তেল আবিবের আকাশে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র; ইসরায়েলের অস্তিত্ব বিশ্বের জন্য হুমকি: ইরান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আলী বাহরাইনি কাতারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের সামরিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে নিযুক্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি কাতারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের সামরিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে বলেছেন, কাতারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে; আর এ বার্তা ইসরায়েলে জন্য নয় যার ইতিহাস পরিকল্পিত গণহত্যায় পরিপূর্ণ, বরং এটি আমাদের সকলের জন্য এটি একটি গুরুতর সতর্কীকরণ যে আমাদের নিষ্ক্রিয়তা এবং আইনি ও নৈতিক নীতিগুলি বজায় রাখতে আমাদের ব্যর্থতার ফলে একটি শয়তানি সত্তা বিশ্ব শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ধ্বংস করছে।

তিনি আরও বলেছেন: “এই বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে না, সভ্য জাতির ভাষা বোঝে না, আলোচনা, শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে না। দুই সপ্তাহ ধরে চলতে-থাকা ইসরায়েলি অপরাধ ও গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের স্থগিতাদেশ কেবল তখনই আসে যখন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পদক্ষেপ নেয়। যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কঠোর প্রতিক্রিয়া না দেখায়, তাহলে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদ অবিরাম গতিতে চলতেই থাকবে ও তা ক্যান্সারের টিউমারের মতো ছড়িয়ে পড়বে এবং এই অঞ্চলের সকল দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে।”

১৬টি দেশ গাজাগামী  বৈশ্বিক নৌ-বহর”সামুদ” এর নিরাপত্তা দাবি করেছে

এক যৌথ বিবৃতিতে ১৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার এবং সামুদ কনভয়ের বিরুদ্ধে যেকোনো অবৈধ পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এ বৈশ্বিক নৌ-বহর গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবীয় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসছে। তুরস্ক, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, পাকিস্তান, কাতার, ওমান, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে গাজার অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গঠিত বৈশ্বিক সংহতি বহরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তেল আবিবের আকাশে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র 

ইয়েমেনের হুদাইদা বন্দরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কয়েক ঘন্টা পরে ইয়েমেনি সেনাবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত অঞ্চলের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর তেল আবিব, জেরুজালেম এমনকি হাইফাতেও সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েল হায়োম সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর নেতানিয়াহুর বিমান জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

ইসরায়েলে মানসিক ওষুধের ব্যবহার ৩০% বৃদ্ধি

গাজা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সাথে সাথে এবং ইহুদিবাদীদের উপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে, গত বছরে তাদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হল মানসিক ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধি, যেমন বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ মোকাবেলার জন্য ওষুধ।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী: আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইইউ নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করি

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ভুর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে প্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে ব্রাসেলস ইসরায়েলর বিরুদ্ধে ইইউর সব নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করবে। ‘আমরা ইসরায়েলের উপর চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত যেকোনো নিষেধাজ্ঞাকে আমরা সমর্থন করি। এমনকি আমরা ফেডারেল সরকার পর্যায়েও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি,’ মঙ্গলবার বেলজিয়ামের সংসদে দেয়া এক ভাষণে ডি ভুর এ কথা বলেন। #

সূত্র:  পার্স টুডে




তেল আবিবে স্পর্শকাতর স্থাপনা লক্ষ্য করে ইয়েমেনি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলের গভীরে তেল আবিবের স্পর্ষকাতর লক্ষ্যবস্তুতে একটি ফিশন মাল্টি-ওয়ারহেড "ফিলিস্তিন-২" হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে যে তারা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের “গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের অপরাধ” এবং “ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাাসন”র প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে যে অভিযান “আল্লাহর করুণায় সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে” এবং ” লাখ লাখ দখলদার ইহুদিবাদীদের আশ্রয়স্থলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।” ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিরক্ষায় এবং “গাজার আমাদের অবিচল ভাইদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত” সমর্থন করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দিনের শুরুতে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে যে আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে।

ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইয়েমেন থেকে শুরু হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শনিবার ভোরে তেল আবিব এবং অধিকৃত অঞ্চলের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলোতে সাইরেন বাজিয়েছে। ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিষেবা আক্রমণ বা ধ্বংসাবশেষের আঘাতের ফলে সরাসরি কোনো আহত হওয়ার খবর দেয় নি।

পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী দাবি করে যে তাদের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রজেক্টাইলটিকে “প্রতিরোধ” করেছে। ইয়েমেনি সেনাবাহিনী “হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র” এবং তিনটি ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলি অবস্থানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিমান হামলার দায় স্বীকার করার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটে।

ইয়েমেনি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার বলেছেন যে নেগেভ মরুভূমিতে নির্ধারিত স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে আরো দুটি ড্রোন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইলাতের রামন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে । তিনি আক্রমণগুলোকে “সফল” বলে বর্ণনা করেছেন।

সূত্র: পার্সটুডে




আবারো দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। বিজয়পুর বিওপির ১১৪৮/৪ এস পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আড়াপাড়া এলাকায় পুশইন করানো হলে তাদের আটক করে বিজিবি। আটককৃতদের বাড়ি, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্রাগ্রাম, রাজবাড়ি, পটুয়াখালি, মৌলভীবাজার, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশইন করা হয় বলে জানিয়েছেন নেত্রকোণা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের দিল্লীতে কাজের জন্যে যায়। তাদেরকে দিল্লীর বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত করে গতকাল দিল্লীর নাজিরাবাদ বিমানবন্দর দিয়ে বিমানে করে আসামে আনা হয়। পরে তাদেরকে আজ ভোরে বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, হাবিলদার আব্দুল করিমের নেতৃত্বে একটি দল, সীমান্তে টহল দেয়ার সময় বিএসএফের পুশইন করা ওই ২১ জনকে আড়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। আমাদের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।




চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান

ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বলেছেন, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের প্রতি ঝুঁকছে। এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

গতকাল(মঙ্গলবার) ভারতের চিন্তক প্রতিষ্ঠান অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনিল চৌহান এ কথাগুলো বলেন।

জেনারেল চৌহান বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট বহিরাগত শক্তিদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে। ঋণ–কূটনীতির সাহায্যে প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে তারা ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। পাশাপাশি ঘনঘন সরকার পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে তাদের আদর্শচ্যুতি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

জেনারেল চৌহান বলেন, এই প্রবণতা ভারতের জন্য বড় এক সমস্যা। সম্প্রতি চীনের কর্মকর্তারা সে দেশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। তিনটি দেশই নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের কাছাকাছি আসছে। এই নৈকট্য ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বহু পুরোনো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং তাঁর ভারতে আশ্রয়লাভ ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশের কাছাকাছি আসা জেনারেল চৌহানকে সন্দিহান করে তুলেছে। তিনি মনে করছেন, এই তিন দেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের চিন্তা বাড়াতে পারে। স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সিডিএস জেনারেল চৌহানকে পাকিস্তান–ভারত সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ওই সংঘাতে পাকিস্তানকে চীন কতটা ও কীভাবে সমর্থন দিয়েছে, সহায়তা করেছে, তা বলা খুবই কঠিন। ওই সংঘাতের সময় উত্তর সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।

জেনারেল চৌহান বলেন, তবে ঘটনা হলো পাকিস্তান তাদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বেশির ভাগটাই চীন থেকে নেয়। সে কারণে পাকিস্তানে চীনের উপস্থিতি থাকার কথা। বিশেষ করে সংঘাত ও সংঘর্ষের সময়। সেটা কতটা ছিল এবং সমর্থন বা সহায়তার চরিত্র কেমন ছিল, তা বলা সহজ নয়।

অপারেশন সিঁদুর নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলার প্রসঙ্গে ভারতের উপসেনাপ্রধান লে. জেনারেল রাহুল আর সিং অবশ্য গত শুক্রবার বলেছিলেন, সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে চীন শুধু সাহায্যই করেনি, সংক্ষিপ্ত ওই যুদ্ধকে তারা তাদের অস্ত্রের পরীক্ষাগার করে তুলেছিল।

ওই কর্মকর্তার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ওই যুদ্ধে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর ৮১ শতাংশই চীনের তৈরি। সেসব অস্ত্র প্রকৃত যুদ্ধের সময় কতটা কার্যকর, সে পরীক্ষাও চীন করে ফেলেছে। ওই সংঘাতকে চীন তার অস্ত্রসম্ভারের পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইসরায়েলের তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পাল্টা জবাবে ইয়েমেন থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, এগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফলভাবে ভূপাতিত করা গেছে কিনা তা এখনও তদন্তাধীন।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর জেরুজালেমের দক্ষিণে এটজিওন ব্লক ও হেবরনসহ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদাইদায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনের তিনটি বন্দর খালি করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করেছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।

রোববার (৬ জুলাই) ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েলের তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিওন বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান সম্পূর্ণ সফল হয়েছে এবং এর ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেন কয়েক দফায় ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

 




প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। শনিবার তেহরানে আশুরা উপলক্ষে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার এই উপস্থিতি দেখা যায়, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে উঠে আসে। ৮৫ বছর বয়সী খামেনিকে ইমাম খোমেইনি মসজিদে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে উপস্থিত জনতার প্রতি হাত নাড়াতে ও সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখা যায়।

১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। তার সকল ভাষণই এ পর্যন্ত রেকর্ড করা ছিল। শনিবারের ভিডিওটি তার প্রথম সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান যে, আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন, তবে তাকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ২৬ জুন খামেনির পূর্বে রেকর্ডকৃত ভাষণে তিনি ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমরা আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর মাধ্যমে। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আপনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, নিজ দেশের মধ্যে খুব সম্মানিত। কিন্তু সত্যটা বলুন— আপনি তো একেবারে মার খেয়ে গেছেন।

ইরান স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধের সময় তাদের ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে কমপক্ষে ২৮ জনকে হত্যা করে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন। তবে এরপর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি তারা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’কে এসব স্থাপনায় প্রবেশের অনুমতি বাতিল করেছে। যুদ্ধ চলাকালে আইএইএ’র পরিদর্শকরা তেহরানে অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু ইসরাইলি হামলায় ইরানের উচ্চপর্যায়ের বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান একটি আইন স্বাক্ষর করে আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেন। এরপর পরিদর্শকরা তেহরান ত্যাগ করেন। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সংলাপ আবার শুরু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পারমাণবিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ আবার চালু করা যায়।

যুদ্ধ শুরুর আগে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৃহস্পতিবার বলেন, ইরান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশটি এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে না।




ইরানি হামলার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ৩৯ হাজার ইসরাইলির আবেদন

ঘরবাড়ি ক্ষতির আবেদন ৩০,৮০৯টি,  যানবাহন ক্ষতির সংখ্যা ৩৭১৩

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ চলাকালে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় পর্যুদস্ত ইসরাইলিরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ৩৯ হাজার আবেদন জমা দিয়েছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করেছে ইসরাইলের কর কর্তৃপক্ষ। ১৩ জুন ইরান-ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোট ৩৮ হাজার ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘরবাড়ি-ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৩০ হাজার ৮০৯টি। এ ছাড়া, ৩ হাজার ৭১৩টি আবেদন জমা পড়েছে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে। যন্ত্রপাতি আর অন্যান্য জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৮৫টি।

ইসরাইলি ওয়েবসাইট বেহাদ্রেই হারেদিমের তথ্যমতে, শুধু তেল আবিবেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৪ হাজার ৯৩২টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন শহরে আবেদন জমা পড়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি।

ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলিদের কী পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেটা এখনো জানানো হয়নি।

# পার্সটুডে




সাইপ্রাসে জমি কিনছে ইসরাইলিরা; দ্বীপটি কি ফিলিস্তিনের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

 ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইহুদীবাদীরা সাইপ্রাস দ্বীপে জমি কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

দখলদার ইসরাইলের নাগরিকত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি সেখানে তারা বাসস্থান গড়ে তুলতে চাইছে।

পার্সটুডে জানাচ্ছে- সাইপ্রাসের প্রভাবশালী পত্রিকা পলিটিক এসব তথ্য জানিয়েছে।

পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ১৫ হাজারেরও বেশি ইহুদিবাদী ইসরাইলি সাইপ্রাসে জমি কিনেছেন। তারা সেখানে তাদের জন্য একটি স্বাধীন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন। ইসরাইলিরা এখন সাইপ্রাসকে তাদের জীবনযাপনের জন্য অনেক নিরাপদ স্থান হিসেবে মনে করছে।

ইরানের সাথে যুদ্ধ চলাকালে দখলদারর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কিছু সময় সাইপ্রাসে কাটিয়েছেন সেখানে তিনি অবকাশ যাপন করেছেন।

এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, সাইপ্রাস কি ফিলিস্তিনের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে?#

-পার্সটুডে




গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার অভিযোগে ইরানে ৭০০ ইসরায়েলি ভাড়াটে সৈনিক গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতার অভিযোগে ইরানে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। গত ১২ দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (২৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ বলছে, আটককৃতদের ‘ইসরায়েলি ভাড়াটে সৈনিক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ইরানে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

নূরনিউজ-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, শুধু গত ১২ দিনেই প্রায় ১০ হাজার ড্রোন জব্দ করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এসব ড্রোন বিস্ফোরক বহনে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।

তবে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি ইরানি কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে এবং দেশবিরোধী সকল নাশকতা চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পারমাণবিক স্থাপনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে কঠোরতা
এদিকে ইরানের পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা সীমিত করতে একটি বিল পাস করেছে। নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে আইএইএ’র পরিদর্শকরা কেবলমাত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রবেশাধিকার পাবেন।

নূরনিউজ জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে বা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না হলে পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না। ফলে আগের মতো স্বচ্ছভাবে পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা আর সম্ভব হবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে পৌঁছানোর প্রেক্ষাপটে ইরানের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন কূটনৈতিক চাপের জন্ম দিতে পারে।




ইসরায়েলের বড় অপরাধ, শাস্তি অবধারিত: আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে—এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। শাস্তি অবধারিত, এবং সেই শাস্তি তারা এখন ভোগ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এই প্রথমবারের মতো সরাসরি এমন কঠোর অবস্থান তুলে ধরলেন খামেনি। তার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার)

খামেনি বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ করেছে। এ অপরাধের জবাব দিতেই হবে। তারা শাস্তি পাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া চলবে।’

প্রসঙ্গত, ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ভেতরে সরাসরি হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও হামলা শুরু করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তার কারণে খামেনি তার বাসভবন ছেড়ে বাংকারে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিকল্প প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন, যদি তার ওপর হামলার ঝুঁকি বাস্তবে রূপ নেয়।

ইরানে রাজনৈতিক, বিচারিক, প্রশাসনিক এবং সামরিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ খামেনির হাতেই। তাই তার কোনো অনুপস্থিতি বা ক্ষয়ক্ষতি ইরানের জন্য বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্স, পাকিস্তান, গ্রিস এবং ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, এই ঘটনা শুধু ইরান-ইসরায়েল নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন সংকটের মুখে ফেলতে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা