জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডেই মিলবে টিসিবির পণ্য

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।

তিনি বলেন, তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।




দুর্গাপুরে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘বিনামুল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহন করি-কর্মসংস্থান মুলক জীবন গড়ি’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহায়তায়, দুঃস্থ মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইন্টিগ্রেটেড এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (আইইডিএস) এর উদ্যোগে বিনামুল্যে এক সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থার কার্যালয়ে দুঃস্থ্য মহিলা প্রশিক্ষনার্থীদের অংশগ্রহনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন পুর্ব আলোচনা সভায়, আইইডিএস এর নির্বাহী পরিচালক শামীম কবীরের সঞ্চলনায়,একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ মাসুল তালুকদার। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ হাসান, আইইডিএস এর চেয়ারম্যান মতিলাল হাজং সহ সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

আলোচনা শেষে স্থানীয় ২১ দুঃস্থ মহিলা সদস্যদের মাঝে বিনামূল্যে এ সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়। হরিজন সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী বেবি বাসপর বলেন, আমরা নিতান্তই গরীব মানুষ। আইইডিএস সংস্থ্যা আমাদের মতো ক্ষুদ্র মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষে বিনামুল্যে যে প্রশিক্ষণনের ব্যবস্থা করেছে, আমরা এতে খুবই খুশি। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে আমরা নতুন করে বাঁচতে শিখবো।




দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’ পণ্য কিনে হাসিমুখে ফিরছে ক্রেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চালু হয়েছে কৃষকের বাজার। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের কাঁচা বাজারে এই কৃষক বাজারের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

উদ্বোধনকালে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। যার কারণে নি¤œ আয়ের মানুষের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় বাজারে যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা কৃষকের বাজার চালু করেছি। এখন আমরা কৃষকদের আহবান জানাবো যেন তারা এখান থেকেই বিক্রি করেন এবং ক্রেতারা কেনেন। পাশাপাশি যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মনিটরিং করবে। আমরা পর্যায়ক্রমে এটি আরো ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা করেছি।

স্থানীয় কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য আমরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি এতেই আমরা খুশি। যারা কিনতে আসছেন তাঁরাও অনেক খুশি।

পণ্য কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুর যে দাম, তা কেনার ক্ষমতা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেকেরই সামর্থ্য নেই। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কৃষক বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে কিনতে পেরে খুবই খুশি।

উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুরুজ আলী, আব্দুল খালেক ও আবুল হাশেম বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে আমাদের বাজারে এসে আর বেশি কিছু ক্ষমতা নেই। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। আজকে উপজেলা প্রশাসন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র, শেখ সাব্বির, রেদোয়ান প্রমুখ।




দুর্গাপুরে প্রায় শতকোটি টাকার আমন ধানের ক্ষয়-ক্ষতি দুশ্চিন্তায় কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েকদিন ধরে ঢল ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রæত কমতে শুরু করেছে। নি¤œাঞ্চলের পানি ধীরে ধীরে নামার সাথে সাথেই ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এবার ঢলের পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট সহ ভেসেগেছে পুকুরের মাছ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের ক্ষেত।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ঢলের পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি। তার মধ্যে পানি কমে ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান রক্ষা পেলেও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান। সরকারি হিসাবে যার মূল্য প্রায় ৯৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এ বছর ১৬ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলে ঢলের পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি।

জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক মাওঃ আজিজুল হক বলেন, ধান ক্ষেত সব পঁচে গেছে, যা আছে এখনো তা পানির নিচে থাকায় ঘরে ধান তোলার আর সম্ভাবনা নাই। এই ঢল আমাদের নি:স্ব করে দিয়ে গেছে।

একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, জমি কইরাই পোলাপান গুলারে লইয়া বাঁইচা আছি। এহন পানিতে তো সব শেষ,আগামী দিনে কি হইবো আমাদের আল্লাহই জানেন।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইদ্রিছ আলী মোল্লা বলেন, ঢলের পর বাড়িঘর ও আমন ক্ষেত থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতেছে, কিন্ত আশ-পাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা গত ৫বছরেও পুশিয়ে নেয়া যাবে না। ক্ষেতে যা ধান আছে সবই নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সা¤প্রতিক পাহাড়ি ঢলে অত্র উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগীতার আওতায় আনা হবে।




ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারাপারে ইচ্ছেমতো টাকা আদায়, ক্ষুব্ধ সাধারন যাত্রীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শেষ সীমানাস্থল ঘেঁষে কংস নদ। আর এই নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারি দিয়ে প্রতিদিনই জেলাশহরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয় এ উপজেলার বাসিন্দাদের। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও সমালোচনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, একবার নৌকায় উঠলেই আগের চেয়ে দুইগুণ বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। পারাপারে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট টানানো নেই ফেরিঘাটে। বাড়তি টাকার বিষয়টি প্রতিবাদ করলে মাঝির বাগবিতন্ডার রোষানলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অপরদিকে ঘাটের ইজারাদার বলেছেন, বেশি টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই নেওয়া হচ্ছে বেশি টাকা।
সূত্র জানায়, কংস নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাট পারাপারের ইজারা পরিচালনা করছেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদ। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিকে নতুন করে ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কার্যকর করা হয় পহেলা বৈশাখ থেকে। পূর্বের সময়ে নৌকায় পারাপারে সঠিকভাবে ভাড়া আদায় করলেও এ বছর পারাপারে ইজারাদার বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

জানা গেছে, প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ, কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলেজসহ বিভিন্ন কাজে এই ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে সার্বক্ষণিক যাওয়া-আসা করতে হয় দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে নৌকায় পারাপারে জনপ্রতি আগের থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে এখন ১০ টাকা,চালকসহ মোটরসাইকেল আগের থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেলসহ দুইজনের এখন ৩০ টাকা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থেকে নেয়া হয় ইচ্ছে মতো ভাড়া।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মোবারক হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আগে নৌকা ভাড়া দিতে হতো ৫ টাকা, বর্তমানে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। আগের ৫ টাকা ভাড়া সঠিক ছিল।
শামছুল আলম খান নামের  আরেক যাত্রী বলেন, আমরা দুর্গাপুরের মানুষ জেলা শহরে যোগাযোগ করতে হলে একমাত্র ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে যেতে হয়। আমরা বাড়তি টাকা দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু সবার পক্ষে তো সম্ভব না। এটা জুলুম।
শিক্ষক জুয়েল মিয়া বলেন, ইঞ্চিনচালিত নৌকায় এটুকু নদী পার হতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগে না কিন্তু জনপ্রতি ১০ টাকা আর মোটরসাইকেল ১০ টাকা মোট ২০ টাকা নিচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও দেখিনি।

মাসুদ মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, মোটরসাইকেলসহ ৩০ টাকায় এই নদী পার হয়েছি। আগে ১০ টাকায় পার হতাম। কিন্তু এখন আগের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। দুইজন লোক নিয়ে গেলে যে টাকা ভাড়া পায় তার মধ্যে থেকে ৬০ টাকা নৌকা পারাপারের দিতে হয়। খুবই খারাপ লাগে কিন্তু বলার মতো জায়গা দেখিনা।
এদিকে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাতে বললে নৌকার মাঝি জানায় বাড়িতে আছে চার্ট। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে নাম বলতে অস্বীকৃতিও জানায় নৌকার চালক।

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ লাখ টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। নৌকা পারাপারের যে ভাড়া নিচ্ছেন  এটি জেলা পরিষদের নির্ধারন করা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে কেউ অভিযোগ দিলে পরিষদ ডিসিশন নেবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খন্দকার জানান, গত বছর এবং এ বছর (চলমান) লিজ নেওয়া দুইজন আলাদা ব্যক্তি। গত বছর কোনো অভিযোগ বা আপত্তি না আসলেও এ বছর একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে আমরা ইনফর্ম (জানালে) করি যে ওনি বেশি টাকা নিচ্ছেন এরপর প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল। ওনাদের ফোন করা হলে কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও বেশি টাকা নেওয়া শুরু করে। এখন আবারও গত সপ্তাহে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমাদের ইন্জিনিয়ার সাহেব দ্রুতই সরেজমিনে তদন্ত করবেন।




কমলো জ্বালানি তেলের দাম, রোববার থেকে কার্যকর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। হ্রাসকৃত মূল্য রোববার ( ১ সেপ্টেম্বর ) রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বলা হয়েছে, ডিজেল ও কেরোসিনে ১ টাকা ২৫ পয়সা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৬ টাকা দাম কমানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ১ দশমিক ২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা এবং কেরোসিন ১০৫ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।




১৩ জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

টানা ভারীবর্ষণ এবং ভারত থেকে আসা পানিতে দেশের ১৩টি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৬ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ৪ জেলায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ৯ নদীর পানি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত সব মিলিয়ে এখন দেশের ১৩টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব জেলা হলো ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি ও সিলেট।

জানা গেছে, এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীর মানুষ। জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে। কোথাও বুকপানি, কোথাও গলাপানি আর কোথাও কোথাও একতলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। অন্যান্য উপজেলার চিত্রও প্রায় একই।

নোয়াখালীর আটটি উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে গেছে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের একাধিক এলাকা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জে ১০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। লক্ষ্মীপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শ’ মাছের ঘের, আউশ ধান ও আমনের বীজতলা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীর বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন এই তিন উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ।

কক্সবাজারে দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া, পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ। রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিম বোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনায় ৭১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনায় ৮৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ১১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলায় ১০ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরাল, ভোলা খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া নদী ৩ সেন্টিমিটার ও বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচ জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণসহ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেনা সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘দেশের বন্যাকবলিত ১০ জেলায় প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টেলিযোগাযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে বন্যায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

চার জেলায় ৮ মৃত্যু

চলমান বন্যায় কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী (৪৫), কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪) এবং লাকসামে পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ ছাড়া ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে একজন মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারে পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।




গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে, গুলশান-বনানীতে লোডশেডিং দিন: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ বিত্তশালীদের এলাকায় লোডশেডিং দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বলে দিয়েছি, আমার গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এখন এয়ারকন্ডিশন গাড়ি-বাড়িতে, লিফট ইত্যাদি আরাম-আয়েশটা আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং ওইসব বিত্তশালীদের এলাকায় দিতে হবে। এ ব্যবস্থাটাই করব আমরা।




ট্রেনে ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে প্রবেশের দ্বার খুলছে বাংলাদেশিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট চুক্তির মধ্যে দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে দেশের রেলওয়ে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত নিজেদের ভূখণ্ডে যেতে পারবে। তেমনি বাংলাদেশিরাও ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যেতে পারবে নেপাল-ভুটানে।

প্রস্তাবিত চুক্তিতে ১২টি রুটের কথা বলা হয়েছে, যেসব রুট ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাত রাজ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) ধোঁয়াশা দূর করেছেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুজনে জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে ভারতীয় রেলপথ দিয়ে নেপাল-ভুটান প্রবেশের দ্বার।

নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। কিন্তু ভারতের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে না পারায় সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণে নতুন করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

ভারত-বাংলাদেশ রেল করিডোর নিয়ে নতুন চুক্তি
চলতি মাসের ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩টি ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার এক নম্বর রয়েছে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, ভারতীয় রেল করিডোর নিয়ে নয়া চুক্তি।

এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন।

এছাড়া এই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের কলকাতা থেকে ‘সেভেন সিস্টার্স’-খ্যাত সাত রাজ্যের ১২টি রুটে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সুবিধা।

এ বিষয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে ভারতীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় মোট এক হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি সেকশন থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। আর নেপালে ২০২ কিলোমিটার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকবে ২১২ কিলোমিটার পথ।

পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে ভারতকে রেলপথ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়াদিল্লির পরিকল্পনা সহজ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট ৮৬১ কিলোমিটার, নেপালে ২০২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জরিপ চালানো হবে।

ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালেও পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

প্রস্তাব অনুসারে, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য অনুমোদিত রুট বিরাটনগর–নিউ মাল জং সেকশনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে৷ আর গালগালিয়া-ভদ্রপুর-কাজলী বাজার সেকশনে সাড়ে ১২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।