ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৬ জাহাজে হাউছিদের হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিভিন্ন জাহাজে একের পর এক হামলা করছে হাউছি বিদ্রোহীরা। তারা অবরুদ্ধ গাজায় স্থায়ী যুক্তবিরতির দাবিতে এ আক্রমণ চালাচ্ছে বলে তাদের মুখপাত্র জানিয়েছে।

এদিকে ইয়েমেনভিত্তিক হাউছি যোদ্ধাদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের বাহিনী লোহিত সাগর ও ইডেন উপসাগরে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ছয়টি জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, লোহিত সাগর অতিক্রম করার সময় তাদের নৌ ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগর ও ইডেন উপসাগরে মায়েস্ক সারাটোগা, এপিএল ডেট্রোয়ট, হুয়াঙ পু ও প্রেটি লেডি নামের জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের এবং তৃতীয় ও চতুর্থ জাহাজ ব্রিটেনের।

তিনি আরো দাবি করেন, লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে হামলা চারিয়েছে। আর তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের ইলাত নগরীর বিভিন্ন টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। তারা জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইল যত দিন অবরোধ আরোপ করে রাখবে, তারা হামলা অব্যাহত রাখবে।

হাউছিরা দাবি করছে, হুয়াঙ পু জাহাজটি ব্রিটিশ। তবে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, এটি চীনা মালিকানাধীন জাহাজ।

গত পাঁচ মাসে হাউছিরা লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেব প্রণালী এবং ইডেন উপসাগরে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

গত রোববার হাউছিরা দাবি করে, তারা রাশিয়া ও চীনকে বলেছে যে তাদের লোহিত সাগর বা অন্য কোনো স্থানে তাদের জাহাজে হামলা করা হবে না। তারা কেবল ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত ও ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালাবে। সেইসাথে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোও তাদের টার্গেট হবে।

সূত্র : আরব নিউজ




বাংলাদেশি আলেমের হাতে ইসলাম গ্রহণ করলেন জনপ্রিয় মার্কিন র‌্যাপার

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জনপ্রিয় মার্কিন র‌্যাপার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বিং বং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের আস-সাফা ইসলামিক সেন্টারের মসজিদে বিশাল জমায়েতের সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।

তাকে কালেমা পাঠ করান ওই মসজিদের খতিব বাংলাদেশের মুফতি লুৎফর রহমান কাসিমী। কালেমা গ্রহণের পর ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষাও দেন তিনি।

বিং বংয়ের ইসলাম গ্রহণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের খতিবের সঙ্গে তিনি কালিমা পাঠ করছেন।

বিং বংয়ের আসল নাম ট্রাভিস ডোয়লে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি গরিলা ন্যামস নামে পরিচিত। বিং বং মার্কিন র‌্যাপার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, উদ্যোক্তা ও ওয়েব সিরিজের প্রযোজক।

ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম এখন হামজা। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সব ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।

আস-সাফা ইসলামিক সেন্টারের খতিব মুফতি লুৎফর রহমান কাসিমী বলেন, জনপ্রিয় র‌্যাপার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বিং বং রমজানের প্রথম সপ্তাহে একদিন ইফতারের আগে আমাদের সেন্টারে এসে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন।  আমি তাকে কালিমা পড়াই ও ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করি। মুসলিম নামগুলোর মধ্যে তিনি হামজা নামটি পছন্দ করেছেন।

এর আগে চলতি রমজানে যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট শন কিং ও আরেক র‌্যাপার লিল জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন।




আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর কাসসাম ব্রিগেডের হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সেনা ও গাড়ির ওপর হামলা চালানোর দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, হামাসের সশস্ত্র শাখাটি জানিয়েছে, মধ্য গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে তীব্র স্থল লড়াই চলছে।

কাসসাম ব্রিগেডস বলেছে, তারা মর্টার শেল ব্যবহার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশেপাশের একটি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টাকারী শত্রু বাহিনীকে ধ্বংস করেছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, অবরুদ্ধ হাসপাতালের আশপাশে একটি ভবনের ভেতরে ব্যারিকেড রাখা একদল ইসরায়েলি সেনাকে রকেট আঘাত করলে অজ্ঞাত সংখ্যক সেনা নিহত ও আহত হয়।

যোদ্ধারা ইয়াসিন-১০৫ ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে ওই এলাকায় সামরিক যান লক্ষ্য করে হামলা চালায়।




মক্কায় ইসলামিক স্কলারদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সৌদি আরবের মক্কায় মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ (রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি) আয়োজিত বিশ্বের ইসলামি স্কলারদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

রোববার (১৭ মার্চ) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক নেতৃস্থানীয় মুসলিম স্কলার-আলেম অংশ নেন। পবিত্র মসজিদুল হারামের কাছে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এতে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য তৈরির একটি ডকুমেন্ট প্রকাশ করেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল-ঈসা।

বিষয়টি নিয়ে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব শেখ হুসাইন ইবরাহিম তোহা ও আমিরাতের ফতোয়া কাউন্সিলের প্রধান, ইসলামিক ফিকাহ একাডেমির সদস্য শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহসহ আরো অনেকে।

‘বিল্ডিং ব্রিজেস বিটউইন ইসলামিক স্কুলস অব থটস’ বা ‘মুসলিম দলগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র স্কলার্সের সভাপতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শেখ। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম একটি সামাজিক ধর্ম।

তা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসলাম বিচ্ছিন্নতা ও মতবিরোধ সতর্ক করেছে। মহানবী সা.-এর সুন্নাহর বর্ণনামতে, মুসলিমদের সব সময় একতাবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষ ও বক্রতা পরিহার করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে মক্কায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৩ দফাবিশিষ্ট দ্য চার্টার অব মক্কা বা মক্কা সনদ ঘোষণা করা হয়। এরপর আরো অনেকগুলো বড় বড় কনফারেন্স বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ




মক্কায় ইসলামিক স্কলারদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সৌদি আরবের মক্কায় মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ (রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামি) আয়োজিত বিশ্বের ইসলামি স্কলারদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

রোববার (১৭ মার্চ) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক নেতৃস্থানীয় মুসলিম স্কলার-আলেম অংশ নেন। পবিত্র মসজিদুল হারামের কাছে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এতে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য তৈরির একটি ডকুমেন্ট প্রকাশ করেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল-ঈসা।

বিষয়টি নিয়ে ইরান, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, তুর্কিয়ে, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা বক্তব্য দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব শেখ হুসাইন ইবরাহিম তোহা ও আমিরাতের ফতোয়া কাউন্সিলের প্রধান, ইসলামিক ফিকাহ একাডেমির সদস্য শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাইয়াহসহ আরো অনেকে।

‘বিল্ডিং ব্রিজেস বিটউইন ইসলামিক স্কুলস অব থটস’ বা ‘মুসলিম দলগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র স্কলার্সের সভাপতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শেখ। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম একটি সামাজিক ধর্ম।

তা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসলাম বিচ্ছিন্নতা ও মতবিরোধ সতর্ক করেছে। মহানবী সা.-এর সুন্নাহর বর্ণনামতে, মুসলিমদের সব সময় একতাবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষ ও বক্রতা পরিহার করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে মক্কায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৩ দফাবিশিষ্ট দ্য চার্টার অব মক্কা বা মক্কা সনদ ঘোষণা করা হয়। এরপর আরো অনেকগুলো বড় বড় কনফারেন্স বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ




রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলেন বিখ্যাত মার্কিন র‌্যাপার লিল জন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মসজিদে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত মার্কিন র‌্যাপার ও প্রযোজক লিল জন। খবর ডেইলি সাবাহর

রমজানের প্রথম সপ্তাহে শুক্রবার তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের কিং ফাহাদ মসজিদে একটি বিশাল জমায়েতের সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন।

লিল জনের ইসলাম গ্রহণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের ইমামের তত্ত্বাবধানে তিনি প্রথমে আরবি ও পরে ইংরেজিতে কালেমা পাঠ করছেন।

লিল জন ১৯৭২ সালে জর্জিয়ার আটলান্টায় জন্ম গ্রহণ করেন, তার আসল নাম জোনাথন এইচ স্মিথ। ২০০০-এর শুরুতে হিপ-হপ সাবজেনার প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা তার খ্যাতি বাড়িয়ে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট শন কিংয়ের পর লিল জন হলেন রমজানের প্রথম সপ্তাহে ইসলাম গ্রহণকারী দ্বিতীয় বিখ্যাত মার্কিন নাগরিক।




অবশেষে শনাক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের অবস্থান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের অবস্থান শনাক্ত, কবে মুক্তি পাবে ২৩ নাবিক?
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে।

বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর পর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। জাহাজের ২৩ নাবিককে স্পিডবোটে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন একজন।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।

জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে এসআর শিপিং। এ জন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

এসআর শিপিংয়ের মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সব সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা করছি। তারা আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’

সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোনো নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।




রমজানে আল-আকসায় নামাজ আদায়ে বাধা দেবে না ইস’রায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ে দেবে না দলখদার ইসরায়েল। সেখানে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগের বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসায় আসতেন, এ বছরও তাতে কোনও ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ণ করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রমজানে আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশের বিপক্ষে ছিল। এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেন গিভির বলেছিলেন, যেখানে আমাদের নারী ও শিশুরা গাজায় জিম্মি হয়ে রয়েছে, সেখানে টেম্পল মাউন্টে হামাস তা উদযাপন করবে তা আমরা হতে দিতে পারি না।

তার এই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এটি কেবল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়াই নয়, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তার সঙ্গেও ব্যাপারটি সম্পর্কিত। পশ্চিম তীরে বা বৃহত্তর অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজান একটি পবিত্র মাস। বিগত বছরগুলোর মতে এ বছরও এই মাসের পবিত্রতা অক্ষুণ্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইসরায়েল।

সূত্র: আল জাজিরা,




ফিলিস্তিনে লাইভ গণহত্যা করা হচ্ছে …

পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে ‘হামাসকে সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার, যে কারণে ফিলিস্তিনিরা আক্রমণ চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নীরব। ফিলিস্তিনে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, গাজার চলমান গণহত্যা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নিধন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজা ভূখণ্ডে তারা খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ছয় মাস ধরে একদিকে চলছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার মহোৎসব, অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের অভাব যা বাকিদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সবশেষ হিসাব মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৮ সালে প্রথমবারের বারের মতো ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। কারণ ইহুদি জনগোষ্ঠির ঘরবাড়ির বানানোর জায়গা দিতে হবে।

সে সময়ের যুদ্ধে নতুন করে ৪১ হাজার ৩শ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েল এবং পিএলও বা ফিলিস্তিনের পক্ষে নিহত হয় হাজার মানুষ। এরপর প্রথম দফায় নিহত হয় হাজারো ফিলিস্তিনি এবং বেশ কিছু ইসরাইলি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যা এখনো চলছে। যুদ্ধে প্রথমদিকে হামাস বা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। বেশ কিছু ইসরাইলি লোকজন হামাসের হাতে বন্দি হয়। পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে হামাসকে আক্রমণকারী বা সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে এত মিছিল হচ্ছে কিন্তু সেটা যুক্তরাষ্ট্র কানেই তুলছে না। আজকে যদি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াতো তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যেতো। পৃথিবীতে কিছু আছে রাষ্ট্র, কিছু আছে টেরিটরি। সেই হিসেবে ফিলিস্তিন কোনো রাষ্ট্র নয়। ফিলিস্তিন হচ্ছে একটা টেরিটরি। আর ইসরাইল হচ্ছে একটা রাষ্ট্র। এই ইসরাইল রাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা বাইডেনের অবস্থান দেখেই বোঝা যায়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্বে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে, যেটা হচ্ছে ফিলিস্তিনে।

ইহুদিরা কিন্তু কখনো মুসলিমদের থেকে মার খায়নি, তবুও তাদের সংঘাত চলছে। ইহুদিরা মার খেয়েছে ইউরোপে, খ্রিষ্টানদের দ্বারা। ইসরায়েলকে বলা হয় আমেরিকার ৫১তম রাষ্ট্র, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন না থাকলে ইসরাইল কখনো এত শক্তিশালী হতো না।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ও সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ।




উত্তর গাজায় ৬ শিশুর মৃত্যু, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান ও আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

জাতিসংঘের হিউম্যানেটারিয়ান এজেন্সি জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি।

মূলত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।