বাড়ি ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, ঢুকছে ত্রাণের চালান

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর ফিলিস্তিনে পৌঁছছে প্রথম ত্রাণের চালান। ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার, পানি ও জ্বালানির সংকটে রয়েছে।

চলতি মাসে শেখ জারাহ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ইসরায়েলের ওপর দমন-পীড়ন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। অনেকের নামেই মামলা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।




অচিরেই হচ্ছে দুগার্পুরে বাইপাস সড়ক নির্মাণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের প্রধান সমস্যা ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ ও বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর সোমেশ্বরী নদীর এক ও দুই নং ঘাট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী স্থান ও পৌরশহরের ভিতর দিয়ে ভেজা বালু পরিবহনের ব্যবস্থা নেয়ার ফলে শহরের প্রায় সকল রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি ছিলো বাইপাস রাস্তা নির্মান। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাধারণ জনগণের খভাগান্তি ও রাস্তার বেহাল অবস্থার চিত্র তোলে ধরে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ দাবীর প্রেক্ষিতে বালু পরিবহনে স্থায়ী ব্যবস্থায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন, পাউবো নেত্রকোনা‘র নিবার্হী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, স্থানীয় সরকার প্রেকৌশল অধিদপ্তরের নিবার্হী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার কুন্ডু, উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা, পৌর প্রকৌশলী নওশাদ আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৭১

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা হামলায় রোববার (১৬ মে) ভোরে আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ জন শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, রোববারের বোমা বর্ষণে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে দুইটি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিকে গাজার হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বোমা হামলার পর ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। আল-আকসা টেলিভিশন জানায়, ওই হামলার জবাবে সকালেই তেল আবিব ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোয় রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৪৯ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। বাকিরা গাজার বাসিন্দা।

এছাড়া এসব হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলায় ২ শিশুসহ ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।




দুর্গাপুরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জেলার দুর্গাপুরে জোড়পূর্বক জমির ধান কাটার অভিযোগের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বুধবার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ও তার সন্তান আশরাফ হোসেন শাহীন যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এরই প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মো. সাখাওয়াত হোসেন হারুন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমারা মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার এর জমিতে জোরপুর্বক ধান কেটে নিয়েছি মর্মে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কোনটাই সত্য নয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ১৩.০১.১৯৯৫ইং সনে এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৭.০৮ একর জমির মুল্যবাবদ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা মোঃ জলিল তালুকদার নিয়েছে বলে প্রমানিত হয়। এর পর থেকেই বৈধভাবে ওই জমিতে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। মোঃ জলিল তালুকদার অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলেরা ও তার স্ত্রী আমাদের কাছে জমি বিক্রির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওই জমি দাবী করেন। শাহীন গংরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আমাদের ভুমি দস্যু আখ্যায়িত করায় সমাজে আমাদের মান-সম্মানের হানি ঘটেছে। আমি অত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও হেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. সুরুজ আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহান, ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া, ইউপি সদস্য মো. রফিক, এলাবাসীর পক্ষে মো. রাসেল মিয়া, ফয়জুর রহমান বাবুল, উজ্জল মিয়া, শাহবাজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।




ধানের ভিতরে চাউল নেই, কৃষকের সর্বনাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুরে বাঙালি, গারো আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রায় আড়াই লাখ জনগোষ্ঠীর এই উপজেলায় খাদ্য চাহিদা বেশিরভাগই উৎপাদিত হয় স্থানীয় ভাবেই। এ ছাড়া উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এখানকার কৃষকরা।
বছরে রুপা আমন ও বোরো মৌসুমের ধানের চাষাবাদ করেই সারাবছর চলেন কৃষকেরা। তবে এ বছর আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ গরম হাওয়া ও ব্লাস্ট ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষকের জমির ধান। কোথাও কোথাও অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয়েছে। উপজেলা চন্ডিগড়, বিরিশিরি, কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া, গাঁওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, সদর ইউনিয়ন সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে একই অবস্থা।
ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলোতে অর্ধেকেরও বেশি ধান নষ্ট হয় ধান পেকে থাকলেও শ্রমিকের টাকায় চিন্তাই অনেক কৃষকই পারছেন না ধান। অনেক কৃষকই আবার নিজের জমির ধান নিজে কোনরকমে কাটছে। তবে বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। এবছর দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মাঝে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও বাকি ১০ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাই ৯৮০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর মাঝে ৪২০ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা বেশি। তাছাড়া ধানের হিসেবে ২ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন ধান আবাদ হবে। কৃষকরা বলছে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো প্রায় ২ হাজার হেক্টর চেয়েও বেশি। ধানের বিভিন্ন জাতের মাঝে এবারে দুর্যোগের ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৬ এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জাতের জমিগুলোতে গরম হওয়ার প্রভাব ও ব্লাস্টের প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ৫ কাঠা জমি থেকে আগে যেখানে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান অবাক হতো এখন থেকে কৃষকরা পাচ্ছেন ১০ থেকে ৮ মণ ধান। সরকারিভাবে পুরো উপজেলায় ধান কাটার জন্য দুটি হারভেস্টার মেশিন দেয়া হলো তাও পর্যাপ্ত নয় বলে বলছেন কৃষকরা। সমতলের কৃষি ভূমির ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিন বেশ কার্যকরী তাই সরকারিভাবে হাইকমিশনের সংখ্যায় উপজেলায় আরো বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
এদিকে গত বছর করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অসহায় ও দরিদ্র কৃষকদের ধানক্ষেতে বাড়ি পৌঁছে দাও এ বছর চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। হাতে গোনা দুই একটি সংগঠন ছাড়া কাউকেই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে না।
চন্ডিগড় গ্রামের কৃষক মেরাজ জানান, ৫ কাঠা জমিতে বি ২৮ জাতের ধানের আবাদ করছি। যে জমিতে আগে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাইতাম এখন ঐ জমি থেকে মাত্র ৭/৮ মণ ধান পাইছি। এখন আমরা বাজারে বিক্রি করবো কি আর নিজেদের খাবার জন্য রাখবো কি। তাছাড়া বাজারে যদি ধানের ন্যায্যদাম পাই তাহলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা পূরণ হবে।
কুল্লাগড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোতালেব জানান, আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০ কাঠা জমির ধান করছি। কিন্তু গরম হাওয়া আর ব্লাস্ট এর কারণে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে ধান থাকলেও কাটল কোন লাভ নাই কারণ ধানের মাঝে কোন চাল নাই সব নষ্ট হয়ে গেছে। কিভাবে এই ঋণ পরিশোধ করুম এই চিন্তায় ঘুম আসেনা।
এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করেছি। এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সরকারি সহায়তা পেলেই কৃষকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।




মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে টিনসেড পাকা ঘর। ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর উপহার পাচ্ছেন আরো ৩৫ পরিবার। শনিবার দুপুরে ওইসব ঘরের নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত শেষে এ কথা জানান ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার কে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কাকৈরগড়া, চন্ডিগড় ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নে উপহার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো আরো ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ঘর গুলো। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই সে ধরনের পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সাথেই থাকছে টয়লেট। ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে গৃহহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘরের নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারিক করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও ওই কাজে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং সরকারি নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসার গন।

সরকারি ঘরপ্রাপ্ত গৃহহীন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার কোন ঘর বাড়ী নাই, বউ এক বাড়িত কাম করতো, আর আমি দোহান ঘর নাইলে ইস্কুল ঘরের বারিন্দাদ ঘুমাইতাম, টেউনু সাইবের কাছে গেছলাম, হেইলা আমার নাম লেকছইন, শেখ হাসিনা আমারে একটা পাক্কি করা ঘর দিছইন, আমি জীবনেও ভাবজিনা এমত একটা ঘর হাইবাম, এহন আর বারিন্দাত থাহন লাগত না, আমি শেখ হাসিনার লাগিন দুই আত তুইল্লা দোয়া হরবাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ের কাজ শেষে ২৫টি পরিবার তাদের ঘরে বসবাস করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ের ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঘর নির্মান কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করা হচ্ছে। ঘর নির্মান কাজে কোন প্রকার ক্রুটি বা মালামাল সরবরাহে কোন গলদ থাকলে তা গ্রহন করা হচ্ছে না। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তালিকাভুক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর গুলো হস্তান্তর করা হবে।




দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ২শ ৫০জন পরিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জিআর নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ২শ ৫০জন অসহায়, গরীব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়।

দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিতরণ কার্যক্রমে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, ট্যাগ অফিসার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সাজু ও সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ।

 




দুর্গাপুরে নিজ অর্থায়নে ৭ হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজ অর্থায়নে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭ হাজার অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মুজিবনগর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ সামগ্রী বিতরন শুরু করেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন।

স্থানীয় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট পৌর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী নওশাদ আলম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহিম খলিল টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য: পৌর মেয়র আলা উদ্দিন প্রতিবছরই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য পৌরবাসীর মাঝে নিজ অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।




দুর্গাপুরে চোরাইকৃত সরকারি পাথর আটক: মামলা-জরিমানা আদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন বালুমহাল থেকে ¯‘প করা পাথর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যা”েছ একটি চক্র। এমনই এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে বিরিশিরি ২নং বালু মহাল থেকে ৫টি ট্রাকসহ পাথর আটক করা হয়।

জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীতে পাঁচটি বালুমহাল রয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের জন্য পাঁচটি ঘাটের শুধু বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হলেও বালুর সঙ্গে উত্তোলিত পাথর কোনো ইজারা না দেওয়ায় সেগুলো সরকারি হাওলাতেই থেকে যায়। উত্তোলিত পাথরগুলো বছরের কোনো একসময় উপজেলা প্রশাসন সরকারিভাবে নিলামে বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে জমাকৃত পাথরগুলো রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যা”েছ পাথরখেকো চক্র। এমনই সংবাদ যুগান্তর সহ নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন উপজেলা প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার গভির রাতে পাথর খেকো চক্র ৫টি ট্রাক যোগে সরকারি পাথর নি”েছ এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট রুয়েল সাংমার নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় পাথর গুলো জব্দ করে পরিবহন আইনে মামলা দিয়ে ৫টি গাড়ী থেকে কুড়ি হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ যুগান্তর কে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরিশিরি ব্রীজ এলাকা থেকে চোরাইকৃত পাচ গাড়ী সরকারি পাথর আটক করা হয়েছে। পরিবহন আইনে চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




মমতার মন্ত্রিসভায় কে হবেন অর্থমন্ত্রী, আলোচনায় মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

বিধানসভা ভোটে নজরকাড়া সাফল্যের পর তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রেও বড়সড় চমক দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তারুণ্য ও যোগ্যতাকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ভোটে জিতলেও বাদ যেতে পারেন বেশ কয়েক জন পুরোনো মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে চলছে জল্পনা। গতবার অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। এবছর তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে নির্বাচণে অংশ নেননি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন অর্থমন্ত্রীর ব্যাপারে চারটি সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এক, মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই অর্থ দপ্তর রেখে দিতে পারেন। দুই, অর্থনীতি বোঝেন, এমন লোককে জিতিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। তিন, অনেকে আবার ভাবী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। চার, সাবেক গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে করনা হতে পারে অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর আলোচনায়ও এগিয়ে আছেন তিনি। কারণ টানা তিনবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত মমতার খুব কাছের পরীক্ষিত নেতা মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ধারণা করা হচ্ছে এবার অর্থমন্ত্রী করা হতে পারে তাকেই। এর আগে তিনি গণশিক্ষা মন্ত্রী ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের মঙ্গলকোট বিধানসভা আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন। ভারতে দেওবন্দী আলেমদের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতিও তিনি।

বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গত ১০ বছর ধরে নীরবে রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আমলেই রাজস্ব আদায় সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। জিএসটি কার্যকর করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। গত এক দশকে রাজ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী-সহ একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। চালু হয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংশোধিত বেতনক্রম। করোনা অতিমারী এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তারপরও রাজ্যের অর্থনীতি যে এখনও বেশ সাবলীল, সেই ব্যাপারে অনেকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য অমিত মিত্রর। অর্থের পাশাপাশি তিনি শিল্প দপ্তরও সামলেছেন।