চলমান ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত

চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাহিনীগ প্রধানগণ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে




সারাদেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা

গত সোমবার সরকার পতনের পর থেকেই ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি। তিন দিন ধরে শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এক প্রকার বিশৃঙ্খল অবস্থায় যান চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীতে যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল।

এ ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের কর্মবিরতি চলায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে।

এ অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত শহরে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা ফিরাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীতে ট্রাফিকের অনুপস্থিতিতে সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সৃঙ্খলা বজায় রাখতে চরমোনাই পীরের নির্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহস্রাধিক সেচ্ছাসেবী ও তাদের একাধিক অঙ্গ সংগঠন আজ ৭ আগষ্ট, বুধবার, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভা এলাকায় পুলিশের থানা, ক্যাম্প, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মন্দির, গির্জা ও প্যাগডায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দেশবাসীকে বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দিন -রাত ২৪ ঘণ্টা সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন।




গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্টই দায়ী।

শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।

আব্বাস বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েলি সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও। কারণ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে মিত্র রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেখানেই এই নৃশৃংশ হামলা করা হলো।

তবে দখলদার ইসরায়েলের দাবি, বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

 সূত্র: জিও নিউজ




গুলিতে আহত ট্রাম্প, মারা গেছেন বন্দুকধারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গিয়ে গুলিতে আহত রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে বলে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তার কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।

এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছে।’

গুলিতে নিহত তার সমর্থকের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে গুলিতে যিনি নিহত হয়েছেন তার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাই। গুরুতর আহত আরেকজনের পরিবারের প্রতিও আমি সমবেদনা জানাই।’




৭ অক্টোবরের ঘটনায় বেশিরভাগ ইসরাইলি নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলে বসবাসকারী লোকজনের বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ইরাইল-বিরোধী অভিযানের ঘটনায় নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায়। নতুন এক জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জনমত জরিপের এই ফলাফল গতকাল (শুক্রবার) ইসরাইলের চ্যানেল টুয়েলভ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেয়া লোকজনের শতকরা ৭২ ভাগ মানুষ বলেছে- প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। এরমধ্যে ৪৪ ভাগ বলেছে নেতানিয়াহুর দ্রুত ক্ষমতা ছাড়া উচিত; আর শতকরা ২৮ ভাগ বলেছে- গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নেতানিয়াহর পদত্যাগ করা উচিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে অভিযান চালানোর পর বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে নিয়ে যায় হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ওইদিন থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হলেও প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ, যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে।

৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতাকে ইসরাইলের গণমাধ্যম ভয়াবহ গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলা মোকাবেলার ব্যর্থতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। তবে নেতানিয়াহু এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন তদন্তের সময় নয় বরং যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর এটি করা যাবে।

ইসরাইলের ভেতরের এবং বাইরের বহু বিশ্লেষক বলছেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ধরে রাখা ও বিচার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি চাইছেন না; এ ব্যাপো কোনো তদন্তও করতে দিচ্ছেন না।#

পার্সটুডে




গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আরো এক কমান্ডো নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাজধানী গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো এক সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনার নাম সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস তাল লাহাত এবং তার বয়স ২১ বছর।

নিহত এই সেনা ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ম্যাগলান কমান্ডো ইউনিটে কর্মরত ছিল এবং মঙ্গলবার বিকেলে গাজার স্নাইপারদের গুলিতে সে নিহত হয়।

এদিকে, গতকাল গাজা সিটিতে যুদ্ধের সময় আলেকযানদ্রোনি ব্রিগেডের দুই রিজার্ভ সেনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই সেনা বোমার বিস্ফোরণে আহত হয়।

অন্যদিকে, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর সংস্থা শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউনিটের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস-সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে যে অভিযান চালিয়েছিল তা মোকাবেলায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে শিনবেতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান পদত্যাগ করে। ইসরাইলের হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম গতকাল এ খবর দিয়েছে। হামাসের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য শিনবেতের এই কর্মকর্তা ইসরাইলিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে।#

পার্সটুডে




দুর্গাপুরে ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. রেজাউল করিম ও তার পরিবার। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত অভিযোগে রেজাউল করিম বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. দীপা সরকার ৩২৬ ধারার অপব্যবহার করে, ডান হাতের আঙ্গুলে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে বলে এক ম্যাডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের আব্দুল খালেক কে। মুলত এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে জানান স্থানীয়রা। বিগত কয়েক মাস পুর্বে আব্দুল খালেক এর আত্মীয় আব্দুল বাতেন গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে আব্দুল খালেক তেমন কোন আহতই হননি অথচ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নামমাত্র ড্রেসিং করিয়ে টাকার বিনিময়ে গ্রিভিয়াস সনদ গ্রহন করেন। পরবর্তিতে ওইসনদ এবং মিথ্যা সাক্ষি দিয়ে রেজাউল করিমের পিতা আবুল খায়ের গংদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করলে আবুল খায়ের এখন পর্যন্ত কারাভোগ করে আসছে।

তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, ওই ভুয়া মেডিক্যাল সনদ বাতিল করে, আব্দুল খালেক মুলত কতটুকু আহত হয়েছেন তা পুনরায় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তুলে ধরে প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণের দাবী জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে হাজ¦ী মো. হোসেন আলী, মো. আরব আলী, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মফিজুল ইসলাম, মো. হাদিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. দীপা সরকার এর মুঠোফোনে কল দিলে, তিনি এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।




ইসরাইলের দুটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালালো ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা।

ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ আজ (বুধবার) সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের হাইফা বন্দরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। আজ সকালেই এই হামলা চালানো হয় বলে পিএমইউ উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাজেরা এলাকার অরোত রাবিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনারা নারী ও শিশুদের ওপর যে আগ্রাসন ও গণহত্যা চালাচ্ছে তার জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা করেছে পিএমইউ।
গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক অবস্থানেও হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের যে হুমকি দিয়েছে তার জবাবে ইরাকি যোদ্ধারা বলেছে, এ ধরনের আগ্রাসন চালালে তারা হিজবুল্লাহর পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।#
পার্সটুডে




চীন সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লাদাখে চীন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি)পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁরা নিহত হন।

ভারত সরকার বলছে,  লাদাখের লেহের দৌলত বেগ অল্ডি এলাকায় রাত ১টার দিকে সেনা মহড়ার সময় একটি নদী পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ সেনা মারা যান। তাঁরা একটি ট্যাঙ্কের ভেতর ছিলেন।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনারা প্রশিক্ষণে ছিলেন। তাঁরা বোধি নদী অতিক্রম করছিল। এসময় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের ট্যাঙ্ক ডুবে যায়।

এ ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, জামিন পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর জামিন পেলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে একই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে পূর্ব নির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন মাওলানা মামুনুল হক। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গতকাল পূর্ব নির্ধারিত শুনানি দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করে উপস্থিত হননি। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমন ফারুক নয়ন জানান, মাওলানা মামুনুল হক অসুস্থ। তার অসুস্থতার কাগজপত্রসহ আমরা গতকাল আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। এ অসুস্থতার জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ চলতি বছরের ৩ মে কারামুক্ত হন তিনি।