লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দুর্গাপুরে দুংসাহসিক চুরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক দুংসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে কেনো এক সময়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজারে অবস্থিত পৌর মেয়র আলা উদ্দিনের স্বর্না ব্রিকস অফিস কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করে শুক্রবার রাতে কর্মকর্তাগন অফিসে তালা লাগিয়ে বাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে অফিস স্টাফ জয়দেব চত্রুবর্তী অফিসের তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় উপরে ঘরের টিন খুলা এবং অফিসের আলমারী ড্রয়ার খুলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রের ম্যানেজার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন ইট বিক্রির টাকা সহ অনুৃমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ছিলো ড্রয়ার ও আলমারিতে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী, থানা তদন্ত ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান।

[৬] এ বিষয়ে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন , এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




দুর্গাপুরে মিনিবাস সহ দুই চোর আটক : লাপাত্তা ভাঙারি ব্যবসায়ী সুরুজ

মিনিবান চুরির ঘটনার সম্পৃক্ততায় ফেঁসে যেতে পারেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রাম থেকে সোমবার সকালে মিনি বাস চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালত ওই দুই অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মিনিবাস চুরির সন্ধান পেয়ে ঢাকাস্থ তেজগাঁও এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র মালিক আলী আজম দুর্গাপুর থানায় আসেন। পরে মালিককে সাথে নিয়ে পুলিশের এস আই রুকন ঘটনাস্থলে গিয়ে মিনিবাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় গত (২৭ মার্চ) শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন আলী আজম। ভুক্তভোগী আলী আজম এর একটি মাত্র মিনিবাস ছিল। সেটি ভাড়া থেকে যা আয় আসতো, তা দিয়ে সংসার কোনমতে চলতো। বেঁচে থাকার সম্ভল হারিয়ে বারবার কান্না করছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত সুরুজ্জামান (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালুর ঘাট এলাকার মুসলীম উদ্দিনের ছেলে,আর রিয়াজ উদ্দিন(২২)গাজীপুর জেলার শ্রীপুর গ্রামের টেপির বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন। সে ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে মাওনা গ্যাস পাম্প থেকে চুরি হয়ে যায়। ওই দুজন অভিযুক্ত ব্যক্তিদুর্গাপুরের জাগিরপাড়া গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী সুরুজ এর সহায়তায় ঘটনার পর দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাগিরপাড়া গ্রামে নিয়ে আসে। ইউপি মেম্বার মোহাম্মাদ আলীর বাড়ি থেকে বিদ্যুত সংযোগ এনে মিনি বাসটিকে কেটে টুকরো টুকরো করে সুরুজ আলী। মিনিবাস চুরির ঘটনায় সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ সকালে জাগিরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান করে। পরে ভাঙারি ব্যবসায়ী সুরুজ আলী স্কুল মাঠ থেকে মেম্বারের বাড়ির দক্ষিণ দিকে ফাঁকা জায়গাতে মিনিবাসটি কাটতে শুরু করে। এ ঘটনাটি স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ হলে ইউপি চেয়ারম্যান খবর পেয়ে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে বাসটি কাটতে নিষেধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাঁওকান্দিয়া বাজার থেকে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে। চটকে পড়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সুরুজ আলী। অনেকটা গাঁ ডাকা দেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী।

সোমবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মিনিবাস চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুসলমান বিন্দু মাত্র মিথ্যা বলছি না, এ ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত না। মিনি বাসটি চুরির জানলে বিদ্যুত সংযোগ দিতাম না। তবে ভাঙারি সুরুজ এর সাথে এ বিষয়ে কি কথা হয়েছে সবকিছুই আমার কাছে রেকর্ড রয়েছে।

পলাতক ভাঙারি সুরুজের বাড়িতে গেলে স্ত্রী রেজিয়া এ ঘটনার সাথে ইউপি মেম্বার জড়িত আছেন বলে জানান। সোমবার বিকেলে সুরুজ এর বড়ি থেকে একটি ব্যাটারী ও এঙ্গেল, বাসের অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব জানান, ঘটনাটি এলাকার মানুষের মাঝে সন্দেহ তৈরী হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ তদন্ত করে এর সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে। এ মিনিবাস চুরির সাথে যারা জড়িত তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এটি এলাকার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনুর-এ আলম জানান, মিনিবাস চুরি করে কে বা কাহারা ওই এলাকায় এনেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে ৫৪ ধারায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মিনিবাসটির মালিক এসেছিলেন। চুরির ঘটনাস্থল শ্রীপুর মডেল থানার আওতায় হওয়ায় তাৎক্ষণিত ভাবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। তবে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।




সিলেটে কোয়ারেন্টিন থেকে পালানো ২ প্রবাসীর জেল-জরিমানা

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে তাদের এই সাজা দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার চানপুর গ্রাম ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোদামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪২ বছর।

মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গত ২২ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পর ওই দুই প্রবাসী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য সিলেট শহরের দরগাগেইটে হোটেল স্টার প্যাসিফিকে ওঠেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কিন্তু প্রতিবেদন আসার আগেই তারা হোটেল থেকে পালিয়ে যান। তারা দুইজনই ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি।

“মঙ্গলবার রাতে তাদের সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা জরিমানা পরিশোধ করেছেন। রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

এর আগে গত ২০ মার্চ শহরের আম্বরখানার হোটেল ব্রিটানিয়া থেকে এক পরিবারের নয় সদস্য কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে জকিগঞ্জস্থ গ্রামের বাড়ি চলে যায়। তাদের ফোন করে ডেকে এনে প্রাপ্তবয়স্ক ছয়জনকে তিন হাজার টাকা করে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।




কলকাতায় বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দমকলের ৮ ইঞ্জিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: কলকাতার স্ট্র‌্যান্ডরোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।

জানা গেছে, এন সি দত্ত রোডে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের চারতলায় আগুন লাগে। ইতোমধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে গোটা ভবনকেই। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দমকলকে খবর দেন এবং বহুতলের ভিতরে থাকা সকলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন পৌঁছে।

প্রসঙ্গত, সেই সময় বহুতলের ঘরগুলোতে অল্প কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সজাগ থাকায় দ্রুত ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন সবাই। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় সবাইকে নিরাপদে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।

সূত্র: এবিপি আনন্দ, আজকাল




রক্ত ঝরানোর জবাব সরকারকে দিতে হবে: ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে সরকার। রক্ত ঝরানোর জন্য ও প্রাণ যাওয়ার জন্য সরকার দায়ী, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। সরকারের নির্দেশে এমন হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এসবের খেসারত সরকারকে দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে না। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

সরকারের পদত্যাগ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি সরকার ভারত থেকে আদায় করতে পারছে না। সীমান্তে গুলি করে হত্যার কোনো বিচার হয় না। তাই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় অতীতের স্বৈরাচার সরকারগুলোর মতো পরিণতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন মির্জা ফখরুল।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি নিজেরা নিজেদের আন্দোলন করে, কারো আন্দোলনে ইন্ধন দেয় না।




আজ লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ: দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। নতুন করে এই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সাধারণ চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে আজ সোমবার দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে-শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা, যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’




আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানাল হেফাজত

ডেস্ক রিপোর্ট:

সারা দেশের মাদ্রাসায় ‘হামলা ও জুলুম’ হচ্ছে দাবি করে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের কাছে অবিলম্বে হামলা বন্ধ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় হেফাজত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।

আজ রোববার বেলা তিনটায় হাটহাজারী সদরের কাচারি সড়কে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বাবুনগরী অভিযোগ করেন ‘গত শুক্রবার মাদ্রাসাছাত্রদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী গুলি করে হাটহাজারীর চারজনকে শহীদ করেছে। আহত হয়েছেন অনেক। সারা দেশে নিহত হয়েছেন এ পর্যন্ত ১৬ জন। এটা মামুলি কথা নয়। এ জন্য হরতালের ডাক দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, মোদিবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় নিহত নেতাকর্মীর হত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামী আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান করে। আজকের হরতাল পালনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নারায়নগঞ্জ ও রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ

এদিকে, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়  আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে হরতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সকাল থেকে মালিবাগ এলাকা, রেলক্রসিং ও রামপুরা সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। তাদের কারও কারও হাতে লাঠি, হকিস্টিকও দেখা গেছে।

পল্টনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতে ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষকেই ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী, হেফাজতের ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ ও হাফেজ মাওলানা বশির আহম্মেদসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন।

উপজেলার বড় বড়শিকারপুর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল ছুড়ে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি ছোড়ে। এছাড়া সংঘর্ষচলাকালীন সময়ে বেশকয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করা ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভাঙ্চুর চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও হরতাল সমর্থকরা। আজ সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গতকাল শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর একটি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রামে যায়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পৌঁছালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের ১২৪টি কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

সিলেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সিলেটে হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে দুপুরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থান করা হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার পর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষ  

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জেলা পুলিশ সুপারসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে মাদ্রসাছাত্রদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাব ও পুলিশকে পানি ও হাল্কা খাবার খাওয়ালো হেফাজত

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানী নগর মাদরাসার সামনে রাস্তায় হরতাল প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পানি ও হাল্কা খাবার সরবরাহ করেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা । সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে হেফাজত কর্মীরা।

রাজশাহীতে বাসে আগুন

রবিবার সকালে রাজশাহী নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টায় দিকে টার্মিনালের ভেতর পার্কিংয়ে রাখা দুটি বাসের মধ্যে একটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে একটি বাস পুরোটাই পুড়ে গিয়ে অন্যটিতেও আগুন ধরে আংশিক পুড়ে গেছে। পুলিশের ধারণা হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় মামলা দায়েরের হয়েছে।

নগরীর শাহমখদুম থানার ওসি সাইফুল ইসলাম খান বলেন, হরতালের নামে নাশকতা সৃষ্টি করতেই এই আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা নিশ্চিত নই। কারণ বাস দুটি ট্রাক টার্মিনালের ভেতর ৯ মাস ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।

এদিকে রাজশাহীতে হরতালের সমর্থনে কোথাও হেফাজতে ইসলামের কোনো মিছিল বা প্রকাশ্যে পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালেও স্বাভাবিক ছিল গাড়ি চলাচল।#




মিয়ানমারে গুলিবর্ষণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বিশ্ববাসী। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে। শনিবার (২৭ মার্চ) মিয়ানমারের বার্মিজ সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশজুড়ে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ বছরের এক মেয়ে শিশুসহ কেবল মান্দালয় শহরেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেইপিদোতে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেন, ‘দেশের জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সামরিক বাহিনী। অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গ্রুপ সিআরপিএইচের মুখপাত্র ডা. সাসা এক অনলাইন ফোরামে বলেছেন, ‌‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আজ লজ্জা দিবস। তারা তিন শতাধিক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পর আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছে।’




পীর সাহেব মধুপুর এবং মাওলানা বশীর আহমদ গুলিবিদ্ধ

ডেস্ক রিপোর্টঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত সারা দেশব্যাপী হরতাল পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর)।

আজ রোববার ২৮ মার্চ দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের শিকারিপারা এলাকায় পিকেটিং চলাকালীন সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে  জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বশীর আহমদ সাহেবও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।