কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ৯ প্রবাসী ছয় ঘণ্টা পর ফিরে এলেন

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ফের হোটেলে এসেছেন যুক্তরাজ্য ফেরত একই পরিবারের ৯ সদস্য। রোববার বেলা ২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত আটটায় ফিরে আসেন তারা।হোটেল অবস্থানরত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে গত ১৮ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল ওঠেন তারা। আগামী ২৬ মার্চ কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের হোটেল ছাড়ার কথা। তাদের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। এদিন ওই হোটেলে ৩৫ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে যান।

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর ফেরত আসা প্রবাসীরা হলেন আবদুল মালিক, রুনা আক্তার, তামিমা আক্তার, তায়্যিবা আক্তার, রুবাবা আক্তার , রাহিমা বোগম, রাদিয়া আক্তার, সায়মা বেগম ও এম তাহমিদ চৌধুরী। তারা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

হোটেল ব্রিটানিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার কাওসার খান বলেন, ১৮ মার্চ একই পরিবারের ওই নয় সদস্য হোটেলের ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। প্রতিদিন দুইবার কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের চেক করা হয়। রোববার সকালে চেক করার সময় তারা হোটেলে ছিলেন। দুপুরে ফের তাদের চেক করতে গেলে ওই পরিবারের ৯ সদস্যের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে তাদের দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা জানান একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে তারা বাড়িতে চলে গেছেন। পরে ফোন দেয়া হলে তারা এক ঘণ্টার মধ্যে আসছেন বলে জানান। পরে অসংখ্যবার যোগাযোগ করে রাত আটটার দিকে তারা হোটেলে আসেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমশিনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, রাত আটর দিকে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়া একই পরিবারের ৯ সদস্য হোটেলে ফিরে এসেছেন। কি কারণে তারা পালিয়ে গেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেন, ওই হোটেলে আমাদের একজন এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কিভাবে তারা পালিয়ে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




দুর্গাপুরে শিশুর আত্মহত্যা

রান্না ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে খাইরুল (১০) নামে এক শিশু আত্মহ্ত্যা করেছে। রবিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে সোলায়মানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছেলে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের অজান্তে বিকেলে কোন এক সময় রান্না ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যায় খাইরুলের বোন রাজিয়া গোয়াল ঘরে গরু বেঁধে রান্না ঘরে এসে দেখে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তার ভাই ঘুংড়াতে থাকে। বোনের ডাক-চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খাইরুলকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপেক্সে নিয়ে আসার পথে খাইরুলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মৃতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।




দুর্গাপুরে পুলিশের মাক্স বিতরণ

বাংলাদেশ পুলিশ দুর্গাপুর থানার উদ্যোগে বর্তমান করোনা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে। রোববার পৌরশহরের ব্যস্ত এলাকা প্রেসক্লাব মোড় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, ওসি শাহ নুর-এ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, নির্মলেন্দুর সরকার বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণ পুর্ব আলোচনায় পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রানঘাতি করোনা পুনরায় আমাদের মাঝে হানা দেয়া শুরু করেছে, গ্রামের সাধারণ মানুষ অনেকেই এ খবর রাখেন না। সে বিষয়টি মাথায় রেখে গ্রামে কৃষক, শ্রমিক, অসচেতন হতদরিদ্র মানুষদের করোনা কালীন সময়ে আমাদের কি করনীয় সে বিষয়ে ধারণা দেয়া সহ বিনা মুল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।




বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় মায়ের পা ভাঙল ছেলেরা

বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলায় মজিদা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে এমন অভিযোগ করেন পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের দশাল গ্রামের মা মজিদা খাতুন। তিনি ওই এলাকার দিনমজুর সাহেব আলীর স্ত্রী।

এ বিষয়ে মজিদা খাতুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজ শেষে মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এমন সময় তার ছেলে মঞ্জুল মিয়া (৪৩) ও হালিম মিয়া (২৫) তার মায়ের বসতবাড়ি তাদের দুজনের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এর একপর্যায়ে বাবার গায়ে আঘাত করে।

মা মজিদা এরই প্রতিবাদ করতে গেলে ঘরের বারান্দার সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে বাম পা ভেঙে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে দড়ি দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে মেরে ফেলবে বলে জানায় ছেলেরা।

এ সময় বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহতাবস্থায় মজিদাকে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ নিয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মনির হোসেন মানিক বলেন, ছেলেরা এক টুকরো জমির জন্য বাবা-মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে— এটি সত্যিই দুঃখজনক; আমি এর শাস্তি দাবি করছি।

মারধরের বিষয় নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ-আলম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সত্যিই অমানবিক, এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।




ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি সেতু

উপজেলার জুঙ্গুরদি বাসস্ট্যান্ড ও নগরকান্দা সদরের মধ্যবর্তী কুমার নদে শনিবার সকাল ৭টার দিকে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে নগরকান্দা থানার ওসি সেলিম রেজা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধাওয়াপাড়া থেকে জুঙ্গুরদিমুখী বালিবোঝাই দশ চাকার ট্রাকটি বেইলি ব্রিজে উঠে। এরপর বিজ্রের অপর প্রান্তে যাওয়ার আগেই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়।ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে ছোট যান কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যাচ্ছে।

নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আনিস জানান, ৫ টন ওজন বহনের সক্ষমতা নিয়ে ৮০’র দশকের শেষের দিকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি অনেক আগেই জরাজীর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসী সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি ফরিদপুরের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ বেইলি ব্রিজের কিছু স্লিপার মেরামত করে। পরে ৫ টন ওজনের স্থলে সাত টন ওজন বহনের অনুমতি সম্বলিত একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয়।”

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রো বলেন, বর্তমানে স্থানীয় পথচারীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে নগরকান্দা যাতায়াতে নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। বিষয়টি ফরিদপুরের সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত ১০ চাকার বালিবাহী ট্রাকটি প্রায় ৩০ হতে ৩৫ টন ওজনের ছিল।ফলে অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে বেইলি ব্রিজটি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন।

ওসি বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি ১০ চাকার। ধাওয়াপাড়া হতে বালি নিয়ে আসা ট্রাকটি নির্ধারিত ওজনেরও কয়েকগুন বেশি ওজনের ছিল। ট্রাকের চালককে আটক করা যায়নি। এছাড়া মালিকের সন্ধানও মেলেনি।”




শাল্লায় হিন্দুদের গ্রামে হামলা: ‘মূল আসামি’ স্বাধীন মেম্বার গ্রেপ্তার

শনিবার ভোর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিলেটে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালেদ উজ জামান জানান।

তিনি বলেন, “শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলায় মূল আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন। গ্রেপ্তার করার পর তাকে কুলাউড়া থেকে পিবিআইয়ের সিলেট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।”

শহীদুল ইসলাম স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পাশের দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর হামলাকারীদের ‘মদদদাতা’ হিসেবে স্বাধীন মেম্বারের নাম আসে।

হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলাতেও স্বাধীনকে আসামি করা হয়।

ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে বুধবার সকালে হামলা চালিয়ে ৬০-৭০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সে সময় বলেছিল, ‘হেফাজতে ইসলামীর অনুসারীরা’ ওই হামলা চালায়।

শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক বলেছিলেন, গত সোমবার দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সম্মেলনে যান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সম্মেলনে মামুনুল হকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন।

“ওই ঘটনাকে ধর্মীয় উসকানি আখ্যায়িত করে ওই এলাকার মামুনুল হকের অনুসারীরা মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর বুধবার সকালে কাশিপুর, নাচনী, চণ্ডিপুরসহ কয়েকটি মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কয়েক হাজার অনুসারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। হাজারো মানুষের আক্রমণে গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এই সুযোগে হেফাজত নেতার অনুসারীরা গ্রামে প্রবেশ করে তছনছ করে। লুটপাট করে বিভিন্ন বাড়িতে।”

পরদিন শাল্লা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়। আর হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুলের করা মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীনের ‘উপস্থিতিতেই’ সেদিন হামলা হয়।

তদন্তকারীরা বলছেন, স্বাধীন মেম্বারের সাথে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁওবাসীর পুরনো বিরোধ রয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তির কথায় স্বাধীন মেম্বারের নাম এসেছে।

শহীদুল ইসলাম স্বাধীনসহ মোট ২৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।




মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইইউ

মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ১১ সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আগামী সোমবার দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ পদক্ষেপে অনুমোদন দেবেন।

ইউরোপের কূটনীতিকদের বরাতে আলজাজিরা বলছে, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা শনিবার অভ্যুত্থানের নেতাদের অর্থ ও অস্ত্র সংক্রান্ত অনুপ্রবেশ বন্ধে আরজি জানিয়েছেন। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত মাসে মিয়ানমারের সামরিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করতে সম্মত হয় ২৭ দেশের এই জোট।

এর আওতায় ১১ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ইউরোপের থাকা সম্পত্তি জব্দ ও ভিসা কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে শুরুতেই সেনা বাহিনীর সঙ্গে থাকা বাণিজ্য চুক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে না। তবে সামনে এ ধরনের পদক্ষেপ আসতে পারে। এক কূটনীতিকের বরাতে এ খবর জানানো হয়।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ শনিবার দেশটিতে চলমান সহিংসতা রোধে অভ্যুত্থানের নেতাদের অর্থ ও অস্ত্র সংক্রান্ত অনুপ্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দেশটিতে চলমান সহিংসতা রোধে ঐকমত্যে পৌঁছতে বিশ্ব নেতাদের একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছেন।




দুর্গাপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত

জেলার দুর্গাপুরে ফায়ার সার্ভিস এর আয়োজনে অগ্নিনির্বাপনে করনীয় কি ? এ বিষয়ে এক বিশেষ মহড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা এ জনসচেতনতামূলক মহড়া ফায়ার সার্ভিস দুর্গাপুর এর টিম লিডার মো. শফিকুল ইসলাম, ফায়ার ফাইটার মো. হারুন অর রশীদ, মো. মোজাম্মেল হক, মো. আরিফ হোসেন, প্রেম মোহাম্মদ, মো. মইনুল হক, মো. সুমন মিয়া আয়োজন করেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক তোবারক হোসেন খোকনসহ অসংখ্য জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।




মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় যুবক গ্রেফতার

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশালীন পোস্ট করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার যুবকের নাম ঝুমন দাস আপন (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের গুপেন্দ্র দাসের ছেলে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় শাল্লার শাঁসকাই বাজারে তাকে আটক করে গ্রামবাসী।পরে তাকে শাল্লা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যে কারণে অভিযুক্ত ঝুমন দাস আপনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। এরপর আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলামধর্ম ও মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ হয়। পরে এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আপনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী৷




আড়ংয়ের সব পণ্য ফিরিয়ে দিলেন কিশোরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট আড়ং আন্দোলন সক্রিয়মান। এরই সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডস্থ নেয়ামত স্টোরের মালিক মো. মিজানুর রহমান শাহীন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্ডারকৃত আড়ংয়ের সকল পণ্য ফেরত দিয়েছেন।
আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শাহীন বলেন, গতরাতে আমি একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে দাড়ি থাকায় একটি ছেলেক চাকুরী দেয়নি ‘আড়ং’ কর্তৃপক্ষ। যা দেখে অবাক হয়েছি। মুসলমানদের এই দেশে আমার নবীর সুন্নতের জন্য চাকরি দেবে না তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আড়ং কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে চাকরি দিলে তবেই আমরা তাদের পণ্য গ্রহণ করব। অন্যথায় আড়ংয়ের পণ্য বর্জন করলাম।
এদিকে গত দুইদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি প্রকাশিত হয়ে পড়লে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না।
‘তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো, সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে ভিডিওটিতে বলেন এই যুবক। এরই সূত্র ধরে সারা দেশে ‘বয়কট আড়ং’আন্দোলন সক্রিয়মান।