দুর্গাপুরে সরকারী পাথর চুরির দায়ে এক ব্যক্তির কারাদন্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১নং বালু মহাল থেকে সরকারী পাথর চুরির দায়ে আবু সিদ্দিক(৩৫)নামে এক ব্যক্তিকে কারাদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার দুপুরে এই কারাদ- প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুয়েল সাংমা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫টি বালু মহাল রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যন্যা বালু মহাল চালু থাকলেও ১ বৈশাখ থেকে ১নং বালু মহাল বন্ধ রয়েছে। ঐ বালু মহালে বিপুল পরিমান বালু ও পাথর সরকারের হাওলায় থাকায়, সুযোগ বুঝে এই সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার ধান্ধায় থাকে এক শ্রেনীর চোর প্রকৃতির লোক। ঐদিন দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে পৌছে হাতে নাতে ধরে ফেলেন আবু সিদ্দিক নামে ঐ ব্যক্তিকে। পরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এ দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।




আসামে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো-সংরক্ষণ বিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভায় শুক্রবার পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো সংরক্ষণ বিল। এই বিল অনুসারে গরু নিয়ে যাওয়া, গো হত্যা, গরুর গোশত বিক্রির ক্ষেত্রে নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। গরুর গোশতের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এই বিলে। তবে অনেকের মতে এটি খাতায় কলমে না করলেও গরুর গোশত বিক্রিতে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হবে আসামে। এদিন প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনার পর বাজেট সেশনের শেষ দিনে দি আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১ পাস করা হয়।

এদিকে এই বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন।

বিরোধীরা এই বিলে ৭৬টি সংশোধনী আনতে চেয়েছিলেন। আন্তঃজেলা গরু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া, মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার নির্দেশে শিথিলতা আনা, আইন না মানলে ৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মহিষকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তথ্য বলছে লোয়ার আসামে বিফকে ঘিরে প্রচুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বার বার। আমাদের লক্ষ্য সম্প্রীতি। কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেতে পারবেন। তবে যারা গরুর গোশত খান না তাদের আবেগকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত মুসলিমরা এর বিরোধিতা করবেন না।’

কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘গরুর ব্যবসার সাথে যুক্তদের প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো দরকার ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




আশুলিয়ায় নবদম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাভারের আশুলিয়া থেকে নবদম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি তারা ভাড়া বাসায় উঠেছিল।

বুধবার রাত ৭টার দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ ডেন্ডাবর এলাকার ফজর আলী বয়াতির ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মনোহরপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে টুটুল (৩০) ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী একই জেলার ইসলামি ইউনিভার্সিটি এলাকার বড় রাধানগড় গ্রামের বাদল আলীর মেয়ে মারিয়া খাতুন (১৮)।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ডেন্ডাবর এলাকার ফজর আলীর ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষের দরজা ভেঙে নিহত স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা সদ্য বিবাহিত এবং গ্রাম থেকে পালিয়ে এ মাসেই ঢাকা এসেছে। এখানে তারা নতুন বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিল। তবে নিহত টুটুলের আগের একটি স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় তাদের তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি এখন পর্যন্ত আত্মহত্যা মনে হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।




১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে: প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন আগামী ১১ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। তিনি জানান, তবে এসময় মাস্ক পরাসহ কঠোর ভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

আজ রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আগের সভায় মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। ১১ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করার সিদ্ধান্ত। যদিও শনাক্তের হার কমছে কিন্তু মৃত্যুর হার দুইশ’র ওপরে আছে। সে বিষয়ে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে কী পর্যায়ে শিথিল করবো সেটা আজকে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পেলে কাল জানাতে পারব।

এর আগে মঙ্গলবার আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকের পর মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধের সময় আরও পাঁচদিন, অর্থাৎ ১০ই অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো কথা জানায়।

সেসময় তিনি বলেছেন, ১১ই অগাস্ট থেকে দোকানপাট, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলবে। সেই সময় থেকে শর্ত সাপেক্ষে যানবাহন চলাচলও করবে। ১১ই অগাস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে, তবে ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা টিকা নেয়া ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারবে না।




ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে চামড়া, খাদ্য ও ওষুধ খাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সোমবার এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মহামারীর অতি বিস্তারে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও শুরু কঠোর লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখার দাবি জানানো হলেও সোমবারের প্রজ্ঞাপনে তিন ধরনের শিল্প কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।

>> খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

>> কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনে এতদিন শিল্প কারখানা চালু থাকলেও সাময়িক শিথিলতার পর ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে যে লকডাউন আসছে, তাতে শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার।

 




দুর্গাপুরে প্রভাবশালীদের ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন অব্যাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের কেরণখলা এলাকার সোমশশ্বরী নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে উত্তোলন বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।

এ নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ওই এলাকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই স্বপন মিয়া স্থানীয় ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সোমেশ^রী নদী থেকে ইজারা ছাড়াই বাংলা ড্রেজার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের কৃষকের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কেরণখলা বেরিবাঁধটি ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এতে বাঁধা দিলে ওই প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মহলটি মারমুখী হয়ে উঠেন তাদের ওপর। ওই এলাকার চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই স্বপন মিয়া, সেকুল মিয়া, কাশেম মেম্বার, হাবিল উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন মিলে ৩টি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিশালাকার স্তূপ তৈরী করে চলে বিক্রির মহোৎসব।

ওই অবাধ বালু বাণিজ্যের প্রায় দুইশত গজ দক্ষিণে স্থানীয় আব্দুল আজিজ, মিলন মিয়া, ছিদ্দিক, সালাম ও সেলিম মিলে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখে। এর কিছুদুর অগ্রসর হলেই দেখা মেলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে আরো দু‘তিন জন পার্টনার নিয়ে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালু উত্তোলন আপাততঃ বন্ধ রাখলেও পানি নেমে গেলেই পুনরায় শুরু বালু খেকোদের যুদ্ধ। চন্ডিগড় বাজার থেকে কেরনখলা যাওয়ার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মিত কার্পেটিং সড়কটি ভারী যানবাহন দিয়ে বালু আনা নেয়ার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল এর সাথে কথা বলার জন্য বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অবৈধভাবে বালু নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, সরকারি ইজারা ছাড়া সরকারি যে কোন ভুমি থেকে বালু উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে এমন কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 




নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ শহরতলীর পশ্চিম দেওভোগ হাজীবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম ইমন (২১)। সে দেওভোগ শেষ মাথা এলাকার মনির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া দেলোয়ারের ছেলে। ইমন বুকে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় বলে জানা গেছে। এসময় আহত হয়েছে টুুটুল ও হানিফ নামে দুইজন ।
মাদক ও এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ১০ টার দিকে ডেবিড-আব্দুল্লা এবং ওমর ফারুক-ইমন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘাত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এরমধ্যে ডেবিড ও আব্দুল্লা দুই ভাই এবং ওমর ফারুক ও ইমন দুই ভাই। সংঘাতে ইমন মারা গেল
নিহত ইমনের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। নিহতের ভাই ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলী ইমনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে আনার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি একটি গ্রুপকে পেয়েছি। তবে হত্যাকান্ডের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী।




লকডাউন: নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩২০০ কোটি টাকা

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় গতবারের মত এবারও লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হচ্ছে সরকারকে।

এপ্রিলে এক দফা লকডাউন চলার পর গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবারও আগের মত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

সংক্রমণ এড়াতে এই বিধিনিষেধের মধ্যে যানবাহন এবং জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, যাদের প্রতিনিদের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তাছাড়া মহামারী শুরুর পর গত ষোল মাসের মধ্যে অর্ধেক সময় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।

১. নিম্ন আয়ের ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষ এই প্যাকেজের আওতায় নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। সেজন্য বরাদ্দ থাকছে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। উপকারভোগীদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন।

২. শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ২৫ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আওতায় দেওয়া হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা। সেজন্য এ প্যাকেজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

৩. জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু আছে, তা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

8. গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য সুদের হার আগের মতই ৪ শতাংশ হবে।

৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

#এসআই




১৫ জুলাই থেকে ‌২৩ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সব’ চালু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করল সরকার। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল থাকছে। তবে এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সময়ে গণপরিবহন চালু থাকবে। দূরপাল্লার গণপরিবহণ, ট্রেন, নেৌপরিবহন চালু থাকবে। মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এর অর্থ দাঁড়াল, এই সময়ে সবকিছুই চলতে পারবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আজকের আদেশে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

তাতে এখনকার বিধিনিষেধের মতোই সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ সব যানবাহন বন্ধ এবং শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। আর এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্প কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে কলকারখানা খোলা রয়েছে।

গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় সরকার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রা বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এ জন্য তখন দূরপাল্লার পথে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, হাজার হাজার মানুষ কড়াকড়ি উপেক্ষা করে বাড়ির অভিমুখে রওনা হন। তাতে পথেঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফেরিঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে খরচও বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পযর্ন্ত ৮ দিন লকডাউন শিথিল থাকছে।




দুর্গাপুরের হাট বাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার সংক্রমণে ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষ করে নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার দুর্গাপুর পৌরশহর ও আশপাশ এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে এখনও গাদাগাদি করে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি এমন যে, সেখানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও তেমন একটা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি বাজারগুলোতে।

এ নিয়ে রোবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে উপজেলা প্রশাসন কাজ করলেও সাধারণ ক্রেতারা তা আমলে নিচ্ছেনা। এতে প্রশাসনের নজরদারি আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সুধীমহল। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা না হলে এলাকায় করোনা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। দুর্গাপুর মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, বৌ বাজার, উৎরাইল বাজার ও শিবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। একইসঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। মানছেন না নিরাপদ বা শারীরিক দূরত্ব। অনেকের মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে উদাসীন। ক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে আবার মুখে মাস্ক পরলেও সেটি আবার কারো কারো ঝুলছে থুঁতনিতে। এছাড়া বাজারে ছোট ছোট চায়ের দোকানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই এসব চলতে দেখা গেছে। তবে অপচনশীল দ্রব্য যেমন, চাল, ডাল, তেলের বাজারে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রায় প্রতিদিনই মাইকিং, মাক্স বিতরণ এমনকি ভা¤্র্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা বর্ডার এলাকা গুলোতে তবে প্রশাসনিক নজরদারী আরো বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নজরদারী আরো বাড়ানো হবে।