মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় যুবক গ্রেফতার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশালীন পোস্ট করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার যুবকের নাম ঝুমন দাস আপন (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের গুপেন্দ্র দাসের ছেলে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় শাল্লার শাঁসকাই বাজারে তাকে আটক করে গ্রামবাসী।পরে তাকে শাল্লা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যে কারণে অভিযুক্ত ঝুমন দাস আপনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। এরপর আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলামধর্ম ও মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ হয়। পরে এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আপনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী৷




আড়ংয়ের সব পণ্য ফিরিয়ে দিলেন কিশোরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট আড়ং আন্দোলন সক্রিয়মান। এরই সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডস্থ নেয়ামত স্টোরের মালিক মো. মিজানুর রহমান শাহীন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্ডারকৃত আড়ংয়ের সকল পণ্য ফেরত দিয়েছেন।
আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শাহীন বলেন, গতরাতে আমি একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে দাড়ি থাকায় একটি ছেলেক চাকুরী দেয়নি ‘আড়ং’ কর্তৃপক্ষ। যা দেখে অবাক হয়েছি। মুসলমানদের এই দেশে আমার নবীর সুন্নতের জন্য চাকরি দেবে না তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আড়ং কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে চাকরি দিলে তবেই আমরা তাদের পণ্য গ্রহণ করব। অন্যথায় আড়ংয়ের পণ্য বর্জন করলাম।
এদিকে গত দুইদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি প্রকাশিত হয়ে পড়লে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না।
‘তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো, সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে ভিডিওটিতে বলেন এই যুবক। এরই সূত্র ধরে সারা দেশে ‘বয়কট আড়ং’আন্দোলন সক্রিয়মান।