মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে টিনসেড পাকা ঘর। ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন আরো ৩৫ পরিবার। শনিবার দুপুরে ওইসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত শেষে এ কথা জানান ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার কে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কাকৈরগড়া, চন্ডিগড় ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো আরো ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ঘর গুলো। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই সে ধরনের পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সাথেই থাকছে টয়লেট। ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারিক করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও ওই কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং সরকারি নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসার গন।

সরকারি ঘরপ্রাপ্ত গৃহহীন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার কোন ঘর বাড়ী নাই, বউ এক বাড়িত কাম করতো, আর আমি দোহান ঘর নাইলে ইস্কুল ঘরের বারিন্দাদ ঘুমাইতাম, টেউনু সাইবের কাছে গেছলাম, হেইলা আমার নাম লেকছইন, শেখ হাসিনা আমারে একটা পাক্কি করা ঘর দিছইন, আমি জীবনেও ভাবজিনা এমত একটা ঘর হাইবাম, এহন আর বারিন্দাত থাহন লাগত না, আমি শেখ হাসিনার লাগিন দুই আত তুইল্লা দোয়া হরবাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ের কাজ শেষে ২৫টি পরিবার তাদের ঘরে বসবাস করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ের ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঘর নির্মান কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। ঘর নির্মান কাজে কোন প্রকার ক্রুটি বা মালামাল সরবরাহে কোন গলদ থাকলে তা গ্রহন করা হচ্ছে না। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তালিকাভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।




দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ২শ ৫০জন পরিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জিআর নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ২শ ৫০জন অসহায়, গরীব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়।

দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিতরণ কার্যক্রমে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, ট্যাগ অফিসার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সাজু ও সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ।

 




দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




দুর্গাপুরে চোরাইকৃত সরকারি পাথর আটক: মামলা-জরিমানা আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন বালুমহাল থেকে ¯‘প করা পাথর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যা”েছ একটি চক্র। এমনই এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে বিরিশিরি ২নং বালু মহাল থেকে ৫টি ট্রাকসহ পাথর আটক করা হয়।

জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীতে পাঁচটি বালুমহাল রয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের জন্য পাঁচটি ঘাটের শুধু বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হলেও বালুর সঙ্গে উত্তোলিত পাথর কোনো ইজারা না দেওয়ায় সেগুলো সরকারি হাওলাতেই থেকে যায়। উত্তোলিত পাথরগুলো বছরের কোনো একসময় উপজেলা প্রশাসন সরকারিভাবে নিলামে বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে জমাকৃত পাথরগুলো রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যা”েছ পাথরখেকো চক্র। এমনই সংবাদ যুগান্তর সহ নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন উপজেলা প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার গভির রাতে পাথর খেকো চক্র ৫টি ট্রাক যোগে সরকারি পাথর নি”েছ এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট রুয়েল সাংমার নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় পাথর গুলো জব্দ করে পরিবহন আইনে মামলা দিয়ে ৫টি গাড়ী থেকে কুড়ি হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ যুগান্তর কে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরিশিরি ব্রীজ এলাকা থেকে চোরাইকৃত পাচ গাড়ী সরকারি পাথর আটক করা হয়েছে। পরিবহন আইনে চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




মমতার মন্ত্রিসভায় কে হবেন অর্থমন্ত্রী, আলোচনায় মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

বিধানসভা ভোটে নজরকাড়া সাফল্যের পর তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন বেশ কয়েক জন পুরোনো মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে চলছে জল্পনা। গতবার অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। এবছর তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে নির্বাচণে অংশ নেননি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। দুই, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। তিন, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। চার, সাবেক গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে করনা হতে পারে অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর আলোচনায়ও এগিয়ে আছেন তিনি। কারণ টানা তিনবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত মমতার খুব কাছের পরীক্ষিত নেতা মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ধারণা করা হচ্ছে এবার অর্থমন্ত্রী করা হতে পারে তাকেই। এর আগে তিনি গণশিক্ষা মন্ত্রী ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের মঙ্গলকোট বিধানসভা আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন। ভারতে দেওবন্দী আলেমদের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতিও তিনি।

বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারী এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তারপরও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দপ্তরও সামলেছেন।




গণপরিবহন চালুসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী  আজ (রোববার) সকালে সায়েদাবাদ ও গাবতলি বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় শ্রমিকদের হাতে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারা দেশে ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সারা দেশে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে আজ। এছাড়া, ৪ঠা মে তাদের তিন দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।

শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

সাভারে বাস চালু

এদিকে, নির্দেশনা অমান্য করেই সাভারের সড়কে বাস চালাতে শুরু করেছে শ্রমিকেরা। যাত্রীরাও দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে এক স্থান থেকে অন্য অন্য স্থানে যাতায়াত করছে।

আজ (রোববার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে,   সাভারের ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে চলাচল করছে স্থানীয় বাস। মাঝে মধ্যে দূরপাল্লার দুই-একটি বাস ও চলতে দেখা গেছে।

গাবতলীতে বিক্ষোভ

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চলবে’- এই শ্লোগানে বিক্ষোভ কর্মসূচি

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমাদের রুটি-রুজির কথা চিন্তা করে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ তারিখ সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের নির্দেশে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।

তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন বাস চলাচল না করায় পরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর দিনযাপন করছেন। অনেকে না খেয়ে দিনযাপন করছেন। অনেক পরিবহন মালিকরা ব্যাংকের ঋণের টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারছেন না। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার অবস্থায় পড়ে আছে। রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক কর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করছে কিন্তু আমাদের খবর কেউ রাখছেন না। কারণ গাড়ি চলে তবেই আমরা খেতে পারি। অতি দ্রুত পরিবহন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

রাজশাহীতে বিক্ষোভ

অবিলম্বে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। রোববার সকালে সিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কার্যালয় থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বের হয়ে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শ্রমিকরা বলেন, সারা দেশে নামমাত্র লকডাউন চলছে। বাজার-মার্কেট, দোকানপাট সব খোলা। শুধুমাত্র পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

তারা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সবকিছু স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তাহলে পরিবহন বন্ধ থাকবে কেন? সামনে ঈদ আমাদের দীর্ঘদিন কাজ নেই। কীভাবে ঈদ করব পরিবার নিয়ে? তাই অবিলম্বে বাস, ট্রাক চলাচল করার সুযোগ করে দিন।

এসময় ৫ মে’র মধ্যে গণপরিবহন চালু না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

নেত্রকোনায় মিছিল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল,পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদানসহ খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা চালুর দাবিতে নেত্রকোণায় জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল ১১টায় শহরের বারহাট্টা রোডে মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে  সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরুর নির্দেশ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আদব আলী, শ্রমিক নেতা সিবলী সাদিক, বজলুর রহমান ও আব্দুল জলিলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।#




দুর্গাপুর সরকারি কলেজে উপবৃত্তি প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ডিএবনি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির নির্ধারিত আবেদন ফরম কলেজের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তির ফরম নিয়ে কলেজ আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা ঘোরাফিরা করছে। কলেজ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ২ঘটিকা পর্যন্ত ফরম জমা দেয়া যাবে। অথচ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সকল আবেদন পোস্টিং করতে হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, এ পর্যন্ত ঐ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় ৮শত, বিজ্ঞান শাখায় ১৫০ ও বানিজ্য শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রায় ৯শত ৭১ জন ফরম জমা দিলেও এখন পর্যন্ত অনলাইনে একজনের ফরমও পোস্টিং দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরনের জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছে অফিসের লোকজন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ টাকা কোথায় যাব। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উপবৃত্তির ফরম গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে পোস্টিং দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া ছিলো। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ফরম এখনো পোস্টিং দিতে পারেননি। ফরম পোস্টিং নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপবৃত্তির বিষয়ে ফরম পূরণ করতে কারও নিকট থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পোস্টিং দেয়া যায়নি তবে তিনি আশাবাদী, অচিরেই এ সমস্যার সমাধন করতে পারবেন।




দুর্গাপুরে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঐ ইউনিয়নের পূর্ব বিলাশপুর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন নির্মিত রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫৭ মি. প্রস্থ ২ দশমিক ২৮০ মি.। এই কাজে এলজিএসপি-৩(লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঐ রাস্তাটি সম্পন্ন করার প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার মো.শফিকুল ইসলাম। বরাদ্দ অনুসারে কাজে উন্নতমানের সামগ্রি ব্যবহার করার কথা থাকলেও চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। বক্স কাটা মাটি আর নিম্ন মানের বালু মিশ্রিত করে ঐ রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। বক্স কাটার পরে বালু ফিলিং না করেই কোথাও ৬ ইঞ্চি, কোথাও ৭ইঞ্চি ফাঁকা করে ব্রিক ফ্লাট সলিং করা হয়েছে। মাটি আর বালু মিশিয়ে রাস্তার কাজ পুরোটাই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাকৈরগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর নুর মোহাম্মদ এইচবিবি’র রাস্তার কাজটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতি শফিক মেম্বার নানা অনিয়মের মধ্য তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনিয়ম খবর আপনার মাধ্যমেই জানলাম। আমরা এসব কাজ করার পর অর্থ বরাদ্দ পাই। তবে আমি ঐ প্রকল্পের কাজটি পরিদর্শন করেছি। অনেকটা কাজ পুনরায় করেছি। আর ভুল ক্রুটি তো থাকতেই পারে। এ বিষয়টি পত্রিকায় না লিখলেও তো পারো। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে গ্রামীণ হেরিং বন্ড রাস্তার কাজে অনিয়মে হতাশ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি মেম্বার আলকাছ উদ্দিন অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান মেম্বার শফিক নি¤œমানের সামগ্রি, চার লড়ি বালু, ৬/৭ ইঞ্চি দূরত্ব পরপর ইট বসিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় নব্বই ফুট রাস্তা ৭ফুট প্রস্থ করে নির্মাণ করে ফেলার পর সংশ্লিদের কাজের ইস্টিমেট চাইলে পরে ঐ নির্মিত রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে আরও ১ ফুট রাস্তা বৃদ্ধি করে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি ও স্থানীয় জনতাদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে পুণরায় কাজ নির্মাণের দাবীও জানান তারা। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ঐ এইচবিবি রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ রাস্তার বরাদ্দ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। ব্রিক ফ্লাট সলিং বসানোর কাজটি পাতলা করে হয়তো মিস্ত্রি বসিয়েছে। এ বিষয়টি আমি দেখছি তবে এ ছাড়া আর কোন অনিয়ম আছে বলে আমি মনে করিনা। উপজেলা সাব-এ্যাসিসটেন্ড প্রকৌশলী মো.সারওয়ার প্রতিবেদককে বলেন, আমি শুধু মাত্র ইস্টিমেইট করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আমি সরেজমিনে যাবো।
এলজিএসপি’র জেলা ফ্যাসিলেটর মো. মাসুদ কবির এ প্রতিবেদককে জানান, দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দের কাজটি কোটেশন আকারে ঠিকাদারের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। দশ লাখ থেকে শুরুকরে কাজ গুলি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করানো হয়, পদাধীকার বলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এ কাজটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কাজে কোন ধরণের অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রাপ্য অনুযায়ী বিল দেওয়া হবে। কতটুকু কাজ করা হয়েছে, তার মান নিয়ে উপজেলা সাব-প্রকৌশলী প্রত্যয়ন দিলেও রাস্তার কাজ দেখে বিল দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান কিছু জায়গায় সমস্যা ছিল তা পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম কিংবা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে এবং এর প্রমান মিললে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




দুর্গাপুরে ধসে পড়া ব্রিজটি নজরে পড়ছে না কর্তৃপক্ষের

ডিএনবি নিউজ:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ গ্রামে প্রায় ১০ বছর আগে বন্যার প্রবল স্রোতে ধসে যাওয়া ব্রিজটির নির্মাণ ও গ্রামীণ সংযোগ সড়কটির মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ধসে পড়া ব্রিজটির কারণে ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তি চরমে আকার নিলেও যেন দেখার কেউ নেই। দীর্ঘ দিনের ধসে পড়া ব্রিজটি পুননির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। সোমবার সকালে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

গত বছরের বন্যায় বিরিশিরি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতুটি পুননির্মাণ হয়নি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট বছর না যেতেই ভেঙে পড়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, এক জায়গায় বছরের পর বছর প্রকল্প দিয়ে অর্থের অপচয় করছে একটি মহল। অথচ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারহীন হারিয়াউন্দ গ্রামের ভেতর দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘরবন্দি দিন কাটে অনেক পরিবারের। প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবে পড়া থাকা ব্রিজটি কবে ঠিক করা হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা করছে ভুক্তভোগীরা। বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই জায়গাটি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওখানে বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে এরকম ব্রিজ টেকসই করবে না। এখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ওই ব্রিজটি পড়ে রয়েছে। এটি আমি দেখেছি। সরেজমিন পরিদর্শণ করে উপজেলা প্রকৌশলী মাধ্যমে একটি গার্ডার ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’