আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানাল হেফাজত

ডেস্ক রিপোর্ট:

সারা দেশের মাদ্রাসায় ‘হামলা ও জুলুম’ হচ্ছে দাবি করে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের কাছে অবিলম্বে হামলা বন্ধ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় হেফাজত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।

আজ রোববার বেলা তিনটায় হাটহাজারী সদরের কাচারি সড়কে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বাবুনগরী অভিযোগ করেন ‘গত শুক্রবার মাদ্রাসাছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী গুলি করে হাটহাজারীর চারজনকে শহীদ করেছে। আহত হয়েছেন অনেক। সারা দেশে নিহত হয়েছেন এ পর্যন্ত ১৬ জন। এটা মামুলি কথা নয়। এ জন্য হরতালের ডাক দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহত নেতাকর্মীর হত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামী আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান করে। আজকের হরতাল পালনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নারায়নগঞ্জ ও রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ

এদিকে, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়  আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সকাল থেকে মালিবাগ এলাকা, রেলক্রসিং ও রামপুরা সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। তাদের কারও কারও হাতে লাঠি, হকিস্টিকও দেখা গেছে।

পল্টনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতে ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষকেই ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী, হেফাজতের ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ ও হাফেজ মাওলানা বশির আহম্মেদসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন।

উপজেলার বড় বড়শিকারপুর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল ছুড়ে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি ছোড়ে। এছাড়া সংঘর্ষচলাকালীন সময়ে বেশকয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করা ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভাঙ্চুর চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও হরতাল সমর্থকরা। আজ সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গতকাল শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর একটি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রামে যায়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পৌঁছালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের ১২৪টি কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

সিলেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সিলেটে হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থান করা হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার পর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষ  

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জেলা পুলিশ সুপারসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে মাদ্রসাছাত্রদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাব ও পুলিশকে পানি ও হাল্কা খাবার খাওয়ালো হেফাজত

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানী নগর মাদরাসার সামনে রাস্তায় হরতাল প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পানি ও হাল্কা খাবার সরবরাহ করেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা । সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজত কর্মীরা।

রাজশাহীতে বাসে আগুন

রবিবার সকালে রাজশাহী নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টায় দিকে টার্মিনালের ভেতর পার্কিংয়ে রাখা দুটি বাসের মধ্যে একটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে একটি বাস পুরোটাই পুড়ে গিয়ে অন্যটিতেও আগুন ধরে আংশিক পুড়ে গেছে। পুলিশের ধারণা হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় মামলা দায়েরের হয়েছে।

নগরীর শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম খান বলেন, হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। কারণ বাস দুটি ট্রাক টার্মিনালের ভেতর ৯ মাস ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।

এদিকে রাজশাহীতে হরতালের সমর্থনে কোথাও হেফাজতে ইসলামের কোনো মিছিল বা প্রকাশ্যে পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালেও স্বাভাবিক ছিল গাড়ি চলাচল।#




মিয়ানমারে গুলিবর্ষণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বিশ্ববাসী। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের বার্মিজ সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশজুড়ে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ বছরের এক মেয়ে শিশুসহ কেবল মান্দালয় শহরেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেইপিদোতে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেন, ‘দেশের জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সামরিক বাহিনী। অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গ্রুপ সিআরপিএইচের মুখপাত্র ডা. সাসা এক অনলাইন ফোরামে বলেছেন, ‌‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আজ লজ্জা দিবস। তারা তিন শতাধিক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পর আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছে।’




পীর সাহেব মধুপুর এবং মাওলানা বশীর আহমদ গুলিবিদ্ধ

ডেস্ক রিপোর্টঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত সারা দেশব্যাপী হরতাল পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)।

আজ রোববার ২৮ মার্চ দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের শিকারিপারা এলাকায় পিকেটিং চলাকালীন সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে  জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বশীর আহমদ সাহেবও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।




সাইনবোর্ডে হেফাজতকর্মীদের ওপর বিজিবির হামলা, গুলিবিদ্ধ ১

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড সানারপার এলাকায় হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে হেফাজত কর্মীদের ওপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও পুলিশের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন।

হেফাজতে ইসলামের হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রামের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। আজ সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির গুলিতে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের ব্যাপারে বিস্তারিক কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহতদের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতালের আহ্বান করে।




সারাদেশে চলছে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ হরতাল

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশে বিভিন্ন জায়গায় ১৩জনকে গুলি করে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষেরা। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ সাইনবোর্ডের সানারপাড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্রসহ সাধারণ মানুষ। আজকের হরতালে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের দূরপাল্লার যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও হরতালের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন মাদরাসার ছাত্ররা। মোহাম্মদপুরের মিছিলে পুলিশের সাময়িক বাধার খবর পাওয়া গেছে। ওদিকে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, বি-বাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে হরতাল পালন শুরু হয়েছে। হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা। এপিসি জলকামান নিয়ে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা। এদিকে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে নিহত ৫ আহত অর্ধশতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ পুলিশ-বিজিবির হামলায় বিক্ষোভকারীদের ৫ জন নিহত হন। এতে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার খবরে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার ছাত্ররা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি আখাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা মিছিল করে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করেছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




হাটহাজারী হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বিকালে

ডেস্ক রিপোর্টঃ ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ গুলি করে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে আজ ২৭ মার্চ শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রমূখ।

মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্রসহ ৬জনকে শহীদ করে সরকার একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যে কোন বিষয়ে যে কোন মানুষ প্রতিবাদ করতে পারা নাগরিক অধিকার। বর্তমান সরকার জনগণের এ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।




দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসীরা বর্ডার হাট চান

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সীমান্তবর্তী হাট চান পাহাড়ি আদিবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম, ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপ-শহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো বর্ডার হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে।

এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, মাছ, মুরগী, বুট, কাঁচা সুপারি, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, লবন, কসমেটিক ও জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী নারীরা।

আদিবাসী নারী প্রেমলা হাজং বলেন, ‘মলা তো গুরিব মানুষ, উন্য বিবুসা কুরিবো ট্যাংকা কুবায় পায়’ (আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য অন্য ব্যবসা করতে টাকা কোথায় পাবো) মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানিরা সুযোগ বুঝে আমাদের মালগুলো বাকিতে রাখতে চায়।

আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেচাকেনা শেষে কোন দিন ৫০০, কোন দিন ৪০০ টাকা লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার।

মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এ ব্যবসা করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে টুকরি প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টাকা দিতে হতো, এখন ওদের চোক ফাঁকি দিয়েই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে, তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় দেই না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, বর্ডার হাট ও এই এলাকা দিয়ে এলসি খোলাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে দু‘দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জেনেছি।

আশাকরি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হবে। এতে সীমান্তবর্তী খেটে খাওয়া আদিবাসী শ্রমিদের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।




ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তার অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি।”

গত সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে আগুন লাগে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৩০০ বসত ঘর এবং আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বসত বাড়ি ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর বিবৃতিতে প্রিয়জন হারাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১২০,০০০ এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন, অতিরিক্ত এই সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে খরচ হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিল এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।