দুর্গাপুরে ইউড্রেন নির্মানের আগেই বিল উত্তোলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনাস্থ দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসাবে ফারংপাড়া গ্রামের ইনসাফ মাদ্রাসার পাশের রাস্তায় একটি ইউড্রেন বা কালবার্ড নির্মান করে বিল উত্তোলনের কথা থাকলেও তা না করে অগ্রিম বিল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সাজু’র বিরদ্ধে।

প্রকল্প কমিটির সভাপতি ঐ ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার আঃ বারেক বলেন এসকল প্রকল্পের কাজ চেয়ারম্যান সাহেব করে থাকেন বিলও উত্তোলন করেন তিনি,আমাদেরকে শুধু নামে মাত্র প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ ফেব্রæয়ারী বুধবার সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষ করা যায় যে, উক্ত চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে তরিগড়ি করে অত্যন্ত নি¤œমানের উপকরন দিয়ে নামকাওয়াস্তে একটি ইউড্রেন বা কালবার্ড নির্মান কাজ চলতে ছিলো। যা নকসা ও ইস্টিমিটি এর সাথে কোন মিল নাই।

সূত্রে জানাযায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পে ১লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়, কিন্তু কাজ সম্পন্ন করার অনেক আগেই ঐ কাজের পুরো বিল উত্তোলন করে নেন ঐ চেয়ারম্যান।

প্রতিবেশিরা জানান, আমাগো মেম্বার কইছিল এইহানে একটা কালবার্ড অইবো,পরে হুনি ঐ কালবার্ডের টেহা চেয়ারম্যান সাব খাইয়া ফালাইছে। একটি মহল বলেন চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সাজু নির্বাচনে ফেল করায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তরিগড়ি করে নামমাত্র কাজ সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এগুলি জনগনের টাকা এই টাকা ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে আমরা জোর দাবী জানাই।

চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম সাজু’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকের কল কেটে দেন।




মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন দিলো রিক্সাচালক তারা মিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ দিলো রিক্সাচালক তারা মিয়া।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চকলে্ংগুরা বায়তুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও একই এলাকার মসজিদে জুমা’র নামাযে আসা মুসুল্লিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে রিক্সাচালক তারা মিয়া।

মাদ্রাসার শিক্ষক বলেন, তারা মিয়া দীর্ঘ দিন যাবত এই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের খাতা কলম সহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে আসছে, আমরা তারা মিয়ার মঙ্গল কামনা করি।

রিক্সাচালক তারা মিয়া জানায়, আমি রিক্সাচালিয়ে যা রোজি করি তা থেকে অর্ধেক অংশ গরীর অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য রেখে দেই। আর তা থেকেই এসব দিয়ে থাকি,আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।




ঝড়ে ১৮টি ট্রলারডুবি, ২ জেলে নিখোঁজ

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৮টি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় মো. শাহিনুর ও মো. মোতাচ্ছির নামে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বন বিভাগের দুবলা ফরেস্ট স্টেশনের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এবং দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুঁটকি প্রক্রিয়া করতে দুবলায় সামুদ্রিক মাছ ধরতে আসেন প্রায় ৩০ হাজার জেলে। এসব জেলেরা দুবলাসহ প্রায় আটটি চরে অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। সেখানে থেকেই তারা সাগরে মাছ ধরেন। শুক্রবারও মাছ ধরতে তারা সাগরে যান। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ১৮টি ফিশিং ট্রলার। এ সময় দুবলায় আটটি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা আলোরকোল এলাকায় আরও ১০টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়।

পরে অন্য ট্রলারের সাহায্যে ১৫৪ জেলে ফিরে আসতে পারলেও রামপালের দূর্গাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. শাহিনুর ও ইসলামাবাদ গ্রামের মো. ছোট্টোর ছেলে মো. মোতাচ্ছির নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান। জেলেদের উদ্ধারে দুবলার ১০০ ট্রলার এবং কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ অভিযানে নেমেছে বলেও জানান তিনি। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুবলার চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়েছে বলেও জানান দুবলা ফরেস্ট ক্যাম্পের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।

 




এলপি গ্যাসের দাম আরও বাড়ল

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) ও অটোগ্যাসের দাম আবারও বেড়েছে। এলপি গ্যাসের ১২ কেজির দাম ১২৪০ টাকা করা হয়েছে। আগের চেয়ে ৬২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের নতুন এই দর ঘোষণা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে এলপিজির (১২ কেজি) দাম ১২৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১১৭৮ টাকা। যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৭.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। এরপর থেকে প্রতিমাসে গ্যাসের নতুন দর নির্ধারণ করা হয়।

জানুয়ারি মাসে সৌদি সিপির দর ছিল প্রোপেন ৭৪০, বিউটেন ৭১০ ডলার। যা চলতি মাসে বেড়ে মেট্রিক টন ৭৭৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। কিন্তু বাস্তবে সেই দরের পুরোপুরি প্রতিফলন হচ্ছে না। কোথায় বেশি দরে আবার ক্ষেত্র বিশেষে কম দরে বিক্রি খবর মিলেছে। ১২ এপ্রিলের আগে পর্যদন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন।




বাণিজ্যমেলা শেষ হচ্ছে আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসরের শেষ দিন আজ। মেলার স্থায়ী ভেন্যু পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো বসেছে দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলনমেলা।

রোববার শেষের আগের মেলায় ছিল ছুটির দিনের মতো ভিড়। তবে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না সেখানে। মেলায় প্রবেশে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকলেও দর্শনার্থী বিক্রেতাদের মতো কর্তৃপক্ষও ছিল উদাসীন।

শেষের দিকে কম দামে পণ্য কেনার আশায় মেলায় এসেছেন অনেকে। তাদের বেশিরভাগই গৃহস্থালি, কাপড় ও ইলেকট্রনিক পণ্যের স্টলে ভিড় করেছেন। দামে ছাড় আর হোম ডেলিভারির অফারে অনেকেই কিনছেন পণ্য।

বাণিজ্য মেলা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ইপিবির সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।তিনি বলেন, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মেলায় বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। করোনা সংক্রমণ রোধে মেলায় প্রবেশের সময় দর্শনার্থীরা যাতে মাস্ক পরে প্রবেশ করে সে ব্যাপারে আমরা খুব কঠোর ছিলাম। তবে সাধারণ মানুষ সচেতন না থাকলে তো আর কিছু করার থাকে না।




দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিস জনবান্ধবে পরিণত হয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রথমবারের মত নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ভূমি অফিসে সব ধরণের জনদূর্ভোগ দুর হয়ে বর্তমানে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসের অতীতের চেয়ে সব ধরণের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। নেই জনগণের ভীড়, বস্তাবন্দী ফাইল, নেই কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি। মঙ্গলবার অফিসে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, অফিসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সেবা দেয়ার মননশীলতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বচ্ছতা। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম এর সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা গেছে। ওনার কর্মতৎপরতা, ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের করে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও নামজারিসহ অন্যান্য সেবা এখন মিলছে খুব সহজেই। এছাড়াও অনুমোদিত মিউটেশন খতিয়ান গুলো পৌরসভা/ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সাজিয়ে ভলিউম আকারে বাঁধাই করা হয়েছে। এতে যেকোন নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই বাছাই করতে পারাসহ জমি ক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে সহজেই যাচাই করতে পারছেন। কোর্ট ফি যাচাই করে আবেদনপত্র গ্রহণের ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। একজন সেবাগ্রহিতা অফিসের সততা স্টোরের নির্ধারিত মুল্যে আবেদন ও কোর্ট ফি কিনে নিতে নিতে পারছেন। অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চ্যাটার এবং এসিল্যান্ড মহোদয়ের মুঠোফোন নাম্বার। এর মাধ্যমে সেবা গ্রহিতারা ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সর্ম্পকিত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারছেন।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যোগদানের পর জাতীয় উন্নয়ন মেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রহিত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ভুমি অফিস দালাল ও ঘুষমুক্ত রাখার চেস্টা করছি। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দুই মাসে কোন প্রকার উৎকোচ ছাড়াই প্রায় ৬শত‘র উপরে নাম খারিজ দিয়েছি। সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারে অংশ হিসাবে জনগণের ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।




মাস্ক ছাড়া বের হলেই জরিমানা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

মাস্ক ছাড়া বের হলে জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মাস্ক ছাড়া বের হলে এখন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গ্রামে মাইকিং করে টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।i

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এর আগেও এর চেয়ে কম জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। তাই এতে কোনো সমস্যা হবে না।তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে ভার্চুয়ালি অফিস করা হবে। এ সময় আহ্বান জানান তিনি।




কাঁদায় ভাসছে দুর্গাপুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শীতের এই শুষ্ক তাপমাত্রায় চারপাশের পরিবেশে প্রভাব পরলেও পুরোপুরি বিপরীত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চিত্র। কনকনে শীতের মাঝেও কাঁদায় ভাসছে শহরের প্রতিটি সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শীত নাকি বর্ষাকাল?
অথচ পর্যটন সম্ভাবনাময় এই নগরীর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রতিদিনই এই স্পটগুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা আসলেও তাদের ভাগ্যে জোটে কাঁদা ভরা সড়ক।
২০১০ সাল থেকে শহরটি প্রাণ ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সোমেশ্বরী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখেকোদের তান্ডব। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বালু উত্তোলন সহ অপরিকল্পিত পরিবহনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে দুর্গাপুর। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সর্তক করলেও সুফল আনতে পারেননি তারা।
পৌর শহরের পথঘাট সহ বহুল কাক্সিক্ষত দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজা বালু পরিবহনে কাঁদায় জরাজীর্ণ থাকে সারা বছরই। শহরের প্রেসক্লাব মোড়,তেরি বাজার, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, উপজেলা মোড়, কাচারি মোড় সহ অলিগলিতেও স্তূপ বেঁধে থাকে কাঁদা। একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের যাতায়াত তেমনি লোকসানের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে গেল বছর স্থানীয়রা লাগাতার আন্দোলন করেও কোন সুফল আসেনি। স্থানীয়দের দুর্ভোগ কাটাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল এক বছরেও। উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন সমীক্ষা যাচাই ছাড়াই জেলা প্রশাসকএর মাধ্যমে সোমেশ্বরী নদী থেকে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা প্রদান করে আসছে। অথচ বালু ট্রাক চলাচলের জন্য অধ্যাবদি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি প্রশাসন। নামেমাত্র মাইকিং করে ভেজা বালু পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এর তোয়াক্কা করে না কেউ। যে যার মত করে যাচ্ছে বালু পরিবহন। আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ! যার ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোছাতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। তাদের কাছে সবাই অসহায়। কারণ আইন প্রণেতারাই আইন অমান্য করে। তাহলে আইন কিভাবে সঠিক পথে চলবে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এমন একটা গাড়িও মিলবে না যারা ভেজা বালু পরিবহন করে না। দুর্গাপুরে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সবসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা মিলবে কাঁদা ও ময়লা পানি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো করতে পারেনা। সড়কের ময়লা পানি, কাঁদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভিতরে ছিটে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র সহ মালামাল। এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো। এই দুর্গাপুর কে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম জানান, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক বার মানববন্ধন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পারিনি। সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না কাঁদার কারণে। এতদিন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতেও নষ্ট হচ্ছে স্কুল ড্রেস সহ পোশাক-আশাক। আসলে এই দুর্ভোগ আমাদের সবার। বাহির থেকে পর্যটকরা অনেক আশা নিয়ে আমাদের দুর্গাপুরে আসেন। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ ছাড়া কোন কিছুই দেখতে পারেন না তারা। আমরা এই দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট করবে?

ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। তিনি বলেন, ভেজা বালু পরিবহন দুর্গাপুর বাসীর জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ আমরা চেষ্টা করছি এই দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে। এর জন্য আমরা সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাককে জরিমানার আওতায় আনছি, ১৩জানুয়ারী বৃহস্পতিবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাবালু পরিবহনকারীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।বালু মহালের ঠিকাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের আন্তরিকতা থাকলে ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ করা যাবে। মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কি করতে পারি পরামর্শদেন।




অর্ধেক যাত্রীতে চলবে বাস ট্রেন লঞ্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সর্বপ্রকারের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে টিকা সনদ নিতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

এতে বলা হয়, দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে।



সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।