৬৩ দেশে ইরানের ন্যানো পণ্য রপ্তানি: আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন শিক্ষা দিয়েছে ইয়েমেন

ইরানের তৈরি ন্যানো পণ্য বর্তমানে ৬৩টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যানো ও মাইক্রো প্রযুক্তি উন্নয়ন দপ্তরের সচিব ইমাদ আহমদওয়ান্দ।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

গতকাল (শনিবার) তেহরানে অনুষ্ঠিত ১৬তম আন্তর্জাতিক ন্যানো প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ফার্সি ১৪০৩ সালে (২০২৪-২৫ সাল) বিশ্বের ৬৩টি দেশে প্রায় ১৮৩ মিলিয়ন ডলারের ন্যানো পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। ইরানের ন্যানো রপ্তানির প্রধান গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে ইরাক, তুরস্ক, ভারত, ভেনেজুয়েলা, পাকিস্তান ও রাশিয়ার অংশই সবচেয়ে বেশি।

তিনি আরও বলেন, গত নয় বছরে ইরানে উৎপাদিত ন্যানো ওষুধ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।

আহমদওয়ান্দ উল্লেখ করেন, ফার্সি ১৪০৩ সালে (২০২৪-২৫ সাল) ২৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি ন্যানো-ক্যাটালিস্ট রাশিয়া, তুরস্ক, ইরাক ও উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে— যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।

ক্যারিবিয় অঞ্চলে আমেরিকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা রাশিয়ার

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্যারিবীয় সাগরে কথিত ‘মাদকবিরোধী অভিযান’-এ অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ গভীরভাবে নিন্দনীয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়া ভেনেজুয়েলার বৈধ সরকারের প্রতি সমর্থন জানায় এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে রক্ষা করার আহ্বান জানায়।

ইসরায়েলের যেকোনো ভুলের কঠোর জবাব দেওয়া হবে: ইরাকি রাজনীতিক

ইরাকের ‘কোঅর্ডিনেশন ফ্রেমওয়ার্ক জোট’-এর নেতা ইসাম শাকের বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরাকের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালায়, তার জবাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরাক তার সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপনে চুক্তি

আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগস ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পারস্পরিক উত্তেজনা কমানো এবং সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধের লক্ষ্যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপনে একমত হয়েছে।

তিনি জানান, দুই দেশের কর্মকর্তারা শিগগিরই এই যোগাযোগ ব্যবস্থার কাঠামো নিয়ে অতিরিক্ত বৈঠক করবেন।

আমরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চাই না: আরাকচি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং ইসরায়েলের যেকোনো শত্রুতাপূর্ণ আচরণের সম্ভাবনা বিবেচনা করছি। আমেরিকার অনুমোদন ছাড়া ইসরায়েল কখনোই ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারত না। নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী এবং সে প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েলই এ অঞ্চলের প্রকৃত শত্রু।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আগ্রহী নই; পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমেও আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

‘পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ’

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত মাসে (অক্টোবর) তারা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার সবচেয়ে সহিংস সময় প্রত্যক্ষ করেছে, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, যয়তুন কাটার মৌসুমে এই হামলাগুলোর বৃদ্ধি বহু ফিলিস্তিনি পরিবারের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে ফেলেছে।

ট্রাম্পের হুমকি: নাইজেরিয়ায় সামরিক হামলার আশঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার “ট্রুথ সোশ্যাল” প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন: “যদি নাইজেরিয়া সরকার খ্রিস্টানদের হত্যাকাণ্ড চলতে দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে দেশটিতে সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করবে।”

তিনি আরও সতর্ক করেছেন, পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়ায় সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে, যাতে এই ভয়াবহ অপরাধে জড়িত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়।”

আমেরিকা ও ইসরায়েলকে কঠিন শিক্ষা দিয়েছি: ইয়েমেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

ইয়েমেনের “পরিবর্তন ও পুনর্গঠন সরকার”-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিফতাহ বলেছেন, “ইয়েমেন- আমেরিকা ও ইসরায়েলিদের সঙ্গে লড়েছে এবং তাদের কঠিন শিক্ষা দিয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমেরিকা যখন জোট, সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধবিমান ও ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়ে অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল, শেষ পর্যন্ত তারা অপমানিত হয়ে সমুদ্র থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

ইসরায়েলের নতুন হামলা: দক্ষিণ লেবাননে চারজন নিহত

লেবাননের “আল-মায়াদিন” টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহ জেলার দোহা কাফররমান এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চারজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট ‘নেসেট’।

তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারত্ব চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।

গত ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণের ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতীয় পণ্যে কি শুল্ক ৫০ থেকে কমে ১৫-১৬ হতে যাচ্ছে?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গের টেলিফোনে কথা বলেছেন। দীপাবলি উপলক্ষে দুই নেতার কথা হয়।

ভারতীয় সময় আজ (বুধবার) ভোররাতে সেই কথোপকথনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই একটি ভারতীয় গণমাধ্যম তিন ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, অচিরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ধার্য মার্কিন শুল্ক ৫০ থেকে কমে ১৫-১৬ শতাংশ হতে চলেছে।

ইংরেজি গণমাধ্যম ‘মিন্ট’ আজ ভোর ছয়টার সময় এ খবর দেয়। তারা বলে, বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আছেন এমন তিন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা শুল্ক কমানোর এই নিশ্চয়তার খবর পেয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। শুল্ক কমানোর শর্ত হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন চায়, রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত সস্তায় জ্বালানি কেনা বন্ধ করুক। জ্বালানি কেনার কারণেই শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ।

আজ বুধবার দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প। সে খবর জানিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আজই তার সঙ্গে মোদির কথা হয়েছে। দুজনের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশির ভাগই বাণিজ্যসংক্রান্ত। বাণিজ্য আলোচনার চরিত্র কেমন ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে পুরোনো দাবির কথা তিনি নতুন করে তোলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। অনেক বছর ধরেই উনি আমার ভালো বন্ধু। মোদি বলেন, রাশিয়া থেকে খুব বেশি তেল তারা কিনবেন না। তিনিও আমার মতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান।

সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্পের মন্তব্যের পরপরই আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক্স’ হ্যান্ডলে এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই পোস্টেই মোদি লেখেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ ঐকবদ্ধভাবে দাঁড়াবে।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি ঝুলে আছে প্রধানত কৃষি ও ডেইরি ক্ষেত্রে বোঝাপড়া না হওয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ভারতের কৃষিক্ষেত্র মার্কিন পণ্যের জন্য উন্মুক্ত হোক। ডেইরিক্ষেত্রও। অথচ তা করতে ভারতের আপত্তি তীব্র। কৃষিক্ষেত্র নিয়ে কোনো রকম সমঝোতা না করার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্যে বারবার ঘোষণা করেছেন। এমন কথাও বলেছেন যে এ জন্য যেকোনো রকমের ত্যাগ স্বীকারেও তিনি প্রস্তুত।

ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাতে ‘মিন্ট’ বলেছে, দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া অনুযায়ী জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয় এমন ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানিতে ভারত ছাড় দিতে পারে। ভারত নীতিগতভাবে জিনগতভাবে পরিবর্তিত (জিএম) শস্যের চাষ ও বাজারজাত করার বিরোধী। জৈব জ্বালানির ব্যবহার কমাতে ভারত কিছুদিন ধরে পেট্রল ও ডিজেলে ইথানল মেশাচ্ছে। ভারতে আখ থেকে প্রয়োজনীয় ইথানল প্রস্তুত হচ্ছে। মার্কিন ভুট্টা এলে তা থেকেও ইথানল প্রস্তুত করা যেতে পারে। তা ছাড়া তা পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

চীন হুট করে মার্কিন ভুট্টা আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভুট্টা রপ্তানির ওপর জোর দিচ্ছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন ৫২০ কোটি ডলারের ভুট্টা আমদানি করেছিল। ২০২৪ সালে তারা আমদানি করেছে মাত্র ৩৩ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যের ভুট্টা। ঝুপ করে ভুট্টা রপ্তানি ১ হাজার ৮৫৭ কোটি ডলার থেকে কমে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলারে নেমে যাওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন বিপাকে পড়েছে। কারণ, ভুট্টা প্রধানত চাষ হয় রিপাবলিকান রাজ্যগুলোয়।

ওয়াকিবহাল সূত্র অনুযায়ী, মানুষ ও পশুখাদ্য হিসেবে জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয়, এমন সয়াবিন আমদানিও ভারত বাড়াতে রাজি হয়েছে।

চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে (২৬-২৮ অক্টোবর) মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকের অবসরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা হতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে সেখানেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক হবে। অবশ্য মোদি যে আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন, তা এখনো সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি।#

সূত্র: পার্সটুডে




রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ইরানি কারী ইসহাক আবদুল্লাহি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৩তম আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় ইরানের কোম প্রদেশের (মধ্য ইরান) একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।

ইসহাক আবদুল্লাহি”, কোম প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী এবং হযরত মাসুমেহ (সা.)-এর মাজার ও জামকারান মসজিদের তিলাওয়াতকারী ও মুয়াজ্জিন।  তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার এই পর্বে প্রথম স্থান অর্জনে সফল হয়েছেন।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতাটি ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (২৩ থেকে ২৬ মেহের, চলতি ফার্সি বছর) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আব্দুল্লাহি প্রতিযোগিতার মান এবং বিচারকদের নির্ভুলতাকে অত্যন্ত উচ্চমানের বলে বর্ণনা করে বলেন: “বিচারকদের কঠোরতা সত্ত্বেও, আমি খুশি যে আমি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং লেবাননের শক্তিশালী আবৃত্তিকারদের সাথে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি।”

ইসহাক আবদুল্লাহি পবিত্র কুরআন বিষয়ক একজন শিক্ষক এবং ইরানের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজ ও রেড ক্রিসেন্ট কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি হযরত মাসুমা (সা.)-এর পবিত্র মাজারের প্রতিনিধি হিসেবে তৃতীয় কারবালা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তাহক্বিক-তেলাওয়াত (মাঝারি গতিতে তিলাওয়াত) বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। #

সূত্র: পার্স টুডে




যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ৪৭ বার ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে। গাজার সরকারি তথ্য অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার গাজায় সরকারি তথ্য অফিস ঘোষণা করেছে: গাজায় ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

গাজার সরকারি তথ্য অফিসের মতে, ইহুদিবাদী ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো থেকে শুরু করে বোমা হামলা এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




রাফাহ ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও জারি রয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। গেল ১০ অক্টোবর চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।

গোলাবর্ষণ, টার্গেট হামলা ও বেসামরিকদের ওপরগুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ট্যাংক, ড্রোন ও সেনা যান।

শেজাইয়া, আল-তুফাহ ও যায়তুনেসেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। খান ইউনিস থেকেও সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

এই অবস্থার মধ্যে গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফাহ সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, হামাস এখনো সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়।

ফিলিস্তিনি দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গেল সোমবার থেকে রাফাহ খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। স্বাধীনতাকামী সংগঠনের দাবি করেছে যে রাফাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন।

রাফাহ সীমান্ত পুনরায় খোলা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বন্ধ করে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করা।

হামাস শনিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখলে বন্দিদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার রাতে গাজায় আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।




আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলা, ৭ পাক সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেশী আফগানিস্তনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অস্থায়ী যুদ্ধবরতির শেষ দিনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি সামরিক ক্যাম্পে সশস্ত্র গ্রুপের হামলায় পাঁচ সেনা নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন জঙ্গি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি একটি সামরিক শিবির হিসেবে ব্যবহার করা একটি দুর্গের প্রাচীরে আঘাত করে। এ সময় অন্য দুজন ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তারা নিহত হয়।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিককোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্দেশে  তালেবান সরকার পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি যখন ভারত সফরে ছিলেন, তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর ১টায় এই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পাক-আফগান সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য বল এখন তালেবান সরকারের কোর্টে।




দুই বছর যুদ্ধ করেও আমরা জিততে পারিনি গাজা এখন হামাসের হাতে: ইসরায়েলি সাংসদ

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

ভঙ্গুর যুদ্ধ-বিরতি পরিস্থিতি! ইসরায়েলের নতুন ব্যাপক হামলা কি আসন্ন?

যদিও ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এখনও গাজা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী মেনে চলছে এবং ইহুদিবাদী বন্দীদের ফিরিয়ে দিয়েছে তা সত্ত্বেও, ইসরায়েলি যুদ্ধমন্ত্রী বলেছেন: “যদি হামাস চুক্তি বাস্তবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে আবারও যুদ্ধে ফিরে যাব।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইস্রায়েল কাট‌্জ‌্ ঘোষণা করেছেন: “যুদ্ধ পুনরায় শুরু হলে হামাসকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য আমি সেনাবাহিনীকে একটি বিস্তৃত সামরিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছি।”

কাটজ আরও দাবি করেছেন যে গাজা অস্ত্রমুক্ত না হওয়া এবং ইসরায়েলের জন্য কোনও হুমকি না হওয়া পর্যন্ত আমরা গাজার সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর সাথে কাজ করব।

ইসরায়েলি যুদ্ধমন্ত্রী বলেন যে হামাস গাজা যুদ্ধবিরতির সমস্ত বিধান মেনে চলে এবং ইহুদি বন্দীদের ফিরিয়ে দিয়েছে, তবে হামাসকে অবশ্যই নিহত সকল বন্দীর মৃতদেহ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী আবার আক্রমণ শুরু করতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় সিএনএন-এর সাথে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন: “হামাসের সাথে যা ঘটছে, তা দ্রুত সমাধান করা হবে।”

গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে হামাসকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলি ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর, অনেক বিশেষজ্ঞ এবং ইসরায়েলি বিশ্লেষক স্বীকার করেছেন যে ইসরায়েল প্রতিরোধ আন্দোলনকে ধ্বংস এবং গাজাকে নিরস্ত্র করার লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমানে, অনেক ইহুদিবাদী বিশ্লেষক, দুই বছরের গাজা যুদ্ধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে ইসরায়েলের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে, গাজায় হামাস আন্দোলনের টিকে থাকা, এর অবিসংবাদিত শক্তি হওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ইহুদিবাদী বিশেষজ্ঞ ওরিট পার্লফ বলেন: “হামাসের কোন বিকল্প নেই এবং গাজার জনগণ এই আন্দোলনকে সমর্থন করে।”

তিনি আরও বলেন: “এখন, হামাস তার শক্তির শীর্ষে রয়েছে, ইসরায়েল যে সমস্ত বিকল্প তৈরি করার চেষ্টা করছিল তা ধ্বংস করার জন্য ময়দানে প্রবেশ করেছে হামাস।”

এই ইহুদিবাদী বিশেষজ্ঞ আবারও জোর দিয়ে বলেছেন যে হামাসের কোন বিকল্প থাকবে না, তিনি বলেন: “হামাস উত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছে, এবং এই উপত্যকার জনগণ হামাসের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে।”

সম্প্রতি, ইসরায়েলি পার্লামেন্টের (নেসেট) সদস্য অমিত হালাভিও বলেছেন: “হামাসের কাছে আমরা পরাজিত হয়েছি; এই আন্দোলন তার সর্বশক্তি দিয়ে গাজায় তার শক্তি প্রদর্শন করছে; আমরা দুই বছর ধরে নিজেদেরকে প্রতারিত করেছি, কিন্তু আমরা জিততে পারিনি, এবং এখন গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে।” #

সূত্র: পার্স টুডে




যুদ্ধবিরতির পর কেমন হতে যাচ্ছে গাজার শাসনব্যবস্থা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্য দিয়ে টানা দুই বছরের ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাচ্ছে গাজাবাসী। এখন আলোচনা হচ্ছে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে দ্বি-স্তরভিত্তিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে- নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ফিলিস্তিনি কমিটি দেখভাল করলেও, অর্থনীতি আর প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ‘বোর্ড অব পিস’। যার নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

তবে, এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় বিদেশি শাসন মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলো।

এমতাবয়স্থায় প্রশ্ন উঠছে, কেমন হতে যাচ্ছে গাজার শাসনব্যবস্থা?

এদিকে, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পর গাজা উপত্যকা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল। নিজ ভূমিতে ফিরছে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। চলছে হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলিদের মুক্তির প্রক্রিয়াও।

এতোসব অগ্রগতি সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি চুক্তির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই রয়েছে অস্পষ্টতা। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনা হচ্ছে যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনব্যবস্থা নিয়ে। হামাসকে বাদ দিয়ে সেখানে একটি দুই-স্তরের শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. সানাম ওয়াকিল বলেন, ‘শুনেছি গাজায় একটি দ্বি-স্তরীয় শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, উপত্যকার দৈনন্দিন সেবা পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনিদের একটি কমিটি। ওপরে থাকবে ‘বোর্ড অব পিস’। যার নেতৃত্বে থাকবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। ফিলিস্তিনি কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। কার্যত এটিই হবে গাজার অঘোষিত সরকার।’

ট্রাম্পের ২০ দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে দৃশ্যমান অগ্রগতির চেয়ে প্রশ্নই বেশি। ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠন করার কথা বলা হয়েছে। হামাসের নিরাস্ত্রীকরণ, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও একটি ফিলিস্তিনি নাগরিক পুলিশ বাহিনী গঠনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে তারা। তবে, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।’

ড. সানাম ওয়াকিল আরও বলেন, ‘এই পরিকল্পনা এখনই স্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা দিতে পারবে এমনটা মনে হচ্ছে না। সম্ভাবনা থাকলেও পরিকল্পনায় এখনো ফাঁক রয়ে গেছে। এখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোযোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক নীতিনির্ধারকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।’

তবে বিশ্লেষকদের মতে, শুধু শাসনব্যবস্থাই নয়, হামাসের নিরস্ত্রীকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশকিছু বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি প্রস্তাবে।

এদিকে, এক যৌথ বিবৃতিতে গাজার শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ফিলিস্তিনিদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) এবং দ্য পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)। এ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপ মানতে নারাজ তারা।

এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজায় স্থায়ী শান্তি ফিরবে কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফার আলোচনায় অংশ নিতে মিসরে যেতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।




ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম, আজই ফিরছেন দেশে

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তুরস্কে চলে এসেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।

স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) শহিদুল আলমকে বহনকারী ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক জানিয়েছেন। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত আমানুল হক জানিয়েছেন, আজই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছেন শহিদুল আলম। ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। ওই ফ্লাইটে দেশের পথে যাত্রা করবেন শহিদুল আলম। ফ্লাইটটি আগামীকাল শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নাগরিক অধিকার নিয়েও সোচ্চার তিনি। গাজা অভিমুখী একটি নৌবহরে অংশ নিয়ে গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন শহিদুল আলম।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে ওই নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়। ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

কারামুক্ত হয়ে শহিদুল আলম আজই ইসরায়েল থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।#