আলজাজিরার এক নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে ইস*রায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিজার এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।

বুধবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানা যায়, শিরীন আবু আকলেহকের মাথায় গুলি করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের শহর রামাল্লায় উপস্থিত আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানান, আমরা এখন পর্যন্ত জানি- শিরীন আবু আকলেহকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি পশ্চিম তীরের উত্তর দিকের এলাকায় ইসরায়েলি অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। এসময় তার মাথায় বুলেট লাগে।




দুর্গাপুরে নিজ ঘর থেকে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হৃদয় সরকার (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে পৌর শহরের দক্ষিন ভবানীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। হৃদয় সরকার ওই এলাকার বিমল সরকারের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের উৎরাইল বাজারের হৃদয়ের মা চায়ের দোকান করে। প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুর পর্যন্ত দোকান করে মায়ের কাছে এমবি ও শ্যাম্পু কেনার জন্য ৪০ টাকা নিয়ে বাসায় আসে হৃদয়। সোমবার বিকেল ৫ টায় হৃদয়ের বাসায় আসে তার মাশি। এ সময় সে হৃদয়ের ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তার নিথর দেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে সে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আনিসুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।




নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

ডিএববি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এ ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- মো. আনোয়ার হোসেন (৪০), মোছা. রোজিনা আক্তার (৩৫), রোমান (১৭), ও রোহান (৯)।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে ডাকার আগেই পুরো রুমে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাই দগ্ধ হয়েছি।

বাড়ির মালিক কাউছার আহমেদ জানান, সকালের দিকে আনোয়ার সিগারেট খায়। খাওয়ার পর সিগারেটের বাকি অংশ ফেলে দিলে তা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার ১৭ শতাংশ, রোজিনা ২৪ শতাংশ, তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ ও রোমান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রোমান শঙ্কামুক্ত। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়েছে।




অবশেষে টিটিই শফিকুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত সেই ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ রোববার সকালে সাংবাদিকদের রেলভবনে এ তথ্য জানান তিনি।

‘টিটিই বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে’ উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একজন টিটিইর দায়িত্বই হচ্ছে, এটা দেখা যে, কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করছে কি না। যাত্রীদের সহযোগিতা করা। ডিসিপ্লিন আনার ক্ষেত্রে একজন টিটিইর এটাই দায়িত্ব। আমি এই কথাটাই বলেছি।’

গত বুধবার রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকেটে ভ্রমণের অপরাধে তিন যাত্রীকে জরিমানা করেন ওই ট্রেনের টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে ওই টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে দেশব্যাপী শুরু হয় সমালোচনা। বলা হয়—ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ায় টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর রেলমন্ত্রী সুজন তিন যাত্রী তাঁর আত্মীয় না বলে জানান।

যদিও আজ রোববার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ৯ মাস হলো আমার বিয়ে হয়েছে। নতুন যে স্ত্রীকে আমি গ্রহণ করেছি, সে ঢাকাতেই থাকে। তাঁর মামাবাড়ি ও নানাবাড়ি হলো পাবনা। আমি শুনেছি তাঁরা আমার আত্মীয়। এটা এখন ঠিক, যেটা আমিও এখন শুনেছি। এর আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না, এঁরা কারা এবং আমার জানার কথাও না।’

এর আগে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করা তিন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়। এঁদের একজন ছিলেন ইমরুল কায়েস প্রান্ত। তাঁর মা ইয়াসমিন আক্তার নিপার দাবি, তিনি রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর মামাতো বোন। রেলে প্রান্তর সঙ্গে বাকি দুজন ছিলেন নিপার চাচাতো ভাই।




ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন: ঢাবি শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষকে পাঠদান থেকে অব্যাহতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে।

গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিভাগটির একাডেমিক কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সম্প্রতি এটি প্রকাশ পায়। ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে আরও বেশ কয়েকটি শাস্তির সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতেও বিশ্বজিৎ ঘোষকে কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে না, সিঅ্যান্ডডি ও একাডেমিক কমিটির সভায় তাকে ডাকা হবে না, তার নামে বরাদ্দকৃত বিভাগীয় কক্ষ বাতিল করা হবে এবং বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে কি না সেটি অভিযোগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়

কার্যবিবরণীতে বলা হয়, তদন্তকালীন সময়েও একাডেমিক কমিটির এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

একাডেমিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়বে সব ধরনের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষায় প্রত্যবেক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, এমফিল-পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধায়ন, পরীক্ষা কমিটির কাজে অংশগ্রহণ প্রভৃতি।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত মাসে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। পরে ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আসা যৌন-নিপীড়নের লিখিত অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান। এরপর কমিটির সদস্যরা এটি নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করেন। পরে সবাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে মতামত দেন।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন। তবে একাডেমিক কমিটির সদস্যরা তার দ্বারা সংঘটিত অতীতের বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার এই প্রার্থনা গ্রহণ করেননি।

তবে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার সাফল্য এবং সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মাধ্যমে কোনো মহল এ কাজ করিয়েছে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা।




হিজাব-নামাজ নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসলাম ও মহানবী সা. এর ওপর কোন আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে?

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলাম ও মুসলামনদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্র থেকে খালি নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে।

আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং অংশ নেন।




লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে অভিমানি স্ট্যাটাস দিয়ে ইউছুফ কামাল নামে এক ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে সদর হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ইউছুফ সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের আবদুর রহমান মাস্টার বাড়ির আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় স্যানাটারি দোকানির ব্যবসায়ী ছিলেন।

খবর পেয়ে সকালে পুলিশ বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগান থেকে কামালের মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতের কোন একসময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, কামাল মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার তাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের কাছ থেকে কামাল টাকা চেয়েছে। কামাল রোজা রাখেনি৷ এতে মা তাকে ভাত খাওয়ানোর পর ৫০০ টাকা দেয়৷ এরপর বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরেনি। ইফতারের সময় ভাই ইব্রাহিম ফোন দিয়ে তাকে বাড়িতে আসার জন্য বললেও আসেনি। সকালে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বাগানে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ফেসবুক আইডিতে অভিমান করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তা হল- ‘এখন আর কেউ ভালোবাসে না। এই পৃথিবীতে যার টাকা আছে, তার দাম সবার কাছে আছে। হয়তো অভিমান করে চলে যাবো। আর আসবো না ফিরে’।

কামালের ভাই ওমান প্রবাসী মো. ইব্রাহিম বলেন, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে আমার ভাই অনার্স পাশ করে রায়েরবাগ এলাকায় ব্যবসা করে। এরমধ্যে কামাল মাদক সেবন করে অসুস্থ হলে কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ৩ বছর আগে বিয়ে করেছে। ব্যবসায়ীক কারণে স্ত্রীকে নিয়ে সে ঢাকাতেই থাকতো। বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো। কি কারণে সে আমাদের ছেড়ে এভাবে চলে গেলো, তা বুঝতে পারছি না।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।




দুর্গাপুরে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ট্রাকের চাপায় সোহাগ মিয়া নামের ৭ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের কৃষ্ণেরচর এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায়  ঘটনাস্থলে নিহত হয় শিশু সোহাগ। নিহত শিশু সোহাগ উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচর গ্রামের মোঃ হেলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের দিকে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের কৃষ্ণেরচর বাজার সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিল সোহাগ।

এমন সময় দুর্গাপুরের দিকে আসা একটি দ্রুতগামী খালিট্রাক সোহাগ মিয়া’কে চাপা দেয় এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঐ ট্রাকটি ভাংচুর সহ সাময়িকভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি)ভার: মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে এবং চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




পুলিশের সামনে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, এসআই প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে পুলিশের সামনে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। তারা বলছে, পুলিশ তাদের সঙ্গে আছে। দ্রুত আসামি ধরায় তারা পুলিশের ওপর খুশি।

গত রবিবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেখানে পুলিশের তিন সদস্যও ছিলেন। গত ২৩ মার্চ শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হালুয়াহাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। যাকে হত্যা করা হয় তিনি হালুয়াহাটি গ্রামের কৃষক শেখবর আলী।

এ ঘটনায় ২৪ মার্চ সকালে শেখবরের ছোট ভাই মাহফুজ ৩৯ জনের নামে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় হালুয়াহাটি গ্রামের জিকু মিয়াকে।

এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দুই ভাই জজ মিয়া ও জিকু মিয়ার সঙ্গে শেখবরের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ২২ মার্চ জিকুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন শেখবরের মা মাহফুজা বেগম। ২৩ মার্চ বিকেলে শ্রীবরদী থানার এসআই ওয়ারেছ আলীসহ তিন পুলিশ সদস্য ঘটনা তদন্তে হালুয়াহাটি গ্রামে যান।

এরপর পুলিশের সামনেই জজ মিয়া ও জিকু মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে শেখবরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জিকুর স্ত্রী, জজ মিয়া ও জজ মিয়ার স্ত্রীকে আটক করা হয়। পরদিন শেখবরের ভাইয়ের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে র‌্যাব-১৪ রাণীশিমুল ইউনিয়নের বালিঝুড়ির পাহাড় থেকে জিকুকে এবং রাত ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান রাজাকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মো. সাইফুল নামের একজনকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহফুজ বলেন, ‘জিকু, জিকুর ছেলে স্বাধীন, সাইফুল, জজ মিয়া আমাদের সামনেই আমার ভাইকে নির্মমভাবে কুপাইয়া খুন করে। বাঁচাইতে গেলে আমাগো প্রতিবেশী সরাফত আলীরেও কোপ দেয়। আমারেও কোপায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে স্বাধীন, সাইফুলরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে যায়।

‘পরে শ্রীবরদী থানা থাইক্কা আরও পুলিশ যাইয়া তিনজনরে ধইরা আনে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। পুলিশ আমাগো সঙ্গে আছে। তারা খুব তাড়াতাড়ি অনেক আসামি ধরছে। আর যাদের ধরা বাকি তাদেরও যেন তাড়াতাড়ি ধরে।’

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তবে শেখবরের ছেলে মিনার হোসেন বলেন, ‘পুলিশের তো জানের ভয় ছিল। এরাও রক্ষা করতে পারে নাই। পুলিশ আমাদের সঙ্গেই আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসামিদের বিচার চাই।’

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিকু ও সাইফুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেদিন ঘটনাস্থলে এসআই ওয়ারেছ আলীসহ কয়েকজন পুলিশ ছিল। তারা থাকার পরও কীভাবে, কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা চলছে। ২৫ মার্চ ওয়ারেছকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় দেখছেন। এ বিষয়ে যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’




পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা, ২ ফি’লিস্তি’নি নারী নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ এপ্রিল) এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরা’র।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বেথেলহেম শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৪০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, হামলায় নিহত ওই নারীর নাম গাদা ইব্রাহিম সাবাতিয়েন। তিনি ছয় সন্তানের মা।

এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণের শহর হেবরনে এক নারী সীমান্ত এলাকায় দেশটির একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ওই নারীও মারা যান।

এর একদিন আগে শনিবার জেনিনের একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। অপরদিকে, রোববার জেরিকো এবং তুলকারেম এলাকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।