জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আহতদের স্বচ্ছলতায় ফেরাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের প্রস্তাবে যাকে যেখানে সম্ভব, সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’

অর্থপাচার

অর্থ পাচারকে বিগত সরকারের সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে।

মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মানি লন্ডারিং। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার কথা আমি বলেছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের পাঁচ মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী ধরনের উন্নতি করেছেন, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা মিলিয়ে দেখেন, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে। রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর অনেকে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ থেকে ৬ আগস্ট কোনো সরকার ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না। তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।’#

পার্সটুডে




ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় আরো উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

এ বছর ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর হংকংসহ সাতটি দেশের অংশগ্রহণে ৩৬২টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন অংশ নিচ্ছে।

কুড়িল, ভুলতা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা চলাকালে ৩০০টি বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা।

২০২২ সালে শেরেবাংলানগর থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি পূর্বাচল নতুন ভেন্যুতে তৃতীয় সংস্করণ।




দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীর ওপর কাঠের সেতুর উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের সোমেশ্বরী নদীর ওপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের অর্থায়নে ২শত মিটার লম্বা কাঠের সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদীর ওপর এ সেতুর উদ্বোধন করা হয়।

দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় একটি সেতুর অভাবে শিবগঞ্জ-দুর্গাপুর এলাকার মানুষের নদী পারাপারের ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থা বিরাজ করছিল। এলাকর সার্বিক দিক বিবেচনায় সর্বস্তরের মানুষ, রিক্সা, স্ভ্যিএনজি,ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চলাচল উপযোগী প্রায় পনের লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁশ-কাঠের এই সেতু নির্মাণ করে দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

উদ্বোধনে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন, তেরী বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আব্দুর রব। এ সময় অন্যদের মাঝে, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ: সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচান বলেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, সিনিয়র সহ:সভাপতি শহিদুল্লাহ খান, উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ¦ জামাল উদ্দীন মাস্টার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাজহারুল হক রিপন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব স¤্রাট গণি সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




তিন দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলছে শ্রমিক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তিন ধরে চলছে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাকশ্রমিক বিক্ষোভ ও অবরোধ। বকেয়া বেতনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন গাজীপুরের টিএনজেড অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও বেতন না পাওয়ায় মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন তারা। সোমবার সকাল আটটার দিকে নগরের মালেকের বাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে তারা বিরতিহীনভাবে এ অবরোধ পালন শুরু করেন।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড অ্যাপারেলসের ছয়টি কারখানার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক গত তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কয়েক দফা আন্দোলনের সময় শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে আবার কাজে ফিরে যান। কিন্তু কয়েক দফায় বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারিত হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

এতে শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার সকাল আটটা থেকে কারখানার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই দিন সকাল পৌনে নয়টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর থেকেই মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। অনেকে ট্রেনে বা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াতের চেষ্টা করছেন।

সোমবার শ্রমিকদের কেউ রাস্তায় বসে আছেন, কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা। কোনো যানবাহন যাওয়ার চেষ্টা করলেই সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করছেন। রাতে যেসব শ্রমিক সড়কে অবস্থান করেছেন, তাদের অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন, আবার নতুন করে মহাসড়কে এসে অবস্থান নিচ্ছেন শ্রমিকদের আরেকটি অংশ। এতে মহাসড়কটির উভয় পাশে সোমবারও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক শ্রমিক গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস ধরে তারা ঘরভাড়া দিতে পারছে না। দোকানের বাকিও শোধ করতে পারছে না। অথচ বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, তারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা বিশ্বাস করছে না। আমরা তাদের একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না।




জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডেই মিলবে টিসিবির পণ্য

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।

তিনি বলেন, তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।




দুর্গাপুরে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘বিনামুল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহন করি-কর্মসংস্থান মুলক জীবন গড়ি’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহায়তায়, দুঃস্থ মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইন্টিগ্রেটেড এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (আইইডিএস) এর উদ্যোগে বিনামুল্যে এক সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থার কার্যালয়ে দুঃস্থ্য মহিলা প্রশিক্ষনার্থীদের অংশগ্রহনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন পুর্ব আলোচনা সভায়, আইইডিএস এর নির্বাহী পরিচালক শামীম কবীরের সঞ্চলনায়,একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ মাসুল তালুকদার। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ হাসান, আইইডিএস এর চেয়ারম্যান মতিলাল হাজং সহ সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

আলোচনা শেষে স্থানীয় ২১ দুঃস্থ মহিলা সদস্যদের মাঝে বিনামূল্যে এ সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়। হরিজন সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী বেবি বাসপর বলেন, আমরা নিতান্তই গরীব মানুষ। আইইডিএস সংস্থ্যা আমাদের মতো ক্ষুদ্র মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষে বিনামুল্যে যে প্রশিক্ষণনের ব্যবস্থা করেছে, আমরা এতে খুবই খুশি। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে আমরা নতুন করে বাঁচতে শিখবো।




দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’ পণ্য কিনে হাসিমুখে ফিরছে ক্রেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চালু হয়েছে কৃষকের বাজার। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের কাঁচা বাজারে এই কৃষক বাজারের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

উদ্বোধনকালে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। যার কারণে নি¤œ আয়ের মানুষের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় বাজারে যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা কৃষকের বাজার চালু করেছি। এখন আমরা কৃষকদের আহবান জানাবো যেন তারা এখান থেকেই বিক্রি করেন এবং ক্রেতারা কেনেন। পাশাপাশি যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মনিটরিং করবে। আমরা পর্যায়ক্রমে এটি আরো ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা করেছি।

স্থানীয় কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য আমরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি এতেই আমরা খুশি। যারা কিনতে আসছেন তাঁরাও অনেক খুশি।

পণ্য কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুর যে দাম, তা কেনার ক্ষমতা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেকেরই সামর্থ্য নেই। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কৃষক বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে কিনতে পেরে খুবই খুশি।

উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুরুজ আলী, আব্দুল খালেক ও আবুল হাশেম বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে আমাদের বাজারে এসে আর বেশি কিছু ক্ষমতা নেই। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। আজকে উপজেলা প্রশাসন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র, শেখ সাব্বির, রেদোয়ান প্রমুখ।




দুর্গাপুরে প্রায় শতকোটি টাকার আমন ধানের ক্ষয়-ক্ষতি দুশ্চিন্তায় কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েকদিন ধরে ঢল ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রæত কমতে শুরু করেছে। নি¤œাঞ্চলের পানি ধীরে ধীরে নামার সাথে সাথেই ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এবার ঢলের পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট সহ ভেসেগেছে পুকুরের মাছ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের ক্ষেত।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ঢলের পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি। তার মধ্যে পানি কমে ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান রক্ষা পেলেও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান। সরকারি হিসাবে যার মূল্য প্রায় ৯৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এ বছর ১৬ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলে ঢলের পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি।

জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক মাওঃ আজিজুল হক বলেন, ধান ক্ষেত সব পঁচে গেছে, যা আছে এখনো তা পানির নিচে থাকায় ঘরে ধান তোলার আর সম্ভাবনা নাই। এই ঢল আমাদের নি:স্ব করে দিয়ে গেছে।

একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, জমি কইরাই পোলাপান গুলারে লইয়া বাঁইচা আছি। এহন পানিতে তো সব শেষ,আগামী দিনে কি হইবো আমাদের আল্লাহই জানেন।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইদ্রিছ আলী মোল্লা বলেন, ঢলের পর বাড়িঘর ও আমন ক্ষেত থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতেছে, কিন্ত আশ-পাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা গত ৫বছরেও পুশিয়ে নেয়া যাবে না। ক্ষেতে যা ধান আছে সবই নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সা¤প্রতিক পাহাড়ি ঢলে অত্র উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগীতার আওতায় আনা হবে।




ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারাপারে ইচ্ছেমতো টাকা আদায়, ক্ষুব্ধ সাধারন যাত্রীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শেষ সীমানাস্থল ঘেঁষে কংস নদ। আর এই নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাটে নৌকায় পারি দিয়ে প্রতিদিনই জেলাশহরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয় এ উপজেলার বাসিন্দাদের। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও সমালোচনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, একবার নৌকায় উঠলেই আগের চেয়ে দুইগুণ বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। পারাপারে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট টানানো নেই ফেরিঘাটে। বাড়তি টাকার বিষয়টি প্রতিবাদ করলে মাঝির বাগবিতন্ডার রোষানলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অপরদিকে ঘাটের ইজারাদার বলেছেন, বেশি টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই নেওয়া হচ্ছে বেশি টাকা।
সূত্র জানায়, কংস নদের ডেওটুকোন ফেরিঘাট পারাপারের ইজারা পরিচালনা করছেন নেত্রকোনা জেলা পরিষদ। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসের শেষ দিকে নতুন করে ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কার্যকর করা হয় পহেলা বৈশাখ থেকে। পূর্বের সময়ে নৌকায় পারাপারে সঠিকভাবে ভাড়া আদায় করলেও এ বছর পারাপারে ইজারাদার বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

জানা গেছে, প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ, কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলেজসহ বিভিন্ন কাজে এই ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে সার্বক্ষণিক যাওয়া-আসা করতে হয় দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে নৌকায় পারাপারে জনপ্রতি আগের থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে এখন ১০ টাকা,চালকসহ মোটরসাইকেল আগের থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেলসহ দুইজনের এখন ৩০ টাকা, সিএনজি ও অটোরিক্সা থেকে নেয়া হয় ইচ্ছে মতো ভাড়া।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মোবারক হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আগে নৌকা ভাড়া দিতে হতো ৫ টাকা, বর্তমানে দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। আগের ৫ টাকা ভাড়া সঠিক ছিল।
শামছুল আলম খান নামের  আরেক যাত্রী বলেন, আমরা দুর্গাপুরের মানুষ জেলা শহরে যোগাযোগ করতে হলে একমাত্র ডেওটুকোন ফেরিঘাট পার হয়ে যেতে হয়। আমরা বাড়তি টাকা দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু সবার পক্ষে তো সম্ভব না। এটা জুলুম।
শিক্ষক জুয়েল মিয়া বলেন, ইঞ্চিনচালিত নৌকায় এটুকু নদী পার হতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগে না কিন্তু জনপ্রতি ১০ টাকা আর মোটরসাইকেল ১০ টাকা মোট ২০ টাকা নিচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও দেখিনি।

মাসুদ মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, মোটরসাইকেলসহ ৩০ টাকায় এই নদী পার হয়েছি। আগে ১০ টাকায় পার হতাম। কিন্তু এখন আগের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। দুইজন লোক নিয়ে গেলে যে টাকা ভাড়া পায় তার মধ্যে থেকে ৬০ টাকা নৌকা পারাপারের দিতে হয়। খুবই খারাপ লাগে কিন্তু বলার মতো জায়গা দেখিনা।
এদিকে নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের চার্ট গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাতে বললে নৌকার মাঝি জানায় বাড়িতে আছে চার্ট। এ সময় তার নাম জানতে চাইলে নাম বলতে অস্বীকৃতিও জানায় নৌকার চালক।

বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ লাখ টাকায় ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। নৌকা পারাপারের যে ভাড়া নিচ্ছেন  এটি জেলা পরিষদের নির্ধারন করা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে কেউ অভিযোগ দিলে পরিষদ ডিসিশন নেবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খন্দকার জানান, গত বছর এবং এ বছর (চলমান) লিজ নেওয়া দুইজন আলাদা ব্যক্তি। গত বছর কোনো অভিযোগ বা আপত্তি না আসলেও এ বছর একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে আমরা ইনফর্ম (জানালে) করি যে ওনি বেশি টাকা নিচ্ছেন এরপর প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল। ওনাদের ফোন করা হলে কিছুদিন বন্ধ রেখে আবারও বেশি টাকা নেওয়া শুরু করে। এখন আবারও গত সপ্তাহে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমাদের ইন্জিনিয়ার সাহেব দ্রুতই সরেজমিনে তদন্ত করবেন।