কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চরাঞ্চলে সরিষা ক্ষেতে পানি, শঙ্কায় কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলে সরিষা ক্ষেতে পানি জমেছে। অনেক জমির গাছ থেকে ঝরে পড়ছে সরিষা। এতে সরিষার আবাদ নিয়ে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষক।

কৃষকেরা জানান, আগাম সরিষা ক্ষেতে ফুল এসেছে। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেক ক্ষেতেই সরিষা গাছ নুয়ে পড়েছে। ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ, সুতালড়ী ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে অনেক জমির সরিষাগাছ পড়ে গেছে। কিছু নিচু জমিতে পানিও জমেছে বলেও জানান এসব এলাকার কৃষক।

উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের মীরডাঙ্গি চরের সরিষাচাষি কুব্বাত বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বৃষ্টিতে আগাম বোনা কিছু সরিষার ক্ষতি হয়েছে।’

আজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের চাষি লতিফ পাল বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বৃষ্টির ফলে কিছু জমির সরিষার ফুল পড়ে গেছে। ফুল না থাকলে তো আর ফসল হবে না।’

একই এলাকার আরেক চাষি শহিদ ব্যাপারী বলেন, ‘এ বছর একশ দেড় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বৃষ্টির কারণে সরিষার চারা গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছি।’

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরিষা ভালো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমি সরিষার জন্য ভালো হয়েছে। তবে আগাম সরিষা কম চাষ হওয়ায় সরিষার ক্ষতিও কম হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে কী পরিমাণ সরিষার ক্ষতি হয়েছে, এর প্রতিবেদন এখনো পাইনি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’




ময়মনসিংহে চলন্ত অবস্থায় খুলে গেল বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে জামালপুর চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথিমধ্যে সোমবার রাতে ট্রেনটি জামালপুর-চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ট্রেনের সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ নম্বর বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেনের পরিচালক গৌরীপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় এসে টের পায়।

পরে ওই ট্রেনের পরিচালক উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি ট্রেনের সাথে যুক্ত করে নিয়ে গৌরীপুর স্টেশনে এসে যাত্রাবিরতি করে। পরে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় চলন্ত ট্রেনের দুটি বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেন থামানের পর উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি যুক্ত করে গৌরীপুর স্টেশনে নিয়ে আসি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।




ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে তানজানিয়ায় অন্তত ৪৭ মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যায় ও ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন মানুষ। দেশটির হানাং পর্বতের ঢালের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওই অঞ্চলের ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি আরও জানায়, বন্যাকে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপদ বলা হয়ে থাকে। বন্যায় প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন। মূলত পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো ২০২৩ সালে বন্যা এবং ভূমিধসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেটি আবার আংশিকভাবে আবহাওয়ার এল নিনোর কারণে।

উল্লেখ্য, গত মাসে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানী দারুস সালাম এবং কিগোমা, কাগেরা, গেইতা ও উনগুজা এলাকায় প্রাণহানি এবং বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের কিছু অংশের ফসলও ভেসে গেছে এবং মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে চলতি মাসেও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে তানজানিয়ার আবহাওয়া সংস্থা থেকে সতর্ক করা হয়েছে ।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৩ হাজার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের একটি ওয়াগনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটির ঢাকা যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এলাকায় এসে একটি ওয়াগনের চার চাকা লাইনচ্যুত হয়। লাইনের কিছু ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণে রেললাইন ও স্লিপারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ঢাকামুখী ডাউন লাইন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তবে ডাউন লাইন দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস আখাউড়া জংশনে দাঁড়ানো আছে। আখাউড়া জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এলে দ্রুত ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।




বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ ২০ ট্রলারসহ দুই শতাধিক জেলে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘মিধিলি’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবি ও আরও ২০টি ট্রলারসহ দুই শতাধিক জেলে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।

ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগর মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটার জনৈক ছালাম মিয়ার এফবি নিশাত নামের ওই মাছ ধরা ট্রলারটি প্রবল ধমকা হাওয়ার ঝাপ্টায় উল্টে যায়। এ সময় পাশে অবস্থানরত অন্যান্য একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসে। এছাড়া, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২০০ জেলের কোনো খোঁজ মিলছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে গেছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনকে জানানো হয়েছে।




গাজ্জার জন্য বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণের প্রথম চালান রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজ্জার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠানো মানবিক সহায়তার চালানটি মিশরের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রামি এল নাজেরের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল ৩২ কার্টন শুকনো খাদ্যসামগ্রী। গত ২২ অক্টোবর মানবিক সহায়তার চালানটি ইজিপ্ট এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিশরীয় সরকারের অনুমতি এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর থেকে চালানটি সংগ্রহ করে দূতাবাসে আনা হয়।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় মানবিক সহায়তা (ওষুধ সামগ্রী) কায়রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। যা দূতাবাসের সব ধরনের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়াসে নিয়োজিত আছে। খুব শিগগিরই সহায়তা সামগ্রী গাজ্জায় পাঠানো হবে।

কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, বিভিন্ন দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানবিক সহায়তার চাপের কারণে কায়রো বিমানবন্দরে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সব দেশ ও সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিসর থেকে রাফাহ সীমান্তের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট। ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে মিশর সরকারের নিয়োজিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইনসাফ




আজ চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দরনগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীসহ উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৫.২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৬.৫০ মিটার। চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারটিতে ৩৬২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬.৮০ মিটারের ১৪টি র্যাম্প নির্মিত হবে, যা আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে।

পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে টাইগারপাস পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হলেও সব র্যাম্পের কাজ বাকি রয়েছে। ১৪টি র্যাম্পের মধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় দুটি র্যাম্প থাকবে। আগ্রাবাদ এলাকার চারটি র‍্যাম্পের মধ্যে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সড়কে একটি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সড়কে একটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে দুটি র‍্যাম্প হবে। তবে টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ ও র্যাম্পের কাজ বাকি রেখেই খুলে দেওয়া হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়ের নাম প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন। টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একে অন্যের পরিপূরক বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।




দুর্গাপুরে ব্রিজ ও রাস্তার কাজের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চায়নামোড়-দাহাপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রাস্তার সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ ও উত্তর ফারুংপাড়া এলাকায় হেরিং বন্ড (ইটের রাস্তা) কাজের উদ্বোধন করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম।

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোমবার দুপুরে এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি কদ্দুস মিয়া,অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য ইদ্রিস মিয়া,সদর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল মিয়া প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন,এ গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষেরা আমার কাছে রাস্তা নির্মাণের দাবি করেছিলো। আগে তারা মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই মূল সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছি। শেষ পর্যন্ত তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। তাছাড়াও পর্যটন এলাকা হিসেবে এই রাস্তাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বহন করবে।