রমজানে ৬ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার।

সোমবার (১২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে ছোলা, পিয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পিয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা, চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা এবং সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার টন ছোলা, তিন লাখ টন পিয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা আছে।




দুর্গাপুরে ভারতীয় প্রসাধনী মেহেদী জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এক অভিযানে ৪৪ হাজার ৬৪০ পিস ভারতীয় প্রসাধনী মেহেদী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ ব্যাটলিয়ন) একটি দল। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯১০ টাকা হবে বলে জানা গেছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক মেজর নূরুদ্দীন মাকসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আজ (সোমাবার) ভোর পৌনে ৪টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নে সীমান্তে বারমারী বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) বিজিবির একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে সীমান্তে ১১৬৩ নং পিলারের এক কি.মি. বাংলাদেশে অভ্যন্তরে মিনকি নামক স্থান হতে ৪৪ হাজার ৬৪০ পিস ভারতীয় কাবেরি মেহেদী জব্দ করতে পারে বিজিবি’র ছয় সদস্য।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে মেজর নূরুদ্দীন মাকসুদ আরও জানান, জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল নেত্রকোনা কাষ্টমস্‌ অফিসে জমা দেয়া হবে। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯১০ হবে। তবে এ অভিযানে কোন চোরাকারবারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানান তিনি।



বাংলাদেশে আবারো করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৮৩ জনের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তে বা মৃত্যুতে প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮২২ জনে।

এই সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। আর এখন পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার ( ১১ এপ্রিল) দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮ জন। আর এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮১৯ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।




এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক::

ভোক্তাপর্যায়ে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সরকারি ও বেসরকারিভাবে গ্যাসের নতুন মূল্য অনুযায়ী, সরকারি খাতে প্রতি সাড়ে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের মূল্য ৫৯১ টাকা এবং বেসরকারি খাতে প্রতি ১২ কেজি মূসকসহ গ্যাসের মূল্য ৯৭৫ টাকা।

সোমবার (১২ এপ্রিল) জুম ‍মিটিংয়ে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এতোদিন পর্যন্ত বেসরকারি খাতের এলপিজির দাম নির্ধারণ করত কোম্পানিগুলো নিজেরাই। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণি নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, গণশুনানি শেষে সবকিছু বিচার বিবেচনা ও দাখিল করা তথ্য যাচাই বাছাই করে একাধিক সভার মাধ্যমে দাম চূড়ান্ত করে কমিশন। যা আজ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এই মূল্য বহাল থাকবে। নির্ধারিত এ মূল্যের বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও বিইআরসির আদেশে বলা হয়েছে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান জানান, সারা দেশে দাম অভিন্ন থাকবে। ভোক্তারা বাড়তি দাম দেবেন না। লাইসেন্সধারীরা কমিশনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য। তা নাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন আবদুল জলিল।




শিল্প-কারখানা লকডাউনেও খোলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

এই সময় সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।

তবে শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

লকডাউনের মধ্যে সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রোগী ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এক সপ্তাহের এই ‘কঠোর লকডাউনের’ ঘোষণা এল।

পোশাক শিল্প মালিকরা ‘লকডাউনের’ মধ্যেও কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ আরও কয়েকটি সংগঠন রোববার ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেও এ দাবি তুলে ধরে।

লকডাউনের প্রস্তুতিতে রোববার বিকালে সরকারের কয়েকটি দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে উৎপাদনমুখী কারখানা চালু রাখার বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয় বলে পরে বৈঠকে উপস্থিত একজন বিকেএমইএ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন।




১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপের পর আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

১৪ থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন ও শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এমন বিধি-নিষেধ আরোপ পরে সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালনের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গতবছরের শেষে এবং এবছরের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যেতে থাকলেও মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরপর গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিতত করা হয়।

কিন্তু বিধি-নিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ৭ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দেয়। তবে শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদেরও আন্দোলনের মধ্যে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ৮ এপ্র্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গতবছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে কঠোর লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার মধ্যে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।

সবশেষ ১০ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণে মারা যায় ৭৭ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন এবং মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৬৬১ জনের।




ভারতে মুসলিম দিনমজুরের লাইব্রেরিতে দুষ্কৃতকারীর আগুন, ৪ হাজার কুরআন পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুরু শহরে মুসলিম এক দ্নিমজুরের চালানো লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবারের এই অগ্নিকাণ্ডে এই লাইব্রেরিতে থাকা চার হাজার কপি কুরআন, বাইবেল ও গীতাসহ মোট ১১ হাজারের বেশি বই পুড়ে গেছে বলে খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

৬২ বছর বয়সী মুসলিম দিনমজুর সৈয়দ ইসহাক দারিদ্র্যের কারণে শৈশবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহ থেকে নিজের প্রচেষ্টায় এই লাইব্রেরি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয় রাজিব নগর ও শান্তিনগর এলাকার মানুষ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়তে বা ধার করতে পারতো।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সৈয়দ ইসহাক বলেন, ‘ভোর ৪টায় লাইব্রেরির কাছাকাছি থাকা এক লোক আমাকে ভেতরে আগুন লাগার কথা জানায়। অল্প কিছু দূরে থাকা লাইব্রেরিতে যখন আমি ছুটে যাই, আমি তখন শুধু সব পুড়ে ছাই হতে দেখি।’

লাইব্রেরির ৮৫ ভাগ বই কানাড়া ভাষার হলেও ইংরেজি ও উর্দু ভাষায়ও কিছু বই সেখানে ছিলো। তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি ভগবদ গীতার বিচিত্র সংগ্রহ ছিল। এছাড়া এক হাজারের বেশি কুরআন ও বাইবেলের কপি ছিল লাইব্রেরিতে। সাথে সাথে আরো হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইয়ের সংগ্রহ ছিল যা আমি বিভিন্ন দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

যদিও সৈয়দ ইসহাক নিজের অর্থে লাইব্রেরির বই সংগ্রহ করেননি, তবে লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং কানাড়া, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার ১৭টির বেশি দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করতে তিনি তার মজুরির অর্থ থেকেই খরচ করেন।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ইসহাক উদয়গিরি পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অধীনে এজাহার নেয় এবং দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমে যাননি সৈয়দ ইসহাক। তিনি আবার লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম কিটোতে লাইব্রেরিটি গড়ার জন্য তার নামে একটি তহবিল সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে।




১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে ১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা ছিল।

সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন সময় কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও বইমেলা বন্ধ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একুশে বইমেলা চলছে।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ এপ্রিল চলমান বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র ও অন্যান্য মেলা অবিলম্বে বন্ধের সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।




ভোলার মেঘনায় ফেরিতে আগুন, পুড়ল ট্রাকসহ ৯টি যানবাহন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের ভোলার মেঘনা নদীতে ‘এমভি কলমীলতা’ নামে একটি ফেরিতে আগুন লেগে ৯টি যানবাহন পুড়ে গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও দুটি গাড়ি ছাড়া বাকি সবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভোলা নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন কুমার পাল জানান, লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মাঝরাতে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি ‘কলমীলতা’ ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট পার হয়ে মেঘনার মাঝ নদীতে আসার পর হঠাৎ আগুন লেগে যায়। প্রথমে কর্মচারীসহ যাত্রীরা ফেরির পেছনের দিকে নিরাপদে অবস্থান নেন। পরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে তারা নিরাপদে ভোলার ইলিশা ঘাটে চলে আসে।

বিআইডব্লিউটিসি ভোলার ম্যানেজার মো. পারভেজ জানিয়েছেন, দুই ঘণ্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে পিকআপ ভ্যান,  ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ ৯টি গাড়ি পুড়ে গেছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি। কারণ শনাক্তে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। বর্তমানে ফেরিটি লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর একটি চর এলাকায় নোঙ্গর করে আছে।

ফেরিতে থাকা ভোলাগামী যাত্রী ইব্রাহিম জানান, ‘আমি তখন ফেরির ক্যান্টিনে ছিলাম। ৪টার দিকে হঠাৎ করেই চলন্ত ফেরিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। পরে যাত্রীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। পরে জেনেছি, ভোলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।




দুর্গাপুরে গরম হাওয়ায় পুড়ে গেলো দেড়’শ হেক্টর জমির ফসল, কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ফসলের মাঠে দুলছে বোরো ধানের সোনালী শীষ, কৃষকের চোখে ছিল হাজারও স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আচমকা হানা দিয়েছে কালবৈশাখীর গরম ঝড়ো হাওয়া। মুহুর্তেই ধংস করে দিয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। এই গরম বাতাস ও বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় বোরো ধানে ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া, কাকৈরগড়া, দুর্গাপুর, চন্ডিগড় ও বিরিশিরি, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও গরম ঝড়ো হাওয়ায় মাঠের ধানের শীষগুলো সাদা হয়ে মাটিতে মিষে গেছে ।

এতে বিআর ২৮ জাত ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হতাশায় পড়েছে কৃষকেরা। কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী গ্রামের আদিবাসী কৃষক সোপেন্দ্র বলেন, জীবনেও আমি এমন গরম বাতাস দেখিনাই।

সকালে উঠে দেখি খেতের ধান সব মরে গেছে। আমরা কী খেয়ে বাঁচব, আমাদের তো কৃষি ছাড়া আর কোন পন্থা নেই। ঋণ করে গৃহস্থি করেছি। এখন কি করে ঋণ দেব? কীভাবে সারা বছর স্ত্রী, সন্তানের ভরণপোষণ জোগাবো?

খেতের পর খেত সব নষ্ট হয়ে গেছে। পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক, ইউপি সদস্য, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগনসহ স্থানীয় কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ৫ এপ্রিল আকস্মিকভাবে গরম বাতাস একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চলতি বছর অত্র উপজেলায় ১৭ হাজার ৬শত হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে।

এখন পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষন করে দেখেছি প্রায় ১ হাজার ৫শত হেক্টরের মতো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠে জরিপের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আপাতত কৃষকদের জমিতে সার্বক্ষনিক পানি রাখার পরামর্শ সহ তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি্

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিনিধিকে বলেন, এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইতোমধ্যে কৃষি অফিসার সহ অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে মাঠের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সাথে কথা বলেছি।

প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্নয় করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উর্দ্ধতন মহলে কৃষি প্রনোদনার ক্ষতিপূরণ দিতে আবেদন করা হবে।