জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়, এক বন্দুকধারী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ (রোববার) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেত্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রের বরাতে পেত্রার খবরে বলা হয়, আম্মানের রাবিয়াহ এলাকায় ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে একটি টহল পুলিশ দলের ওপর একজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি চালান। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এই এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিনিময়ের ঘটনার পরপরই কঠোর নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে ওই ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে ফেলে এবং অ্যাম্বুলেসগুলোকে ছুটতে দেখা যায়। পুলিশ পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মাঝেমধ্যেই রাবিয়াহ এলাকায় বিক্ষোভ করেন জর্ডানের জনগণ। তাদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাঁদের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।

জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে জর্ডানে চলে আসেন।

#সূত্র পার্সটুডে




ড্রোন হামলার ভয়ে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম’ থেকে কাজ করছেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন হামলার ভয়ে একটি “আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম” থেকে কাজ করছেন। ইসরাইলের চ্যানেল-টুয়েলভ এই খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে অধিকৃত জেরুজালেম আল-কুদস শহরে তার অফিসের বেইজমেন্টে অবস্থিত নিরাপদ কক্ষে “নিরাপত্তা সভা” করছেন। কিছুদিন আগে তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে। এর পর থেকে নেতানিয়াহু গোপন এই নিরাপদ কক্ষটি ব্যবহার করছেন।

ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর ড্রোন আটকাতে ব্যর্থ হলে নেতানিয়াহু এই আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষ ব্যবহার করা শুরু করেন। সেদিন ইসরাইলের কথিত হোম ফ্রন্ট কমান্ডও সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়।

এর আগে, আগস্ট মাসে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরাইলের উত্তরাংশে অনুপ্রবেশ করে নেতানিয়াহুর বাসস্থানের চিত্রগ্রহণ করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিউইয়র্ক সফর থেকে নেতানিয়াহু ইসরাইলে ফিরলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালায়।

এদিকে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে বেশি সময় নির্দিষ্ট কোনো অবস্থানে থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা আশংকা করছেন, নেতানিয়াহু কোনো এক স্থানে বেশিদিন ধরে অবস্থান করলে কিংবা বার বার একইস্থানে যাতায়াত করলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেখানে হামলা চালাতে পারে।#

পার্সটুডে




ঘুমের মধ্যে ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল মানবতার শত্রু ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বর্বর ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার একটি ভবনে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের বেশিরভাগ শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর ৪০০তম দিনে রোববার গভীর রাতে ওই পাশবিক হামলা চালানো হয়।

উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার ওই ভবনে নিজেদের বাড়িঘর হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ভবনটি বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে ফেলার আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি দখলদার সেনারা। এর ফলে ভবনটিতে অবস্থানকারী কোনো মানুষ প্রাণে রক্ষা পায়নি।

আল-জাযিরা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, “ভবনটির সবাই নিহত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এটির ধ্বংসাবশেষ থেকে কেবল হতভাগ্য মানুষের টুকরা টুকরা ও থেঁতলে যাওয়া লাশ বের করা হয়েছে।”

ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, জাবালিয়ার এই হত্যাকাণ্ডে তাদের গবেষক মোহাম্মাদ আলুশের পরিবারের এক ডজনেরও বেশি সদস্য শহীদ হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব নিরপরাধ মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় শহীদ হয়েছেন।

ঘণ্টায় ঘণ্টায় গাজায় এভাবে অসহায় মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেয়ার পরিবর্তে অস্ত্র সরবরাহ করে চলমান গণহত্যায় নিজেদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

# পার্সটুডে




চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে ১৮৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শহীদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যামূলক যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৮৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল এই বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালিয়ে আসছে।

গাজার মিডিয়া অফিস গতকাল (শনিবার) শহীদ সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে সম্প্রতি শহীদ হওয়া চার সাংবাদিকের নাম রয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, তারা জোরালো ভাষায় সাংবাদিকদের হত্যার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাচ্ছে। দখলদার ইসরাইল এসব সাংবাদিককে হত্যার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশ্বব্যাপী যারা সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে কয়েকজন সাংবাদিক তাঁবুতে আশ্রয় নেয়ার পরেও দখলদার সেনারা তাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইসরাইলের এই সমস্ত অপরাধযজ্ঞের সঙ্গে মার্কিন সরকার ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।

# পার্সটুডে




ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ কেমন লোক? কী তার পরিচয়?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইয়োভ গ্যালান্টকে যুদ্ধমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ইসরাইল কাটজকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছেন।

১৯৫৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী এই ইহুদিবাদী নেতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স এবং কৃষিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পার্সটুডে জানাচ্ছে, উগ্র এই ইসরাইলি নেতা এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং গোয়েন্দামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশেষ করে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করার কারণে ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের মধ্যে উগ্রবাদী নেতা হিসেবে কাটজের পরিচিতি রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইরান, এমনকি জাতিসংঘের বিরুদ্ধেও চরম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলার রেকর্ড তার রয়েছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোর সমর্থক ইসরাইল কাটজ। তিনি বহুদিন যাবত ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল কাটজ দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রধান কাজ।

# পার্সটুডে




লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৪০, আহত ৫৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননে পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক শহরসহ বেকা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় এসব হামলা চালানো হয় বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পরে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া, আজ (বৃহস্পতিবার) দিনের শুরুতে রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাসহ বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে অন্তত চারবার বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এই হামলাগুলোর আগে বুধবার ইসরাইলি দখলদার বাহিনী বেকা উপতকার কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অবৈধ নির্দেশ জারি করেছিল।

গত এক বছরে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নিহত হয়েছেন গত ছয় সপ্তাহে।

ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহও প্রতিদিন তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার হামলা চালিয়ে আসছে। গতকাল (বুধবার) হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

# পার্সটুডে




মার্কিন নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই মুসলিম নারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ডেমোক্রেটদের হতাশার দিনেও আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছেন দুই মুসলিম নারী রাশিদা তালাইব ও ইলহান ওমর। টানা চতুর্থবারের মতো প্রতিনিধি পরিষদে জয়ী হলেন দেশটির আইনসভার একমাত্র ফিলিস্তিনি মার্কিন সদস্য রাশিদা তায়েব। তিনি মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১২তম কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ডিসট্রিক্টে বড়সংখ্যক আরব–মার্কিন জনগোষ্ঠীর বসবাস।

আর সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর জয় পেয়েছেন মিনেসোটাতে। এর আগে দুইবার তিনি অঞ্চলটির দায়িত্বে ছিলেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাশিদা তায়েব গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী জেমস হুপারকে পরাজিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে ওমর তার নির্বাচনী প্রচারে কঠোর পরিশ্রমের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা এক লাখ ১৭ হাজার ৭১৬ জনের বাসায় গিয়েছি। আমরা এক লাখ ৮ হাজার ২২৬টি কল করেছি ও এক লাখ ৪৭ হাজার ৩২৩টি ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। এটি আমাদের সকলের ভালো ভবিষ্যতের জন্য একটি বিজয়। আমি আগামী দুই বছর আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি।”

তালেব এবং ওমর দুজনেই “দ্য স্কোয়াড” নামে পরিচিত আইন প্রণেতাদের অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীটি আলেকজান্দ্রা ওকাসিও-কর্টেজসহ কংগ্রেসের প্রগতিশীল সদস্যদের নিয়ে গঠিত।




ইতিহাস গড়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যের জয় ও কয়েকটিতে এগিয়ে থাকার খবর আসার পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন তার সমর্থকরা।

ইতোমধ্যে ২৪৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ের অনেকটা কাছাকাছি পৌছে গেছেন ট্রাম্প। বিপরীতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যেসব দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ফল ঘোষণা বাকি আছে সেগুলোর বেশিরভাগেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ পূর্বাভাসে ট্রাম্পের আরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইতিহাস গড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারী অপরাধী হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার রেকর্ড গড়বেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান যাচাই করে নিউইয়র্ক টাইমসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে তার জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প ৩০১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এবং কমলা ২৩৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন।

এদিকে এপির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪৭ ইলেকটোরাল ভোট। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৪ ভোট। কমলা পেয়েছেন ৪৭.৪ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১.২ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে। টাইম জোনের তারতম্যের কারণে রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে।




হাইফা বন্দরের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাইফা নগরীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।

সংগঠনটি গতকাল (রোববার) শেষ বেলায় এক বিবৃতিতে বলেছে, হাইফা বন্দরের এলিয়াকিম প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে এক স্কোয়াড্রন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

বিবৃতিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণ এবং তাদের সম্মানিত ও সাহসী প্রতিরোধের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে ইসরাইলি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। এর পাশাপাশি লেবাননের জনগণের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করাও এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এবং তারা ইসরাইল-বিরোধী সংগ্রামের অংশ হিসেবে এলিয়াকিম ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

হাইফা বন্দর নগরীতে ড্রোন হামলার পাশাপাশি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় মেতুলা ইহুদি বসতিতে গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, অধিকৃত নেতানেয়া শহরের বেইত লিদ সামরিক ঘাঁটি এবং ইসরাইলের পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিগেড কমান্ডের সদর দপ্তরেও গতকাল হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে।#

# পার্সটুডে




ইসরাইলি আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের সুন্নি আলেম সমাজের তীব্র নিন্দা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এদেশের সুন্নি আলেম সমাজ। তারা বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের পেছনে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।

যেকোনো হঠকারিতার ব্যাপারে অবৈধ ও অপরাধী ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী সরকার ২৬ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয়।

পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা বিশেষ করে সুন্নি আলেম সমাজ নিন্দা জানিয়েছেন:

ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ ফায়েক রুস্তামি এ সম্পর্কে বলেন: ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শক্তি এবং বিশ্ববাসী ইরানের সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরাইল বাঘের লেজে পা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তাকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

ওস্তাদ রুস্তামি আরো বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যেখানেই ইরানের ভূমিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এখন ইরানের দাঁতভাঙা জবাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ইরানের অপর প্রখ্যাত সুন্নি আলেম ও দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুস সালাম মোহাম্মাদি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন: ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবানন বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গাজা ও লেবাননে বর্তমানে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে যা ইহুদিবাদী সরকারের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও কুকর্মের বাস্তব উদাহরণ।

দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল নিজের সম্ভাব্য পতনের খবর জানে এবং অচিরেই তার অনিবার্য ধ্বংস সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের জনগণ, প্রতিরোধ অক্ষ, আলেম সমাজ ও মুসলিম চিন্তাবিদরা ইসলাম, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তারা কোনো অবস্থায় ইরানের ভূমিতে কাউকে আগ্রাসন চালাতে দেবেন না।

এদিকে ইরানের কেরমানশাহ শহরের সুন্নি আলেম ও জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুর রহমান মোরাদি পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের কারণ হিসেবে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এই আগ্রাসী হামলার জন্য মূল্য দিতে হবে।

ইরানের আরেক সুন্নি আলেম ও রাওয়ানসার শহরের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মাদ মাহমুদিও ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন: অপরাধী ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনেক আগেই নিজের পাশবিক সত্ত্বাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচনা করে দিয়েছে। এবার সে ইরানের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, ইসরাইল অপরাধযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু চেনে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।#

– পার্সটুডে