নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আদিবাসী এক যুবককে ছুরিকাঘাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাদামবাড়ী গ্রামের রুবেল মানখিন (২৮) কে ছরিকাঘাত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই এলাকার মাদক সম্রা্ট সুলাইমান এ ছুড়িকাঘাত করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। রুবেল ওই এলাকার রাখাল চিচাম এর ছেলে।

রুবেল মানখিন সাংবাদিকদের জানায়, গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সুলাইমান সীমান্তের ওপার থেকে আনা ৫শত বোতল ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচারের সময় ফান্দা এলাকা থেকে বিজিবি ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল আটক করে। প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন লোক দিয়ে, রাতের আঁধারে সুলাইমান মাদকের চালান পাঠায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সে মনে করেছে আমি বিজিবির কাছে এই তথ্য দিয়েছি। যে কারনে আজকে দুপুরে ধারালো চাকু দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য আঘাত করে। পরে আমার চিৎকারে আশপাশের মানুষ চলে আসলে সুলেমান পালিয়ে যায়, পরে আমাকে অন্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

ওই এলাকার বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া বলেন, সারাদেশে যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, এতে মাদক সম্রাট সুলেমান কিভাবে মাদকের এতো বড় বড় চালান দেয়। ফান্দা এলাকার যুব সমাজকে নস্ট করার জন্য এই সুলেমানই দায়ী। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। যেকারনে আজকে রুবেল মানখিন কে আঘাত করা হয়েছে। আমি সুলেমান কে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।




মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা আদালতের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আসামি এর আগে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তার মেয়ে দীপ্তির মরদেহ বলে জানান।

পরে মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে র‌্যাব-৮’র সদস্যরা। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। তিনি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পূর্বে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বৃষ্টির দিনে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এ সময় অন্যকোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

দীপ্তির বাবা মজিবর ফকির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।




দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস (রাখাল) (৫৭) ময়মনসিংহের সিবিএমসি হাসপাতালে পাঁচদিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। স্যারকে ময়মনসিংহে নেয়ার সময় তার বাম হাতে ও গলায় বিভিন্ন কাটা চিহ্ন থাকায় এই মৃত্যু রহস্যজনক দাবী করে, এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সীমান্তবর্তী বারোমারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। চন্দন কুমার দাস পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া এলাকার মৃত চন্দ্র শেখর দাসের বড় ছেলে।

ওই স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী শেলী রানী দাস স্কুলের এক শিক্ষক কে মুঠোফোনে বলেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ্য দ্রুত তাঁর বাসায় চলে আসতে। পরবর্তিতে ওই শিক্ষক হেড স্যার অসুস্থ্য বলে তার অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান, হেড স্যারের স্ত্রী তাদের স্যার কে দেখতে বারণ করেন এবং তাড়াাতাড়ি ডাক্তার কে খবর দিতে বলেন। পরে এলাকাবাসী এবং ওই সহকারী শিক্ষকগণ স্যারকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তার স্ত্রী হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতেই ডাক্তার আনতে বলেন। পরবর্তিতে এ বিষয়টি কারো কারো সন্দেহ হলে, একপ্রকার জোর করেই কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান, স্যারের শরীর প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসছে। ওনার হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাচিহ্ন রয়েছে এবং রক্ত ঝড়ছে। পরে দ্রুত অটোরিক্সাযোগে তাকে দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে দ্রুত ময়মনসিংহে নেয়ার পরমর্শ দেন। পরবর্তিতে রোগীর স্বজনরা দুপুর ১২ঘটিকার দিকে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে নিয়ে কমিউনিটি বেসড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রায় ৫দিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকগন।

একাধিক এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রচন্ড বাগ-বিতন্ডতা শুনতে পাই এবং কিছু জিনিষপত্র ভাংচুরেরও শব্দ পেয়েছি। তবে মাঝে মধ্যেই তার স্ত্রীর এমন আচরণ আমরা লক্ষ করি। যার কারনে আমরা ওইদিন রাতে ওই বাড়িতে কেউই যাইনি। পরদিন সকালে বিস্তারিত জানতে পারি।

প্রধান শিক্ষকের সহকর্মী মোজাম্মেল মাস্টার বলেন, চন্দন স্যারকে তার বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর দেখতে পাই তার গলায় এবং বাম হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে এবং কাটার ক্ষতস্থান দিয়ে তখনো রক্ত ঝরছিলো, সেইসাথে মুখ দিয়ে গন্ধযুক্ত লালা বেরোচ্ছো। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষককে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ চেতনানাশক কোন কিছু খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে। আমাদের স্যারকে হয়তো অজ্ঞান করার পর, নির্যাতনও করা হয়েছে। স্যারের মৃত্যু রহস্যজনক, আমরা শিক্ষক সমাজ, এলাকাবসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটাই দাবী তদন্ত সাপেক্ষে এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সহ ন্যায় বিচারের দাবীতে বারোমারী এলাকায় আমরা মানবন্ধন শুরু করেছি। এই মৃত্যু রহস্যজনক। প্রশাসন অনতিবিলম্বে যদি দোষিদের গ্রেফতার না করে, তাহলে পুরো উপজেলায় হরতাল দিবো। দুর্গাপুরের প্রানপ্রিয় প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অচিরেই নিতে হবে। 

উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল বলেন, চন্দন দাস আমার প্রতিবেশি, তার ছোট ভাই টুকন চন্দ্র দাস গত ছয় মাস আগে আকষ্মিক মৃত্যুবরণ করেন। বিবাহিত জীবনে চন্দন দাসের কোন সন্তানাদি না থাকায়, একমাত্র ছোট ভাইয়ের মেয়ে টুম্পা দাস কে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করতেন। এটি দেখেই তার স্ত্রী শেলী দাস, ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রায়ই ওই শিক্ষকের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে সংসারে অশান্তি লাগিয়ে রাখতেন। আমরা এই মৃত্যুর বিচার চাই।

এ সময় অন্যদের মাঝে, ইউনিয়ন বিএনপি‘র সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন, স্কুলের শিক্ষক, মোজাম্মেল হক, সুপলার মৃ, সাঈদ হাসান, প্রবীণ আদিবাসী নেতা কম্প ম্রং সহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য : গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাখাল স্যার স্কুলে ক্লাশ নিয়েছেন। স্যারের এই হঠাৎ মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছিনা। প্রাণপ্রিয় প্রধান শিক্ষক রাখাল স্যারের মরদেহ এক নজর দেখার জন্য, পৌরশহরের প্রেসক্লাব মোড়ে গতকাল রাত থেকে আজকে বিকাল পর্যন্ত শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া রাখাল স্যারের মৃত্যুর তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে মানববন্ধন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক সাইদ হাসান।



পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননাকারির ফাঁসির দাবীতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ  মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার  যুবসমাজের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বক্তারা বলেন, আমরা ৯০ শতাংশ মুসলমানদের দেশে বসবাস করি। এর পরও এই দেশে সম্প্রীতি নস্ট করার জন্য, বারবার অন্য ধর্মের লোকেরাই আল কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা কুরআন অবমাননাকারী অপুর্ব পালের ফাঁসি চাই। এই দেশে আর কেউ পবিত্র কুরআন অবমাননা করুক আমরা তা চাই না, কুরআনকে নিয়ে কটুক্তি করুক আমরা আর শুনতে চাইনা।

সমাবেশে মুফতি নুরে আলমের সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীন কারিমী‘র সঞ্চালনায়, অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মুফতি সাব্বির আহমেদ, যুবনেতা সম্রাট গণি, মুফতি রেজাউল করীম, মুফতি বরকত উল্লাহ্, মাওলানা ইমরান। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মনজুরুল হক।




খাগড়াছড়ির ঘটনায় ‘ভারতের ইন্ধন’ দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা




মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব। শনিবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোনের দায়েরকৃত মামলার পর র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।

এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব ডিজি জানান, “মূল তদন্ত করছে ডিএমপি। র‍্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে সহায়তা করছে। তবে আমরা এখনো এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছাইনি, যেখানে প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করা যায়।”

হত্যার পেছনে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসা ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত বিরোধ থেকে ঘটেছে। বিস্তারিত তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের অবস্থান নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’’

রবিবার (৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘জঙ্গি’ ট্যাগ দেয়ার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দেশে যে তিন জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের কেউ জঙ্গি নন। মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস রিলিজ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়ার পুলিশের প্রধান যে পাঁচজনের কথা বলেছেন, তারা এখনো দেশে আসেননি বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’’ তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই।’’

মালয়েশিয়ার আইজিপি বাংলাদেশের পাঁচজনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সে দেশের (মালয়েশিয়ার) আইজিপি কী বলেছেন, আমি জানি না। আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লেভেলে কোনো মেসেজ পাইনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যে মেসেজ পেয়েছি, সেটা সঠিক নয় এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই।’’



মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে মারধর : আসামি নাসিম গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মানিক কম্পিউটার দোকানের মালিক আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

আজ ( ২৭ জুন শুক্রবার ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাসিম ভূঁইয়া ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু ভূঁইয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগী মানিকের কম্পিউটার দোকানে ডুকে আসামি নাসিম তার দাড়ি ধরে টানা হেচড়া ও মারধর করে। এরপর থেকে অভিযুক্ত নাসিম পলাতক ছিলেন।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব বলেন, ঘিওরের দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়ার ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলার একমাত্র আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।




অধিক লাভের আশায় সমিতিতে টাকা জমা দিয়ে ফেরত না পেয়ে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

এইচ.এম সাইদুল ইসলাম :

বেশি মুনাফার আশায়, জীবনের সঞ্চয়কৃত সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন সমিতিতে। কেউবা গার্মেন্টসে কাজ করে ঘাম ঝরানো আয়, কেউবা ব্যবসার আবার কারো পেনশনের টাকা তুলে জমা দিয়েছেন সমিতিতে। কিন্তু মুনাফা তো দুরের কথা আসল টাকার জন্যই হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। টাকার শোকে কেউবা প্রাণ হারিয়েছেন আবার কেউবা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। আবার কেউ বা আশ্রয় নিয়েছেন আদালতের।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ৭ং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া এলাকায় এক সময়ের আলোচিত ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’’ কে ঘিরেই ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর প্রতারণার কাহিনী। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমিতি নানা কৌশলে মানুষের আস্থা অর্জন করে। প্রতি লাখ টাকায় মাসে চার হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে গ্রাম-গঞ্জের বহু মানুষের সঞ্চিত অর্থ সমিতির কথা বলে জমা নিয়েছেন তারা। টাকা জমা নেয়ার পর তিন চার মাস লাভ দিলেও পরবর্তিতে নানা অজুহাতে বন্ধ করে দেন গ্রাহকদের মুনাফার অর্থ।

এমনই এক গার্মেন্টস কর্মী কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, ১৫ বছর গার্মেন্টসে কাজ করে উপার্জিত প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা এই সমিতিতে জমা রেখেছি। প্রতি লাখ টাকায় মাসে ৪ হাজার টাকা দিবে বলে চুক্তি হয়। পরবর্তিতে দু’মাস লাভের টাকা পেলেও এরপর বন্ধ করে দেয় টাকা দেয়া। এখন আমি গুরুতর অসুস্থ্য, টাকা উদ্ধার করতে প্রায় চার বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরাহা পাচ্ছিনা।

স্থানীয় গাঁওকান্দিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলামও পড়েছেন একই ফাঁদে। তিনি জমা দিয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। এখন টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন । ঋণ করে সমিতিতে টাকা জমা দিয়েছিলাম। এখন সেই ঋণ মেটাতে ধানের জমি বিক্রি করে এখন দিশেহারা। টাকা উদ্ধারে আদালতে মামলা করে মহান আল্লাহ’র উপর ভরসা করে বসে আছেন তিনি।

এই প্রতারণা কেবল আর্থিক ক্ষতিই আনেনি, কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবনও। গাঁওকান্দিয়া গ্রামের অধিবেষ সরকার নামে এক ব্যক্তি এই সমিতিতে জমা রেখেছিলেন ১৯ লাখ টাকা। প্রতারণার শিকারে মানসিক কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার অভাবে আগে মারা যান তার স্ত্রী। পরে চলতি মাসের ৬ তারিখে মারা যান তিনিও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিটি জাগিরপাড়ায় একটি ঘরে ২০১৯ সালে চালু করে। কিন্তু এখন সেখানে সেই অফিস নেই, নেই কোনো কার্যক্রম। আছে কেবল প্রতারণার শিকার মানুষের হাহাকার। এই সমিতি পরিচালনায় ছিলেন ওই এলাকার আব্দুল জলিল (সভাপতি), আব্দুল জলিল আকাশ (সহ-সভাপতি), আব্দুর রশিদ (সাধারণ সম্পাদক), আবুল কাশেম (যুগ্ম সম্পাদক), ইদ্রিস আলী (কোষাধ্যক্ষ), মাহফুজুল ইসলাম (বোর্ড সদস্য)।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিলের সাথে। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর বলেন, সমিতিটি আমাদের কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে ঠিকই, তবে পরবর্তীতে আমাদের সাথে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।”

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ঘটনাটি জানা ছিলো না আজকেই শুনলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

লোভে পড়ে মানুষ জীবনের সঞ্চয় তুলে দিয়েছিল একটি ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এ। আজ সেই লোভই তাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও আইনি সহায়তা । যাতে প্রতারিত মানুষরা অন্তত কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান, আর ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ফাঁদে পা না দেন।




দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় ৭০ বোতল মদ জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরে ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মালিকবিহীন জব্দকৃত এসব মদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

এ অভিযানে ওই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৫০/২-এস হতে আনুমানিক তিনশত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।