জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জামালপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ফয়সাল ফাহিমের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।নিখোঁজ ফাহিম সদর উপজেলার কানিল গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র এবং নান্দিনা  উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। সে সম্প্রতি ত্রিশাল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছে। ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ফাহিমসহ পাঁচ বন্ধু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিঙি নৌকা নিয়ে ভ্রমনের সময় সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় চার বন্ধু সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় ফাহিম। ডুবুরিরাও খোজাখুজি অব্যাহত রাখেন।

আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে একটি ড্রেজার মেশিনের কাছে তার মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

 




দুর্গাপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা রেখেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ, ও কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য একমাসের সময় দেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তপক্ষ। ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের সামনে রাফিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার  খোলা রেখে চলছে কার্যক্রম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে ২২টি নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ, লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাফিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা রেখে কার্যক্রম চলছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে শাটার বন্ধ করে ১টি খোলা রেখে কার্যক্রম চালাতে থাকে। বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য লোকজন যাওয়া আসা করছে।অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাংবাদিকদের পাঠানো একব্যাক্তি রক্ত পরিক্ষা করা যাবে কি-না জানতে চাইলে তারা  জানান,করা যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব রায় বলেন, আমরা জানি সেগুলো বন্ধ আছে। আমরা বলে দিয়েছি যদি কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা পাই, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



নেত্রকোনায় মোটরসা্ইকেলের চাপায় মোয়াজ্জিনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

এশার নামাজ পড়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জসিম উদ্দিন (৭০) নামের এক মুয়াজ্জিনের।

শনিবার (২৮মে) এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একটি মোটরসাইকেল চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার মদনবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

নিহতের ছেলে সারোয়ার জাহান বলেন, আমার বাবা এশার নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেল চাপা দেয়। তাৎক্ষণিক বাবাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।

মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, এ ব্যাপারে মদন থানায় কোনো অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গণ কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করুন: ববি হাজ্জাজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘বিতর্কিত এবং বিপথগামী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে গঠিত গণ কমিশন যে ভুলে ভরা এবং অসার প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ওলামায়ে কেরাম এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আজ শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত নাগরিক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ববি হাজ্জাজ।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গত দেড় দশকে আমাদের শিখিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মামলা করে কীভাবে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে রুদ্ধ করা যায়। ওলামায়ে কেরামের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা জেলায় জেলায় গণ কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করুন।’

এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের এবং আপনাদের যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথিত শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে গণ কমিশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানহানি করে তাদের পর্যদুস্ত করেন। এই সব ভ্রান্ত আদর্শের ব্যক্তিরা কখনোই ইসলামের ক্ষতি করতে পারবে না বরং মহান আল্লাহই কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামকে হেফাজত করবেন।’

তিনি বলেন, ওলামায়ে দেওবন্দ এ দেশের অতি সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের পবিত্র ভূমিতে দ্বীন ইসলাম প্রচার এবং প্রসারে তাদের খেদমত এবং সব আধিপত্যবাদ, শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশের হকপন্থী ওলামায়ে কেরামের আন্দোলন-সংগ্রাম সর্বজনবিদিত।




কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বৃটেনে নেতৃস্থানীয় আলেম উলামা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার ঈদ প্রীতি সমাবেশ গত ২২ মে রবিবার পূর্ব লন্ডনের লী মেডিসন রেস্টুরেন্ট এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের প্রবীণ আলেম মাওলানা শায়খ সাঈদ আলী, বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েশন (বি,টি,এ) ইউকের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিছবাহ উদ্দিন কামাল,টানেস রোড মসজিদের খতিব ও মাদরাসাতুল হাসানাইন সিলেট এর প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমাদ,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ,ইমাম ক্বারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, লন্ডন মহানগর শাখার সহ সভাপতি হাফিজ শহীর উদ্দিন,সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নোমান হামিদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ বুলু মিয়া,টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওলানা আশরাফ খান,ইমাম মাওলানা শরীফ আহমদ, মুহাম্মদ শিশু মিয়া আলহাজ্ব সৈয়দ আরজুর ইসলাম, আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান,মাওলানা আফসার উদ্দিন,প্রমুখ। সমাবেশ পবিত্র কোরআনে কারীম থেকে তিলাওয়াত করেন বিশিষ্ট ক্বারী মাওলানা আহমদ রবি ও হাফিজ মাওলানা আসাদ আহমদ। কবিতা পাঠ করেন কবি সৈয়দ রফিকুল হক।

ইসলাম বিদ্বেষী এই চক্রের সকল ষড়যন্ত্র কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। ইসলাম প্রিয় জনতার বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের কোন স্থান হবে না।

বক্তারা আরো বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক সহ অসংখ্য আলেম উলামাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জুলুম ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। মনে রাখতে হবে জেল জুলুম ও নির্যাতন করে হকের আওয়াজ কে বন্ধ করা যাবে না। বক্তারা অবিলম্বে নিরপরাধ সকল আলেম উলামাদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেছেন,সিলেট অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আজ বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের ঈমানী ও‌ মানবিক দায়িত্ব। বক্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ আগামী ১১ জুন শনিবার রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৭তম কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সফল করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুফতি ছালেহ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ইউকে শাখার সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদ,মাজাহিরুল উলুম লন্ডন এর প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট আলেম শায়খ মাওলানা ইমদাদুর রহমান আল মাদানী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ওয়াহিদ আহমেদ, মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওত লন্ডন এর জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, ইউ,কে বিএনপি এর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ চৌধুরী,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অন্যতম সহ সভাপতি আশিকুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাষ্টার আমির উদ্দিন আহমদ, লেখক ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মাইলেন্ড মসজিদে ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা নাজির উদ্দিন, বিশিষ্ট সংগঠক ও আইনজীবী লিয়াকত সরকার, দ্যা সানরাইজ টুডের সম্পাদক এনাম চৌধুরী,কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব নুর বক্স। অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহীনূর মিয়া,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ কে এর সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ,কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আলহাজ্ব সৈয়দ জিল্লুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক ও বার্মিংহাম শাখার সভাপতি ব্যারিষ্টার মাওলানা বদরুল হক,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ নাজিম উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক ও লন্ডন মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মিছবাহুজ্জামান হেলালী, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সালাতুর রহমান মাহবুব প্রমূখ।




বর্তমান সরকার সম্পাদকদের হুমকি দিচ্ছে: ফখরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্তমান সরকার পত্রিকার সম্পাদকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে খুব কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের সাহসিকতাকে কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যে চারটি আইন করেছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কফিনে পেরেক দেওয়ার মতো, এটা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েকটি সমস্যার একটি। সারা বিশ্বই মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে।

আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যারা স্বাধীনভাবে লিখতে চান, মত প্রকাশ করতে চান, তারা তা করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা করতে গিয়ে তারা ধরে নিয়েছে, সবার আগে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নজরদারি এমন পর্যায়ে গেছে, কোন সাংবাদিক কখন কার সঙ্গে কথা বলছেন, দেখা করছেন, সেটাও তারা নজরদারি করছে এবং সুবিধামতো তাদের কথোপকথন প্রকাশ করে দিচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবারই সোচ্চার হওয়া উচিত, অন্যথায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী হয়ে থাকব।’

মতবিনিময় সভায় ‘মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতির প্রেক্ষিত ও বিএনপির ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।




দুর্গাপুরে নেতাই নদীতে ২৪ ঘন্টা পর নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেতাই নদী থেকে নিখোঁজ যুবক হাসেম মিয়ার (২৫) ২৪ ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তার আগে শনিবার(২১মে) সকালে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের নেতাই নদীর ধারে কোমর পানিতে নেমে  নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর রোববার (২২ মে) সকালে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা ও দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন কর্মীদের সহযোগিতায় দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে  নদীর তল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবক ওই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁর মৃগী রোগ ছিল। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকালের দিকে ভাতিজাকে সাথে নিয়ে হাসেম মিয়া নেতাই নদীর ধারে গিয়ে কোমর পানিতে নামলে   কিছুক্ষণ পর ওই জায়গায় তাকে না দেখতে পেয়ে তার ভাতিজা বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা এসে নদীতে নেমে খোজাখুজি শুরু করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে রাতে থানা–পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসে।পরদিন রোববার সকালে   ময়মনসিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল ও দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন এর সহযোগিতায় নদীতে প্রায় ১ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শিবিরূল ইসলাম জানান, পরিবাবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।



দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় খুলনা রেলষ্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, জনগণ আজ ভালো নেই, সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে পারছে না। কারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, গ্যাস সহ সকল নির্মাণসামগ্রী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ সরকার এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার এ ব্যপারে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয়ে।

সমাবেশে ১৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরী বাদ দিতে হবে। ৬. কারান্তরিণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। ৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। ৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। ১০. নির্বাচনে সকল দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। ১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। ১৩.রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। ১৫. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।




দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যে মহামারি-বিধ্বস্ত ভঙ্গুর বিশ্ব অর্থনীতিকে আরো ভয়াবহ চাপে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৈশ্বিক রসদ ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২০ মে) তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত খাদ্য, শক্তি ও অর্থবিষয়ক গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘এটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে’।

ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাবের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয়ের জন্য জাতিসঙ্ঘ জিসিআরজি প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এই গ্রুপে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন আগে থেকেই করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ধুঁকছে বিশ্ববাসী।

তিনি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহের স্বল্পতা এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সঙ্কটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বাংলাদেশের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) এবং ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো (এসআইডি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

তিনি ফোরামকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি কাটাতে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট সহায়তার প্রয়োজন তাদের।’

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত অর্থনীতি ও বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকারসহ সহজলভ্য অর্থায়ন সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং একটি সু-সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে জি-৭, জি-২০, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে, কার্যকর খাদ্য সঞ্চয় ও বিতরণ ব্যবস্থার জন্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে আরো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, অনেক এসআইডি এবং নিম্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অনেক উদ্ভাবনী জলবায়ু কর্মের নেতৃত্ব দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যদের সুবিধার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের জ্ঞান, বোঝাপড়া এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই’।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় দৃঢ় বিশ্বাসী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বদা বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি।’

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহনশীলতার জন্য পরিচিত। করোনা মহামারী তার সর্বশেষ উদাহরণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

তিনি ফোরামকে বলেন, ‘সময়মত টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা আমাদের একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিল।’

তিনি বলেন, সরকার তার রফতানি খাত এবং এসএমইকে সমর্থন করার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়েছে। ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদ্দীপনা প্যাকেজগুলো রোল আউট করা হয়েছিল।

এই পদক্ষেপগুলো দেশকে গত অর্থবছরে ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করেছে বলেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব এড়াতে কঠোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকার নিয়মিতভাবে ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্য এবং নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সামাজিক-নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রসারিত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘কার্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে (৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য হ্রাসসহ) ভোজ্যতেল, ডাল, চিনির মতো ভোগ্যপণ্য বিক্রি করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।’ সূত্র : ইউএনবি।




মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।