চীন সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লাদাখে চীন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি)পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁরা নিহত হন।

ভারত সরকার বলছে,  লাদাখের লেহের দৌলত বেগ অল্ডি এলাকায় রাত ১টার দিকে সেনা মহড়ার সময় একটি নদী পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ সেনা মারা যান। তাঁরা একটি ট্যাঙ্কের ভেতর ছিলেন।

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত সেনারা প্রশিক্ষণে ছিলেন। তাঁরা বোধি নদী অতিক্রম করছিল। এসময় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের ট্যাঙ্ক ডুবে যায়।

এ ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, জামিন পেলেন মাওলানা মামুনুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর জামিন পেলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে একই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে পূর্ব নির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন মাওলানা মামুনুল হক। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গতকাল পূর্ব নির্ধারিত শুনানি দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করে উপস্থিত হননি। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত ১ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। মাওলানা মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমন ফারুক নয়ন জানান, মাওলানা মামুনুল হক অসুস্থ। তার অসুস্থতার কাগজপত্রসহ আমরা গতকাল আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। এ অসুস্থতার জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ চলতি বছরের ৩ মে কারামুক্ত হন তিনি।




গাজা নিয়ে আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কেন পাশ হল?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি এর আগে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে অনেক যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজায় ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলা জিইয়ে রেখেছিল সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪টি হ্যা ভোটে এটি অনুমোদন লাভ করে এবং রাশিয়া এতে ভোট দানে বিরত ছিল।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উত্থাপিত প্রস্তাব সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কোনো বিরোধিতা বা ভেটো ছাড়াই অনুমোদিত হয়। ৭ দফা প্রস্তাবে তিনটি পর্যায়সহ ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্রস্তাবে জোর দেওয়া হয়েছে যে যদি প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ৬ সপ্তাহের বেশি সময় লাগে তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে পারে বলে জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদিত প্রস্তাবের বিষয়ে চুক্তির পরে এই প্রস্তাবের শর্তাবলী মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে এবং সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে এর বাস্তবায়নে সমর্থন করতে বলা হয়েছে।

আমেরিকা যেটি ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থনে অনেক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল এই সংকটময় মুহূর্তে এই শাসক গোষ্ঠীর প্রধান সমর্থক হিসাবে পরিচিত দেশটি বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিল।

প্রথম কারণ হল ইহুদিবাদী শাসন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে। বেনি গ্যান্টজ এবং গাডি আইজেনকোট যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। হ্যালি ট্রুপার গ্যান্টজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর জোট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই অধিকৃত অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক ভাঙন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব পাস করা  হলে অধিকৃত অঞ্চলে এই ভাঙন ঢেকে রাখার একটি সুযোগ হতে পারে।

এরপর কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রাক্কালে অভ্যন্তরীণ জনমতকে প্ররোচিত করা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর প্রতি মার্কিন নীতির নিন্দায় ব্যাপক পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে  যার মধ্যে ছাত্র বিক্ষোভ এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগীতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেনের মন্ত্রিসভা বিক্ষোভকারীদের চাপে পড়েছিল। যদিও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নাম শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের কালো তালিকায় রেখেছেন। ইহুদিবাদী শাসক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদন করে আমেরিকা এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনা কমানোর চেষ্টা করছে।

আরেকটি কারণ হল গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধ বিরতিতে তাদের শর্তে অটল থাকা। তাদের অটল মনোবল এবং কার্যকর প্রতিরোধ শক্তি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলেছিল এবং এই শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। যাইহোক ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইতিহাসের দিকে তাকালে এটা বলা যায় যে  এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে না।

পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত ৮ মাসে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আচরণ থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্পর্কে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ইসরাইল জাতিসংঘে পাশ হওয়ার কোনো প্রস্তাবের উপর কাজ করেনি এবং বেশিরভাগ প্রস্তাব একটি প্রদর্শনী এবং প্রচারণামূলক শো ছাড়া আর কিছুই নয়।#

পার্সটুডে




অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকার, পালালো গণিত শিক্ষক প্রণয় সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

টাঙ্গাইলে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়েছেন গণিত বিষয়ের শিক্ষক প্রণয় সরকার।

সোমবার (৩ জুন) বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরই ওই ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকার জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আনন্দ মোহন সরকারের ছেলে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাসাইল উপজেলার এক প্রবাসীর ছেলেকে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসিকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি ওই আবাসিকের শিক্ষক প্রণয় সরকার রাতে শিক্ষার্থীকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করেন। পরে ভবনে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় এবং প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকার তার মায়ের অসুস্থতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আর আসেননি।

রোববার (২ জুন) বিষয়টি পরিবারকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ভর্তি বাতিল করে ছাড়পত্র নেন অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগীর চাচা অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকই যখন শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ কাজ করে তাহলে নিরাপদ কোথায়? এর বিচার চাইলে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে। মীমাংসার প্রস্তাব দেয়াসহ টাকা দিতে চেয়েছে। ওই শিক্ষকও পালিয়েছে। ছেলেটার সঙ্গে খুবই অন্যায় হয়েছে। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারোর সঙ্গে তেমন কথা বলছে না। তার মনে ভয় কাজ করছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।’

সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিকের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু ওই শিক্ষক ক্যাম্পাসে নেই। তার মায়ের অসুখ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে আর স্কুলে আসেননি। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।




আর আলোচনা নয়, গাজায় শান্তি স্থাপনে যে শর্ত দিলো হামাস

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আর কোনো আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তারা; তবে ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে— তাহলে সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণ, পরিবার-পরিজনদের ওপর গণহত্যা চলছে। যারা বেঁচে আছে, তারা প্রতিদিন আগ্রাসন-দুর্ভিক্ষ-দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে। হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী মনে করে, এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অংশগ্রহণ সার্বিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে না।’

‘তবে আজ ( ৩০ মে ) আমরা আমাদের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছি যে যদি দখলদার বাহিনী গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে গাজা ইস্যুতে একটি সম্পূর্ণ ( শান্তি )চুক্তির জন্য আমরা প্রস্তুত। এই চুক্তিতে ( সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত ) একটি বিস্তৃত সমঝোতাও অন্তর্ভুক্ত হবে।’

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহরটিতে অবস্থান করছেন। গাজার বিভিন্ন এলাকায় গত প্রায় ৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযানের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে রাফায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন এই ফিলিস্তিনিরা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধের আদেশ দিয়ে রায় দিয়েছে; কিন্তু সেই রায় উপেক্ষা করে সেখানে সেনাঅভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিছুদিন আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবাই সাধারণ বেসামরিক।

ওই ঘটনার পর থেকে বিশ্বজুড়ে যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা চলছে, সে সময়ই এই বিবৃতি দিলো হামাস।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। গত প্রায় আটমাস ধরে চলমান এই ভয়াবহ অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, পুরো উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এক অস্থায়ী বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র : রয়টার্স




দুর্গাপুরে মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ৩ মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে কয়েলের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম মিনা আক্তার (২৩)। সে দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ভাদুয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া ফরাজীর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম ইব্রাহীম মিয়া (২৮)। পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার বহরভিটা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে সে।

মিনা আক্তারের স্বজনরা জানান, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিল মিনা। ভাদুয়া গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করতেন ইব্রাহীম মিয়া। মসজিদের কাছাকাছি মিনার বাড়ি ছিল। প্রায় সময়ই নানা অযুহাতে তাদের বাড়িতে আসতো। এক পযার্য়ে মিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ইব্রাহীম। প্রেমের সম্পর্ক এলাকায় জানাজানি হলে উভয় পক্ষের সম্মতিতে দেড় বছর পূর্বে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

ভুক্তভোগী মিনা আক্তার জানান, বিয়ের পর তাঁকে নিয়ে কুমিল্লা চলে যান ইব্রাহীম। সেখানে গিয়ে ৬ দিনের মাথায় মিনাকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে অপারগতার এক পর্যায়ে নরসিংদীতে গার্মেন্টে চাকরি নেন মিনা। হঠাৎ মিনার গর্ভে সন্তান আসায় ওই চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো মিনার। এরপর থেকে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। গত ১০ মে শুক্রবার সকাল থেকেই ঘরে আটকে রেখে মিনার দুই হাত ও পা বেঁধে, মুখে কসটেপ পেঁছিয়ে মারধর ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কয়েলের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেয় ইব্রাহিম। পরবর্তীতে ১৭ মে শুক্রবার ইব্রাহিমের অগোচরে এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় নরসিংধী থেকে পালিয়ে গুরুতর অবস্থায় ভাদুয়া বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর গতকাল বুধবার তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।

মিনা আরো বলেন, আমার গর্ভে সন্তান আসায় কাজ ছেড়ে দেই আমি। এর পর থেকেই আমার উপর চরম নির্যাতন শুরু হয়। আমাকে প্রানে মেরে ফেলার কথাও বলেছে সে। এই কথা প্রান বাঁচাতে আমি পালিয়ে আসি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা জানান, ওই নারী দুইদিন যাবত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের ক্ষত আছে। সে তিন মাসের অন্ত:সত্বা।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, ঘটনাটি বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, শিশুসহ নিহত ১৬

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১০ জন শিশুসহ ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এসব শিশুসহ অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। বলা হয়েছে, গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই একপর্যায়ে উত্তর গাজা শহরের ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে জানানো হলেও পরে তা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।




সাংসদ আনোয়ারুলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সংসদ সদস্য এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্স থেকে আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।

এর আগে গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে কলকাতার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান নেন। ১৩ মে স্থানীয় সময় (কলকাতা) বেলা পৌনে ২টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বের হন আনোয়ারুল আজিম। সন্ধ্যায় ফিরবেন জানালেও এরপর আর ফেরেননি।




দুর্গাপুরে শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি –
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে সাথী আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২০ মে) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাথীর । এর আগে ওইদিন দুপুরে স্বামীর বসতবাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় বিষপানের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাশুড়ীর নাম জরিনা খাতুন।
নিহত সাথী আক্তার দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার হোসেন আলীর স্ত্রী। সাথী বেগমের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে,জমিসংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত গৃহবধূ সাথী আক্তারকে অত্যাচার করে আসছিল শাশুড়ী জরিনা খাতুন। বিভিন্ন সময় মারধরও করতো। এসব সহ্য করতে না পেরে থানায় অভিযোগ করে সাথী। এরপর অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। আজ সোমবার (২০ মে) দুপুরে শাশুড়ী ও দেবর গালমন্দ করলে একপর্যায়ে বিষ পান করে সাথী। পরে তাঁর স্বামী ও সন্তানরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত সাথীর মেয়ে সেলিনা আক্তার বলেন,আমার দাদির অত্যাচার যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরেই আজকে বিষ খাইছে আমার মা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা শুরু করার পরপরই মারা যান ওই নারী।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ছলিমউদ্দিন বলেন,লাশের সুরতহাল করা হচ্ছে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




আরো এক সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে  ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো এক সেনা নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনীর বরাত দিয়ে ইসরাইলি গণমাধ্যম এই খবর দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গতকাল (শুক্রবার) উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের সময় সার্জেন্ট বেন আভিশে নামে এক সেনা নিহত হয়। দখলদার বাহিনী বলেছে, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের মধ্যে সম্ভবত গতকালই সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমে সার্জেন্ট বেন আভিশের নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের আগেই হামাস জানিয়েছিল, তাদের হামলায় জাবালিয়া শহরের পূর্বাঞ্চলে এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বে শত্রু লাইনের পিছনে ঢুকে পড়েছিল এবং এই এলাকায় একটি ট্যাঙ্ক এবং একটি সৈন্যবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অনেক সেনা হতাহত হয়েছে।

দখলদার বাহিনী স্বীকার করেছে যে, প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের সাথে ভয়াবহ লড়াইয়ে গত দুই দিনে তাদের পাঁচ সেনা নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ইসরাইলের স্বীকারোক্তি মতে ৬২৬ জন সেনা নিহত এবং ১৭২৩ জন আহত হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা বলছে, তাদের হামলায় এর চেয়ে অনেক বেশি সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি লেবাননের ‌ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইসরাইলের দেড় হাজার সেনা নিহত হয়েছে।

এই বিপুল সংখ্যক সেনা হতাহত হওয়ার ঘটনায় ইসরাইল ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রতিদিন সেখানে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে।#

পার্সটুডে