জয়পুরহাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জয়পুরহাটে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জয় হোসেন (২০) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বন্ধু তাহমিদ (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৬ মে) রাতে জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ী সড়কের বোর্ড ঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, নিহত জয় নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ফাঁসিপাড়া গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে ও ধামইরহাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র। আহত তাহমিদ একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র।

ওসি আলমগীর জাহান জানিয়েছেন, জয় ও তাহমিদ দুই বন্ধু জয়পুরহাট শহরে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বৃষ্টির সময় মোটরসাইকেলে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বোর্ড ঘর এলাকায় পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়। এ ঘটনায় আহত হন তার বন্ধু তাহমিদ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।




দুর্গাপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ দোকানে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযান চালিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানা আদায় করা হয়। রোববার দুপুরে উপজেলার ঝাঞ্জাইল বাজার ও দূর্গাপুর বাজারে ভোজ্যতেল মজুদ পরিস্থিতিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।  এসময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে ঝাঞ্জাইল বাজারে মোতালেব অয়েল মিল কে ৩৪০ বোতলজাত খোলা সয়াবিন তেলের সাথে মিশিয়ে বেশি মূল্যে করায় এক প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে দুর্গাপুরে দীপ্ত এন্টারপ্রাইজকে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধারকৃত তেল গায়ের আগের মূল্য ১১৮ টাকা লিটারে উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ আলম,দুর্গাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এ সময় এ কাজে সহায়তা করেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আলী আকবর।
সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ আলম বলেন,অসাধু ও অনৈতিক যে কোন কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে। জনস্বার্থে এ সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।



বাংলোদেশীসহ ৮১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

৮১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃতরা একটি সবে সমুদ্র উপযোগী জাহাজে করে লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন।

শনিবার (১৪ মে) তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাটি তিউনিসিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার (৪ মাইল) দূরে ছিল।

এতে ৩৮ জন মিশরীয়, ৩২ জন বাংলাদেশি, ১০ জন সুদানী এবং একজন মরোক্কান রয়েছে। তিউনিসিয়ার সাথে লিবিয়ার সীমান্তের কাছে আবু কামাশের উপকূলীয় গ্রাম থেকে রওনা হওয়া উদ্ধারকৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে ছিল।

তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী জানায়, ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে উদ্ধারকৃতদের।

একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে, লিবিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৪২ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে যারা জাহাজে করে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।

সংবাদ সংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, এসব অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই মূলত বাংলাদেশের।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলেছে, ২০২১ সালে প্রায় ২,০০০ অভিবাসী ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে, যা আগের বছরের সংখ্যা ছিল ১,৪০১।




মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ১০ হাজার লিটার তেল উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মানিকগঞ্জে সিংগাইরে ধল্লা বাজারে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ১০ হাজার লিটার সয়াবিন উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতর। এই বাজারের আলতাফ স্টোরের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা বাজারের শনিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আলতাফ স্টোরে বিপুল পরিমাণ তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়। অবৈধভাবে ঈদের আগে মজুদ করা বিভিন্ন ব্যান্ডের ১,২ ও ৫ লিটারের বোতলজাত তিন হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল গুদামে পাওয়া যায়। এছাড়াও পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল খুলে ড্রামে ভরে সংরক্ষণ করা অবস্থায় প্রায় ছয় হাজার পাঁচ শ’ লিটার তেল পাওয়া যায়।

তিনি জানান, দুই লিটারের বোতলজাত তেলের ৩৩৪ টাকা মূল্য থাকা সত্ত্বেও ৩৮০ টাকায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত তেল উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সূত্র : ইউএনবি




এবার ঈদযাত্রায় ১৪ দিনে সড়কে নিহত ৩৭৬ জন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে) দেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১৪ দিনে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাসযাত্রী ৩২ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, জিপ যাত্রী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৭৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ২৩টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দেখা গেছে, ঈদ উদযাপনের সময় ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪১.৪৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৫.২২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়- অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ১৬.১৯ শতাংশ; মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১.৯৫ শতাংশ; অন্য যানবাহনের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯.০৪ শতাংশ; অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২.৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

২০২১ সালে ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময় ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৬.৪১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সরকারের কাছে কয়েক দফা সুপারিশ জানিয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে

বাস্তবায়ন করতে হবে।




গণকমিশনের তালিকায় দেশের ১১৬ আলেম ও ওয়েজিনের নাম

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।

বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দি আলেম।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।

দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক  শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫.  মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।




আলজাজিরার এক নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে ইস*রায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিজার এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।

বুধবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানা যায়, শিরীন আবু আকলেহকের মাথায় গুলি করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের শহর রামাল্লায় উপস্থিত আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানান, আমরা এখন পর্যন্ত জানি- শিরীন আবু আকলেহকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি পশ্চিম তীরের উত্তর দিকের এলাকায় ইসরায়েলি অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। এসময় তার মাথায় বুলেট লাগে।




দুর্গাপুরে নিজ ঘর থেকে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হৃদয় সরকার (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে পৌর শহরের দক্ষিন ভবানীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। হৃদয় সরকার ওই এলাকার বিমল সরকারের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের উৎরাইল বাজারের হৃদয়ের মা চায়ের দোকান করে। প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুর পর্যন্ত দোকান করে মায়ের কাছে এমবি ও শ্যাম্পু কেনার জন্য ৪০ টাকা নিয়ে বাসায় আসে হৃদয়। সোমবার বিকেল ৫ টায় হৃদয়ের বাসায় আসে তার মাশি। এ সময় সে হৃদয়ের ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তার নিথর দেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে সে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আনিসুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।




নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

ডিএববি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এ ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- মো. আনোয়ার হোসেন (৪০), মোছা. রোজিনা আক্তার (৩৫), রোমান (১৭), ও রোহান (৯)।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে ডাকার আগেই পুরো রুমে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাই দগ্ধ হয়েছি।

বাড়ির মালিক কাউছার আহমেদ জানান, সকালের দিকে আনোয়ার সিগারেট খায়। খাওয়ার পর সিগারেটের বাকি অংশ ফেলে দিলে তা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার ১৭ শতাংশ, রোজিনা ২৪ শতাংশ, তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ ও রোমান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রোমান শঙ্কামুক্ত। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়েছে।




অবশেষে টিটিই শফিকুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয়’কে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত সেই ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ রোববার সকালে সাংবাদিকদের রেলভবনে এ তথ্য জানান তিনি।

‘টিটিই বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে’ উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একজন টিটিইর দায়িত্বই হচ্ছে, এটা দেখা যে, কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করছে কি না। যাত্রীদের সহযোগিতা করা। ডিসিপ্লিন আনার ক্ষেত্রে একজন টিটিইর এটাই দায়িত্ব। আমি এই কথাটাই বলেছি।’

গত বুধবার রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকেটে ভ্রমণের অপরাধে তিন যাত্রীকে জরিমানা করেন ওই ট্রেনের টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে ওই টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে দেশব্যাপী শুরু হয় সমালোচনা। বলা হয়—ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ায় টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর রেলমন্ত্রী সুজন তিন যাত্রী তাঁর আত্মীয় না বলে জানান।

যদিও আজ রোববার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ৯ মাস হলো আমার বিয়ে হয়েছে। নতুন যে স্ত্রীকে আমি গ্রহণ করেছি, সে ঢাকাতেই থাকে। তাঁর মামাবাড়ি ও নানাবাড়ি হলো পাবনা। আমি শুনেছি তাঁরা আমার আত্মীয়। এটা এখন ঠিক, যেটা আমিও এখন শুনেছি। এর আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না, এঁরা কারা এবং আমার জানার কথাও না।’

এর আগে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করা তিন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়। এঁদের একজন ছিলেন ইমরুল কায়েস প্রান্ত। তাঁর মা ইয়াসমিন আক্তার নিপার দাবি, তিনি রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর মামাতো বোন। রেলে প্রান্তর সঙ্গে বাকি দুজন ছিলেন নিপার চাচাতো ভাই।