ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ২৮ জনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘এখানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আমরা এখনো নিখোঁজ আরো চারজনকে খুঁজছি।’

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বন্যা তানাহ দাতার অঞ্চলে কাদা নিয়ে এসেছে। বন্যার প্রভাব পাঁচটি উপজেলায় পড়েছে। ৮৪টি আবাসন ইউনিট এবং ১৬টি সেতু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের একটি দল হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে। ট্যুর গ্রুপ বিডি নামে ওই দলের সদস্যরা নেপালের থুরং-লা গিরিপথে ওঠার পর ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান দেন।

সুউচ্চ থুরং-লা গিরিপথের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪১৬ মিটার। সেখানে পৌঁছাতে ১০ দিনের কঠিন পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়।গিরিপথে প্রথম প্রথম ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ান মো. সোলাইমান ও তামিম মুনতাসির। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলনেতা রাহি রাফসান।  মুনতাসির বলেন, তারা ফিলিস্তিনের পতাকা সঙ্গে নিয়ে যান। তারা গিরিপথটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ‘অন্নপূর্ণা’ সার্কিট ট্র্যাকের শেষ দিনে পতাকাটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা ইসরায়েলের বড় একটি পর্বতারোহী দলের সামনেই পতাকাটি ওড়াতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের পতাকা ওড়ানো এবং স্লোগান আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

সোলাইমান উল্লেখ করেন, পতাকা ওড়ানোর সঙ্গে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দেখে ইসরায়েলি দলটিকে খুব রাগান্বিত এবং হতাশ মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, এমনকি ইসরায়েলি পর্বতারোহী দলের একজন রেগে আমাদের দিকে আসেন। তবে তাদের দলের আরেকজন তাকে থামিয়ে দেন।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলি ভ্রমণকারী ও পর্যটকরা ক্রমবর্ধমানভাবে বাজে পরিস্থিতি এবং কখনো কখনো বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

স্টিভেন সোচোচেটের নামে ইসরায়েলের এক পর্বতারোহী নেপালের কিছু স্থানে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। থুরং-লা ওঠার পথে তাকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আরেক ইসরায়েলি সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছিল।

সোচোচেট দৃঢ়ভাবে বলছিলেন যে এটিকে আর যুদ্ধ বলা যাবে না, কারণ ইসরায়েল মূলত পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তার দলের অন্য সঙ্গী বলছিলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষা এবং হামাসের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আছে।

ট্যুর গ্রুপ বিডির দলনেতা রাফসান ইসরায়েলি সোচোচেটের সঙ্গেই পর্বতারোহণে ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি এ পর্বতারোহীর অবস্থান দেখে বিস্মিত হন।

রাফসান বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ইসরায়েলি এক নাগরিক এমনটি বলছেন। তখন আমি বুঝতে পারি, যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানাবেন। অবশ্যই ইসরায়েলে বিবেকবান মানুষ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জানি না, আমি জানি না, সংহতি প্রকাশ কিংবা ইসরায়েলি জনগণকে লজ্জা দেওয়া এ গণহত্যা বন্ধ করবে কি না। কিন্তু এটি অন্তত আমরা করতে পারি।

সূত্র: আনাদোলুর




ইসরাইলি হামলায় আহত এক পণবন্দির মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে আটক একজন ইহুদিবাদী পণবন্দি ইসরাইলি বিমান হামলায় আহত হয়ে পরে মারা গেছে। হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড শনিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ৫১ বছর বয়সি পণবন্দি নাদাভ পপেলওয়েল প্রায় এক মাস আগে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আহত হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দখলদার সেনারা গাজার হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে সেগুলো অকেজো করে দেয়ার কারণে আহত নাদাভকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি; যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালায় এবং প্রায় ২৫০ ইহুদিবাদীকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে।

এরপর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইসরাইলের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তিতে ১০৫ পণবন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস।  গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি চুক্তিতে সম্মত হয় যার ভিত্তিতে গাজা যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রস্তাবিত ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।

নাদাভের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর হামাসের আটক পণবন্দিদের পরিবারবর্গের সদস্যরা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  তারা বলেছেন, “আমাদের নষ্ট করার মতো একটি মুহূর্তও হাতে নেই! তাদের মুক্ত করে আনার জন্য অবিলম্বে আপনাকে চুক্তি করতে হবে।” এছাড়া, শনিবার রাতে তেল আবিব ও অধিকৃত আল-কুদস জেরুজালেম শহরে পণবন্দিদের শত শত আত্মীয় বিক্ষোভ করেছেন। #

পার্সটুডে




ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সমর্থন করেছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টি অনুকূলভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশ করেছে।

শুক্রবার (১০ মে) ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোট হয়।

ফিলিস্তিনের সদস্যপদ পাওয়ার প্রস্তাবে ১৪৩টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশও ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সাধারণ পরিষদের এ ভোট অবশ্য জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয় না, তবে দেশটি যোগদানের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে স্বীকৃতি দেয়।
ভোটের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে বলেন, প্রস্তাবে হ্যাঁ বলা-ই হবে সঠিক কাজ। আমি আশ্বস্ত করছি, এ অন্ধকার সময়ে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও শান্তির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আগামীতে আপনি ও আপনার দেশ গর্ব বোধ করবেন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, প্রস্তাব পাস হওয়ায় এটি দেখা গেছে যে, বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে, ইসরায়েলের দখলদারত্বের বিপক্ষে।

আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, আমি মনে করি, কৌশলগতভাবে বলতে গেলে এটি (ভোট) গাজায় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছে না। এটি অনেকটাই প্রতীকী। বিশ্ব পরিমণ্ডলে মর্যাদা অর্জনের জন্য এটি ফিলিস্তিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান ভোটের নিন্দা জানান এবং বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাচ্ছে।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদনে প্রথমে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে। এরপর সেই আবেদন আবার সাধারণ পরিষদে পাস হতে হবে।




যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজডেস্ক :

যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে নেয়ার দাবিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম এবং অন্য কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে সেখানকার ক্ষুব্ধ জনগণ। হামাসের দেয়া শর্ত মেনে নিয়ে গাজা থেকে বন্দী আত্মীয়স্বজনকে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তারা।

ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তারা বলেছে, বন্দীদেরকে নেতানিয়াহু সরকার ত্যাগ করেছে এবং এজন্য তারা কাতার ও মিশরের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়নি। অথচ হামাস ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরুদ্ধ করার পর অন্তত দুই দফায় পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ড্রাম বাজিয়ে, সিংগা ফুকিয়ে এবং মশাল জেলে পুলিশকে উপেক্ষা করে। এ সময় তাদের হাতে নেতানিয়াহুর রক্তমাখা মুখমণ্ডল সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়। তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়ার সময় হয়েছে, এখন যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেই হবে। গাজায় হামাসের হাতে প্রায় ১৬০ জন বন্দী রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রবেশপথও অবরুদ্ধ করে। তারা রাফাহ শহরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো লোকজন আটকের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি তবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

গতকাল হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিয়েছে কিন্তু ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনেকটা একগুঁয়েমির বশে সে চুক্তি গ্রহণ করতে রাজি হননি।#

পার্সটুডে




ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পক্ষে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ রাজ্যে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ও মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ মে থেকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এই বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘‘আমাদের শিক্ষার্থীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এসব ছোট্ট পরিসরে, স্কুল-ভিত্তিক স্নাতক সমাপনী উদযাপন অনুষ্ঠান তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ।’’

‘‘শিক্ষার্থীরা করতালি আর পরিবারের গর্বের মুহূর্তের মধ্য দিয়ে মঞ্চ পেরিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। একই সঙ্গে স্কুলে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তাদের কাছ থেকে বক্তৃতা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ফলে আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোতে ও সেগুলো নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সুচারুভাবে পরিচালনার ওপর মনোযোগ দেবো।’’

মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটনে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলের দখল নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কন্যাশিশু হিন্দের নামে হলটির নামকরণ করেছে। ১৮ এপ্রিল কলেজ কর্তৃপক্ষ মর্নিংসাইড এলাকায় কলাম্বিয়ার আরেকটি ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠিয়ে আরও শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করায়।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক পুলিশকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় (ইউএসসি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিকে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশকে ডাকে।

সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার পরদিন কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ ইউএসসির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দেয়। তবে ওই ক্যাম্পাস থেকে কোনও বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

রোববার এক বিবৃতিতে ইউএসসির প্রেসিডেন্ট ক্যারোল ফল্ট বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা এবং স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই দিন পুলিশের উপস্থিতিতে বোস্টনের ফেনওয়ে পার্ক এলাকায় নর্দার্নইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি




গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিমারা স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সউদী আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের ‘ফ্র্যাংকলি স্পিকিং’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম এই অভিযোগ করেন।

গত সপ্তাহে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে আনোয়ার ইব্রাহিম আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপস্থাপিকা ক্যাটি জ্যানসেনের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বর্বর বলে আখ্যা দেন এবং নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা করেন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বর্বরতাকে আরও উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরায়েলকে) গণহত্যা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের কিছু দেশগুলোর এই বিষয়ে স্পষ্ট ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁরা শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে ক্রমাগত অস্বীকার করে যাচ্ছে।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি না যে—এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এ ধরনের অমানবিক, বর্বর কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিতে পারি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’

এ সময় তিনি গাজা ইস্যুতে আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও ইরানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আরব দেশগুলো, তুরস্ক, ইরান এবং সেই সব দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করি যারা তাদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে এবং আমি মনে করি আমরা মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের বাইরের অন্যান্য অনেক দেশেও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটি (গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন) দীর্ঘায়িত করতে চাই না। কারণ, এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার অনুপস্থিতিতে ধর্মান্ধ চরমপন্থি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডকেই উৎসাহিত করবে।’




গাজা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যামূলক যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত ইহুদিবাদী পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাস কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ছাড়াই হামাস মিশরের রাজধানী কায়রোয় পণবন্দি মুক্তির ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে যাচ্ছে বলে যখন ইসরাইলি গণমাধ্যগুলোতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল তখন এ হুঁশিয়ারি দিল হামাস।

হামাসের সিনিয়র নেতা হিসাম বাদরান কাতারের নিউজ চ্যানেল আল-জাযিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।  তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য হামাস একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তবে সে চুক্তি যেকোনো মূল্যে হবে না।

হিসাম বাদরান বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার উগ্র মন্ত্রিসভা কাল্পনিক কিছু অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। নেতানিয়াহু নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে পণবন্দিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

মিশরের একাধিক সূত্র শনিবার জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও ইসরাইলি পণবন্দি মুক্তির আলোচনায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এবারের কায়রো বৈঠক থেকে ভিন্নরকম ফল বেরিয়ে আসতে পারে।

এর আগে মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় একাধিকবার বৈঠক হলেও ইসরাইল ও হামাস কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। হামাস বলেছে, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে গাজা থেকে সকল দখলদার সেনাকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, গাজায় অবাধ ত্রাণতৎপরতা জোরদার এবং উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না।#

পার্সটুডে




যুক্তরাষ্ট্রে বহিস্কার হওয়ার শিক্ষার্থীদের যে সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়েমেনি যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন নতুন করে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠীটি আবারও আলোচনা এসেছে। খবর রয়টার্সের

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ বিক্ষোভে দমাতে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের কথা জানিয়েছে। আর বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতিদের দ্বারা পরিচালিত সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করছে আমরা তাদের বরণ করে নিতে চাই। আমরা যে কোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছে সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সানা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্নের জোর দাবি জানিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে