বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের অবস্থান নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’’

রবিবার (৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘জঙ্গি’ ট্যাগ দেয়ার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দেশে যে তিন জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের কেউ জঙ্গি নন। মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস রিলিজ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়ার পুলিশের প্রধান যে পাঁচজনের কথা বলেছেন, তারা এখনো দেশে আসেননি বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’’ তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই।’’

মালয়েশিয়ার আইজিপি বাংলাদেশের পাঁচজনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সে দেশের (মালয়েশিয়ার) আইজিপি কী বলেছেন, আমি জানি না। আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লেভেলে কোনো মেসেজ পাইনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যে মেসেজ পেয়েছি, সেটা সঠিক নয় এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই।’’



মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে মারধর : আসামি নাসিম গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মানিক কম্পিউটার দোকানের মালিক আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

আজ ( ২৭ জুন শুক্রবার ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাসিম ভূঁইয়া ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু ভূঁইয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগী মানিকের কম্পিউটার দোকানে ডুকে আসামি নাসিম তার দাড়ি ধরে টানা হেচড়া ও মারধর করে। এরপর থেকে অভিযুক্ত নাসিম পলাতক ছিলেন।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব বলেন, ঘিওরের দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়ার ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলার একমাত্র আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।




অধিক লাভের আশায় সমিতিতে টাকা জমা দিয়ে ফেরত না পেয়ে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

এইচ.এম সাইদুল ইসলাম :

বেশি মুনাফার আশায়, জীবনের সঞ্চয়কৃত সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন সমিতিতে। কেউবা গার্মেন্টসে কাজ করে ঘাম ঝরানো আয়, কেউবা ব্যবসার আবার কারো পেনশনের টাকা তুলে জমা দিয়েছেন সমিতিতে। কিন্তু মুনাফা তো দুরের কথা আসল টাকার জন্যই হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। টাকার শোকে কেউবা প্রাণ হারিয়েছেন আবার কেউবা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। আবার কেউ বা আশ্রয় নিয়েছেন আদালতের।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ৭ং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া এলাকায় এক সময়ের আলোচিত ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’’ কে ঘিরেই ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর প্রতারণার কাহিনী। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমিতি নানা কৌশলে মানুষের আস্থা অর্জন করে। প্রতি লাখ টাকায় মাসে চার হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে গ্রাম-গঞ্জের বহু মানুষের সঞ্চিত অর্থ সমিতির কথা বলে জমা নিয়েছেন তারা। টাকা জমা নেয়ার পর তিন চার মাস লাভ দিলেও পরবর্তিতে নানা অজুহাতে বন্ধ করে দেন গ্রাহকদের মুনাফার অর্থ।

এমনই এক গার্মেন্টস কর্মী কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, ১৫ বছর গার্মেন্টসে কাজ করে উপার্জিত প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা এই সমিতিতে জমা রেখেছি। প্রতি লাখ টাকায় মাসে ৪ হাজার টাকা দিবে বলে চুক্তি হয়। পরবর্তিতে দু’মাস লাভের টাকা পেলেও এরপর বন্ধ করে দেয় টাকা দেয়া। এখন আমি গুরুতর অসুস্থ্য, টাকা উদ্ধার করতে প্রায় চার বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরাহা পাচ্ছিনা।

স্থানীয় গাঁওকান্দিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলামও পড়েছেন একই ফাঁদে। তিনি জমা দিয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। এখন টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন । ঋণ করে সমিতিতে টাকা জমা দিয়েছিলাম। এখন সেই ঋণ মেটাতে ধানের জমি বিক্রি করে এখন দিশেহারা। টাকা উদ্ধারে আদালতে মামলা করে মহান আল্লাহ’র উপর ভরসা করে বসে আছেন তিনি।

এই প্রতারণা কেবল আর্থিক ক্ষতিই আনেনি, কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবনও। গাঁওকান্দিয়া গ্রামের অধিবেষ সরকার নামে এক ব্যক্তি এই সমিতিতে জমা রেখেছিলেন ১৯ লাখ টাকা। প্রতারণার শিকারে মানসিক কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার অভাবে আগে মারা যান তার স্ত্রী। পরে চলতি মাসের ৬ তারিখে মারা যান তিনিও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিটি জাগিরপাড়ায় একটি ঘরে ২০১৯ সালে চালু করে। কিন্তু এখন সেখানে সেই অফিস নেই, নেই কোনো কার্যক্রম। আছে কেবল প্রতারণার শিকার মানুষের হাহাকার। এই সমিতি পরিচালনায় ছিলেন ওই এলাকার আব্দুল জলিল (সভাপতি), আব্দুল জলিল আকাশ (সহ-সভাপতি), আব্দুর রশিদ (সাধারণ সম্পাদক), আবুল কাশেম (যুগ্ম সম্পাদক), ইদ্রিস আলী (কোষাধ্যক্ষ), মাহফুজুল ইসলাম (বোর্ড সদস্য)।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিলের সাথে। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর বলেন, সমিতিটি আমাদের কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে ঠিকই, তবে পরবর্তীতে আমাদের সাথে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।”

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ঘটনাটি জানা ছিলো না আজকেই শুনলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

লোভে পড়ে মানুষ জীবনের সঞ্চয় তুলে দিয়েছিল একটি ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এ। আজ সেই লোভই তাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও আইনি সহায়তা । যাতে প্রতারিত মানুষরা অন্তত কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান, আর ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ফাঁদে পা না দেন।




দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় ৭০ বোতল মদ জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরে ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মালিকবিহীন জব্দকৃত এসব মদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

এ অভিযানে ওই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৫০/২-এস হতে আনুমানিক তিনশত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।




মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে দুর্গাপুরে হাজারো নারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে নারী সমাজের উদ্দ্যেগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে হাজারো নারীদের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রেসক্লাব মোড়ে এসে শেষে হয়। পরে এখানে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী আফরোজা আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে পুর্ব-বাকলজোড়া গ্রামে সংঘঠিত বাড়ীঘর ভাংচুর, আহত ও নিহতের ঘটনায় আমার স্বামী তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত ঘটনার দিন সে নেত্রকোনা অবস্থান করে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেছিলো, যার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমার স্বামী সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে আমি প্রত্যাহারের দাবী জোর জানাই।

নারী সমাজের সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। মূলত বিএনপি‘র রাজনীতি থেকে জামাল মাস্টার সহ অন্যান্যদের কুলষিত করার জন্য, কৌশলে তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

মানবাধিকার কর্মী শিউলী আক্তার বলেন, জামাল মাস্টার একজন আদর্শবান শিক্ষক, তার জনপ্রিয়তাকে ধংস করার জন্য কিছু কু-চক্রী মহল তাকে হত্যা মামলায় জড়াতে চাচ্ছে। জামাল মাস্টার উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত, তাকে দাবিয়ে দেয়ার জন্যই এই নীল নকশা করা হয়েছে। আমি এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই।

এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, শ্যামলী বেগম, হাসিনা আক্তার, তানজিনা আক্তার সাবিনা বেগম, মুন্নি আক্তার, জমিলা খাতুন ও তাহেরা বেগম প্রমুখ।




দুর্গাপুরে সেনাঅভিযানে অবৈধ কয়লা আটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ কয়লাসহ একটি ট্রাক আটক করেছে দুর্গাপুর সেনাবাহিনী। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে পৌরশহরের উৎরাইল বাজার থেকে এই কয়লা আটক করা হয়। ট্রাক ড্রাইভারের নাম কামাল হোসেন (৪৫), তিনি ময়মনসিংহের শিকারী কান্দা এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, অবৈধ কয়লাসহ একটি ট্রাক দুর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহে যাবে এমন গোপন সংবাদ পায় দুর্গাপুর সেনাক্যাম্প। পরবর্তিতে ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আসিফ-ঊল-হাসান ইমন এর নির্দেশে টহল টিম উৎরাইল বাজারে সকাল থেকে টহল শুরু করে। পরবর্তিতে ঢাকা মেট্রো ট ২২-১৭৪৩ নামক একটি ট্রাক প্রায় ১০ টন অবৈধ কয়লা নিয়ে উৎরাইল বাজার অতিক্রম করার সময় চালকসহ ট্রাকটি আটক করে সেনাবাহিনী। ট্রাক ড্রাইভার জানায়, ময়মনসিংহে নেয়ার জন্য দুর্গাপুর শশ্মানঘাট এলাকা হতে কয়লা লোড করে। পরবর্তিতে আটককৃত ট্রাকটি দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, অবৈধ কয়লা সহ একটি ট্রাক উৎরাইল বাজার থেকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরবর্তিতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শেষে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




দুর্গাপুরে আশানন্দ শীল এর বিরুদ্ধে টয়লেটে আটকে রেখে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টয়লেটে আটকে রেখে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আশানন্দ শীল। এ ঘটনার পরেই তিনি স্কুল ত্যাগ করেন এবং বন্ধ করে রেখেছেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আশানন্দ শীল ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে টেনে টয়লেট নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরবর্তিতে ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দিলে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে পরে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিক্ষক দরজা খুলে বেরিয়ে যান। এসময় ছাত্রীর হাতে ৫০০ টাকা দিতে চান ওই শিক্ষক। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী টাকাটা ডিল মেরে ফেলে দৌড় দিলে তড়িঘড়ি করে স্কুল ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।

এ ঘটনার বিচার চান ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে থাকলে তাদের সন্তানকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাবে না বলছেন তারা। এলাকাবাসী বলছেন এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

আবুল কাশেম নামের স্থানীয় একজন বলেন, ওই শিক্ষক আগে যে স্কুলে ছিলো, সেখানেও খারাপ কাজ করার জন্য সেখান থেকে তাকে সরানো হয়েছে। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। আমরা তার অপসারণ চাই।

আবুল বাশার নামের আরেকজন বলেন, এই রকম খারাপ শিক্ষক আমরা স্কুলে চাইনা। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, ওই শিক্ষককে সারা বাংলাদেশের কোন স্কুলেই যেন পোস্টিং না দেয়া হয়। এমন একজন ব্যক্তির জন্য শিক্ষক নামের শব্দটি যেন আর কলঙ্কিত না হয়

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুল কাদের বলেন, আমরা ওই স্কুলে গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সেইসাথে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জোর সুপারিশ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি ইতিমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখ শিশু আছিয়ার বোনের শ্বশুর। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শিশুটির বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা জাহেদা বেগম।

ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো। গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।




ভারতের ২৫টি ইসরাইলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত : পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী গতকাল বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘৬ মে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও একাধিক ড্রোন ধ্বংস এবং কয়েকজন সেনার মৃত্যুতে ভারত আতঙ্কে ভুগছে।’

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’

পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ বৃহস্পতিবার একথা বলেছে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলার এক দিন পর এই ঘটনা ঘটল।

গতকাল বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। গতকাল কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হামলায় নারী-শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জন আহত হন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী আজ বলেন, গত রাতে ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরেকটি আগ্রাসনের কাজ করল। ভারতের এই কর্মকাণ্ডের কারণে মিয়ানোতে একজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধুর বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলোর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য লোকজন জড়ো হয়।

পাকিস্তানের বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোর-এই তিন প্রধান শহরের বিমানবন্দর আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।#

সূত্র: পার্সটুডে




সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলার স্বাধীনতা দিলো পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জানিয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার তাদের আছে।

এনএসসি বলেছে, ভারতের হামলার জবাবে সময় অনুযায়ী যথাযথ স্থানে পছন্দ মতো পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাবে। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে ‘‘সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’’ গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক এই সর্বোচ্চ কমিটি। খবর দ্যা ডনের।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি। এই বিষয়ে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে এনএসসি বলেছে, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।

এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’

বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র পাকিস্তানি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়।

পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।

যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।