মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করা যাবে না: শেখ হাসিনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ হত্যা করে কেউ সরকার উৎখাত করতে পারবে না।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গণভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তারা অবরোধ আর হরতাল ডেকে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মানে কি গাড়ি পোড়ানো, যাত্রীসহ বাস পোড়ানো?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চালের গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে, ধানের গাড়ি পোড়াচ্ছে। মানে মানুষকে ক্ষুধার্ত মারা। এই ঘটনা এর আগেও তারা করেছে ২০১৩ সালে। আমি জানি না, তাদের কোনোমতে কেউ থামাতে পারবে কিনা। এই মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত তো করতে পারবে না।’

গাজীপুরে রেললাইন কাটা, ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চিন্তা করে দেখুন, কী রকম ধ্বংসাত্মক কাজ! রেললাইন ফেলে দিয়ে, প্রায় আটটা বগি পড়ে যায়, একজন মানুষ মারা যায়, কয়েকজন আহত। তার মানে হচ্ছে, রেলের বগি ফেলে দিয়ে মানুষকে হত্যা করা।’

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিচ্ছু নেই। এদের শাস্তি একদিন পেতেই হবে। জনগণকে বলবো, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।’

‌ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের কাছে যাব, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার তো কোনো চেষ্টা আমাদের নেই।’




পাকিস্তানে থানায় আত্মঘাতী হামলা, নিহত ২৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান শহরের একটি থানায় বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক ঢুকে পড়ে। তারপর বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর অন্য বন্দুকধারীরা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই হয়।

উদ্ধারকারী দলের সদস্য আয়াজ মেহমুদ বলেছেন, প্রচুর সেনা ও পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকের অবস্থা সংকটজনক।

ডন জানিয়েছে, ২৩জন সেনা জওয়ান মারা গেচেন। ৩০ জন আহত হয়েছেন। কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আলোয়ারউল হক কাকার বলেছেন, এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া যাবে না।

এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানদের প্রভাব রয়েছে। তাদের গোষ্ঠীর নাম তেহরিক-ই-তালেবান বা টিটিপি। এই নতুন গোষ্ঠী টিটিপি-রই শাখা বলে মনে করা হচ্ছে।

সেনা-সহ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এই অ়ঞ্চলে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তারা ওই থানাতেই ছিলেন।

জানুয়ারিতে পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় ১০১ জন মারা গেছিলেন।

সুত্র: ডয়চে ভেলেে




গাজায় হতাহত ৬৬ হাজার, ৪৫ শতাংশই শিশু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শিশু। এছাড়া গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামলায় ৩৬ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার পরিস্থিতি মারাত্মক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন। খবর আল জাজিরার

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘গাজার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সব বর্ণনার বাইরে। আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থনে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো অমানবিক।’

আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে এবং হাজার হাজার আহত হচ্ছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেক শিশু।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা যেসব এলাকাকে নিরাপদ বলে দাবি করছে সেগুলোকেই বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এটি এখনও গাজা উপত্যকা জুড়ে ঘটছে – কোনও নিরাপদ জায়গা নেই।

গাজার কর্মকর্তা জানান, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকারদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা যেসব বাড়িতে বাচ্চারা থাকে সেগুলোকে টার্গেট করছে। হতাহতদের প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু। এটা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।’

মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ১৩৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহের আল-আকসা হাসপাতালে ৭১টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১৬০ জন আহত ব্যক্তিকেও আনা হয়।

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ৬২ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই হাসপাতালএখনও দক্ষিণ গাজায় পরিচালিত প্রধান চিকিৎসা সুবিধাগুলোর একটি। এছাড়াও ৯৯ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে আনা হয়।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, মাঝারি ক্ষুধায় পতিত হয়েছে গাজার ৫২ শতাংশ এলাকার মানুষ। সেখানকার ৯১ শতাংশ পরিবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ সারাদিনই কোনো খাবার না খেয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্র আদনা আবু হাসনা জানিয়েছেন, গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি আজ চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম- এর মধ্যে একটি খান ইউনিসের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্রে, সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে রাফাহ এবং খান ইউনিস এবং উত্তরাঞ্চলে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ রয়েছে।’

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার মধ্যে তাদেরকে আরও ১০৬ মিলিয়ন ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি উভয় ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিষয়টি আবারও বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে যে, গত সপ্তাহে তারা উত্তর গাজা এবং গাজা শহরের স্কুলগুলোতে বা তার আশেপাশে কমপক্ষে ১৩টি হামলা রেকর্ড করেছে। এছাড়াও হাসপাতালে বা কাছাকাছি অন্তত ১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, এই স্কুলগুলো হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেইট লাহিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে এবং বয়স্ক পুরুষ, ছেলে এবং একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ কয়েকশ পুরুষ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি বন্দীদের চোখ বেঁধে এবং উলঙ্গ করে রাখে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে বস্ত্রহীন অবস্থায় তাদেরকে ট্রাকে করে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে গাজায় স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্যের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৯ জন হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধের সময় আরও চার সেনা নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, ৩১ অক্টোবর গাজায় বড় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৯ সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি শেষের পর থেকে অন্তত ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।




গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি সম্মেলনের ডাক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধাবসান চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন।

শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে নিজ কার্যালয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী মাহমুদ আব্বাস।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আমি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। আমার প্রস্তাব-একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করে বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক।’
‘তবে সবার আগে প্রয়োজন গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতির অবসান ঘটানো। কারণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত দু’মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং গাজার যুদ্ধের আঁচ ব্যাপকভাবে টের পাচ্ছেন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও। পশ্চিম তীরের শহরে শহরে ইহুদি বসতকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।’

‘আমি মনে করি, একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন কেবল গাজার যুদ্ধাবসান কিংবা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব দূর করতেও সহায়ক হবে।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ২০০৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত ও পরে হামাসের বৈরীতার শিকার হয়েছে পিএ। কিন্তু উপত্যকার সরকারি প্রশাসনিক ও পরিষেবা কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য এখনও প্রতি মাসে ১৪ কোটি ডলার গাজায় পাঠাচ্ছে পিএ। এমনকি গাজার মন্ত্রিসভায় পিএর তিনজন সদস্যও রয়েছেন।

‘গাজা আর এখন আগের মতো নেই। সেখানাকার স্কুল, হাসপাতাল, অবকাঠামো, ভবন, পথঘাট, মসজিদ-সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই যুদ্ধ শেষে গাজাকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং সে সময় আমাদের বিপুল পরিমাণ সহায়তার প্রয়োজন হবে।’

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জেরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র : রয়টার্স।




৯২৫ দিন পর মুক্তি পেলেন ইসলামী বক্তা মাওলানা আমির হামজা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাওলানা আমির হামজা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ মে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম। এরপর মাওলানা আমির হামজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।




গাজা ইস্যুতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই ধারা যে-কোনো বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত।

গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান প্রধান জ্যাভিয়ার লোপেজ ডোমিঙ্গুয়েজের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ জারির আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই ধারায় বলা আছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন বিষয়ে যে-কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একটি মানবিক বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। সেই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ৫ বছরের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এরপর সদস্য দেশগুলোর সম্মতিতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে একই দায়িত্ব পান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ৯৯ ধারা প্রয়োগের আহ্বান জানালেন গুতেরেস।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার অপকর্মের সহযোগী বিশ্বমোড়ল আমেরিকা যখন গাজা উপত্যকার ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের এ পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের কাছে ‘চরম বিব্রতকর’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গুতেরেস এই প্রথম গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নেন নি।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর তিনি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, হামাস শুধু শুধু ৭ অক্টোবরের অভিযান চালায় নি। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা দেখেছে যে, তাদের ভূমি প্রতিনিয়ত বসতি দ্বারা দখল হয়ে যাচ্ছে ও সহিংসতায় জর্জরিত, তাদের অর্থনীতি স্তিমিত, তাদের মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। তাদের এমন দুর্দশায় রাজনৈতিক সমাধানের আশা লোপ পাওয়ার পরই তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়েছে।”#

পার্সটুডে




গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে প্রস্তুত ইয়েমেনের হুতি বাহিনী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংঠন, হুতি। সেই লক্ষ্যে নিজেদের সামরিক শাখায় নিয়োগ দিয়েছে নতুন সদস্য। গোষ্ঠিটিতে যোগ দেয়া যোদ্ধাদের নিয়ে রাজধানী সানায় হয় নজরকাড়া কুচকাওয়াজ।

নিজেদের শক্তিমত্তা আর ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল এই কুচকাওয়াজের আয়োজন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। হাতে রাইফেল আর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে যাতে অংশ নেন সংগঠনের নতুন সদস্যরা। মূলত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় গোষ্ঠীটি। তাদের সে ডাকে সাড়া দিয়ে সামরিক শাখায় যোগ দিয়েছে তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে নানা শ্রেনিপেশার মানুষ।

গাজায় ইহুদিদের আগ্রাসনের জবাবে মধ্যপ্রাচ্যের যেকয়টি সংগঠন সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের মধ্যে হুতিরা অন্যতম। ইয়েমেন থেকেই ছুড়েছে দূরপাল্লার মিসাইল, ড্রোন। লোহিত সাগর থেকে আটক করেছে তেলআবিবের মালিকানাধীন পণ্যবাহী একটি জাহাজও। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়িয়ে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা শুরু করেছে ইহুদি সেনারা। এর একদিন পরই প্যারেডের আয়োজন করে শত্রু পক্ষকে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলো হুতিরা।

এ ব্যাপারে হুতির রাজনৈতিক শাখার নেতা মুহাম্মদ আলি আল হুতি বলেন, আব্দুল মালিক আল হুতির ডাকে ইয়েমেনের হাজার হাজার নাগরিক পবিত্র আল আকসা রক্ষায় ফিলিস্তিনে তাদের মুজাহিদিন ভাইদের সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই জনসমাগম তাদের সেই প্রস্তুতি এবং ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

তিনি বলেন, ইয়েমেনের ভূমিতে একদল বিশ্বস্ত সেনাবাহিনী রয়েছে। আমরা, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের কখনই পরিত্যাগ করবো না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং দখলদারদের ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে বিতারিত না করা পর্যন্ত আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাবো।

সম্প্রতি হুতিদের সামরিক শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। ইরানের সহায়তায় যোগ হয়েছে দূরপাল্লার নানা সমরাস্ত্র। এখন বাড়াচ্ছে লোকবলও।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৩ হাজার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।

আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’

বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সূত্র: আল জাজিরা