উন্নয়ন দৃশ্যমান, সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন দৃশ্যমান এবং দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০ বছরে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়া বড় অর্জন। আজ রোববার (২ জানুয়ারী) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। সেখানে স্পিকার এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘ মিরাকল বলে অভিহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে দেশে উন্নয়নের ভিত রচনা করেছিলেন। সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তারই উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। বলেন, ২০০৯ সালে দারিদ্র ছিল ৪০ শতাংশ, সেখান থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।

স্পিকার আরও বলেন, পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২১ সালের রূপকল্পের আলোকে এগিয়েছে দেশ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।




সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সকলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে শামিল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২ উদযাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ৫২টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি।




বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

৬ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ থাকছে এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাবে এখানে।

এ ছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। থাকছে প্রথমবারের মতো ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন।

মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পরলে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মেলার প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।




টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল অর্ধশতাধিক ঘর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট চুড়ি ফ্যাক্টরি এলাকায় ভয়াবহ আগুনে অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গভীর রাতে হঠাৎ একটি বাড়ি থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে ৫২টি ঘর পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাও জানা যায়নি।




স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৬৬ টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার রাতে বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তাতে বলা হয়, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রার্দুভাব ও বিশ্ব অর্থনৈতির নানা জটিল সমীকরণের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী। দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটেও পাকা স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭৩ হাজার ১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে ৫০ হাজার ৯১৪ টাকা।

স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।




দুর্গাপুরে নির্বাচনী পরাজয়ের কষ্টে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ফলাফল অনুকুলে না আসায় কষ্ট নিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মো. হাবিবুর রহমান (৩৮) নামের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাঁকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ৫নং বাকলজোড়া ইউনিয়ন থেকে হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। এতে পরাজিত হলেও আশানুরুপ ভোট না পাওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে দ্রæত দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি ওই ইউনিয়নের গাভাউতা গ্রামের আব্দুল মতিন এর ছেলে। তিনি চেয়ারম্যান পদে ওই ইউনিয়ন থেকে ৩৩০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।

এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহনুর এ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




পথ পাঠাগার’কে বই ও অর্থ সহায়তা দিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্যের ধারক ও বাহক ‘‘পথ পাঠাগার’’কে বই ও নগদ অর্থ প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পথ পাঠাগার’কে এ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার  প্রতিনিধি কে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিটি মানুষ যখন ফেসবুক সহ নানান বিষয় নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, তখনই সাহিত্যের সকলকে ফিরিয়ে আনতে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেলুন, হোটেল ও রেস্তোরায় প্রতিষ্ঠা করেছি ‘‘পথ পাঠাগার’’।

এ পর্যন্ত ১৫টি পাঠাগার উদ্বোধনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করছি পুঁথিগত বিদ্যা। উপজেলা প্রশাসনের এই মহান উদ্দ্যেগ পাঠাগারের পাঠকদের উপস্থিতি অনেকটা বেড়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগার এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, আদিবাসী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অপুর্ব রাংসা প্রমুখ।

ইউএনও রাজীব বলেন, মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। তার অনন্ত জিজ্ঞাসা, অসীম কৌতূহল বিষয়ে সকল প্রশ্নের সমাধান ধরে রাখার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বই। শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সকল জ্ঞান জমা হয়ে রয়েছে বইয়ের ভেতরে। আর সেই বইয়ের আবাসন্থল হলো পাঠাগার। মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস পুঞ্জিভূত হয়ে রয়েছে পাঠাগারের একেকটি তাকের ভেতর। পাঠাগার হলো সময়ের খেয়াঘাট, যার মাধ্যমে মানুষ বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ভ্রমন করতে পারে। দুর্গাপুরে ‘‘পথ পাঠাগার’’ নামক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সে লক্ষ্যে সংগঠনটির অদম্য উদ্দ্যেগ বাড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষহতে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে বই ও পাঠাগারের রেগ কেনার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। আমি পথ পাঠাগারের সাফল্য কামনা করি।




দুর্গাপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক কর্মশালা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ধান, গ্রীষ্মকালীন সব্জি ও মসলা আবাদ বৃদ্ধি করনীয় এক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নেত্রকোনা এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ। এ বিষয়ে আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী ঢাকা এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, সংসদ সদস্য প্রতিনিধি বিপ্লব মজুমদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার প্রমুখ।




দুর্গাপুরে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের স্বাবলম্বী এনজিওর মাধ্যমে ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাঁওকান্দিয়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভূগিদের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

টাকা ফেরতের দাবিতে উপজেলার কৃষ্ণেরচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা চত্তরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে ভুক্তভুগিরা জানান, দুর্গাপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে স্বাবলম্বী এনজিও সমিতি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। গত ৪ বছরে তাদের মাঠকর্মী ইমরান হোসেন গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে আসছেন। এলাকার সাধারণ গ্রাহকগণ তাদের হিসাবের বিপরিতে ঋণ চাইলেই নানা তালবাহানা শুরু করেন। এতে তাদের সন্দেহ হলে গ্রামের সকল মানুষ একত্রিত হয়ে সঞ্চিত অর্থ ফেরতের দাবি জানালে, বিষয়টি প্রাথমিক ধামাচাপা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় মাঠকর্মী। আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই অন্যের বাড়িতে কাজ করে কেউবা দিনমজুরী করে দিন চলে। অনেক কষ্ট করে আমরা এই টাকা গুলো জমিয়ে ছিলাম। আমরা আমাদের কষ্টের টাকা ফেরত চাই। এই নিয়ে পরপর দুইবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম্য সালিশের ব্যবস্থা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ সময় অন্যান্য দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজিয়া খাতুন, রমিজ উদ্দিন, সুলতান মিয়া, হনুফা বেগম, আব্দুল কুদ্দুস, ইদ্রিস আলী প্রমুখ। #




খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে।

আজ শনিবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১২ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কৃষির উন্নয়নে আমরা কৃষকদের জন্য সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ ও কৃষিযান্ত্রিকীকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং কৃষি প্রণোদনা/কৃষি পুনর্বাসন, কৃষিঋণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ই-কৃষির প্রবর্তন, জলবায়ু ও ঝুঁকি সহনশীল ফসলের জাত/প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। কৃষি শিক্ষা-গবেষণা খাতে আরো বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। যার ধারাবাহিকতায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।