ইরান কোনোভাবেই হুমকি ও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: ইরাভানি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক- 

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জোর দিয়ে বলেছেন, ইরান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অটল থাকবে এবং হুমকি ও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তিনি জানান, ইরান ন্যায়ভিত্তিক কূটনীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বর্তমানে আস্থা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার উপর বর্তায়।

গতকাল (মঙ্গলবার) নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবে একটি সুস্পষ্ট, সচেতন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর সমাপ্তি ধারা রয়েছে। এই প্রস্তাব ১৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে মেয়াদ শেষ করেছে এবং ওই তারিখের পর থেকে এর কোনো আইনি কার্যকারিতা বা বাস্তবায়নমূলক দায়িত্ব নেই। সুতরাং, ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের আওতায় নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে।”

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি আরও জানান— ইরান কূটনৈতিক সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল, কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইরান কোনোভাবেই জবরদস্তি ও হুমকির কাছে মাথা নত করবে না এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখবে।”

ভেনিজুয়েলার সংসদ অর্থনৈতিক অবরোধ মোকাবিলায় আইন পাস

ওয়াশিংটনের হুমকির প্রেক্ষাপটে ভেনিজুয়েলার সংসদ সর্বসম্মতিক্রমে নৌযান চলাচল ও বাণিজ্যের স্বাধীনতা রক্ষার আইন পাস করেছে। এই আইন অর্থনৈতিক অবরোধ ও অবৈধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

আইনটিতে নৌপথ, বাণিজ্যিক নৌবহর এবং ভেনিজুয়েলার বৈদেশিক বাণিজ্য সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারকে একতরফা নিষেধাজ্ঞা, সীমান্তপারের হুমকি ও দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থবিরোধী শত্রুতামূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

ভেনিজুয়েলার সংসদ সদস্যরা এই আইনকে জাতীয় সার্বভৌমত্ব জোরদার এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় দেশের বৈধ অধিকার রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ১০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার পলায়ন

রাশিয়ার সাথে সংঘর্ষের এক প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বাহিনীর দ্রুত অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১০,০০০ ইউক্রেনীয় সেনা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে এসে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তুরস্কে লিবিয়ার বিমান দুর্ঘটনা

তুরস্কে একটি লিবীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে লিবিয়ার কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হাদ্দাদ।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিমানটি আঙ্কারা থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল এবং আঙ্কারা অঞ্চলে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানায়। তবে এরপর বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জানা গেছে, লিবীয় প্রতিনিধি দলটি তুরস্কের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আঙ্কারা সফরে গিয়েছিল।

গাজায় শহীদের সংখ্যা বৃদ্ধি

গাজা থেকেও উদ্বেগজনক খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ৯৪২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ১৯৫ জন আহত হয়েছেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভেনেজুয়েলার উপকূলে আরেকটি তেল ট্যাংকার আটক করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন বাহিনী আরেকটি তেল ট্যাংকার আটক করেছে, যা দুই সপ্তা’রও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এইসব কঠোর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরবেলায় চালানো অভিযানে যুদ্ধ বিভাগের সহায়তায় মার্কিন কোস্টগার্ড ভেনেজুয়েলায় শেষবার নোঙর করা একটি তেল ট্যাঙ্কার আটক করে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোম এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং একটি অশ্রেণীবদ্ধ ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে একটি  মার্কিন হেলিকপ্টার সেঞ্চুরি নামে পরিচিত এক জাহাজে অবতরণ করছে।

তেল-ট্যাংকারটি পানামার পতাকা বহন করছিল, এটিকে সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দেখা গেছে বলে মার্কিন সূত্র জানিয়েছে। জাহাজটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ছিল কিনা তা উল্লেখ করেনি মার্কিন সূত্র।

নোম বলছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন তেল’ আটক করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন, এইসব তেল মাদক-সন্ত্রাসে ব্যবহার করা হয় বলে মার্কিন সরকার অজুহাত দেখিয়ে আসছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা এই পদক্ষেপকে ‘সম্মতিমূলক অবতরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ মাসের প্রথম দিকে বলেছিলেন ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করে এমন তেল-ট্যাংকারগুলোয় নিষেধাজ্ঞার আওতায় আটকানো হবে। মার্কিন সেনারা গত ১০ ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার ‘দ্য স্কিপার’ নামের একটি বিশাল তেল-ট্যাংকার আটক করেছিল।

ক্যারিবীয় এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক অভিযানের পাশাপাশি ট্যাঙ্কার নিষেধাজ্ঞাগুলোও ঘটছে, যেখানে ট্রাম্প তার প্রশাসনের দাবি অনুসারে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য অবৈধ মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোতে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে, ২৮টি হামলায় কমপক্ষে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এমনকি কংগ্রেসের সদস্যরাও এই অভিযানগুলোকে তদন্তের মুখোমুখি করেছেন, তারা বলেছেন যে মার্কিন প্রশাসন এ ব্যাপারে সীমিত প্রমাণ সরবরাহ করেছে যে টার্গেটকৃত জাহাজগুলো মাদক পাচারে জড়িত ছিল এবং তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই হামলাগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শামিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে প্রচুর যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে, যা কয়েক প্রজন্মের সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ-প্রস্তুতিমূলক সামরিক আয়োজন। ট্রাম্প বারবার সতর্ক করেছেন যে স্থল-ভিত্তিক অভিযান চালানো হতে পারে। মাদুরো মার্কিন সরকারের তোলা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তিনি জোর দিয়ে বলছেন যে ওয়াশিংটনের আসল লক্ষ্য হল তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া এবং ভেনেজুয়েলার তেল-সম্পদ দখল করা।

ভেনেজুয়েলার তেল-খাতে এক সময় মার্কিন তেল-কোম্পানিগুলো সক্রিয় ছিল। কিন্তু দেশটির তেল-সম্পদ জাতীয়করণের ফল এইসব কোম্পানি ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন ট্রাম্প সেইসব ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কথাও উল্লেখ করছেন। #

সূত্র: পার্স টুডে




ইরানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত: বিশ্বমানের বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক –

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এবং বর্তমানে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতির দিক থেকে দেশটি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে পৌঁছেছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ফার্টিলিটি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আশরাফ মুঈনি জানান, দেশের এই চিকিৎসা শাখাটি ধারাবাহিকভাবে উন্নত হচ্ছে এবং বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত অবকাঠামো, বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি উন্নত দেশগুলোর তুলনায় কোনো দিক থেকেই পিছিয়ে নেই।

আশরাফ মুঈনি ব্যাখ্যা করেন, আধুনিক বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পদ্ধতির বিস্তার এবং স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, ইউরোলজি ও ভ্রূণতত্ত্বের মতো ক্ষেত্রে উচ্চতর বিশেষায়িত (ফেলোশিপ) প্রশিক্ষণ চালুর ফলে ইরানে এমন বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক সক্ষমতা গড়ে উঠেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্ধ্যা দম্পতিদের চিকিৎসায় সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। তিনি বলেন, চিকিৎসার ফলাফল আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনীয়।

তিনি আরও বলেন, এই খাতে ইরানের সাফল্য বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমানে ইরানের বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের কিছু দেশ থেকেও রোগীদের সেবা দিচ্ছে। এটি স্বাস্থ্য পর্যটনে, বিশেষ করে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার ক্ষেত্রে, ইরানের ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।#

সূত্র: পার্সটুডে




মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি হাসপাতালে বোমা ফেলেছে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের বিমান বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬৮ জন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা এমরাউক-উ’র একটি হাসপাতালে বোমা ফেলেছে জান্তার বিমান বাহিনী। ওই হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ওয়াই হুন অং নামের সেই স্বাস্থ্যকর্মী এএফপিকে বলেন, “এখানকার অবস্থা খুব ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত আমরা ৩১ জনের মরদেহ এবং ৬৮ জন আহত রোগীকে উদ্ধার করতে পেরেছি, কিন্তু মনে হচ্ছে সামনে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তিনি আরও জানান, হামলার পর সারা রাত ধরে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে এবং এখনও চলছে। রাতে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে জান্তা মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি, কিন্তু কোনো মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত বেশ কয়েক মাস ধরে রাখাইন প্রদেশটি নিয়ন্ত্রণ করছে মিয়ানমারের অন্যতম শীর্ষ জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বুধবার রাতে এক বিবৃতি দিয়ে হামলার তথ্য স্বীকার করেছে আরাকান আর্মিও।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে জান্তার সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আরাকানে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় আরাকান আর্মির। সেই সংঘাতের মাত্র দেড় বছরের মাথায় আরাকান থেকে জান্তা বাহিনী এবং জান্তার প্রতি অনুগত সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে প্রায় পুরোপুরি বিতাড়িত করেছে এই গোষ্ঠীটি।

কয়েক মাস আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে জান্তা। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সেই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। তবে আরাকান আর্মিসহ জান্তাবিরোধী অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে।

সূত্র: এএফপি




গাজ্জায় ড্রোন হামলা চালিয়ে দুই সহোদর ভাইকে হত্যা করেছে ইসরাইল বাহিনী

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ড্রোন হামলা চালিয়ে দুই ভাইকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্রের ইসরাইলি বাহিনী।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজ্জার খান ইউনিসের বনী সুহাইলা এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।

এই দুই ভাইয়ের চাচা এএফপিকে জানিয়েছেন, বালকদের বয়স আট এবং দশ বছর। তারা জ্বালানি কাঠের খোঁজে বেরিয়েছিল।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বনী সুহাইলা এলাকায় ইসরাইলি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি সহোদর শিশু নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে আল ফারাবি স্কুলের নিকটবর্তী এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে জুমা ও ফাদি তামের আবু আসি নামের দুই শিশু নিহত হয়।

তারা আরো জানায়, ড্রোন হামলায় গুরুতর আহত হলে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আন নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।




হিজবুল্লাহ’র প্রভাবশালী কমান্ডার তাবাতাবায়ি হত্যার প্রতিশোধ কীভাবে নেবে হিজবুল্লাহ?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ’র প্রভাবশালী কমান্ডার হাইথাম আলী তাবাতাবায়ি হত্যাকাণ্ড লেবাননের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধের সমীকরণকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য জবাবের আশঙ্কায় তেলআবিব উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে।

ইসরায়েলি সেনা রেডিওর সামরিক প্রতিবেদক দোরোন কাদোশের মতে, হিজবুল্লাহ চারটি সম্ভাব্য উপায়ে এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দিতে পারে।

এক- ইসরায়েলের গভীরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এমন আশঙ্কায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

দুই- ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান পরিচালনা বা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা।

তিন- ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় উদ্বুদ্ধ করা।

চার- সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে সামরিক শক্তি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়া।

দোরোন কাদোশ আরও বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহকে আরও দুর্বল করার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল লেবাননে তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে যাতে হিজবুল্লাহ পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে।

ইসরায়েলের সমস্যা: হামলা সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হচ্ছে

একের পর এক ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হিজবুল্লাহ তার সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলের ইয়েদিয়োত আহরণোত পত্রিকার সামরিক বিশ্লেষক ইউআভ জেইতুন লিখেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত বছর লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি ২১টি গ্রামজুড়ে প্রায় একহাজার ২০০টি স্থল অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এরপরও তারা হিজবুল্লাহকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব অভিযানের মধ্যে ছিল প্রকাশ্য ও গোপন টহল, ঘাঁটিতে হামলা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং প্রতিদিন লেবাননের তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে তিন থেকে পাঁচটি করে আক্রমণ।

ইউআভ জেইতুন সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহ নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হাইফা ও তেলআবিবে হামলা করতে পারে এবং তারা গ্যালিলি এলাকায় ও ইসরায়েলের অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনায় বিস্ফোরক ড্রোন পাঠাতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হারানোর পরেও হিজবুল্লাহর হাতে এখনো পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে।

হিজবুল্লাহর তরুণ নেতৃত্ব প্রতিশোধের পক্ষে

হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম এশিয়া-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আমাৎজিয়া বারাম মাআরিভ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মূল প্রশ্নটা হলো—হিজবুল্লাহ কীভাবে জবাব দেবে? দলটির মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম কি সংযম বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রাখতে পারবেন, যখন তরুণ কমান্ডাররা তীব্র প্রতিশোধের দাবি জানাচ্ছেন?

বারামের মতে, হিজবুল্লাহর সামনে তিনটি বিকল্প রয়েছে:

এক- কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করা

দুই- দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে হামলা করা

তিন-ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী ইহুদি বসতিগুলোতে আক্রমণ চালানো।#

সূত্র: পার্সটুডে




লেবাননে ইসরায়েলের নতুন আগ্রাসন: বৈরুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি আবাসিক এলাকায় নতুন করে আগ্রাসন চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এতে প্রায় দুই ডজন সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ (রোববার) বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর আল-হারা এলাকায় একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে তাদের বাহিনী ‘নির্ভুল হামলা’ চালায়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে’ এই হামলা পরিচালনা করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে নেতানিয়াহু এই অভিযানের অনুমোদন দেন।

লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আগ্রাসনে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ২১ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

দুইজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা ইসরায়েলের এই হামলা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

প্রথম কর্মকর্তা জানান, হামলার আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেনি; হামলা চালানোর পরপরই বিষয়টি জানানো হয়।

দ্বিতীয় কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন কয়েকদিন ধরে জানত যে ইসরায়েল লেবাননে হামলা বাড়াতে পারে, তবে হামলার সময়, স্থান বা লক্ষ্য সম্পর্কে পূর্বেই কোনো তথ্য ছিল না।

তবে ইয়েদিয়ত আহরোনোত পত্রিকা এক ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে পরিচালিত আক্রমণটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করেই করা হয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে বৈরুতে যেকোনো সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছিল।

ইসরায়েলি হামলার স্থল থেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে লেবাননের এমপি আলি আম্মার এ ঘটনাকে “ওয়াশিংটন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পর থেকে লেবাননজুড়ে চলমান আগ্রাসনের অংশ” বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “লেবাননের ওপর যেকোনো হামলাই ‘লাল রেখা’ লঙ্ঘন। এই আগ্রাসন লেবাননের মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের নিরাপত্তাকে লক্ষ্যবস্তু করার ধারাবাহিকতার অংশ।”

আম্মার আরও বলেন, প্রতিরোধশক্তি “চরম প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এবং যথাসময়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে”।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “লেবাননের ভেতরের কিছু কণ্ঠ নিজেদেরকে শত্রুর আগ্রাসনকে সমর্থনকারী হাতিয়ারে পরিণত করেছে, যা ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করছে।”

বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলাটি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার নভেম্বর ২০২৪-এর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটি স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা তীব্র সংঘাত কমানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ লেবাননের সাইদনের কাছে আইন আল-হিলওয়ে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, হামলাটি ‘হামাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তবে, হামাস এ অভিযোগকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যা ও গণহত্যা ঢাকার চেষ্টা’ বলে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, লেবাননের কোনো ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো সামরিক স্থাপনা নেই; লক্ষ্যবস্তুটি ছিল কেবল একটি উন্মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন।

লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




মামদানি দুর্দান্ত মেয়র হবেন, আমি সমর্থন করব: ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি হোয়াইট হাউসে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকে মিলিত হলেও রাজনৈতিক উত্তেজনার বদলে সেটি রূপ নেয় প্রশংসাবাণীতে। মামদানির প্রশংসা করে ভবিষ্যতে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে নিজেদের প্রথম সরাসরি বৈঠকটি তারা অত্যন্ত সফলভাবে শেষ করেছেন।
# খবর বিবিসির।



সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়া হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও রাফা এলাকায় হামাসের প্রায় ২০০ যোদ্ধা এখনো সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকে রয়েছেন।

নিহত পাঁচ যোদ্ধা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার পরই ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।—খবর টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নাহাল ব্রিগেড এ অভিযান চালায়। আইডিএফ দাবি করে, হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল এবং এটি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছিল। তাই বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পরও রাফার বেশিরভাগ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে হামাসের যোদ্ধারা সেখানেই আটকা পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো তাদের নিরাপদে গাজার ভেতরে কিংবা অন্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল। এর মধ্যেই পাঁচ যোদ্ধা নিহত হলেন।

এর আগে ইসরায়েল শর্ত দিয়েছিল—আটকে থাকা ২০০ হামাস যোদ্ধাকে প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে হবে; এরপর তাদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং কয়েকজনকে ইসরায়েলে নেওয়া হবে। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাস জানায়, তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না।




নিউইয়র্কে এলে গ্রেপ্তার হবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, ঘোষণা জোহরান মামদানির

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক সফরে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শহরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। গাজায় বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা ও ক্ষুধাকে যুদ্ধকৌশল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে—তার ভিত্তিতেই তিনি এ অবস্থান জানান।

নিউইয়র্কের বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস ইসরায়েল সফরে গিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে মামদানির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর পরপরই মামদানি এ মন্তব্য করেন।

এবিসি৭–এর সরাসরি অনুষ্ঠানে মামদানি বলেন, নিউইয়র্ক ‘আন্তর্জাতিক আইনের শহর’, তাই ICC–এর পরোয়ানা সম্মান জানাতে হবে। তার বক্তব্য, “আইনের পরোয়ানা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা ভ্লাদিমির পুতিন—সবার জন্যই বহাল।”

নির্বাচন প্রচারের সময়ও একই অবস্থান জানিয়েছিলেন তিনি। গত অক্টোবরে ফক্স নিউজকে তিনি বলেছিলেন—আইনগত সুযোগ পেলে নিউইয়র্ক নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার নীতি অনুসরণ করতে চায়।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ICC–এর সদস্য নয়; ফলে এই পরোয়ানা কার্যকর করার বাস্তবসম্মত ক্ষমতা নিউইয়র্ক সিটির নেই। তাই মামদানির ঘোষণা আইনি বাস্তবায়নের চেয়ে রাজনৈতিক অবস্থান হিসেবেই দেখা হচ্ছে।