আজ জেলহত্যা দিবস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ৩ নভেম্বর। শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাবিধুর একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শহীদ চার নেতা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন জাতির সেরা সন্তান এ চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদের প্ররোচনায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যমসারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর অন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং জাতির পিতার দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করে। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ এ দিনটি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।

এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ প্রাঙ্গণে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন জানান, আজ প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থেকে ৫ নভেম্বর অবধি চলবে।




পবিত্র ভূমিতে ইসরায়েলের কোনো স্থান নেই: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছেন তাকে ‘সবেমাত্র শুরু’ বলে ঘোষণা করেছেন ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সিনিয়র নেতা গাজি হামাদ। তিনি বলেন, ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একই ধরনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হামলা একের পর আসতেই থাকবে।

গাজি হামাদ এলবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, “আমাদের ভূমিতে ইসরাইলের কোনো স্থান নেই। আমরা এই অবৈধ রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দেব, কারণ এটি নিরাপত্তাগত, সামরিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।”

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযান শুরু করেন। ওই অভিযানে সাড়ে তিনশ’র বেশি সেনাসহ ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা শত শত ইসরাইলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজ্জায় ফিরে যান। গাজি হামাদ ওই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা ইসরাইলকে একটি শিক্ষা দিয়েছি এবং এই শিক্ষার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।”

অভিযানে ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা হামাসের ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গাজি হামাদ বলেন, “হামাস বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করতে চায়নি কিন্তু বাস্তবে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে যা হয়েছে তার পুরোটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত।”

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনিদের অভিযানে পরাজিত ও অপমানিত ইসরাইল হামাসের সঙ্গে পেরে না উঠে নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার কাজ শুরু করে। সেদিন থেকে গাজ্জা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি পাশবিক বোমাবর্ষণে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশুসহ অন্তত ৮,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইহুদিবাদী সেনারা বর্তমানে গাজ্জায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ১৬ ইসরাইলি সৈন্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। গতকাল (বুধবার) ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বহু ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ইসরাইল এখনও বুধবারের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। ইসরাইল নিজের নিহত সেনাদের সংখ্যা কমিয়ে প্রচার করছে বলেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছেন।

সূত্র : পার্সটুডে




আলজাজিরা সাংবাদিকের পরিবারের ১৯ সদস্যকে হত্যা করল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই এক হামলাতেই পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রকৌশলী।

নিহতদের মধ্যে ওই আল জাজিরা কর্মীর বাবা ও দুই বোনও রয়েছেন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার বাবা এবং দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আল জাজিরা। এতে আমাদের নিবেদিত এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ক্ষমার অযোগ্য ইসরায়েলি এই হামলায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’

গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আতেফ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখনও নিহতের মোট সংখ্যা জানাতে পারেনি কারণ এটি এখনও নিহতদের সংখ্যা গণনা করছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর (গাজা) উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরের একটি বিশাল এলাকাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে আছেন।’

এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট সিএনএনকে বলেছেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। আমরা এটি অনুসন্ধান করছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সাথে সাথে আমরা আরও তথ্য নিয়ে হাজির হবো।’

জাবালিয়ায় হামলার পর ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের হামলার জেরে সৃষ্ট বড় বড় গর্তের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের নিচে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতেও দেখা যায়।

কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরা আরবির গাজা সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে এবং নাতি নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় এই হামলা হলো এবং আল জাজিরা কর্মীর পরিবারে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু, ২ হাজারের বেশি নারী এবং প্রায় পাঁচশো বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো।

তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। একইসঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।




আনসারকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, হবেও না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আনসার সদস্যদের পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। আমি শুনতে পাচ্ছি আনসার পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভুল তথ্য, প্রোপাগান্ডা। আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, দেওয়া হবেও না।

বুধবার (২৪অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আনসার ব্যাটালিয়নকে গ্রেপ্তার বা আটকের ক্ষমতা দিয়ে আইন করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এটি একটি প্রোপাগান্ডা। আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে।

আলাপকালে বিএনপির মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না। তবে বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে এ বিষয়ে মন্ত্রী মন্তব্য করেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপির সমাবেশস্থল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ডিএমপির কমিশনার সাহেবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’

বিএনপির মহাসমাবেশের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সামনে রেখে জনগণের জান-মাল রক্ষায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে র‌্যাব। ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হবে। এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে। ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে।

জামায়াতের সমাবেশ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা (জামায়াত নেতারা) যদি সমাবেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলেন তাহলে সমাবেশ করতে পারবেন। এখন তারা যদি জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি হাতে নেয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না।




যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে বাইডেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল ‍ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এই সফর এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

মার্কিন কর্মকর্তরা দেশের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য বিদেশ সফর নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া বার্তা বলতে পারেন না। এ জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই দেশটির পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তেলআবিব সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এবার এই যুদ্ধের মধ্যেই যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেলআবিব সফর করেন তাহলে তা হবে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের আরেক শক্ত বার্তা। তবে বাইডেনের এই সফর ভালোভাবে না-ও নিতে পারে ইরান ও অন্যান্য আরব দেশগুলো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উসকানি হিসেবে দেখতে পারে।

এনএ/

এ ছাড়া এমন একসময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফরের তথ্য সামনে আসছে যখন ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজায় বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এ হামলার জন্য গাজা সীমান্তে বহু সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল।




গাজার হাসপাতাল খালি করার ঘোষণা : ইসরাইল নতুন অপরাধ করেছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলা থেকে কিছুই বাদ যাচ্ছে না। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, এমনকি গণমাধ্যমের কার্যালয়তেও হামলা চালাচ্ছে।

এখন আবার নতুন করে দখলদার সেনাবাহিনীর ঘোষণা দিয়েছে- উত্তর গাজা উপত্যকার আল আওদা সরকারি হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ খালি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের স্ট্রিপ ছেড়ে না যাওয়ার এবং তাদের প্রধান ভূমি ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছে।

পরিবর্তে, হামাস বলেছে দখলদার সেনাবাহিনীর হাসপাতালগুলি খালি করার ঘোষণা আরেকটি নতুন অপরাধ। হাসপাতাল মৌলিক ও জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্তর্ভূক্ত এটি। এসেবা রোধ করা চরম অপরাধের শামিল।

ইসরায়েলকে হাসপাতালগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার অপরাধমূলক পরিকল্পনা থেকে বন্ধ করতে হামাস আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ জাতিসঙ্গকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহব্বান জানিয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা।




সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুর্গাপুরে শোকর‌্যালি

dnb news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও এক শোকর‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের কন্যা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার এর আয়োজনে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরআন খতম, কাঙ্গালীভোজ, মিলাদ মাহফিল শেষে ঝুমা তালুকদারের সভাপতিত্বে মরহুমের জীবনীর উপর আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ খান জনি, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি উসমান গণি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, মেয়র আলহাজ¦ মাও: আব্দুস সালাম, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার আব্দুল খালেক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, পৌর আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আ‘লীগ নেতা মো. আলী আসগর, একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে জালাল তালুকদার হত্যার বিচারের দাবীতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বক্তারা বলেন, উত্তর ময়মনসিংহের সিংহ পুরুষ জননন্দিত নেতা এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যা নিয়ে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও প্রকৃত দোষিরা এখনো অধরায় থেকে যাচ্ছে। আমরা প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। উল্লেখ্য, সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার ২০১২সালের ২৫সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার।




কথিত সাংবাদিক মামুনের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে দুর্গাপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

dnb news:

ময়মনসিংহে বসবাসরত কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ মামুন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিরীহ জনগন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে উপজেলার সাধারন জনগনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।
বক্তারা বলেন,দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডাবের গ্রামের কথিত সাংবাদিক আলী ছোবানের ছেলে মামুন দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জনগনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। অনেক জনের নামে মামুন মামলা করেছে।

গ্রামের সহজ সরল মানুষদের সরকারি চাকরির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েও চাঁদাবাজি করে এ মামুন।

তারা আরও বলেন,দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রফিকুল ইসলাম রফিক নিরীহ মানুষদের হয়রানির প্রতিবাদ করায় কথিত সাংবাদিক মামুন কিছু নিউজ পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে এ সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এ মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সিনিয়র সাংবাদিক রফিক সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা করেন।
তাঁর এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার সর্বশ্রেনীর জনগন মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে এ কথিত সাংবাদিক মামুনের শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,ভুক্তভোগী কাকৈরগড়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুক্তার হোসেন, ভুক্তভোগী আবু জাফর, সাইকুল ইসলাম,নাঈম,উমর ফারুক, নিজাম প্রমুখ ।




দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক নারী পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম হাজেরা খাতুন (৫০)। তিনি উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
আজ শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝানজাইল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ-সময় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে অটো করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন হাজেরা খাতুন। বাসার সামনে এসে অটো থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দ্রুতগতির একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, ট্রাকচাপায় একজন নারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েেছে ।




স্কুলে নিকাব নিষিদ্ধ করলো মিসর

dnb news :

মিসরীয় সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে মুখ ঢেকে রাখে- এমন নিকাব নিষিদ্ধ করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটিতে শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। তখন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা চালু হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেজাজি সোমবার ঘোষণা করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে হেডস্কার্ফ পরতে পারবে। কিন্তু তাদের মুখ ঢেকে রাখা নিকাব পরতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের অভিভাবকদের উচিত হবে শিশুদের পছন্দের ব্যাপারে সচেতন থাকা। কোনোভাবেই বাইরের চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

শিক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, আরবি ভাষা, ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক ও মনোস্তাত্ত্বিক শিক্ষার শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে এতে। তাদেরকে বেশ সহমর্মিতা ও ভদ্রভাবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক ও তাদের বয়সকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

মিসরে অনেক বছর ধরেই স্কুলে নিকাব পরা নিয়ে বিতর্ক চলছে। মিসরের সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই নিকাব পরা নিষিদ্ধ করেছে।

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সাল থেকে টিচিং স্টাফদের মুখ ঢাকা আবরণ পরা নিষিদ্ধ করেছে। ২০২০ সালে মিসরের একটি আদালত এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে। সূত্র : টাইম নিউজ