয়েছেন, নিয়মিত বেতন না পাওয়ার কারণে টি কুমার তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলেন।

অবশ্য ইউএনআইয়ের এডিটর-ইন-চিফ অজয় কুমার কাউল বেতন না পেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে ‘পুলিশের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিৎ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেছেন, আমরা যতটা জেনেছি, আত্মহত্যার আগে টি কুমার কোনো সুইসাইড নোট রেখে যাননি। (কোনো সমস্যা থাকলে) আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কারণ হিসেবে সেখানে তিনি আর্থিক চাপ বা বেতন বকেয়ার মতো কিছু উল্লেখ করে যেতেন।

তার দাবি, সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে বেতন বাকি থাকার কথা বেশ কয়েকটি মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছ। কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এটি কি আত্মহত্যা না-কি অন্য কিছু? আমরা চাই পুলিশ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখুক।

অজয় কুমারের ভাষায়, অতি দুঃখজনক ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটল সেটির যথাযথ কারণ ও প্রেক্ষাপট আমরাও জানতে চাই।

টি কুমারের মৃত্যুর বিষয়টি গত সোমবার সকালে টুইটারে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্ব বিশ্বনাথ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও অগ্রগামী বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে খুব অল্প বয়সে যোগ দিয়েছিলেন টি কুমার। পরবর্তী সময়ে নিজের জ্ঞান ও কর্ম দক্ষতার কল্যাণে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ডিভিশনের ব্যুরো প্রধান হয়ে যান।

মূলত এরপরই বার্তা সংস্থাটির কর্মীদের বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে আনেন বিশ্বনাথ। তার দাবি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইউএনআই গত ৬০ মাস যাবৎ কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। ইউএনআইয়ের সকল কর্মীরা কিস্তির মাধ্যমে নিজেদের মাসিক বেতন পাচ্ছেন। যদিও সেই কিস্তিও নিয়মিত পরিশোধ করা হয় না।

তার অভিযোগ, কর্মীদের মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে ইউএনআই। বেতন না দেওয়া এবং মানসিক চাপের কারণে একজন চমৎকার সাংবাদিক ও খুবই ভালো একজন মানুষ আত্মহত্যা করলেন।

বিশ্ব বিশ্বনাথ বলেছেন, টি কুমার অন্য কোথাও না, চেন্নাইতে অবস্থিত ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার তামিলনাড়ু অফিসের সেন্ট্রাল হলে আত্মহত্যা করেছেন। তার পুরো জীবনটা যে ইউএনআই ধ্বংস করেছে এটি তিনি অনুভব করেছিলেন এবং এখানে আত্মহত্যা করা সেটিরই ইঙ্গিত।




ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৫ কর্মী অপহৃত

 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইয়েমেনে জাতিসংঘের পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইয়েমেনে দায়িত্বরত জাতিসংঘের মুখপাত্র রাসেল গিকি একথা জানান। তবে কারা এসব কর্মীকে অপহরণ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

রাসেল জানান, অপহৃত কর্মীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে ইয়েমেনের স্থানীয় কৃর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে ।২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ও রাজধানী সিনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেন সরকারকে সহযোগিতা করতে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। দুই পক্ষের লড়াইয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে আরো কয়েক লাখ মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।




হিজাব বিষয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাতে পাকিস্তানের সরকার ও প্রশাসন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাদের কাছে খবর আছে, হিজাব পরার উপর নাকি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে! এমন ঘটনা ঘটে থাকলে ইসলামাবাদের তরফ থেকে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিকে পাক বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

কর্ণাটকে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়েছে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে যে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিয়ে পাকিস্তানের গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছিল ভারতীয় কূটনীতিককে ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারকে কর্ণাটকের মুসলিম মহিলাদের হয়রানির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন যে, মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন বলেছেন যে, ভারতে যা ঘটছে তা উদ্বেগজনক এবং হিজাব পরার বিষয়টি একটি ব্যক্তিগত পছন্দ। ঠিক যেমন অন্য যে কোনও পোশাক নাগরিকদের পরার স্বাধীনতা আছে ।

পাকিস্তানের মন্ত্রীদের টুইটের প্রতিক্রিয়ায়, ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি নয়াদিল্লিতে বলেছেন যে ‘কিছু লোক ভারতের মানহানি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে সাম্প্রদায়িক রঙ দিচ্ছে।’ নকভি বলেন- ‘পাকিস্তান নিজেই যেখানে সংখ্যালঘুদের জন্য অপরাধ এবং নিষ্ঠুরতার উদাহরণ সে আবার ভারতকে সহনশীলতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ পড়াচ্ছে। বাস্তবতা হলো পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সামাজিক-শিক্ষাগত-ধর্মীয় অধিকার নির্লজ্জভাবে পদদলিত করা হচ্ছে।’

সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার, মর্যাদা এবং সমৃদ্ধি সহনশীলতা, সম্প্রীতি এবং অন্তর্ভুক্তি ভারতের অঙ্গীকারের একটি অংশ’।

হিজাব বিতর্ক প্রথম মাথাচাড়া দেয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে, কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি প্রাক-ইউনিভার্সিটি কলেজে নির্ধারিত ড্রেস কোড লঙ্ঘন করে হেডস্কার্ফ পরে ক্লাসে অংশ নেওয়া ছয়জন ছাত্রীকে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল। পরে এই বিতর্ক রাজ্যের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং হিন্দু ছাত্ররাও পাল্টা হিসেবে গেরুয়া শাল পরে কলেজে আসেন। সূত্র : ডন




হিজাব নিষিদ্ধ হলে শাঁখা, সিঁদুর, ধাগা, মাদুলিও নিষিদ্ধ করা হোক: বিজেপি নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলিম মেয়েদের হিজাবে আপত্তি তোলা হলে স্কুল কলেজে শাঁখা, পলা, সিঁদুর নিষিদ্ধ করা হোক। পাগড়ি, ধাগা, মাদুলি কিংবা কাড়া পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হোক- এই দাবি তুলেছেন বাংলার শীর্ষ বিজেপি নেতা, নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ভাইপো চন্দ্রকুমার বসু।

তিনি বলেন, যতদূর জানা আছে স্কুল কলেজে ইউনিভার্সাল কোনও ড্রেস কোড নেই। শুধু বলা আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক যেন শালীনতা রক্ষা করে সমভ্রমপূর্ণ হয়। হিজাব কোনও অশালীন পোশাক নয়। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা হলে শাঁখা সিঁদুর পলা পাগড়ি ধাগা কাড়া মাদুলিতেও হোক। সেটাই সঙ্গত হবে।

ইতিমধ্যে এই হিজাব বিতর্ক শুধু কর্ণাটকে নয়, আন্তর্জাতিক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চন্দ্র কুমার বসু বলেন, কোভিড যখন জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে তখন এই নন ইস্যু নিয়ে মেতে থাকার কোনও অর্থ হয় না। মেকি হিন্দুত্বের ধজা ওড়ানোও অর্থহীন বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে কর্ণাটক হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে পুনরায় শুনানি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও রকম ধর্মীয় পোশাক পরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিষয়টির সঙ্গে সাংবিধানিক অধিকার জড়িত রয়েছে বলেই ফুলবেঞ্চ আরও শুনানি চায়। তবে, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।

এম আর




হিজাবের পক্ষে মুসলিম শিক্ষার্থীদের লড়াই: স্কুল-কলেজ বন্ধ করল কর্নাটক সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার জেরে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের সব স্কুল এবং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ এস বোম্মাই আগামী তিনদিনের জন্য সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ এস বোম্মাই বলেছেন, তিনি `শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে’ সব উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

হিজাব পরা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুসলিম ও হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এনডিটিভি বলছে, উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে আদালতের শুনানি আগামীকালও অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যের শিক্ষার্থী এবং জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কর্ণাটকের আদালত।

আদালতের বিচারক দীক্ষিত কৃষ্ণ শ্রীপদ বলেছেন, জনসাধারণের বুদ্ধিমত্তা এবং নৈতিকতার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে এই আদালতের। জনগণ সেসবের চর্চা করবে বলে আশা করছেন আদালত।

হিজাব নিয়ে আদালতের শুনানি শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক টুইটে বলেন, ‘আমি সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কর্ণাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আগামী তিন দিনের জন্য রাজ্যের সব উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি।’

গত মাসে উদুপি জেলার সরকারি বালিকা পিইউ কলেজে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বসতে বাধ্য করা হয়। সেই সময় কলেজ প্রশাসন জানায়, ইউনিফর্মের অংশ নয় হিজাব এবং ওই ছাত্রীরা কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ছাত্রীদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী।

পরে এই রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও হিজাব পরার বিরুদ্ধে গেরুয়া ওড়না পরে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। তারা কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের দাবি তোলে এবং হিজাববিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।

কর্ণাটকের বিজয়াপুরা জেলার অন্য দুই কলেজ শান্তেশ্বরা পিইউ এবং জিআরবি কলেজে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া অনেক ছাত্র শুক্রবার ও শনিবার গেরুয়া ওড়না পরে হিজাবের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে কলেজ দুটি সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে মঙ্গলবার। উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া গেরুয়া ওড়না পরা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মুসলিম ছাত্রীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

এম আর




বিশ্বজুড়ে জনসনের বেবি পাউডার নিষিদ্ধের দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ক্যান্সার সংক্রমণের অভিযোগে টিকা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যে পরিচর্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত ট্যালক বেবি পাউডার উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে এবার একাট্টা হয়েছেন কোম্পানিটির অংশীদাররা (শেয়ারহোল্ডার)।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বর্তমানে ট্যালক বেবি পাউডারের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ। জনসন অ্যান্ড জনসনের অংশীদাররা চান, বৈশ্বিকভাবেই যেন নিষিদ্ধ হয় এই পণ্যটি।

গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটেনের জাতীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের লন্ডনভিত্তিক সংস্থা টিউলিপশেয়ার সম্প্রতি একটি ভোটের আয়োজন করেছিল।

যে ইস্যুতে এই ভোটের আয়োজন হয়েছিল, তা হলো—জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালক বেবি পাউডারের উৎপাদন ও বিপণন বৈশ্বিকভাবে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কিনা।

সেখানে অধিকাংশ অংশীদার পণ্যটি নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পাশপাশি, বেবি ট্যালক পাউডারের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে উদ্যোগ না নিলে কোম্পানি থেকে শেয়ার প্রত্যাহার করে নেবেন বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তারা।

দ্য গার্ডিয়ানকে টিউলিপশেয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিটিতে (এসইসি) পাঠানো হবে; পাশাপাশি সুপারিশ করা হবে— চলতি বছর এপ্রিলে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে এসইসির যে বৈঠক হওয়ার কথা, সেখানে যেন এ বিষয়টি তোলা হয়।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম বেবি পাউডারের বিরুদ্ধে ক্যান্সার সংক্রমণের মতো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ অবশ্য বহুদিনের। বিশ্বের বিভিন্ন আদালতে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বর্তমানে এই অভিযোগে ৩৪ হাজারেরও বেশি মামলা চলছে।

অধিকাংশ মামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে করা এক মামলায় ২২ জন নারী জানিয়েছেন, এই পণ্যটির ব্যবহারের পর থেকে জরায়ুর ক্যান্সারের উপসর্গে ভুগছেন তারা। আদালত মামলার রায় বাদিপক্ষের অনুকূলে দেওয়ায় ওই ২২ নারীকে ২০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনকে।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাওডারের ট্যালকে কারসিনোজেনিক ক্রিসোটাইল ফাইবার বা আঁশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এটি এক প্রকার ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টস (সিলিকেট জাতীয় খনিজ) যা মানবদেহে ক্যান্সারের সম্ভবনা তৈরি করে।

ট্যালক এক প্রকার খনিজ পদার্থ। বিশ্বের প্রাপ্ত খনিজ পদার্থসমূহের এটি সবচেয়ে কোমল। বিশ্বজুড়ে প্রসাধন, কাগজ, প্লাস্টিক ও ওষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় এই খনিজটি। বিশুদ্ধ ট্যালক ক্ষতিকর না হলেও দুষণযুক্ত ট্যালক ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে মানবদেহের জন্য।

-এম আর




বাংলাদেশসহ ৮ দেশ থেকে কর্মী নেবে সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আফ্রিকা ও এশিয়ার আট দেশ থেকে আবারও গৃহকর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এই আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

দেশটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদির মানবসম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ আল হামাদ দেশটির দৈনিক আল ইকতিকে বলেন, আট দেশ থেকে গৃহকর্মী নেওয়া হবে। এর আগে আরও আট দেশের সঙ্গে এই আট দেশ থেকেও গৃহকর্মী নেওয়া হবে। মোট ১৬ দেশ এ সুযোগ পাবে।

সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি পাওয়া দেশগুলো হলো— ফিলিপাইন, নাইজার, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, মৌরিতানিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, মালি ও কেনিয়া।

সৌদি আরব নিজেদের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। এ জন্য দেশটিতে নতুন ‘লেবার প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশটিতে কর্মীদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করা, ভিসা ইস্যু, নিয়োগের অনুরোধ, নিয়োগকর্তা ও কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার বিষয়ে জানানো হয়।

এম আর



সৌদি আরবে চলছে ইসলামি মুদ্রার প্রদর্শনী

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

সৌদি আরবের ‘বাদশাহ আব্দুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরির’ তত্ত্বাবধানে তিন মাসব্যাপী ইসলামি মুদ্রার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মুদ্রা প্রদর্শনী। লাইব্রেরির ডাইরেক্টর ড. বানদার আল-মোবারক বলেন, বাদশাহ আব্দুল আজিজ লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনায় ইসলামি মুদ্রা প্রদর্শনীর এই আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামি বিশ্বের, বিশেষত আবরবিশ্বের নতুন-পুরাতন সভ্যতা-সংস্কৃতির তত্ত্বাবধান ও সংরক্ষণ এই প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য। গবেষক, আরব ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য এই মুদ্রা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বময় ইসলামি জ্ঞান বিকাশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ এটি।

বার্তা সংস্থা আল আরাবিয়া উর্দু সূত্রে গত রোববার জানা যায়, দর্শনার্থীর সুবিধার্থে প্রদর্শনীকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। কাঁচে ঘেরা বিশেষ কাঠামোর ভেতর মুদ্রাগুলি স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মুদ্রা ও কারেন্সির নিচে কিউআর কোডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যার সাহায্যে দর্শকবৃন্দ থ্রিডি পদ্ধতিতে মুদ্রাগুলি দর্শন করতে পারবেন।

প্রতিটি সেকশনে ভিন্ন-ভিন্ন কিউআর কোড স্থাপন করা হয়েছে। এসব কোডে অডিও তথ্য সংরক্ষিত আছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে কোডের অধীনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী দর্শনার্থীর জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ও পৃথক সেকশন।

ড. বানদার জানান, প্রথম সেকশনে উমাইয়া ও আব্বাসি খেলাফতের সময় চালুকৃত মুদ্রা রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় সেকশনে সৌদি আরব, অন্যান্য আরব দেশের পয়সা-মুদ্রা ও কারেন্সি বিদ্যমান। সৌদি আরবের কিছু শহর প্রাচীন আমল থেকেই মুদ্রার টাকশালের জন্য বিখ্যাত ছিল। যেমন: মক্কা, মদিনাসহ অন্যান্য প্রাচীন শহর।

এসব শহরে প্রাচীন অনেক ধরণের মুদ্রা পাওয়া গেছে। তৃতীয় সেকশনে মিশর, সিরিয়ার মুদ্রা, মরক্কো ও ইসলামি বিশে^র অন্যান্য দেশের কারেন্সি প্রদর্শিত হচ্ছে। স্বর্ণ-রোপ্যের বিভিন্ন মুদ্রা এখানে রাখা আছে। চতুর্থ সেকশনে পুরো ইসলামি বিশে^র দুর্লভ মুদ্রা রাখা হয়েছে। আরব সাসানি দিরহামের ৭৫ প্রকার, বাইজেন্টাইন দিনার থ্রিডি ক্লিপসহ রাখা হয়েছে। তলোয়ার হাতে উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ানের ছবি সম্বলিত মুদ্রাও প্রদর্শিত হচ্ছে এই সেকশনে। এই মুদ্রার অপর পিঠে ‘আমিরুল মুমিনিন’ ও ‘খলিফাতুল্লাহ’ বাক্য অঙ্কিত রয়েছে।

ডিজিটাল কর্নার
পঞ্চম সেকশনে রয়েছে ডিজিটাল কর্নার। এই কর্নারে সৌদি আরব, বিশেষ করে বাদশাহ আব্দুল আজিজ পাবলিক লাইব্রেরিতে রক্ষিত কারেন্সির উপর নির্মিত তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মুদ্রা গবেষক ও প্রাচীন মুদ্রা সংগ্রহকারীদের ব্যাপারে ড. বানদার বলেন, প্রদর্শনীর তৃতীয় সেকশনে মুদ্রা সংগ্রহকারী ব্যক্তিদের জন্য তাদের সংগৃহিত মুদ্রা ও মুদ্রা সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডিজিটাল স্কেল, ডিজিটাল ম্যাগনিফায়ার, স্ক্যানিং, মুদ্রা পরিষ্কার যন্ত্র ইত্যাদি প্রদর্শনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরো প্রদর্শনীটি মুদ্রা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। (সূত্র: আল-আরাবিয়া উর্দু)

এম আর




তালেবান আসার পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে: জাতিসঙ্ঘ

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানে ক্ষমতা লাভের পর দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। বুধবার জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এমন মন্তব্য করেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গত আগস্টে তালেবান কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা লাভের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানের মানবিক সঙ্কট নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আফগান পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আফগান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সাবেক পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকারে অনুগত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সমাপ্ত বলে ঘোষণা করে তালেবান কর্তৃপক্ষ। এরপরই আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা কার্ক্রমে নিয়োজিত সংস্থা ‘উনাইটেড ন্যাশনস এসিস্ট্যান্স মিশন ইন আফগানিস্তান’ (ইউনামা) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, যুদ্ধ ও সঙ্ঘাতের কারণে আফগানিস্তানে যে নিরাপত্তা সঙ্কট ছিল তার অবসান হয়েছে। একই সময়ে আফগানিস্তানে বেসামরিক ব্যক্তিদের নিহত হওয়ার ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালের সাবেক পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমানের তালেবান আমলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ৯১ ভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, তালেবান কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা লাভের আগে সপ্তাহে ছয় শ’ নিরাপত্তা বিষয়ক সহিংসতা হতো, এখন ওই সমস্যার সংখ্যা কমে হয়েছে এক শ’। আগে সপ্তাহে সশস্ত্র সঙ্ঘাতের সংখ্যা ছিল সাত হাজার ৪৩০টি এখন তা কমে হয়েছে ১৪৮টি। বর্তমানে ৯৮ শতাংশ সশস্ত্র সঙ্ঘাতের অবসান হয়েছে। বিমান হামলা কমেছে ৯৯ শতাংশ। আগে সপ্তাহে ৫০১টি বিমান হামলা হতো, এখন হয় তিনটি। বোমা হমলা কমেছে ৯১ শতাংশ। হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমেছে ৫১ শতাংশ।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

এম আর




কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামার নাইরা ও বাদগামে পৃথক দুটি বন্দুকযুদ্ধে জইশ-ই-মুহাম্মদ (জিইএম) ও লস্কর-এ-তৈয়বার (এলইটি) পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাতে এই বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার নাইরা অঞ্চলে যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে তাতে চারজন নিহত হয়েছেন আর মধ্য কাশ্মীরের বাদগাম জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন।

সেখানকার একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গ্রেটার কাশ্মীরের খবরে বলা হয়েছে, নাইরাতে যে চারজন নিহত হয়েছেন তারা জইশ-ই-মুহাম্মদ সংশ্লিষ্ট।

যেখানে বন্দুকযুদ্ধ সেখান থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর বাদগামের চারার-ই-শরীফে নিহত ব্যক্তি লস্কর-এ-তৈয়বা সংশ্লিষ্ট।

কাশ্মীরের আইজিপি ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি টুইট করেছেন। এটিকে একটি বড় সাফল্য বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলওয়ামায় নিহতদের মধ্যে শীর্ষ জেইএম কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি রয়েছেন।

কাশ্মীর উপত্যকায় শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসে নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে ১১টি বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে; যাতে ৮ বিদেশিসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।                                                                                                                                                                                                     ্এম আর