কাস্‌সাম ব্রিগেডের হামলায় গাজায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্‌সাম ব্রিগেডের রকেট হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে, গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গোলা বর্ষণে ৮ শিশুসহ ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের আল-কুয়েত হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম তীরের তুলকারাম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের একজন ছিলেন মুহাম্মাদ ফয়সাল দাউস নামের এক ফিলিস্তিনি যুবক ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল গাজায় ইসরায়েলি হামলার ১০৪ তম দিন। গত সাত অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার।

সূত্র : পার্সটুডে।




নেদারল্যান্ডসে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা, মুসলিম যুবকের দুঃসাহসিক বাধা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী দল পেগিডা’র নেতা, ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টাকালে কয়েকজন মুসলিম যুবক তাতে বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি গেলডারল্যান্ডার জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গেলডারল্যান্ডের রাজধানী আর্নহেমে শহরের জান্সপ্লেইন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করেন এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড। পুলিশি নিরাপত্তাকে ভেদ করে এক মুসলিম এডউইন ওয়াগেনসভেল্ডের মুখে লাথি মারে। পরে আবার কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করলে আবারও মুসলিম যুবকরা তেড়ে আসতে থাকে। এসময় ভয়ে এডউইন কাপুরুষের মতো দৌড়ে পুলিশের গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় শহরের মুসলিম অধিবাসীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্নহেম শহরের মুসলিম মেয়র আহমেদ মারকুচও।

ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন ছিঁড়ে ফেলে তা পদদলিত করে। এছাড়া, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের দূতাবাসের সামনে একাধিকবার কুরআন ছিঁড়ে ফেলে।#

পার্সটুডে




লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যুতে ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিপক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা আছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৮ হাজার ও ক্লিনিক ৯ হাজার। এর বাইরে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখনও নিবন্ধিত হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের এডিজি ডা. আহমেদুল কবীর।




সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৩ সালে নিহত ৫০২৪:, আহত ৭৪৯৫ জন : বিআরটিএ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০২৩ সালে সড়কে ৫ হাজার ৪৯৫টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৭ হাজার ৪৯৫ জন।

রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে সংস্থাটি।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩২২ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৩ জন ও আহত হন ৩৩৬ জন;

ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩০৩ ও আহত ৪১৬ জন; মার্চ মাসে ৩৮৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৫ ও আহত ৬৮৮; এপ্রিল মাসে ৪৭৬ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫৯ ও আহত ৭০৫ জন; মে মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৬৪৯ জন;

জুন মাসে ৫৬২ দুর্ঘটনায় নিহত ৫০৪ ও আহত ৭৮৫ জন; জুলাই ৫৬৬ দুর্ঘটনায় ৫৩৩ ও ৯৩৪ জন; আগস্ট মাসে ৪৫৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৬ ও আহত ৬৯৫ জন; সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫৪ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১০ ও আহত ৬০৯ জন; অক্টোবর মাসে ৪৩৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৪৯২ জন;

নভেম্বর মাসে ৫৫৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭০ ও আহত ৫৮১ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় ৪৩৩ জন নিহত ও ৬৪১ জন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত মোট ৭ হাজার ৮৩৭টি মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ২০৬টি, বাস/মিনিবাস ১ হাজার ৮৩টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৩৮৯টি, পিকআপ ৩৭০টি, মাইক্রোবাস ২২৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ১৬১টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৭৪৭টি, ভ্যান ২৩০টি, ট্রাক্টর ১২৮টি, ইজিবাইক ২১৭টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৪১৫টি, অটোরিকশা ৪৯৭টি এবং অন্যান্য যান ১ হাজার ১৬৮টি রয়েছে।




গাজায় একদিনে ইসরায়েলের ৯ সেনা খতম

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ হারান তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। আইডিএফ দুই দফায় গাজায় ৯ সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। প্রথমে মঙ্গলবার সকালে তারা জানায়, চার সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

গতকাল ৯ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে গাজায় সবমিলিয়ে ১৮৭ দখলদার সেনার মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের। তারা গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সুড়ঙ্গগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর— ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। ফলে সেখানে তারা হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরেপুরি নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। উত্তরাঞ্চলে হামাসের আট হাজার যোদ্ধাকে হত্যার কথাও বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬০ হাজার। যুদ্ধের শুরুর দিকে বোমা হামলার যে তীব্রতা ছিল— সেটি এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে রয়েছে তারা। যেখানে তীব্র হামলার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল




গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেও ইসরাইল বলছে তারা সফল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উত্তর গাজা থেকে তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, এই সেনা প্রত্যাহার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে পরাজিত করার প্রকল্পের সমাপ্তি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর সেনা কর্মকর্তারা গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা গাজায় তাদের হত্যা ও ধ্বংযজ্ঞকে বৈধতা দেয়ার জন্য পশ্চিম মিডিয়ার সহায়তায় গাজা ইস্যুতে ব্যাপক অপপ্রচার শুরু করে। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেছে, তারা গাজায় প্রবেশ করে এই শহরটিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করেছে।  তবে তাদের এই দাবির সত্যতা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। এখন ইহুদি বিশ্লেষকরা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক বাহিনীর অক্ষমতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হামাস সম্পর্কে বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলোর দুর্বলতা বা পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই এবং গাজায় শত শত কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেল এখনো টিকে আছে।

সম্প্রতি গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় যে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী আমেরিকাসহ পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে এমনভাবে পরাজিত করেছে যে, গাজা থেকে তারা সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা পশ্চিমা মিডিয়ার সহায়তায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে অপরাজেয় শক্তি হিসাবে প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান এবং এর আগে লেবানন ও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির  অভূতপূর্ব সাফল্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ইসরাইলের এসব দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে। মোটকথা, ফিলিস্তিনিদের এসব প্রতিরোধ ইসরাইলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে  এবং তাদের দুর্বলতা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।

হামাস ছাড়াও ফিলিস্তিনের অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃঢ় অবস্থানের কারণেও ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারাও ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাফল্যের কথা স্বীকার করেছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োসি কোপারওয়াসার স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি কলঙ্কজনক ব্যর্থতা, ইসরায়েলের সব গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা, তারা হামাসকে এতটাই অবমূল্যায়ন করেছিল যে তারা এটি সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মনোযোগ দেয়নি।

যাইহোক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্যদের প্রত্যাহারের ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তির অব্যাহত সাফল্যের প্রতীক হিসাবে দেখা উচিত।#

পার্সটুডে




ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়াল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থলঅভিযান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত তিন মাসের হামলায় ওই উপত্যকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৬০০ শিশু।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দখলদারি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে এক হাজার ১৩৯ জন। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজা ভূখণ্ডে নিয়ে আসে। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা




গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১০৯

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ১০৯ জনে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।

সর্বশেষ গাজায় নিহত হয়েছেন এএফপির সাংবাদিক মুস্তফা থুরায়া এবং আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল দাহদোহের ছেলে হামজা ওয়ায়েল আল দাহদৌহ।

বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় যেসব ঘৃণ্য অপরাধ করছে, সেসবের মধ্যে অন্যতম হল সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো।

‘যুদ্ধের সংবাদ ও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা থামাতেই সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে,’ বলা হয়েছে সরকারি মিডিয়া দফতরের বিবৃতিতে।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা বন্ধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনী প্রতিষ্ঠানকে সজাগ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার মিডিয়া দফতর। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি




চিৎকার চেঁচামেচি ও বাগ-বিতণ্ডায় পণ্ড ইসরাইলি মন্ত্রিসভার বৈঠক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসন কাদের হাতে থাকবে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসলেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভার সে বৈঠক প্রচণ্ড চেঁচামেচি চিৎকার আর দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন মন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে উগ্র ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা সেনাবাহিনীর নিজস্ব ভুলগুলো তদন্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কটূক্তি করেন। যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি কয়েকজন রাজনীতিবিদসহ উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা এই তর্ক-বিতর্ক বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত করার কথা বললে এই চেচামেচি শুরু হয়। উগ্র ডানপন্থীরা বলেন, যুদ্ধ চলার মধ্যে তদন্তের এই প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত নয়।

গতকালের মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের বাগ-বিতণ্ডা ও ঝগড়ার মধ্যদিয়ে ইসরাইলের ভেতর প্রচণ্ড অনৈক্য এবং মতভেদের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

হিব্রু ভাষার কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপক চেঁচামেচি চিৎকারের পর নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। যে সমস্ত মন্ত্রী ইসরাইলের সেনাপ্রধানের সমর্থনে কথা বলেছেন নেতানিয়াহুর সমর্থকেরা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে কক্ষে বৈঠক হচ্ছিল তার বাইরে থেকেও এই চেঁচামেচি চিৎকারের শব্দ শোনা গেছে। টাইমস অব ইসরাইল বলছে, বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। টাইমস অব ইসরাইলের ভাষ্য মতে, দৃশ্যত এসব সেনা কর্মকর্তার সাথে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিবাদে তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

গভীর রাতের ওই বৈঠকের সূত্র মতে- সেনাপ্রধান হালেভি সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সমন্বয়ে সামরিক বাহিনীর ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা সৃষ্টি করেছেন পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ। তার সাথে যোগ দেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইটামার বেন জাভির, অর্থ মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং আঞ্চলিক সমন্বয় বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড আমসালেম। তারা জেনারেল হালেভির  কাছে এই তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানতে চান।

এরমধ্যে আমসালেম বলেন, “আপনি কেন এখন তদন্ত করতে চান? সামরিক বাহিনীর বহু লোক এখন যুদ্ধের ময়দানে। যুদ্ধ বিজয়ের জন্য তাদেরকে আপনি সেখানে ব্যস্ত না রেখে কেন তদন্ত করতে চাইছেন?”

সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শাউল মোফাজকে এই তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করার বিষয়েও বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন। মিরি রেগেভ সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি শাউল মোফাজকে নিযুক্ত করেছেন। আপনি পাগল নাকি?”

ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। হালেভিকে উত্তেজিত করার জন্য মন্ত্রীদের তিরস্কার করেন ইয়োভ গ্যালান্ট।

বৈঠকে দখলদার বাহিনীর প্রধান বলেন, “সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে তদন্ত করা হবে কিনা সেটি আমার বিষয়; এ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।” তিনি দাবি করেন এই তদন্ত সামরিক বাহিনীর অতীত ভুলগুলো খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে যাতে লেবানন সীমান্তের যুদ্ধে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

এ সময় যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জেনারেল হালেভির বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা তদন্ত করার বিষয়ে যদি সেনাপ্রধান কোনো নির্দেশ দেন তাহলে তা নিয়ে আপনাদের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।” এরপরই চেঁচামেচি চিৎকার শুরু হয়। এ সময় ইয়োভ গ্যালান্ট মিরি রেগেভকে উদ্দেশ করে বলেন, “মিরি, আমি আপনার জন্য কাজ করি না, আমাকে বলতে দিন। চিফ অফ স্টাফ যা চান তিনি তা করতে পারেন।”

ইসাইলের রাজনৈতিক নেতারা ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার বিষয়ে কোনো তদন্ত করতে দিতে চান না। তারা বলছেন, হামাসকে নির্মূল করা এবং বন্দিদের মুক্ত করার পর সবকিছু হবে। কিন্তু ইসরাইলিরা মনে করছেন, এই যুদ্ধ আগামী এক বছর কিংবা তার পরেও শেষ হবে না। তারা বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত বলে মনে করছেন।

বৈঠকে এইরকম তীব্র বাকবিতণ্ডা ও চিৎকার চেঁচামেচির কারণে নেতানিয়াহু বৈঠক বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পরে আবার বৈঠকে বসা যাবে। বৈঠকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা কান-কে বলেছেন, “এটি ছিল খুবই লজ্জাজনক বৈঠক।” তারা সেনা প্রধানকে অপমান করার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।#

পার্সটুডে




আরুরির হত্যাকাণ্ড হামাস যোদ্ধাদের আরো বেশি দৃঢ়সংকল্প করবে: আইআরজিসি

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপ প্রধানকে হত্যা করার ফলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের সংকল্প আরো দৃঢ় হবে। হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে।

ওই বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, আরুরি এবং দুই হামাস কমান্ডারসহ ছয় জনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ইসরাইল বিরোধী মানসিকতা আরো শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম আরো তীব্র হবে।

বিবৃতিতে আইআরজিসি জোর দিয়ে বলেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস এবং গাজা-ভিত্তিক অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের বহুমুখী হামলায় ইসরাইলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার পুষিয়ে নেয়ার জন্য অবৈধ তেল আবিব সরকার হত্যা এবং নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের যে ভরাডুবি হয়েছে তার গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তেল আবিব।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার রাতে এক ড্রোন হামলায় হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরি শহীদ হন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনিসহ হামাসের সকল প্রবাসী নেতাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল তেল আবিব। তবে বৈরুতে মঙ্গলবার রাতের হামলার দায়িত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করেনি ইহুদিবাদী ইসরাইল। ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করলে তার অর্থ হবে লেবাননের সার্বভৌমত্ব তথা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘনের দায়িত্ব স্বীকার করা।

তবে আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরুরিকে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।  আইআরজিসি আরো বলেছে,  আল-আকসা তুফান অভিযানে ইসরাইলের অপমানজনক পরাজয়ের ক্ষতি এ ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী তৎপরতার মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়া যাবে না।  ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রতিরোধ ফ্রন্টের হিসাবনিকাশ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।#

পার্সটুডে