ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘নিরন্তর গভীরতর মানবিক সংকট’ নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

জ্যামাইকান সরকার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।”

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ ‘সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জ্যামাইকা। সূত্র: আল জাজিরা, জ্যামাইকা অবজার্ভার, টিআরটি ওয়ার্ল্ড




ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২০০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ডিএনবি আন্তর্জাতিক নিউজ:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের প্রত্যাহার করার পর সে সমস্ত এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহর থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের প্রত্যাহারের সময় ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং প্রায় ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

তিনি জানান, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের সময় দখলদার সেনারা বুলডোজার দিয়ে মাটি খুঁড়ে বহু মৃতদেহ চাপা দিয়েছে। এসব নিহত ব্যক্তির বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিল।

গাজা উপত্যকা জুড়ে দখলদার সেনারা জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে মন্তব্য করে বাসাল জানান, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার আগে তাদেরকে স্বজনদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইহুদিবাদী সোনারা। হত্যার পর গাজার বহু মানুষকে দখলদাররা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। আগাম নির্বাচন আয়োজন ও গাজায় হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আবিবে এই বিক্ষোভে হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ১৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ জানান। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইয়ালন পিকম্যান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। এই সরকার আমাদের শুধু অধঃপতনের দিকে নিচ্ছে।’

বিভিন্ন জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

জনমত জরিপগুলোতে বলা হচ্ছে, এখন ইসরায়েলে নির্বাচন হলে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করা হয়। তবে এখনও ১৩৩ জন জিম্মি হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে।

অপরদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিহত হয়েছে। তবে সমস্ত জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।




জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার দাবি ইরান ও ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। একে অন্যকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দোষারোপ করেছে দেশ দুটি।

পাশাপাশি দুই দেশই তাদের চিরশত্রু হিসেবে একজন আরেকজনকে উল্লেখ করে নিরাপত্তা পরিষদকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য দাবি জানিয়েছে।

ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রবিবার নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই হামলার মধ্য দিয়ে মুখোশ খুলে গেছে তাদের। ইরান হল বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। এই অঞ্চল ও বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে তাদের সত্যিকার চেহারা বেরিয়ে এসেছে।”
এ সময় তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান।

আরডান নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে অনেক দেরি হওয়ার আগেই সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।

এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, “ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”

ইরাভানি বলেন, “তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনও উপায় ছিল না।”

তিনি জানান, যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক তা ইরান চায় না। তবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশ সাড়া দেবেই। সময় এসেছে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব পালন করার, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকিকে মোকাবিলা করার।পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ‘অতি জরুরি’ বৈঠক ডেকেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী মঙ্গলবার তারা এ বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বেরেল জরুরি এই বৈঠক ডাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জোসেপ বোরেল লিখেছেন, ওই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যাতে অবদান রাখতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্র: এনডিটিভি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল




উত্তেজনা চরমে; ইসরায়েলে হামলায় প্রস্তুত ইরানের শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরান হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

এদিকে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবারের মধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের একটি বড় হামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলিদের পক্ষে এমন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে।

যদি ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইরান, তাহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- এটি ইরানের মিত্র হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে গড়াতে পারে।




গাজায় ১৯৬ ত্রাণকর্মীকে হত্যা : নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের নিহতের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

সম্প্রতি গাজার দেইর আল বালাহতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ৭ জন ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়া, তিন জন ব্রিটেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন পোল্যান্ডের এবং একজন ফিলিস্তিনের নাগরিক।

ইসরায়েল প্রথমে এ ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নতি স্বীকারে বাধ্য হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায় এবং দুই জন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে।

শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সংক্রান্ত বিবৃতি জারির কয়েক ঘণ্টা পর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েলের সরকার তাদের ভুল স্বীকার করেছে। এটা ইতিবাচক, তবে কে ভুল করেছে— তা মূল ব্যাপার নয়। মূল ব্যাপারটি হলো (ইসরায়েলি বাহিনীর) রণকৌশল এবং পদ্ধতি— যে কারণে এ ধরনের ঘটনা গাজায় প্রতিদিন বার বার ঘটছে।’

‘গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ১৯৬ জন ত্রাণকর্মী। আমরা প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। আমরা জানতে চাই— কেন তাদের হত্যা করা হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ১ হাজার হামাস যোদ্ধা। তারপর সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে, পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ হাজার। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

সূত্র : রয়টার্স




ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি খামেনির

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, সাহসী ইরানি যোদ্ধারা ইসরায়েলকে শাস্তির মুখোমুখি করবেই। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক ‍উপদেষ্টাদের হত্যার অপরাধের জন্য তাদেরকে অবশ্যই অনুশোচনায় ভুগতে হবে।

খামেনি আরো বলেছেন, কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার সহকারী মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিকে দখলদার ও জঘন্য ইসরায়েলই হত্যা করেছে।

খামেনি বলেছেন, ‘আমাদের সাহসী যোদ্ধারা শয়তান রাজ্যকে শাস্তির মুখোমুখি করবেই। আমরা তাদের তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করতে বাধ্য করবো।’

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মঙ্গলবার সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তিনি।

দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় রাইসি বলেছেন, ‌‌‘এই কাপুরুষোচিত হামলার উত্তর না দিয়ে ছাড়া হবে না।’

রাইসি বলেছেন, ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে বারবার পরাজিত হয়ে এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ইহুদিবাদীরা অন্ধভাবে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের টিকে রাখার সংগ্রাম করছে তারা।’

রাইসি আরো বলেছেন, ‘দিনের পর দিন আমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্তি দেখছি। মুক্ত ও স্বাধীন দেশগুলো ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা পোষণ করছে। এই কাপুরুষোচিত হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’




ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৬ জাহাজে হাউছিদের হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিভিন্ন জাহাজে একের পর এক হামলা করছে হাউছি বিদ্রোহীরা। তারা অবরুদ্ধ গাজায় স্থায়ী যুক্তবিরতির দাবিতে এ আক্রমণ চালাচ্ছে বলে তাদের মুখপাত্র জানিয়েছে।

এদিকে ইয়েমেনভিত্তিক হাউছি যোদ্ধাদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের বাহিনী লোহিত সাগর ও ইডেন উপসাগরে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ছয়টি জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, লোহিত সাগর অতিক্রম করার সময় তাদের নৌ ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগর ও ইডেন উপসাগরে মায়েস্ক সারাটোগা, এপিএল ডেট্রোয়ট, হুয়াঙ পু ও প্রেটি লেডি নামের জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের এবং তৃতীয় ও চতুর্থ জাহাজ ব্রিটেনের।

তিনি আরো দাবি করেন, লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে হামলা চারিয়েছে। আর তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের ইলাত নগরীর বিভিন্ন টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। তারা জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইল যত দিন অবরোধ আরোপ করে রাখবে, তারা হামলা অব্যাহত রাখবে।

হাউছিরা দাবি করছে, হুয়াঙ পু জাহাজটি ব্রিটিশ। তবে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, এটি চীনা মালিকানাধীন জাহাজ।

গত পাঁচ মাসে হাউছিরা লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেব প্রণালী এবং ইডেন উপসাগরে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

গত রোববার হাউছিরা দাবি করে, তারা রাশিয়া ও চীনকে বলেছে যে তাদের লোহিত সাগর বা অন্য কোনো স্থানে তাদের জাহাজে হামলা করা হবে না। তারা কেবল ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত ও ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালাবে। সেইসাথে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোও তাদের টার্গেট হবে।

সূত্র : আরব নিউজ




বাংলাদেশি আলেমের হাতে ইসলাম গ্রহণ করলেন জনপ্রিয় মার্কিন র‌্যাপার

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জনপ্রিয় মার্কিন র‌্যাপার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বিং বং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের আস-সাফা ইসলামিক সেন্টারের মসজিদে বিশাল জমায়েতের সামনে প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।

তাকে কালেমা পাঠ করান ওই মসজিদের খতিব বাংলাদেশের মুফতি লুৎফর রহমান কাসিমী। কালেমা গ্রহণের পর ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষাও দেন তিনি।

বিং বংয়ের ইসলাম গ্রহণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের খতিবের সঙ্গে তিনি কালিমা পাঠ করছেন।

বিং বংয়ের আসল নাম ট্রাভিস ডোয়লে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি গরিলা ন্যামস নামে পরিচিত। বিং বং মার্কিন র‌্যাপার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, উদ্যোক্তা ও ওয়েব সিরিজের প্রযোজক।

ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম এখন হামজা। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সব ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।

আস-সাফা ইসলামিক সেন্টারের খতিব মুফতি লুৎফর রহমান কাসিমী বলেন, জনপ্রিয় র‌্যাপার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বিং বং রমজানের প্রথম সপ্তাহে একদিন ইফতারের আগে আমাদের সেন্টারে এসে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন।  আমি তাকে কালিমা পড়াই ও ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করি। মুসলিম নামগুলোর মধ্যে তিনি হামজা নামটি পছন্দ করেছেন।

এর আগে চলতি রমজানে যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট শন কিং ও আরেক র‌্যাপার লিল জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন।




আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর কাসসাম ব্রিগেডের হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সেনা ও গাড়ির ওপর হামলা চালানোর দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, হামাসের সশস্ত্র শাখাটি জানিয়েছে, মধ্য গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে তীব্র স্থল লড়াই চলছে।

কাসসাম ব্রিগেডস বলেছে, তারা মর্টার শেল ব্যবহার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশেপাশের একটি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টাকারী শত্রু বাহিনীকে ধ্বংস করেছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, অবরুদ্ধ হাসপাতালের আশপাশে একটি ভবনের ভেতরে ব্যারিকেড রাখা একদল ইসরায়েলি সেনাকে রকেট আঘাত করলে অজ্ঞাত সংখ্যক সেনা নিহত ও আহত হয়।

যোদ্ধারা ইয়াসিন-১০৫ ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে ওই এলাকায় সামরিক যান লক্ষ্য করে হামলা চালায়।