আগামী মাস থেকে ডলার সংকট দূর হবে: সালমান এফ রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমাদের ব্যাংকগুলোতে যে ডলার সংকট আছে আগামী মাস থেকেই তা দূর হবে। যে জিনিসগুলো আমাদের আমদানি করা প্রয়োজন, সেগুলো রমজানের আগেই আমদানি করা হবে। রমজানে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমদানি করতে গিয়ে আমাদের দেশের ওপরও চাপ পড়েছে। তার পরও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় সরকার দেশের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কম মূল্যে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। আর এই এক কোটি পরিবারের মাধ্যমে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ সেটি ভোগ করছেন। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় চার-পাঁচ কোটি মানুষকে আমরা সরাসরি এই সহযোগিতা দিলে আর কোনো সমস্যা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায়ই কলকারখানা গড়তে হবে-এটা প্রয়োজন নেই। মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন ফসল ও মাছের চাষ জেলাকে সমৃদ্ধ করছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষিজমি নষ্ট করে কলকারখানা গড়ার অনুমতি দিচ্ছেন না। এখন আর কলকারখানা না গড়ে ১০০টা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার মানুষ জমি দিলে এই এলাকায় ফুড প্রসেসিং বা কৃষিভিত্তিক একটা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হবে।




দুর্গাপুরে প্রধান সড়ক দখল করে অটো স্ট্যান্ড,যানজটে ভোগান্তি 

আল নোমান শান্ত
স্টাফ রিপোর্টার :
নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌর শহরের ব্যস্ত চার রাস্তার মোড়ের সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অটো স্ট্যান্ড। অনুমোদনহীন এসব স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পথচারীদের দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় প্রধান সড়ক দখলে নিচ্ছেন অটো চালকরা। ব্যস্ত সড়কের যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছেন। এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। এখান দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের চার রাস্তার মোড়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার প্রেসক্লাব মোড়, কালীবাড়ি মোড় সড়কের দু’পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অটো রিকশার স্ট্যান্ড। স্ট্যান্ডগুলো থেকে অটোরিকশা ছেড়ে যাওয়ার খানিক পর পর সড়কের মধ্যে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠিয়ে থাকে। সড়কের দু’পাশ দখল করে এলোমেলো অবস্থায় দাঁড়া করিয়ে রাখা হয়েছে অটো ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। যার কারণে অন্যান্য যানবাহন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে না। এতে যানবাহনের জটলা লেগে তীব্র জ্যাম লেগে যায়। সড়কের মধ্যে এভাবে স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় জনগণের পায়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
পথচারীরা জানান, কোনো প্রয়োজনে বাজারে এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। রাস্তার দু’পাশ দখল করে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। মাঝখান দিয়ে একটি গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় জ্যাম লেগে থাকে। কিন্তু যানজট নিরসন বা বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমাতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
একাধিক দোকানিরা বলেন, তাঁদের দোকানের সামনে এমনভাবে প্রাচীর করে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে,কোনো কাস্টমার আসতে পারে না। এতে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।যানবাহনগুলো একটু সরাতে বললেও চালকেরা ঝগড়া শুরু করেন। অপরদিকে জরুরি রোগী নিয়ে যাওয়া এক এম্বুলেন্স চালক বলেন, সড়কের ওপর যেখানে-সেখানে এভাবে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে রাখে। জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর প্রেসক্লাব মোড়ের চার রাস্তার মোড়ে এসে দেখা যায় জ্যাম এতে এখানেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।
এ নিয়ে(ভারপ্রাপ্ত)পৌর মেয়র মো. মশিউজ্জাম বাদল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও এ-সকল অটো স্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



দুর্গাপুরের প্রতিবন্ধি রতন কে হুইলচেয়ার প্রদান

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরএলাকার চকলেঙ্গুরা গ্রামের এক অসহায় প্রতিবন্ধি রতন দাস (৩৫) কে হুইলচেয়ার বিতরণ করলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। শুক্রবার দুপুরে এ চেয়ার বিতরন করা হয়।

ছোট বেলা থেকেই রতন দাস স্বপ্ন দেখতেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারের সেবায় এগিয়ে আসবেন। সে পেশায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতো। ২০১৫সনে তার মাথায় টিউমার দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় শরীরে হানা দেয় বিভিন্ন রোগ। ২০১৮ সনের শেষের দিকে পায়ে হেটে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে রতন। তখন থেকেই তার বৃদ্ধ পিতা তাকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সামান্য চিকিৎসা ও খাবার যোগার করতেন। চলাফেরার জন্য রতনের ছিলনা কোন বাহন। এক সময় বাবার কাঁধে চড়েই ভিক্ষে করতো সে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি হুইলচেয়ার দেয়ার পর দীর্ঘদিন ওই চেয়ারে করেই ভিক্ষাবৃত্তি করতো রতন দাস। গতবছর বাবার মৃত্যুর পর একা হয়ে যায় সে। এ বছরের শুরুর দিকে ওই চেয়ারটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘরে বসে অনাহারে থাকতে হয় তাকে। পরবর্তিতে স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে একটি উন্নত মানের হুইলচেয়ার প্রদান করা হয় রতন দাসকে।

স্থানীয়দের দাবী, দেশের বিত্তশালীগন যদি রতন দাসের চিকিৎসার দায়ভারে সহায়তা করেন, তাহলে হতদরিদ্র রতন আবার উঠে দাঁড়াবে। চেয়ার বিতরণ কালে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক দ্রæব সরকার, ব্যবসায়ী দেবেস চন্দ্র সাহা, বুলিয়া প্রসাদ প্রমুখ।




সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী নৌবাহিনীর বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সমুদ্র ভিত্তিক শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনের জন্য শক্তিশালী নৌবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই।

রোববার (৩০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নতুন ২টি এমপিএ সংযোজনের মাধ্যমে নেভাল এভিয়েশনের সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দ্রুততার সাথে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা টহল দেয়া আরও সহজতর হবে। এ সকল এমপিএ বাংলাদেশের স্বাধীন জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সুনীল অর্থনীতির নিরাপত্তা রক্ষার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিহত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবহরে যুদ্ধজাহাজ সংযোজন, বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অপারেশনাল এভিয়েশন উইং গঠনসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইতোমধ্যেই এমপিএ ও হেলিকপ্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই সকল টহল বিমান সংযোজন দেশের সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও নিজ জলসীমায় যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দেশের সার্বভৌমত্ব, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা রক্ষা ও চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।




চরমোনাই পীরের ব্যাংক হিসাব তলব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চরমোনাই পীর হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।

বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।
সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক তার হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। আবার অনেক সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়।

বিএফআইউর চিঠিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি। তার পিতা প্রয়াত সৈয়দ মো. ফজলুল করিম এবং মা মোসাম্মৎ আলমতাজ বেগম। তার পিতা ফজুলুল করিম ছিলেন মূলত চরমোনাই পীর।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীণ ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে ফয়জুল করিমের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। তার বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে।




দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে নবনির্মিত দুই সেতু : প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নড়াইলের মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত ‘মধুমতি সেতু’ এবং নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যেমন সহজ ও গতিশীল করবে, একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির গতি বাড়াবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতু দুটির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আনন্দিত কারণ আজ এই সেতু দুটি আমি উদ্বোধন করতে পেরেছি। আমি মনে করি যোগাযোগের ফলে আমাদের অবহেলিত অঞ্চলগুলো উন্নত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এখন আমরা দাবি করতে পারি যে বাংলাদেশের সব জেলার মধ্যে একটা সম্পর্ক হয়, সেই কাজটি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাব।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে ব্যহত না হয়, সেজন্য আমরা সবাই নিরলস পরিশ্রম করে যাব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অর্থনৈতিতে নারায়ণগঞ্জ একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য, তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করার লক্ষ্যে একটি সেতু একান্তভাবে দরকার। সে কথাটা মাথায় রেখেই আমরা শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর তৃতীয় সেতুর নির্মাণ করলাম। ইতোমধ্যে শীতলক্ষ্যার ওপরে আমরা আরও কয়েকটা সেতু করেছি।

নাসিম ওসমান সেতুর কারণে রাজধানীর যানজট কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধুমতি সেতু যেহেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। ঢাকা থেকে এখন মোংলা পোর্ট কাছে হয়ে গেছে। আমাদের বেনাপোলসহ কুষ্টিয়া অঞ্চলের যে সমস্ত যোগাযোগগুলো রয়েছে সেগুলো সঙ্গে যোগাযোগটাও বাড়ছে। মানুষের সময় বাঁচবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে। সেই সুযোগটা সৃষ্টি হয়েছে।




দুর্গাপুরে বজ্রপাত প্রবন এলাকায় তালবীজ রোপন করছেন ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ বান্ধব এক হাজার তাল গাছের বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’। শনিবার দিনব্যাপি দুর্গাপুর ইউনিয়নের ত্রিনালি গ্রামে এ বীজ রোপন করা হয়।

এ সময় তাল বীজরোপন কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, সমাজসেবক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।

রিক্সাচালক তারা মিয়া বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমার স্বল্প আয় থেকে তালবীজ রোপনের উদ্দ্যেগ নিয়েছি। এছাড়া ইতেমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা, কবরস্থান ও শশ্মানঘাটে তাল বীজ, ঔষধী ও ফলদ বৃক্ষ রোপন করেছি।




দুর্গাপুরে জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন কার্যালয় পরিদর্শন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জেলা প্রশাাসক অঞ্জনা খান মজলিস সরকারি বে-সরকারি বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, উপজেলা নির্বাহী অফিস, দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়, দুর্গাপুর থানা, চন্ডিগড় ভূমি অফিস এবং বীর নিবাস কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র পরিচালক সুজন হাজং, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, ওসি শিবিরুল ইসলাম প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, কাউন্সিলর নুরুল আকরাম খান, কামরুল হাসান জনি, বিউটি আক্তার, ইব্রাহীম খলিল টিপু, মানসুরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন, জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ প্রদানে কোন প্রকার গাফিলতি সহ্য করা হবে না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যপি এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষ, সরকারি কোন দপ্তরে গিয়ে যেন কোন প্রকার ভোগান্তিতে না পড়েন, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে উপজেলার সরকারি বে-সরকারি সকল দপ্তর প্রধানদের নির্দেশ দেন।




৯০ হাজার টন টিএসই-ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মরক্কো ও কাতার থেকে ৯০ হাজার টন টিএসপি ও ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে টিএসপি ৩০ হাজার টন ও ইউরিয়া ৬০ হাজার টন। এতে মোট খরচ হবে ৬৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৫০২ টাকা।

আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক সংবাদকর্মীদের জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯ শত ৩ কোটি ৮৭ লাখ এক হাজার ৯২৩ টাকা।

তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক ৩০ হাজার টন টিএসপি সার মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ২২১ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৭ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাতারের মুনতাজাত থেকে ৪র্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার ২০৬ কোটি ৫৯ লাখ ১১ হাজার ৭৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অপর এক প্রস্তাবে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৫ম লটে ২০৯ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ৪৯৫ টাকায় আমদানির ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।




সুনামগঞ্জের  ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি ও  যাত্রী হয়রানীর প্রতিবাদে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় কোন কারণ ছাড়াই অযৌক্তিকভাবে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রী হয়রানী ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যাত্রী সাধারনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলমের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্ধিত ভাড়া বাতিল না করা হলে যাত্রী সাধারন ও এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বক্তারা। বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদ নামে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক হলেও ছাতক সিএনজি ষ্টেশন থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মুলত ১২ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহৃত হয় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে। এই ১২ কি.মি. সড়কে বিভিন্ন অজুহাতে ১৩ টাকার ভাড়া বর্তমানে ৩০ টাকায় উন্নীত করা হয়। যা চলে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। সম্প্রতি কোন কারন ছাড়াই আকষ্মিক ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পযর্ন্ত ভাড়া বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়। সিএনজি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী সাধারনের উপর অতিরিক্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রী সাধারনের সাথে সিএনজি চালকদের প্রায়ই বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।
সিএনজি চালকরা তাদের নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের হয়রানী ও লাঞ্চিত করে আসছে। ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে সিএনজি সংগঠনের নেতারা তাদের মতো করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। সিএনজি চালকদের নৈরাজ্যের কাছে অনেকটা জিম্মী হয়ে পড়েছেন যাত্রী সাধারন। অযৌক্তিক সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাতক-গোবিন্দঞ্জের সিএনজি ভাড়া কমিয়ে ৩৫ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। পুলিশ প্রশাসনের চাপে তাদের নির্ধারন করা ছাতক-গোবিন্দঞ্জের ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও ছাতক-মাধবপুর, ছাতক-কালারুকা, ছাতক-হাসনাবাদ ও ছাতক-তাজপুরের জন্য তাদের বৃদ্ধি করা ভাড়া বহাল রেখেছে।
এতে করে কোন যাত্রী যদি ছাতক থেকে মাধবপুর, কালারুকা, হাসনাবাদ ও তাজপুর নেমে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যেতে চায় তবে তাদের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে ওই যাত্রীকে  অন্তত ৫০ টাকা গুনতে হবে। সিএনজি সংগঠনের বর্ধিত ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও শুভংকরের ফাঁকির মতো অন্যান্য স্থানের  তাদের নির্ধারিত ভাড়াই বহাল রেখেছে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ধিত ভাড়া দিয়ে তারা সিএনজিতে উঠবেন না এবং সড়কে সিএনজি চলাচল করতে দেবেন না। বিষয়টি আগামী ৩দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার হুমকি দেন তারা।
বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিনকে আহবায়ক ও কামরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্টি যাত্রীকল্যাণ পরিষদের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
যুবনেতা বুরহান উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন, সদর আমিন, দুলাল মিয়া, ছায়েদ আহমদ জাবেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী আমরু মিয়া, কামরুল হাসান, সাবেক মেম্বার লুতফুর রহমান মানিক, মখলিছ আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নজমুল হোসেন, আমিরুল হক, ছালিক মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, ছাত্রলীগের নেতা আতিকুর রহমান রিয়াদ ও তোফায়েল আহমদ মিনার প্রমুখ।