জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় গত ১ আগস্ট। চারদিনের ব্যবধানে ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের। ক্ষমতার পালাবদলে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আদেশ আজ প্রত্যাহার হলো।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে।

আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে। যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে। সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল। উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।




দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাবেক এমপি, মেয়র, আ‘লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সনের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে স্থানীয় শহীদ মিনারে উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পন করতে যাওয়ার সময় পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকায় মামলায় উল্লেখিত আসামীগণ শান্তিপ্রিয় মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে বিএনপি‘র উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভেঙ্গে মোবাইল ফোন গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের রক্ষা না করে উল্টো তাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। ওই সময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি‘র নেতাকমীদের উপর হামলা ও গুলি ছুড়লে, এতে বিএনপি‘র অসংখ্য নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে আবু সিদ্দিক রুক্কু‘র ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এছাড়া পুলিশ সদস্যদের অতর্কিত গুলিতে বিএনপি নেতা শিশির ও স¤্রাট গণি গুরুতর আহত হয়।
উক্ত মামলায় নেত্রকোনা -১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আ‘লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান, দুর্গাপুর থানার এসআই সুভাশিষ গাঙ্গুলী, সানোয়ার হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান সহ ৪৭ জন আ.লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২শত জনকে আসামী করা হয়।



প্রত্যাহার হচ্ছে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা আগামীকাল (মঙ্গলবার) বা যেকোনো দিন প্রত্যাহার হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় আরও দুই আইনজীবী তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, অন্যায়ভাবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দফতরে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ পর্যায়ে পদক্ষেপ নিলে পরে সমাধান করা সম্ভব। এর অংশ হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি রিকোয়েস্ট করা হয়। এই রিকোয়েস্টের অংশ হিসেবে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে।

জামায়াত আইনি পদক্ষেপ অনুসারে চলতে চায় জানিয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আমরা আইনজীবী হিসেবে সন্ত্রাস দমন আইনের ১৯ ধারা এবং ১৮ ধারায় পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, সেটি দেখা আমাদের কাজ।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীকে সেনাপ্রধানসহ রাষ্ট্রপতির দফতরে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রেও জামায়াত ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কার্যত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি স্বাভাবিক এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতোই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর তিন দিন পর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরাও জনরোষের মুখে আত্মগোপনে চলে যান।




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। রিটটি করেছে মানবাধিকার সংগঠন সারডা

সোমবার (১৯ আগস্ট) সংগঠনটির পক্ষে রিটটি করেছেন নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।

রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর এবং বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের এই বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।




আবু সাঈদ হত্যা: পুলিশের সাবেক আইজিসহ ১৭ জনের নামে মামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ (রোববার) রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। মামলাটি গ্রহণ করার জন্য তাজহাট থানাকে নির্দেশ দেন এই আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ। মামলার বাদীর আইনজীবী রায়হান কবীর ও রোকনুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

আসামিদের মধ্যে আবদুল বাতেন ও মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। রবিউল ইসলাম, আমির আলী ও সুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিরস্ত্র ও একা ছিলেন। তিনি দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে একাধিকার গুলি করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেলা দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান। পুলিশের সামনে এ সময় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান হেলমেট পরে এসে আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে ‘গুলি করুন, গুলি করুন’ বলে নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল পুলিশকে গুলি করতে প্ররোচিত করেন।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মানুষ। কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।#

পার্সটুডে




‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে: আসিফ নজরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ ছাড়া সাবেক সরকারপ্রধানসহ ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’ যাদের নাম আসবে, তাদের সবার বিচার হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে  আসিফ নজরুল বলেন, ‘গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা ‘জুলাই গণহত্যা’; আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও যারা আদেশ দিয়েছেন এবং যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম আছে, প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

তিনি জানান, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে মিটিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো। এ ছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব।’

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

গণআন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আগামীকালই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এই দুটি আলোচিত মিথ্যা মামলা ছিল জন্য উল্লেখ করলাম, আরও অনেক মামলাই প্রত্যাহার করা হবে।’

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঢাকার মামলাগুলো বৃহস্পতিবারের মধ্যে এবং সারা দেশে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের আইসিটিতে আসার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র ও যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারে। মানবতাবিরোধী যে অপরাধের যে সংজ্ঞা আছে, সেখানে গুম নামে অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে পারেন অথবা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। আমরা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। তবে আমরা খাটো করে দেখছি না, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতগুলো নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেটার লিস্ট করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সেকশনগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়েছে। অবশ্য সেটা আমরা বাতিল বা সংশোধন, যেটা প্রয়োজন সেটা করব।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলেও এ সময় আশ্বাস দেন তিনি।#

পার্সটুডে




চলমান ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত

চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাহিনীগ প্রধানগণ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে




সারাদেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা

গত সোমবার সরকার পতনের পর থেকেই ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি। তিন দিন ধরে শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এক প্রকার বিশৃঙ্খল অবস্থায় যান চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীতে যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল।

এ ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের কর্মবিরতি চলায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে।

এ অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত শহরে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা ফিরাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীতে ট্রাফিকের অনুপস্থিতিতে সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সৃঙ্খলা বজায় রাখতে চরমোনাই পীরের নির্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহস্রাধিক সেচ্ছাসেবী ও তাদের একাধিক অঙ্গ সংগঠন আজ ৭ আগষ্ট, বুধবার, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভা এলাকায় পুলিশের থানা, ক্যাম্প, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মন্দির, গির্জা ও প্যাগডায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দেশবাসীকে বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দিন -রাত ২৪ ঘণ্টা সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন।




গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্টই দায়ী।

শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন।

আব্বাস বলেন, এই বর্বরোচিত হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েলি সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও। কারণ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে মিত্র রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেখানেই এই নৃশৃংশ হামলা করা হলো।

তবে দখলদার ইসরায়েলের দাবি, বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

 সূত্র: জিও নিউজ




গুলিতে আহত ট্রাম্প, মারা গেছেন বন্দুকধারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গিয়ে গুলিতে আহত রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে বলে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তার কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।

এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছে।’

গুলিতে নিহত তার সমর্থকের কথা তুলে ধরে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে গুলিতে যিনি নিহত হয়েছেন তার পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাই। গুরুতর আহত আরেকজনের পরিবারের প্রতিও আমি সমবেদনা জানাই।’