সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন, সরকারকে ফয়জুল করীম

রমজানকে সামনে রেখে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেছেন, সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা মুনাফাখোর ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের কারণে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বি। ভোট ডাকাতির সরকার এদেরকে পুষে রাখার কারণে চালের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়ছে। গত একদিনে চালের দাম প্রতি বস্তায় পাইকারি বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যে কারণে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে; যা স্পষ্টতই সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। বর্তমান চালের দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে; যা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে।

জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, জনবিরোধী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন। তাদের শাস্তির আওতায় আনুন। বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে জনগণকে অন্তত সাধ্যের মধ্যে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। মাহে রমজানে যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয়।




ঢাকায় হাসিনা-মোদির বৈঠক ২৭ মার্চ

আগামী ২৭ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মোদির সফরে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ এখনও আশাবাদী বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে আমাদের প্রত্যেকদিন আলোচনা চলছে। পানি নিয়ে ইস্যু এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটা কমার্স মানে বাণিজ্য। আমাদের সচিব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বড় ইস্যু ইচ্ছে বর্ডার কিলিং, সেটা আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিবদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ক্রিটিকাল সব বিষয় আমরা আলোচনা করেছি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেগুলো আলোচনা হবে সেগুলো মোটামুটি ঠিক হয়েছে। ওইগুলো যাতে বলবৎ থাকে, প্রয়োগে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য হয়ত প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।




শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করবে ভলভো

বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, এই সময়ের মধ্যে হাইব্রিডসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ইঞ্জিনের সব মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইন বিক্রি এবং পণ্য সরল করতেও প্রচুর বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ভলভোর।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাড়তি চাহিদায় ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে চীনেও নজর রয়েছে তাদের। এখনও প্রতিষ্ঠানের বড় বাজারগুলোর একটি চীন।

বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকল্পনায় জোর দিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারও। এতে সাড়া দিচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও।

পুরোপুরি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত কোনো গাড়ি বা ভ্যান ২০৩০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বিক্রি হবে না বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ভলভো প্রধান হাকান স্যামুয়েলসন বলেছেন, “সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের লাভজনক বৃদ্ধি দরকার। তাই, ছোট হয়ে আসা ব্যবসায় বিনিয়োগের বদলে আমরা ভবিষ্যতের দিকে বিনিয়োগকে বেছে নিয়েছি, বৈদ্যুতিক এবং অনলাইনের দিকে।”

হাইড্রোজেন চালিত গাড়িতেও বিনিয়োগ করবে না ভলভো। এই খাতে গ্রাহকের যথেষ্ট চাহিদা থাকবে বলে মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বিক্রির তালিকায় থাকা অর্ধেক মডেলের গাড়ি হবে পুরোপুরি বৈদ্যুতিক এবং বাকি অর্ধেক হবে হাইব্রিড।