হাসপাতালের নিচে কমান্ড সেন্টার থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আশ শিফার আন্ডারগ্রাউন্ডে ইসলামী প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাসের সামরিক কমান্ড রয়েছে বলে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে দাবি করছে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ওসামা হামদান।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরাইলি অভিযোগ নাকচ করেন। এ সময় তিনি প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক কিছু ফুটেজ তুলে ধরেন। এসব ফুটেজে দেখা যায়, আশ-শিফা হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অস্ত্র রাখছে। পরে তারাই আবার সেখানে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে এবং সেগুলো হামাসের অস্ত্র বলে চালিয়ে দেয়।

হামদান এসব ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, ইসরাইলি সেনারা সেখানে ত্রাণ বক্সে অস্ত্র ভরে রেখে পরে সেই অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করে হামাসকে অভিযুক্ত করছে। ইসরাইল এরইমধ্যে গাজার বহু সংখ্যক হাসপাতাল এবং স্কুলে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজার এই আশ-শিফা হাসপাতালেও তারা বোমা হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইসরাইল অভিযোগ করছে, আশ-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে।#

পার্সটুডে




গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বৈধতা নেই: ম্যাক্রন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা এবং বর্বর অপরাধযজ্ঞের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই।

প্রেসিডেন্টের ম্যাক্রনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর পশ্চিমা চাপ প্রকাশ্য হলো। এর আগে গত শুক্রবার বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শিশু হত্যার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

নতুন এক সাক্ষাৎকারের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরিষ্কার করে বলেছেন, “এইসব শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করছে ইসরাইল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বৈধতা নেই। ফলে আমরা শিগগিরই এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই।”

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ইসরাইল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে এবং ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একই ধরনের বক্তব্য দিলেও ইসরাইলের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে অনেকটাই পিছু হটেন। তারপরেও ম্যাক্রন নতুন করে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে ইসরাইলকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




আজ বিকালে ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবেন তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমাধ্যম সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

এর আগে গত রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দেন।




তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে কড়া নিরাপত্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বরে) সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সব প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।

ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এতে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।




ইসরাইলি পদাতিক বাহিনীর ওপর হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা নিয়ে যখন হিজবুল্লাহর সাথে তেল আবিবের প্রচণ্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন ইসরাইলের পদাতিক সেনাদের ওপর এই হামলার খবর বের হলো। আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো সময় ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গতকালের (সোমবার) হামলা সম্পর্কে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি পদাতিক সেনাদের ওপর হামলার জন্য গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে। এতে নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনারা হতাহত হয়েছে যার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজার সম্মানিত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিচালিত রেডিওর খবরে হামলার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে দুই সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

হিজবুল্লাহ আরো দুটি বিবৃতিতে দক্ষিণ লেবানন এবং শেবা ফার্মের তিনটি ইসরাইলি অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায়ও ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।#

সূত্র: পার্সটুডে




ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, ইসরাইল তাদের গোলাম বানাতে চায়: মাওলানা আরশাদ মাদানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের একদিনের সম্মেলনে জমিয়তের জাতীয় সভাপতি মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানি ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন।

গতকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত জমিয়তের ওই সম্মেলনে এর পাশাপাশি মাওলানা মাদানি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল ও কলেজ খোলার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার দেওবন্দের মাদানি মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুলে আয়োজিত একদিনের সম্মেলনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১৭টি জেলার দেড় হাজারেরও বেশি জমিয়ত কর্মকর্তা শামিল হয়েছিলেন। এতে মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, ‘যেভাবে ভারতের স্বাধীনতার জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, ঠিক একইভাবে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ফিলিস্তনিরা তাদের দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে আত্মত্যাগ করছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ আরব দেশগুলোতে পৌঁছালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

মাওলানা মাদানি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে দেশে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, অন্যদিকে ইসরাইল তাদের ক্রীতদাস বানাতে চায়। তিনি বলেন, কোনো দেশের স্বাধীনতা দুধ পান করে নয়, আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়। ইসরাইলের বর্বর কর্মকাণ্ডে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এমনকী নিষ্পাপ শিশুদেরও রক্ত ঝরানো হচ্ছে, কিন্তু কেউ সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবে না এবং সত্য হল ফিলিস্তিন স্বাধীন হবেই।

এর আগে মাওলানা মাদানি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে ইসরাইল একটি দখলদার এবং তারা ফিলিস্তিনি ভূমি অবৈধভাবে জোর করে দখল করেছে, যার মুক্তির জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়, তারা সন্ত্রাসী নয়।’

জমিয়তের সম্মেলনে সোমবার মাওলানা আরশাদ মাদানি দেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের টার্গেট করে বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান দিচ্ছেন তাদের ভাবতে হবে এতে দেশ সমৃদ্ধ হবে না বরং ধ্বংস হবে। তাই সকলের উচিত দেশকে এ পথে চলা থেকে বিরত রাখা। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ছোট গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগলে এমনকি হত্যাও করা হয়।

মাওলানা মাদানির অভিযোগ- দেশে মুসলিম মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে হিন্দু ধর্মে এক বর্ণের বিয়ে অন্য বর্ণের সঙ্গে হতে পারে না। তাহলে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে কেন? তাই মুসলমানদের উচিত তাদের মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।

এ প্রসঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘জমিয়তের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যে কথা বলেছেন, সেটা বরাবরই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। যখন থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তখন থেকেই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এই মর্মে যে প্রস্তাব পাস করেছে যে ফিলিস্তিন হল ফিলিস্তিনবাসীদের। সেখান থেকে তাদেরকে উৎখাত করা, তাদেরকে শরণার্থী বানিয়ে দেওয়া, এটা চরম অন্যায়। ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনবাসীদেরই, তাদের সেখানে নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকবে। এবং সেই লড়াই তারা করছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ওই বিষয়ে সমর্থন আছে এবং থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়, মাওলানা আরশাদ মাদানি সাহেব যেটা বলেছেন, এটা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবস্থান। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই এই একই কথা বলছে। কেবলমাত্র ইসরাইল এবং তার সমর্থক দেশগুলো এই মর্মে ভেটো দিচ্ছে। যার ফলে এত রক্ত ঝরছে। এত অন্যায় হচ্ছে, এত অবিচার হচ্ছে। জননিধন, মানবতার নিধন সারা পৃথিবী দেখছে। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে সোচ্চারও হচ্ছে। সরব প্রতিবাদ সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সরব প্রতিবাদ করেছে। আমরা রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে দু’দফায় প্রতিবাদ মিছিল করেছি। এর সমাধান দ্রুত হওয়া দরকার, যদি এর সমাধান না হয় তাহলে জটিলতা আরও বাড়বে, সারা পৃথিবী তাতে অস্থির ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম।#

সূত্র: পার্সটুডে




৭ অক্টোবর ইসরাইলের পতন ঘটেছে, এখন বেঁচে আছে আমেরিকার লাইফ সাপোর্টে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে যে সফল অভিযান চালিয়েছে তার মধ্যদিয়েই ইসরাইলের পতন ঘটেছে, এখন তারা বেঁচে আছে আমেরিকার লাইফ সাপোর্টে।

রোববার শেষ বেলায় আমির আব্দুল্লাহিয়ান তার এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাসী গাজার বিরুদ্ধে আমেরিকার সর্বাত্মক যুদ্ধ দেখছে।

সম্প্রতি মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শাকুরির সঙ্গে নিজের ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, “আমি তাকে বলেছি এখন আমাদের পরীক্ষার দিন।”

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, আশা করা হচ্ছে মিশর কয়েক দিনের মধ্যে গাজার রাফা ক্রসিং খুলে দেবে যাতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ এবং ওষুধ পৌঁছানো যায়।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার হামাস এবং ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে নজিরবিহীন সফল অভিযান চালায়। এরপর ইসরাইল প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এই গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে ইসরাইলের প্রতি আমেরিকা অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছে।#

পার্সটুডে




ইসরাইলকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে আমেরিকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, দখলদার ইসরাইলকে টিকিয়ে রাখার জন্য মার্কিন সরকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দখলদার ইসরাইলকে যেসব দেশ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা তার প্রধান।

সৌদি আরবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির বিশেষ জরুরি বৈঠকে যোগদান শেষে আজ (রোববার) সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসির এ বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালানোর মধ্যে সৌদি আরবে ওআইসি’র এই বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে বর্বর আগ্রাসন ও অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার পেছনে মূল অপরাধী হচ্ছে আমেরিকা।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “সৌদি সফরে আমি ইরানি জাতি এবং যারা রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে তাদের কণ্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা করেছি।”

প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কে ইরানের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একইসাথে ইসরাইল সরকারকে একটি ভুয়া এবং দখলদার সরকার বলে বিবেচনা করে তেহরান।”#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও জ¦ালাও-পোড়া কর্মকান্ডের প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আ‘লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আ‘লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, মজিবুর রহমান ফকির, রোকনুজ্জামান রোকন, মতিউর রহমান, আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা টিটু পত্রনবীস, বাবন সরকার, ছাত্রলীগ নেতা, কায়েস, আনিসুজ্জামান রনি, জহিরুল হক, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ প্রমুখ। মিছিলে অংশগ্রহনকারী নেতা-কর্মীরা অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

মিছিল শেষে বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে রাজপথে থেকে আমরা তা প্রতিহত করবো। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র হাত ধরে বাংলাদেশে যে নজীর বিহীন উন্নয়ন হয়েছে, তা নস্যাৎ করতেই জ¦ালাও-পোড়াও চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। দেশের জনগন হরতাল অবরোদ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সহ কেন্দ্রীয় আ‘লীগ নেতা রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে আমরা এসকল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করবো।




সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ১৩৬ ট্যাংক ধ্বংস, ১০০০ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গত ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েল সেনারা স্থল অভিযান শুরু করে৷
হামাস সেনারা ও তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলে৷ আকাশ পথে বিমান হামলা করে ঘর বাড়ি ধ্বসিয়ে দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে হামাসকে নির্মূল করতে তারা যতটা সহজ ভেবেছিল, আসলে অতটা সহজ নয়৷ হামাস যোদ্ধাদের শক্ত প্রতিরোধ এবং ফাঁদে পড়ে দখলদার সেনারা এখন বিপর্যস্ত৷

প্রতিদিনই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শিকার হচ্ছে৷ যদিও তারা হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে৷ ইসরায়েলের অফিসিয়াল হিসেবে স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংশ্যা ৩৪, ৭ ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংখ্যা ৩৫০, সাজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে ৩৬টি৷ কিন্ত গতকাল (৮/১১/২৩ বুধবার) আলজাজিরা ও স্টেপ নিউজ এজেন্সীর প্রতিবেদন উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

প্রতিবেদনটির তথ্যানুযায়ী স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৮/১১/২৩ পর্যন্ত ১৩৬ টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে হামাস সেনারা৷ ৭অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে৷ সামরিক গবেষক ও বিশ্লেষকদের থ্যানুযায়ী প্রতিটি ট্যাংকে ৩/৪ করে সেনা থাকে, সাজোয়া যানে থাকে অন্তত ১০/১৫ জন করে৷ সে হিসেবে হতাহতের সংখ্যা হিসেব করলে আরো বেশি হয়৷

মারকাভা ব্যাটেল ট্যাংক ইসরাইলের স্টান্ডার্ড ব্যাটেল ট্যাংক।এবং এটাকে ইসরাইলের সমর সক্ষমতার বা দম্ভের প্রতীক হিসাবে গন্য করা হয় ।১৯৮০ সালে সার্ভিসে আসার পর থেকে প্রায় ২২ বছর এই ট্যাংক ছিলো অজেয়। কিন্ত হামাস যোদ্ধাদের রকেট ও মর্টার শেলের আঘাতে তা এমনভাবে ধ্বংস হচ্ছে যা রিতীমত দখলদারদের অবাক করে দিয়েছে৷ সামরিক বিশ্লেষকরা ও ভেবে পাচ্ছেনা যে এটা কী করে সম্ভব? তবে কি আল্লাহ হামাস মুজাহীদদেরকে সাহায্য করছেন? এমনই তথ্য ওঠে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং সাংবাদিক ও খোদ ইহুদী কমাণ্ডারদের বক্তব্য থেকে৷ তাদের দাবী, যখনি ইসরায়েল সেনারা গাযায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে তখনি কোথা থেকে হঠাৎ যোদ্ধারা বের হয়ে ট্যাংক গুড়িয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে৷ তারা শুধু তাদের ছায়া ই দেখতে পাচ্ছে৷

গতকাল আলজাজিরা তার ইউটিউব চ্যানেলে ইজ্জুদ্দী আল-কাসাম ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র, “আবু উবাইদা”র একটি ১০মিঃ ভিডিও বার্তা শেয়ার করে৷ তিনি বলেন,
আলহামমদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর সাহায্য আমাদের মুজাহিদরা দখলদারদের ১৩৬ টি যুদ্ধযান পুরোপুরি বা অনেকাংশে ধ্বংসে করেছে৷ প্রচুর সংখ্যক দখলদার সেনাকে হত্যা করেছে৷

আমাদের মুজাহিদরা বিরত্বের সাথে গাজার উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে সমস্ত স্থল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মোকাবিলা করতে থাকবে। ফাঁদে ফেলে তারা জিরো পয়েন্ট দুরত্ব থেকে ট্যাংক ধ্বংস করছে৷ মর্টার শেল ও রকেটের আঘাতে বিল্ডিং ও দেয়ালের পাশে লুকিয়ে থাকা সৈন্যদেরকে হত্যা করছে৷ আমাদের মুজাহিদরা শত্রুদের সম্মুখ ও পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে বিপর্যস্ত করে তুলছে৷

তিনি আরো বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৩৩ দিন পরেও আল-কাসাম মুজাহিদরা এখনও মোকাবিলা করতে সক্ষম৷ আমাদের মুজাহীদরা দখলদারদের আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য ময়দানে প্রদর্শন বীরত্ব প্রদর্শন করেছে তা প্রত্যেক আরব মুসলিম এবং পৃথিবীর সকল স্বাধীন মুসলিমদের জন্য গর্ব৷

তিনি প্রতিরোধের জন্য বিশ্বমুসলিমদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা পশ্চিম তীর, গাজা এবং জেরুজালেমে এবং সমস্ত ফ্রন্ট এবং অঙ্গনে দখলদারদের প্রতি আমাদের ক্রোধ প্রতিরোধের আসন্ন নতুন কিছু ঘটার ঘোষণা করছি।”

সরকারী হিসাব মতে ৭ অক্টোবর থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫৩৮ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এবং ৫৪৩১জন আহত হয়েছে। বন্দি হয়েছে ২৪২ জনেরও বেশি৷ এই বন্দিদের বিনিময়ে হামাস যোদ্ধারা দখলদারদের কাছে বন্দী থাকা শিশু ও মহিলা সহ ৬০০০ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময় করতে চায়।

যুদ্ধের ৩৩তম দিনেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় গণহত্যা এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে, যাতে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪২৩৭ জন শিশু এবং ২৭১৯ জন মহিলা সহ ১০৩২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং প্রায় ২৬০০০আহত হয়েছে।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৬৩ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ২২১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা