পহেলগাঁও মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক
বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না-বাদীকে আদালত

ভারতের কাশ্মিরের পহেলগাঁও কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাদীর উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, “প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই সময়ে বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না।”

মামলার বাদীকে সতর্ক করে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যেন সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল ভাঙা না-হয়। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যখন প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতাকে দেখুন।”

মামলার বাদীর আবেদনে বলা হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে যাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত করা হয়। এই আর্জি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, দয়া করে দায়িত্বশীল হোন। আপনি কি এই সময়ে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইছেন? সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কবে থেকে তদন্তে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন? আমরা কবে থেকে এই ক্ষমতা পেয়েছি? আমরা শুধুমাত্র বিরোধের নিষ্পত্তি করি।” সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পাকিস্তানও। এরই মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত করছে এনআইএ।#

সূত্র: পার্সটুডে




যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম বিরোধী বিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত টাস্কফোর্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে আছেন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ভয়ে। টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদনে আরো জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইহুদিবিদ্বেষও বেড়েছে।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে। অনেক দেশে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দু’টি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস যখন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখনই ওই টাস্কফোর্স দু’টি গঠন করা হয়। হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষের চিত্র তুলে ধরে মঙ্গলবার আলাদা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উভয় সম্প্রদায়ের ছাত্র-শিক্ষকরা কী ধরনের বৈষম্য ও বৈরিতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই আশঙ্কা করছেন, গাজা ইস্যুতে নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করলে অ্যাকাডেমিক এবং পেশার ক্ষেত্রে শাস্তি পেতে হতে পারে। এমনকি অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কাও করছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য মুসলিম শিক্ষার্থীরাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। হিজাব পরেন এমন শিক্ষার্থীদেরও মৌখিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। অনেককে ডাকা হয় ‘সন্ত্রাসী’ বলে।

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ‘ডক্সিং’ বা ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার বিষয়টি। শুধু শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যও এটিকে হুমকি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইহুদি ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।




ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে ফেলেছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

আজ ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে ফেলেছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং বিদেশ থেকে সহায়তা চেয়েছে। জেরুজালেমের পাহাড়ে আগুন লাগানোর সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সকাল থেকেই জেরুজালেমের পশ্চিম পাহাড়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রধান সড়কগুলোতে পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।

জেরুজালেম ও তেল আবিবগামী মহাসড়কের কাছে আগুন প্রবলভাবে জ্বলছে, যাতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি দমকল বাহিনীর জেরুজালেম অঞ্চলের প্রধান বলেন, “আমরা এখনো এই বিশাল অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক দূরে রয়েছি।”

ইসরায়েলি অগ্নি নির্বাপণ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, “ভালো অবস্থায় থাকলে আমরা আগামীকাল সকাল নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।”

দমকল বাহিনীকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমরা একটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, জীবন বাঁচাতে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োজিত করতে হবে।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিম জেরুজালেমে তীব্র বাতাসের কারণে দমকল বাহিনীর অনেক দল আগুনে আটকে পড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিম জেরুজালেমের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সেনারা আগুনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

চ্যানেল ১২ জানায়, অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টের জেরুজালেম ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ব্রিগেড কমান্ডার বলেন, “এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কীভাবে শুরু হয়েছে তা এখনো আমাদের অজানা।”

এছাড়া, পশ্চিম জেরুজালেমের আটটি জনপদের বাসিন্দাদের আগুনের কারণে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেরুজালেমের হাদাসা আইন কারেম হাসপাতাল থেকেও রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি অগ্নি নির্বাপন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম জেরুজালেমের আগুনের কারণে জেরুজালেম ও বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বেসামরিক নাগরিক আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

তারা আরও জানায়, তারা ২২ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছে, যাদের মধ্যে ১২ জনকে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ “এক্স” প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে জানিয়েছে, “জেরুজালেম পাহাড় ও ১ নম্বর মহাসড়ক এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ওই এলাকায় যাতায়াত না করে।”

দাউদাউ আগুন
লাত্রুন ও বেইত শেমেশ এলাকার মধ্যবর্তী সড়ক বরাবর বন-জঙ্গল পুড়ে যাওয়ার সময় দাউদাউ আগুন দেখা গেছে। এতে বহু চালক তাদের গাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন থেকে পালিয়ে যান।
ঘন ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে গেছে, যা দৃষ্টিশক্তিকে মারাত্মকভাবে সীমিত করছে এবং অনেকেই সেখানে আটকে পড়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, জেরুজালেমের পশ্চিমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বসতি এলাকা খালি করে ফেলা হয়েছে। তারা দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর লড়াইয়ের ছবি সম্প্রচার করেছে।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, তীব্র গরম ও প্রবল বাতাসের কারণেই আগুন লেগেছে।

তবে পরে ইসরায়েলের সরকারি বেতার সংস্থা জানায়, জেরুজালেমের পাহাড়ে আগুন লাগানোর সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, এই আগুন স্বাভাবিকভাবে লাগেনি, বরং কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে লাগিয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাফির বলেন, “এই আগুনের পেছনে ফিলিস্তিনিরা রয়েছে” এবং তিনি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া থেকে অগ্নি নির্বাপক বিমান আসবে।

উৎসব বাতিল

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার ৭৭তম বার্ষিকীর উৎসব শুরুর সাথে সাথে ঘটে, যা ১৯৪৮ সালে দখলকৃত আরব ভূমিতে গঠিত হয়েছিল।

জরুরি সেবা ও উদ্ধার সংস্থা ঘোষণা করেছে, তারা “ইসরায়েলি স্বাধীনতা দিবস” নামে পরিচিত দিবসে — যা আসলে ফিলিস্তিনিদের ‘নাকবা’ (বিপর্যয়)-এর স্মরণদিবস — নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অংশ নিতে পারবে না।

আগুনের ভয়াবহতার কারণে কর্তৃপক্ষ এ উপলক্ষে আয়োজিত অনেক উৎসব ও অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।




ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে-ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি, যেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী। তবে অনেকের মতো আমিও যুদ্ধবিরোধী মানুষ।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক, এটা কামনা করি না। যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েও একটা ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। তো সেখানে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা এটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুগোপযোগী বিমানবাহিনীর গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদেরই নিকটে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার অবস্থা শুরু হয়েছে। সকালের খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, আজকেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী।

প্রস্তুতি নিতে হলে আধা-আধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নেই মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা এমন এক পরিস্থিতি, জয়ই একমাত্র অপশন। পরাজয় এখানে কোনো অপশন হতে পারে না। কাজেই আমরা প্রস্তুতি কত উচ্চ পর্যায়ে নিতে পারি, তার চেষ্টা থাকতেই হবে।

যুদ্ধ একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় আছে। এমনিতেই বাংলাদেশ মজবুত অর্থনীতির দেশ হয়ে গড়ে উঠতে পারেনি। তার মধ্যে বিগত সরকারের যথেচ্ছাচারের কারণে যা ছিল, তা-ও লুটপাট হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সামগ্রিক স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে। শান্তির দিকে হাত বাড়িয়ে রাখতে হবে সবসময়। কিন্তু প্রস্তুতিও থাকতে হবে।

বিমানবাহিনীর মহড়া দেখে খুবই ভালো লেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো আমরা সিনেমাতে দেখি। বাস্তবে দেখার খুব একটা সুযোগ হয় না। আজ আপনাদের কারণে সেটা বাস্তবে দেখলাম।

সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মূল্যায়নে ড. ইউনূস বলেন, এতে আমাদের সাহস বাড়ে। শুধু যুদ্ধের সাহস না, আমাদেরই ছেলেমেয়েরা এমন দুর্দান্তভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে, কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে, এটা দেখে বুক ভরে যায়।




পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে: পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাদের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি, এগুলো শুধুই ভারতের জন্য রাখা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে। গত শনিবার হানিফ আব্বাসি ভারতকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রই তোমাদের দিকে তাক করা আছে।’

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দকধারীদের হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দিয়েছে- ভারত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিলেন পাকিস্তানি মন্ত্রী।

এর আগে ভারত ও পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধ করেছে। এর মধ্যে দুটি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। তবে বর্তমানে দুই দেশ এর ভিন্ন ভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ভারত ও পাকিস্তান আরও কয়েকবার যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা দুই দেশকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




ইরান ও আমেরিকার মধ্যে তৃতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনার সমাপ্তি; ‘আলোচনা ছিল খুবই একনিষ্ঠ ও নিবিড়’

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ওমানের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। আলোচনা শনিবার সকালে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। পার্সটুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

তৃতীয় দফার আলোচনা শেষ হওয়ার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, এবারের আলোচনা আগের দুই দফা আলোচনার চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি একনিষ্ঠ ও নিবিড় ছিল এবং আমরা কিছু কারিগরি বিষয় নিয়েও কথা বলেছিল। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির মতে, উভয় পক্ষই আলোচনায় আন্তরিকতা দেখিয়েছে, যা অগ্রগতির লক্ষণ। যদিও ইরানি আলোচক দল এখনও সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে।

নানা জল্পনার জবাবে আরাকচি আরও বলেন, আমাদের আলোচনা কেবল পারমাণবিক ইস্যুতে এবং আমরা অন্য কোনও বিষয় এখানে নিয়ে আসব না। আমরা কেবল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। তিন দফা আলোচনাতেই এই বিষয়টি মেনে চলা হয়েছে।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা শেষ হওয়ার পর এক্স নেটওয়ার্কে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আল-বুসাইদি বলেছেন, আগামী ৩ মে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ দফার পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় দফার আলোচনায় বিশেষজ্ঞ এবং কারিগরি টিমের মধ্যেও কথা হয়েছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজনীতি বিষয়ক উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখ্‌ত রাভানচি এবং আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি। আর আমেরিকার বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাইকেল অ্যান্টন।

সূত্র: পার্সটুডে-




ভারতের গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সূত্র: পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস।




ভারতের কাছে কাশ্মীরে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছে পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-
ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে যদি ভারতের হাতে কোনো প্রমাণ থাকে, তবে তা দেখাতে বলেছে পাকিস্তান।

দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

ইসহাক বলেন, ‘যদি পেহেলগামের ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ থাকে, তবে দয়া করে তা আমাদের এবং পুরো বিশ্বকে দেখান।’

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দারের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, পেহেলগামের ঘটনার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানের নাম নেয়নি। কিন্তু ভারতের গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দুষছে।

গত মঙ্গলবার ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের এক হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। পেহেলগামে ওই হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। হামলায় আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন।

পেহেলগামে মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলে পরদিন বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। এর জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে চায় ইরান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারত ও পাকিস্তান কেউই যেন কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাদের সম্পর্কটা যেন সাপে-নেউলে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা যখন দু’দেশের চিরবৈরী মনোভাবকে আরও উসকে দিয়েছে, ঠিক তখনই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভারত ও পাকিস্তান ইরানের ভাতৃপ্রতীম প্রতিবেশী। আমরা এমন সম্পর্ক উপভোগ করছি যা কয়েক শতক পুরনো সাংস্কৃতিক সভ্যতায় নীহিত।

ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো তাদেরও আমরা সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করি। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিতে থাকা আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে আমরা এই কঠিন সময়ে দুই দেশের মধ্যে বৃহৎ বোঝাপোড়া তৈরি করতে চাই।

পোস্টে পার্সিয়ান কবি সাদির একটি কবিতাও উল্লেখ করেছেন আব্বাস আরাগচি। যেখানে বলা হয়েছে, মানুষ একটি একক পরিবার, যদি পরিবারের কেউ ব্যথিত হয়, অন্য সদস্যদের অস্বস্তিও রয়ে যাবে।

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হন।

পাকিস্তান এতে পরোক্ষভাবে জড়িত আছে এমন অভিযোগ তুলে দেশটির সঙ্গে সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা সুবিধা বাতিল ও একইসঙ্গে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি।

জবাবে পাকিস্তানও প্রায় একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভারতের বিমান নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের পাশাপাশি ভারতীয়দের ভিসা সুবিধাও বাতিল করেছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিন্ধু নদের এক ফোঁটাও যেন পাকিস্তানে না যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তান জানায়, ভারত যদি পানি প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তারা তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় জবাব দেবে।

প্রসঙ্গত, এরকম উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচকভাবে বিবেচিত হলেও এ বিষয়ে এখনও নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে




ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরীহ পর্যটকদের হত্যার প্রতিবাদে মুসলিমদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) পেহেলগাম জামে মসজিদের মাঠে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সন্ত্রাসের প্রতীকী কুশপুতুল দাহ করেন এবং ভারত সরকারকে এমন হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, ইসলাম কখনোই নিরীহ মানুষ হত্যার অনুমতি দেয় না। যারা স্বার্থের জন্য মানুষের জীবন নিয়ে খেলে, তাদের কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত।

কাশ্মিরের পেহেলগামে মঙ্গলবার নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।

পাঞ্জাবের শাহি ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ উসমান রেহমানী লুধিয়ানভি কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং একে মানবতার জন্য লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেন।

এই উপলক্ষে শাহি ইমাম বলেন, মানুষকে ধর্ম জিজ্ঞেস করে হত্যা করা কাপুরুষতা। তিনি উল্লেখ করেন, কোরআনে বলা হয়েছে, একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করার সমান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা নিজেদের মুসলমান দাবি করে এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করছে, তারা কোনো অবস্থাতেই ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। শাহি ইমাম বলেন, শুধু এই ঘটনার তদন্ত করাই নয়, দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়াও উচিত। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের ঐক্য ও সংহতি নষ্ট করা—তাই একতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।

তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এবং এই হামলার পেছনে যে চক্রান্ত আছে তা জনসমক্ষে আনা হোক, যাতে কাশ্মিরে যে সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা আবার ফিরিয়ে আনা যায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার