ইরান আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম এর নতুন রেকর্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম বিজয়ী হয়েছেন।

ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার শিক্ষার্থী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় এবং শনিবার জমকালো আয়োজনের মাধ্যদিয়ে তা সমাপ্ত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মাদ মাহদী ইসমাইলী, শিক্ষা মন্ত্রী ইউসুফ নুরী ও ইসলামীক দাওয়া সেন্টারের প্রধান সৈয়্যদ মাহদী খামুশীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ।

উল্লেখ্য, গত আগস্টের শেষদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় হাফেজ তাকরিম বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

চূড়ান্ত রাউন্ডে প্রথমধাপে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ১৯০ জন প্রতিযোগির মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হয়। চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ দেশের সেরা প্রতিযোগির মাঝে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সালেহ আহমাদ তাকরীম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। ইতোপূর্বে ২০২০ এর রমজানে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। হাফেজ তাকরীমের পিতা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদ্রাসা শিক্ষক ও মাতা গৃহিণী।

তার এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মারকাযু ফয়জিল কুরআনের সম্মানিত প্রিন্সিপাল, গুলশান সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা গত দু’বছর কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়া আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে চূড়ান্ত প্রতিনিধিত মনোনীত হলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, হিফজ বিভাগের পাশাপাশি কিতাব বিভাগেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর কিতাব বিভাগের নাহবেমির ও শরহে বেকায়া জামাতের ৩০ জন ছাত্র বেফাক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২১জন মুমতাজসহ ১৪জন মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে।




ইউক্রেনে হামলার শিকার ২৮ নাবিক ঢাকায় পৌঁছেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলার শিকার ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ নাবিক রোমানিয়া থেকে দেশে পৌঁছেছেন।

বাংলাদেশি নাবিকদের বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। তাদের মেডিক্যাল চেকআপ শেষে ইমিগ্রেশনে নেয়া হয়।

এছাড়া রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারের ফ্রিজারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে তার মরদেহ দেশে ফেরত আনা হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টার দিকে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে তারা দেশের উদ্দেশে রওনা করেন। তাদের ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে আজ ঢাকায় পৌঁছায়। গতকাল রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী।

গেল ২২শে ফেব্রুয়ারি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ পণ্যবাহী জাহাজটি ইউক্রেনে পৌঁছালে যুদ্ধে আটকা পড়ে। পণ্য নেয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে চ্যানেল ক্লিয়ার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল জাহাজটি।

এর মধ্যেই ২রা মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। এতে নিহত হন হাদিসুর রহমান। এরপর রাশিয়ার সহযোগিতায় ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা বাকি ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে সড়কপথে মলদোভা হয়ে তারা রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় তাদের সেখানে একটি হোটেলে রাখা হয়।




রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মানে হলো ‘পুতিনের নেতৃত্বকে আমেরিকার জনগণ আরও একটি বড় ধাক্কা দেবে। আমরা পুতিনের যুদ্ধের ভর্তুকির অংশ হবো না। আজ মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসি অনলাইনের।

এদিকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) একটি রূপরেখার পরিকল্পনা করেছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি বছরেই রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশ কমাবে। আর ২০৩০ সালের আগে আমাদানি বন্ধ করবে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানায়, চলতি বছর রাশিয়ান গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনবে। আর ২০৩০ সালের আগে তেল এবং গ্যাস আমদানির সামগ্রিক চাহিদা শেষ করবে।

ইইউ আরও জানায়, রাশিয়ার বাইরে অন্য সরবরাহকারীদের থেকে পাইপ লাইনে এবং উচ্চতর এলএনজি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহে বৈচিত্র্য এনে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

ইইউ তার চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আর প্রতিবছর ইইউর আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের ১৩ তম দিন চলছে। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।




ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত কতজন, জেনে নিন?

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। এদের মধ্যে অন্তত ২৫টি শিশু রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৭৫৯ জন।

তবে জাতিসংঘ বলছে, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভারী গোলাবর্ষণ, বিস্ফোরণ বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করছে। এই ঘোষণার পর জ্বালানি তেলের দাম ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তেলের দাম এই পর্যায়ে উঠেছিল।

অপরিশোধিত তেলের দাম এশিয়ার বাজারে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সোমবার (৭ মার্চ) ১২তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রুশ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে।

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে দুই দফায় বৈঠকে বসেন। তবে দুবারই বৈঠক কোনো কাজে আসেনি। ইউক্রেন বলছে, তারা চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।




নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে ৫ বিএসএফ জওয়ান নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পাঁচ জওয়ান নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অভিযুক্ত হামলাকারী জওয়ানও রয়েছেন। তিনিই প্রথমে গুলি চালিয়ে চার জওয়ানকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

রবিবার (৬ মার্চ) সকালে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবের অমৃতসরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। অমৃতসরের খাসা এলাকায় বিএসএফের মেসে গোলাগুলি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি পাকিস্তানের ওয়াগা সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএফের নিহত পাঁচ জওয়ানের একজন রবিবার সকালে অন্য সহকর্মীদের দিকে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে চারজন নিহত হন। পরে অন্যদের গুলিতে হামলাকারী জওয়ানও নিহত হন।

এনডিটিভি বলছে, কনস্টেবল সাত্তেপ্পা এস কে নামে এক বিএসএফ জওয়ান অন্যদের ওপরে প্রথমে হামলা চালিয়েছিলেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও এক বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বিএসএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনার খবর পেয়ে বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এছাড়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিএসএফ।




করোনা বিধি-নিষেধ তুলে নিলো সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে যে সৌদি আরব করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সতর্কতামূলক এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা তুলে নেয় শনিবার (৬ মার্চ) থেকে।

সৌদি আরব আর কিংডমে আগমনের পর যাত্রীদের বাধ্যতামূলক COVID-19 কোয়ারেন্টাইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। যাত্রীদের তাদের আগমনের পরে আর পিসিআর পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
যেকোন ধরনের ভিজিট ভিসায় কিংডমে আগমনের জন্য যেকোনও করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার খরচ কভার করে এমন বীমা পেতে হবে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিকা দেওয়ার জাতীয় পরিকল্পনার নির্দেশিকাগুলোতে চলমান থাকার উপর জোর দিয়েছে, যার মধ্যে একটি বুস্টার ডোজ পাওয়া এবং সুবিধা, ক্রিয়াকলাপ, অনুষ্ঠান, বিমান এবং জনসাধারণের প্রবেশের জন্য “তাওয়াক্কালনা” অ্যাপে স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করার জন্য পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে মহামারী পরিস্থিতির অগ্রগতি অনুসারে উপরের ব্যবস্থাগুলো দেশের দক্ষ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নিয়মিত যাচাই-বাছাইয়ের উপর ।




প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি দেশ থেকে চলে যাওয়া আফগানদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার (৫ মার্চ) কাবুলে এক অনুষ্ঠানে তিনি মিডিয়ার সামনে আসেন।  কাবুল পুলিশ একাডেমির ছাত্রদের ১৩তম গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে হাক্কানি বলেন, সাধারণ ক্ষমার আওতায় কেউ কোনো ধরনের নিরাপত্তাগত সমস্যার মুখে পড়বে না।

হাক্কানি বলেন, ইসলামি আমিরাত দোহায় তার প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করবে, কাউকেই আফগানিস্তান থেকে হুমকি দিতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ আর কারো প্রতি হুমকি হবে না। ইসলামি আমিরাত দোহায় দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

নারীদের কাজ করার অধিকারসহ নারীদের ওপর বিধিনিষেধ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে হাক্কানি বলেন, শনিবার বেশ কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্যও গ্রাজুয়েট হয়েছে।

চার বছর পুলিশ স্টাডিজে পড়াশোনা করে কাবুল পুলিশ একাডেমি থেকে ৩৭৭ জন পুলিশ সদস্য গ্রাজুয়েট হন। এদের মধ্যে ২১ জন নারী।

হাক্কানি বলেন, নারীসহ নতুন গ্রাজুয়েটদেরকে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ দেয়া হবে।

বাড়ি বাড়ি তল্লাসির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত হবে না লোকজনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করা। কোনো জটিলতা দেখা গেলে প্রবীণ ও আলেমদের সহায়তায় তল্লাসি চালানো উচিত।

একই অনুষ্ঠানে উপপ্রধানমন্ত্রী আদুল সালাম হানাফিও বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয়ের নামে কাউকে দেশে নিরাপত্তাহীনতা বা অনৈক্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। তিনিও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া আফগানদের ফিরে আসার আহ্বান জানান। সূত্র : তোলো নিউজ




ইউক্রেন-রাশিয়া তৃতীয় দফা আলোচনা সোমবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

যুদ্ধ বন্ধে সোমবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৃতীয় দফায় বৈঠক আলোচনা হবে। দুই দফায় আলোচনায় অংশ নেওয়া একজন ইউক্রেনিয়ান এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি। খবর আলজাজিরা’র।

হামলা শুরুর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলারুশে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রথম আলোচনায় বসে। ১ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হয়।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ৫ মার্চ মস্কো সময় সকাল ১০টা থেকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি পালন করা হচ্ছে। মারিউপোল ও ভলনোভাখা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে মানবিক করিডোর খুলে দেয়া হয়েছে।

তবে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও রাশিয়া গোলাবর্ষণ থামায়নি। ইউক্রেনের এ অভিযোগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনিয়ান ‘জাতীয়তাবাদীরা’ বেসামরিক নাগরিকদের শহর ত্যাগে বাধা দিয়েছে।




ইউক্রেনের দুই শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউক্রেনের দু’টি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালু করেছে মস্কো।

রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা শহর দুটি হলো মারিওপোল ও ভলনোভাখা। রাশিয়ার মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, আজ, ৫ মার্চ, মস্কোর সময় সকাল ১০টা, রাশিয়ার পক্ষ থেকে শান্ত থাকার কথা বলা হচ্ছে এবং বেসামরিক লোকদের জন্য মারিওপোল ও ভলনোভাখা মানবিক সহায়তা করিডোর হিসেবে চালু করা হলো। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে কতক্ষণ এই রুট খোলা থাকবে।

এদিকে, ইউক্রেনের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে

সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।




বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় নিউজরুমে সাংবাদিকের আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞ এক সাংবাদিক।

বেতন বকেয়া থাকায় হতাশায় গত রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অফিসের নিউজরুমেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সংবাদে বলা হয়, বেতনের অভাবে আত্মহত্যা করা ওই ভারতীয় সাংবাদিকের নাম টি কুমার। ৫৬ বছর বয়সী এই গণমাধ্যম কর্মী ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় (ইউএনআই) ফটো জার্নালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অফিসের নিউজরুমে টি কুমার আত্মহত্যা করেন। এর পরদিন সোমবার অন্য সহকর্মীরা তার মরদেহটি উদ্ধার করেন।

এ দিকে টি কুমারের মৃত্যুতে ভারতের সাংবাদিকতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে মাসের পর মাস বেতন ও বকেয়া অর্থ না পাওয়া এবং সাংবাদিকদের যে বৃহত্তর আর্থিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়, বর্তমানে সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইয়ের কর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, গত ৬০ মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠান তাদেরকে কোনো ধরনের বেতন পরিশোধ করেনি। বিবৃতির মাধ্যমে বার্তা সংস্থাটির কর্মীরা জানিয়েছেন, নিয়মিত বেতন না পাওয়ার কারণে টি কুমার তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলেন।

অবশ্য ইউএনআইয়ের এডিটর-ইন-চিফ অজয় কুমার কাউল বেতন না পেয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে ‘পুলিশের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিৎ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেছেন, আমরা যতটা জেনেছি, আত্মহত্যার আগে টি কুমার কোনো সুইসাইড নোট রেখে যাননি। (কোনো সমস্যা থাকলে) আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কারণ হিসেবে সেখানে তিনি আর্থিক চাপ বা বেতন বকেয়ার মতো কিছু উল্লেখ করে যেতেন।

তার দাবি, সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে বেতন বাকি থাকার কথা বেশ কয়েকটি মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছ। কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এটি কি আত্মহত্যা না-কি অন্য কিছু? আমরা চাই পুলিশ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখুক।

অজয় কুমারের ভাষায়, অতি দুঃখজনক ঘটনাটি ঠিক কী কারণে ঘটল সেটির যথাযথ কারণ ও প্রেক্ষাপট আমরাও জানতে চাই।

টি কুমারের মৃত্যুর বিষয়টি গত সোমবার সকালে টুইটারে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক বিশ্ব বিশ্বনাথ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও অগ্রগামী বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ায় একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে খুব অল্প বয়সে যোগ দিয়েছিলেন টি কুমার। পরবর্তী সময়ে নিজের জ্ঞান ও কর্ম দক্ষতার কল্যাণে তিনি ইউএনআইয়ের তামিলনাড়ু ডিভিশনের ব্যুরো প্রধান হয়ে যান।

মূলত এরপরই বার্তা সংস্থাটির কর্মীদের বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে আনেন বিশ্বনাথ। তার দাবি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইউএনআই গত ৬০ মাস যাবৎ কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। ইউএনআইয়ের সকল কর্মীরা কিস্তির মাধ্যমে নিজেদের মাসিক বেতন পাচ্ছেন। যদিও সেই কিস্তিও নিয়মিত পরিশোধ করা হয় না।

তার অভিযোগ, কর্মীদের মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে ইউএনআই। বেতন না দেওয়া এবং মানসিক চাপের কারণে একজন চমৎকার সাংবাদিক ও খুবই ভালো একজন মানুষ আত্মহত্যা করলেন।

বিশ্ব বিশ্বনাথ বলেছেন, টি কুমার অন্য কোথাও না, চেন্নাইতে অবস্থিত ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার তামিলনাড়ু অফিসের সেন্ট্রাল হলে আত্মহত্যা করেছেন। তার পুরো জীবনটা যে ইউএনআই ধ্বংস করেছে এটি তিনি অনুভব করেছিলেন এবং এখানে আত্মহত্যা করা সেটিরই ইঙ্গিত।