সাইনবোর্ডে হেফাজতকর্মীদের ওপর বিজিবির হামলা, গুলিবিদ্ধ ১

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড সানারপার এলাকায় হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত হরতাল কর্মসূচিতে হেফাজত কর্মীদের ওপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও পুলিশের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন।

হেফাজতে ইসলামের হরতালের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রামের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। আজ সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিজিবির সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির গুলিতে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের ব্যাপারে বিস্তারিক কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহতদের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সকাল সন্ধ্যা সারাদেশে হরতালের আহ্বান করে।




সারাদেশে চলছে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ হরতাল

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশে বিভিন্ন জায়গায় ১৩জনকে গুলি করে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষেরা। ঢাকার পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ সাইনবোর্ডের সানারপাড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন মাদরাসার ছাত্রসহ সাধারণ মানুষ। আজকের হরতালে ঢাকার সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের দূরপাল্লার যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও হরতালের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন মাদরাসার ছাত্ররা। মোহাম্মদপুরের মিছিলে পুলিশের সাময়িক বাধার খবর পাওয়া গেছে। ওদিকে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, বি-বাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে হরতাল পালন শুরু হয়েছে। হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা। এপিসি জলকামান নিয়ে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা। এদিকে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে নিহত ৫ আহত অর্ধশতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুরে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ পুলিশ-বিজিবির হামলায় বিক্ষোভকারীদের ৫ জন নিহত হন। এতে আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার খবরে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার ছাত্ররা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলি আখাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা মিছিল করে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করেছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




হাটহাজারী হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বিকালে

ডেস্ক রিপোর্টঃ ৫০তম স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ গুলি করে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে আজ ২৭ মার্চ শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী প্রমূখ।

মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী মাদরাসার ৪জন ছাত্রসহ ৬জনকে শহীদ করে সরকার একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যে কোন বিষয়ে যে কোন মানুষ প্রতিবাদ করতে পারা নাগরিক অধিকার। বর্তমান সরকার জনগণের এ মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।




দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসীরা বর্ডার হাট চান

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সীমান্তবর্তী হাট চান পাহাড়ি আদিবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম, ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপ-শহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো বর্ডার হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে।

এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, মাছ, মুরগী, বুট, কাঁচা সুপারি, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, লবন, কসমেটিক ও জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী নারীরা।

আদিবাসী নারী প্রেমলা হাজং বলেন, ‘মলা তো গুরিব মানুষ, উন্য বিবুসা কুরিবো ট্যাংকা কুবায় পায়’ (আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য অন্য ব্যবসা করতে টাকা কোথায় পাবো) মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানিরা সুযোগ বুঝে আমাদের মালগুলো বাকিতে রাখতে চায়।

আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেচাকেনা শেষে কোন দিন ৫০০, কোন দিন ৪০০ টাকা লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার।

মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এ ব্যবসা করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে টুকরি প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টাকা দিতে হতো, এখন ওদের চোক ফাঁকি দিয়েই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে, তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় দেই না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, বর্ডার হাট ও এই এলাকা দিয়ে এলসি খোলাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে দু‘দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জেনেছি।

আশাকরি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হবে। এতে সীমান্তবর্তী খেটে খাওয়া আদিবাসী শ্রমিদের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।




ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তার অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি।”

গত সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে আগুন লাগে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৩০০ বসত ঘর এবং আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বসত বাড়ি ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর বিবৃতিতে প্রিয়জন হারাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১২০,০০০ এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন, অতিরিক্ত এই সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে খরচ হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিল এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।




নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

ডেস্ক রেোপর্ট:

নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের সদর উপজেলার বাগড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়।

নিহত পুলিশ সদস্য কনষ্টেবল মো: সাইফুল (৮১৪) নেত্রকোণা আদালতে কর্মরত ছিলেন । তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।

নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান , কনষ্টেবল সাইফুল মোটরসাইকেলে করে নেত্রকোণার দিকে আসছিলেন। আর পিকআপভ্যানটি নেত্রকোণা থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। পথে বাগড়া এলাকায় পৌছলে সড়কে একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল ছিটকে সড়কের পাশে গিয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলে থাকা সাইফুলও ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 




ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আহত

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট থেকে তার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে একই মিছিল থেকে আলোচিত ওয়ায়েজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই মিছিল চলাকালীন একটি লাইভে দেখা যায়, রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে এবং তাকে থানায় নেয়ার জন্য পুলিশ ভ্যান সন্ধান করছে।

গ্রেফতারের পর পর নিজের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশভ্যান থেকে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে স্টেটাস দেন। এতে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ধরা পরে গেছি সমস্যা নেই মরতেও রাজি আছি তবুও মোদি আসতে পারবে না!’

এ স্টেটাসের দু’মিনিট পর তিনি তার ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন। লাইভে দেখা যায় তাকে ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন সহযোদ্ধা। এ সময় তিনি লাইভে বলেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সম্মানিত দেশবাসী! আপনার দেখছেন, পুলিশ আমাদেরকে গ্রেফতার করে প্রিজনভ্যানে নিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। আমাদেরকে পুলিশ ভাইয়েরা আঘাত করেছে। আমরা তাদেরকে বলবো, আমাদের আঘাত করা আর দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয় আমরা মোদির বিরুদ্ধে ’।




মতিঝিলে বিক্ষোভ থেকে ‘শিশুবক্তা’ মাওঃ রফিকুল ইসলাম আটক

রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাওঃ রফিকুল ইসলাম (নেত্রকোণা) ওরফে শিশুবক্তাকে আটক করেছে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান সড়কটি বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বিকল্প রাস্তা হিসেবে শাপলাচত্বর থেকে ফকিরাপুল হয়ে গাড়ি চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত এই বিক্ষোভে পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মশিউর রহমানের। তিনি জানান, পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ, ক্যাদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পার হচ্ছিলাম এই সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখান থেকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
তবে রফিকুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মতিঝিল থানায় ফোন করা হলে ডিউটি অফিসার আরাফাত জানান, তার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাব, ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

বর্তমানে শাপলা চত্বর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, তারা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।




নেত্রকোনায় অস্ত্র মামলার রায়ে দুইজনের ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ

নেত্রকোনায় অস্ত্র মামলার রায়ে দুইজনকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৪ মার্চে) বিকাল ৫টার দিকে এই রায় ঘোষনা করেন নেত্রকোনা যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এসময় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আসামীরা হচ্ছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলা বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে মো: তাজুল ইসলাম তাজু এবং একই উপজেলার বায়রাউড়া গ্রামের মৃত রাজ মাহমুদের ছেলে মো: মজিম। এর মধ্যে আসামী মো: তাজুল ইসলাম তাজু পলাতক রয়েছে। অপর আসামী মো: আনোয়ার হোসেন আনুকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুর উপজেলা সদরের সুসং বাজারে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদল অস্ত্র বিক্রয় করার সংবাদ পায় র‍্যাব। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের সদস্যরা ক্রেতা সেজে অস্ত্র কিনতে যায়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র‍্যাবের টিম অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে আটক করে। এসময় মো: আনোয়ার হোসেন আনু পালিয়ে যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ২টি বিদেশী রিভলবার ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

পরে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সনের অস্ত্র আইন (সংশোধনী ২০০২) এর 19(f) read with 19A ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে পুলিশ চার্জশীট প্রদান করলে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এই রায় প্রদান করেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো: রফিকুল ইসলাম এপিপি এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম খান।