ইরান না থাকলে ইসরাইলের প্রকাশ্য ও গোপন ষড়যন্ত্র থেকে বিশ্বকে বাঁচাবে কে?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসরাইল বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ায় “পোড়া মাটি” নীতি অনুসরণ করে আসছে। গাজা উপত্যকায় লাগাতার বোমা হামলা এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা এবং সিরিয়ায় বিমান হামলা পর্যন্ত সবকিছুই এ অঞ্চলে ইসরাইলের অস্থিতিশীলতা নীতিরই অংশ।

‘ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিশ্বকে নাজাত দিতে পারে ইসরাইল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে একটি ইহুদি সংস্থার গবেষক ইয়াকুব কাতজ অসাধারণ আত্মবিশ্বাসের সাথে এবং ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দাবি করেছেন যে, ইসরাইল এককভাবে বিশ্বকে “হুমকি” থেকে বাঁচাতে প্রস্তুত। ইরানের”। কিন্তু মূল প্রশ্ন হল: ইরান যদি না থাকে তাহলে কে পৃথিবীকে সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি অর্থাৎ ইসরাইলের হাত থেকে বাঁচাবে? ইসরাইলের প্রকাশ্য ও গোপন ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবে? যে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বের স্বাভাবিক রাজনীতিকে ব্যবহত করছে এবং পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের একটি অংশকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করেছে?

ইসরাইল, এমন একটি অশুভ শক্তি যার প্রভাবে বিশ্ব রাজনীতি ব্যাহত হচ্ছে

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশ্বব্যাপাী বহু সংঘাতে ইসরাইলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এমনকি জাতিসংঘে ইহুদিবাদীদের প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিকে ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। AIPAC-এর মতো শক্তিশালী ইহুদিবাদী লবি যা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে ইসরাইলের সেবায় পরিণত করেছে যার ফলে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে যা কিনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরইলের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ।

উদাহরণস্বরূপ, বিগত দশকগুলোতে ইসরাইল পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর জন্য কল্যাণকর হবে এমন কোনও জোট বা চুক্তিতে পৌঁছার পথে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। কিছু আরব দেশে প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ইসরাইল এ ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। ব্যাপক “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” আছে এমন ভিত্তিহীন দাবি তুলে ২০০৩ সালে ইরাকে যে হামলা চালানো হয়েছিল তার পেছেন ইহুদিবাদীদের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। আর এর ফলে ইরাকের ধ্বংস এবং এইএস’র মতো জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আবির্ভাব ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

গণহত্যা এবং পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের বিস্তার

ইসরাইল বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ায় “পোড়া মাটি” নীতি অনুসরণ করে আসছে। গাজা উপত্যকায় লাগাতার বোমা হামলা এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা এবং সিরিয়ায় বিমান হামলা পর্যন্ত সবকিছুই এ অঞ্চলে ইসরাইলের অস্থিতিশীলতা নীতিরই অংশ।

গাজা উপত্যকার বর্তমান অবস্থা এবং এই এলাকাটি ২০ লাখ মানুষের উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করা ইসরাইলের নৃশংসতার প্রতীক। এই অঞ্চলে ক্রমাগত আগ্রাসন এবং এর বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য পশ্চিমের ওপর ইসরাইলের অব্যাহত চাপ তেলআবিবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। তবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরাইলের ব্যাপক প্রভাবের কারণে বিশ্ব গাজা ইস্যুতে নীরব রয়েছে।

পার্সটুডে/




ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা না করায় ভারতকে অসহযোগী দেশের তালিকাভুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা আইসিই অভিযোগ করেছে, ভারত সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগী দেশের তালিকায় আরো আছে- ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনিজুয়েলা।

এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলো ভারত।

আইসিই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতের নাগরিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট ও অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা।




সিরিয়ার ঘটনাবলীর যৌথ কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে: সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে।

এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) ইমাম খোমেনি হোসাইনিয়ায় ইসলামি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ সাক্ষাৎ করেছেন।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ পরিকল্পনার ফসল। হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে এবং করে যাচ্ছে-সবাই তা দেখছে। কিন্তু নি:সন্দেহে মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। তিনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সাথে ইহুদিবাদী ও আমেরিকার আচরণকে এর অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন: তারা যদি সিরিয়ার ঘটনার মূল হোতা না হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য দেশের মত তারা কেন নীরব থাকল না? কেন তারা শত শত স্থাপনা, বিভিন্ন কেন্দ্রের অবকাঠামো, বিমানবন্দর, গবেষণা কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করার মতো অযাচিত হস্তক্ষেপ করলো?

ঘটনার প্রথম দু’য়েক দিনেই সিরিয়ার ৭৫টি পয়েন্টে হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে আমেরিকা। বিপ্লবের নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন: তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদীরাও সিরিয়ার ভূমি দখল করে তাদের ট্যাংক নিয়ে দামেস্কের কাছাকাছি চলে এসেছে। যেই আমেরিকা অন্যান্য দেশের ছোটখাটো সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়, তারা একটু প্রতিবাদও তো করলো না, উল্টো বরং তারা সাহায্য করেছে। তো, সিরিয়ার এই ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না যে এইসব দুর্ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে?

হজরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদীদের জড়িত থাকার আরেকটি প্রমাণ ব্যাখ্যা করে বলেন: শেষের দিনগুলোতে সিরিয়ার একটি অঞ্চলের জনগণের জন্য-বিশেষ করে জয়নাবিয়াহ-এলাকার জন্য কিছু সাহায্য ও ত্রাণ পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদীরা সমস্ত স্থলপথ এবং বিমানপথ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা এবং ইহুদিবাদীরা ওই সাহায্যগুলোকে ফ্লাইটের মাধ্যমেও আকাশপথে স্থানান্তর করতে দেয় নি। যদি তারা সিরিয়ার ঘটনার নেপথ্যে না থাকবে এবং কোন সন্ত্রাসী বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে, তাহলে তারা সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করা বন্ধ করল কেন?

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: প্রতিরোধ ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্য হলো: যত বেশি ধাক্কা দেবেন, তত তারা শক্তিশালী হবে। যত বেশি অপরাধযজ্ঞ চালাবেন, তত বেশি উদ্যমী হবে। আপনি তাদের সাথে যত বেশি লড়াই করবেন, তত বেশি তারা বিস্তৃত হবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের পরিধি গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে আগের চেয়ে বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। এই পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

প্রতিরোধের অর্থ সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, তারা মনে মনে ভাবে, যখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন ইসলামি ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায়, ইরান অনেক শক্তিশালী এবং সামনের দিকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

অবশ্য যেসব আগ্রাসীর কথা উল্লেখ করলাম তাদের প্রত্যেকেরই একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়ার উত্তর বা সিরিয়ার দক্ষিণ থেকে ভূমি দখল করতে চাচ্ছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে,এগুলোই তাদের লক্ষ্য। সময়মতো দেখা যাবে তাদের এইসব লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জিত হবে না ইনশাআল্লাহ। সিরিয়ার দখলকৃত এলাকা মুক্ত হবে উদ্যমী সিরিয়ান যুবকদের মাধ্যমে; এটা যে ঘটবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমেরিকার অবস্থানও মজবুত হবে না, আল্লাহর রহমতে, আমেরিকাকেও প্রতিরোধ ফ্রন্টের মাধ্যমে এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হবে।

তিনি গত ১৪ মাসের চাপে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইসলামি জিহাদ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি বাহিনী শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই শক্তিশালী হবার ঘটনাকে সত্যের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বিপর্যয়ের চাপ এবং সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর ক্ষতি খুব ভারী ছিল, কিন্তু হিজবুল্লাহর শক্তি এবং মুষ্টি আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে এবং এই সত্য উপলব্ধি করে তারা যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি ইহুদিবাদীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাকে জাতিগুলোর জন্য লাল রেখা বলে উল্লেখ করে বলেন: ইহুদিবাদী এবং তাদের সহযোগীদের জানা উচিত; ঐশি নিয়ম অনুসারে অপরাধ কখনও বিজয় নিয়ে আসে না। আজ সেই ঐশি নীতি এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে গাজা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর এবং লেবাননে।

বহু বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: একটি বিষয় যা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীই জানে না তা হলো, সিরিয়া সরকারকে আমাদের সাহায্যের আগে, অর্থাৎ পবিত্র প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যখন সবাই সাদ্দামের পক্ষে এবং আমাদের বিপক্ষে কাজ করছিল, সিরিয়া সরকার তখন ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছিল। সিরিয়া সরকার ওই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ইরাক থেকে ভূমধ্যসাগরে তেলের পাইপলাইন বন্ধ করে দেয় এবং সাদ্দামকে তার আয় থেকে বঞ্চিত করে।

তিনি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি যুবকদের উপস্থিতি এবং কিছু ইরানি কমান্ডারের উপস্থিতির কারণ হিসেবে আইএসআইএস মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে বলেন: আইএসআইএস ছিল নিরাপত্তাহীনতার একটি বোমা। তারা সিরিয়া ও ইরাককে নিরাপত্তাহীন করার পর আমাদের দেশকেও নিরাপত্তাহীন করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে কাজ করছিল।

আমাদের কর্মকর্তারা খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীযাত্রা বন্ধ করা না হলে নিরাপত্তাহীনতা পুরো ইরানকে ছেয়ে ফেলবে। তাদের সন্ত্রাসী বিপর্যয়ের উদাহরণ আপনারা আমাদের সংসদ, শাহচেরাগ এবং কেরমানের ঘটনাগুলোতে দেখেছেন।

সিরিয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন: প্রথম শিক্ষা হল শত্রুকে অবহেলা না করা। সিরিয়ায় শত্রুরা খুব দ্রুত কাজ করেছে কিন্তু তাদেরকে গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেই দেওয়া উচিত ছিল এবং তা প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কয়েক মাস আগে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন: ইসলামি বিপ্লবের ৪৬ বছরে আমরা ছোট-বড়ো অনেক কঠিন ঘটনা ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, যেমন সাদ্দামের বিমান তেহরান বিমানবন্দরে বোমাবর্ষণ করেছিল এবং জনগণের হৃদয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সমস্ত তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হবার পরও ইসলামী প্রজাতন্ত্র এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্ক্রিয় হয় নি।

সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বক্তৃতার শেষে ইরানের জনগণকে সক্রিয় ও সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন: আল্লাহর রহমতে এ অঞ্চলে ইহুদিবাদ এবং তাদের পশ্চিমা খবিসদের মূল উৎপাটন করা হবে।

# সূত্র: পার্সটুডে




স্বৈরশাসকের পতন, সিরিয়ার নিপীড়িত জনগণকে অভিনন্দন কাবার ইমামের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ দুই যুগ শাসনের পর পতন ঘটেছে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের। উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে ইতোমধ্যে পতন ঘটেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর। দেশটির সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ভবন দখল করে নিয়েছেন সশস্ত্র যোদ্ধারা।

একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিরীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার পর সেই স্থাপনাও দখলে নিয়েছেন তারা।

এর আগে যোদ্ধারা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েন। এরপরই বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

বাশার আল আসাদের পতন, সিরিয়ার জনগণের বিজয় উল্লাসকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরীফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারী। তিনি সিরিয়াসহ পৃথিবীর সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

তার নামে পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ায় শাসন করে আসছিলেন বাশার আল আসাদ। এর আগে তার বাবা হাফিফ আল আসাদ দেশটিতে শাসন করেছেন ২৯ বছর। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার মৃত্যু হলেই বাশার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।




‘প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে’

ডিএনবি নিউজ নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে। সরকার-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানী দামেস্কে পৌঁছানোর পর সামরিক কমান্ডের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

আজ (রোববার) সিরিয়ার সামরিক কমান্ডের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেছেন। এর আগে খবর বের হয় যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বিমানে করে রাজধানী দামেস্কের বাইরে অজানা কোনো গন্তব্যে চলে গেছেন।

এদিকে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘোষণা করেছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর তারা রাজধানীর দামেস্ক দখল করেছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি বিদ্রোহী গেরিলাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর বিষয়ের সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি আমার বাড়িতে আছি এবং দেশ ত্যাগ করিনি কারণ এটি আমার দেশ।”

ভিডিও বার্তায় তিনি আরো জানান, আজ সকালেও তিনি অফিসে যাবেন। তিনি সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি না করার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

# সূত্র: পার্সটুডে




ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির: মুসলমানের নিকট ফ্ল্যাট বিক্রিতে হিন্দুদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির সৃষ্টি করল ভারত। দেশটির মুরাদাবাদে টিডিআই সোসাইটিতে এক মুসলিম চিকিৎসকের ফ্ল্যাট বিক্রি করায় বিক্ষোভে নেমেছেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় সোসাইটির কলোনি গেটে সোসাইটি সভাপতি অমিত শর্মাসহ অনেকে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, ড. আশোক বাজাজ তার বাড়ি ড. ইকরা চৌধুরী নামে এক মুসলিম চিকিৎসককে বিক্রি করেছেন। তাই তারা বিক্ষোভে নেমেছেন। এসময় সোসাইটির সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ড. আশোক বাজাজ, আপনার বাড়ি ফেরত নিন।’

এনডিটিভিকে সোসাইটির এক বাসিন্দা বলেন, এটি একটি হিন্দু সমাজ, এখানে ৪০০-এরও বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না- মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখানে বসবাস করুক।

সোসাইটির আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ভীত যে, মালিকানা পরিবর্তন হলে সমাজের গঠন পরিবর্তন হবে। মুসলিমরা এখানে বসবাস করতে শুরু করলে হিন্দুরা চলে যেতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জ কুমার সিংহ বলেন, সোসাইটির সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন।




যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে লেবানন ও ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক।

মার্কিন মধ্যস্থতায় লেবানন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। আমেরিকার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ইসরাইলি সূত্র মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওসকে জানিয়েছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

তারা বলেছেন, “আমরা মনে করি আমাদের হাতে একটি চুক্তি আছে। আমরা একেবারেই গোল লাইনে রয়েছি কিন্তু আমরা তা এখনো পাস করতে পারিনি। মঙ্গলবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি অনুমোদন করতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত যেকোনো কিছুই ভুল হতে পারে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা অ্যামোস হোসেচটিন বলেন, তিনি মনে করেন, শিগগিরই লেবাননে যুদ্ধবিরতি হবে। এছাড়া, ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।

এদিকে, লেবাননের চারজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন আজ (মঙ্গলবার) যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেবেন। তবে এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। গত বুধবার হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছিলেন, তারা মার্কিন সরকারের তৈরি করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়া পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ইসরাইল এবং নেতানিয়াহুর ওপর নির্ভর করছে। তবে হিজবুল্লাহ আলোচনার পাশাপাশি যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।

# সূত্র: পার্সটুডে




ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী মসজিদে হত্যার দায় যোগী সরকারের: অখিলেশ যাদব

ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী জামে মসজিদ সমীক্ষা নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে দায়ী করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব।

হরিহর মন্দির ভেঙে শাহী মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এ অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের করা একটি মামলার দ্বিতীয় দফায় তদন্তে গেলে গতকাল সাধারণ মুসলমানরা তদন্ত কর্মকর্তাদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ঐ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, উপনির্বাচনের অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই ওই সম্ভলের মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগেও মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তারা সমীক্ষা করেছেন। তা নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছিল। তারপরও গতকাল আবার কেন সেখানে তদন্ত দল পাঠানো হলো?

অখিলেখ যাদব এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘সম্ভলে যা ঘটছে তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই তদন্ত দল পাঠিয়েছিল। যাতে একটা গোলমাল হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির নিয়ে তীব্র সংঘাত হয়,তারপর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আর এবার সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে সংর্ষের ঘটনা ঘটল। গল্প সেই একই-মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানোর অভিযোগ।

হরিহর মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৯ সালে মসজিদ তৈরি করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। ঐ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে ১৯ নভেম্বর প্রথম দফার তদন্ত শেষে গতকাল দ্বিতীয় দফার তদন্তে সেখানে যান সরকারি কর্মকর্তারা। আর তখন মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

পুলিশ বলেছে, রোববার প্রায় তিন শধাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের মসিজদে প্রবেশে বাধা দেয় ও ইট নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ তখন কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যদিও মসজিদের ইমাম বারবার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এর পরেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী।

# পার্সটুডে




জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়, এক বন্দুকধারী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ (রোববার) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেত্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রের বরাতে পেত্রার খবরে বলা হয়, আম্মানের রাবিয়াহ এলাকায় ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে একটি টহল পুলিশ দলের ওপর একজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি চালান। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এই এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিনিময়ের ঘটনার পরপরই কঠোর নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে ওই ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে ফেলে এবং অ্যাম্বুলেসগুলোকে ছুটতে দেখা যায়। পুলিশ পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মাঝেমধ্যেই রাবিয়াহ এলাকায় বিক্ষোভ করেন জর্ডানের জনগণ। তাদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাঁদের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।

জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে জর্ডানে চলে আসেন।

#সূত্র পার্সটুডে




ড্রোন হামলার ভয়ে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম’ থেকে কাজ করছেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন হামলার ভয়ে একটি “আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম” থেকে কাজ করছেন। ইসরাইলের চ্যানেল-টুয়েলভ এই খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে অধিকৃত জেরুজালেম আল-কুদস শহরে তার অফিসের বেইজমেন্টে অবস্থিত নিরাপদ কক্ষে “নিরাপত্তা সভা” করছেন। কিছুদিন আগে তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে। এর পর থেকে নেতানিয়াহু গোপন এই নিরাপদ কক্ষটি ব্যবহার করছেন।

ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর ড্রোন আটকাতে ব্যর্থ হলে নেতানিয়াহু এই আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষ ব্যবহার করা শুরু করেন। সেদিন ইসরাইলের কথিত হোম ফ্রন্ট কমান্ডও সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়।

এর আগে, আগস্ট মাসে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরাইলের উত্তরাংশে অনুপ্রবেশ করে নেতানিয়াহুর বাসস্থানের চিত্রগ্রহণ করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিউইয়র্ক সফর থেকে নেতানিয়াহু ইসরাইলে ফিরলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালায়।

এদিকে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে বেশি সময় নির্দিষ্ট কোনো অবস্থানে থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা আশংকা করছেন, নেতানিয়াহু কোনো এক স্থানে বেশিদিন ধরে অবস্থান করলে কিংবা বার বার একইস্থানে যাতায়াত করলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেখানে হামলা চালাতে পারে।#

পার্সটুডে