২ দিন পর ফ্লাইট শুরু, এখনো অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজযাত্রী!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২ দিন পর (বৃহস্পতিবার ৯ মে) শুরু হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। আগামী বুধবার হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশিরভাগ হজ এজেন্সি।

সর্বশেষ তথ্য বলছে, ভিসা আবেদনের বর্ধিত সময়ও শেষ হচ্ছে কাল মঙ্গলবার। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসা আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত করা হয়। ৮ দিন বাড়ানো হলেও এখনও ৭৫ শতাংশের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। বাকি একদিনের মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এই সংকটে করণীয় ঠিক করতে হজ এজেন্সিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দিতে এজেন্সিগুলো মন্ত্রণালয়কে চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার ২০৯ জন নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। বাকি ৪ হাজার ৩১৪ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সাত শতাধিক হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের নিবন্ধন করেছে। ২৫৯টি লিড এজেন্সি হজযাত্রীদের মূল ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি এজেন্সির আংশিক ভিসা আবেদন হয়েছে। বাকি ২০৪টি এজেন্সি ভিসা প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এই এজেন্সিগুলোর অধীনে মোট ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিনে বিশাল সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা সম্ভব নয়। ফলে ফের ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এজেন্সিগুলো। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় সেটাতে রাজি হয়নি।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ধর্মমন্ত্রীর অনুরোধে সেই সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, বাড়তি ৮ দিনে বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন করা সম্ভব হবে। কিন্তু মোনাজ্জেমের (পবিত্র হজের সময় নিবন্ধিত হজ এজেন্সির মালিকের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী) ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় এবং সৌদিতে কাঙ্ক্ষিত ভাড়া বাড়ি ভাড়া করতে না পারায় সেই প্রক্রিয়া হোঁচট খায়। ফলে শেষ সময়ে এসেও এখনো অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসার জন্য আবেদন করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হজ এজেন্সিগুলো বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য প্রতিবার শেষ সময়ে এসে বাড়ি ভাড়া করেন তারা। এবারও তাই করেছেন। এবার এটা করতে গিয়ে নতুন আইনের ফাঁকে পড়ে যায় হজ এজেন্সিগুলো। বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত এজেন্সি প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। ফলে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি তারা। এ জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ করছে এজেন্সিগুলো।

এপ্রিলের শেষের দিকে বিকল্প পদ্ধতিতে মোনাজ্জেমদের ভিসা করার জন্য জিও (সরকারি পত্র) দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এজেন্সির প্রতিনিধিরা এখন সৌদি আরবে গিয়ে বাড়ি ভাড়া করতে হিমশিম খাচ্ছে। হেরেম শরিফের কাছে বাড়ি না পেয়ে অনেক দূরে বাড়ি খুঁজছেন তারা। সেখানেও ভাড়া বেড়ে গেছে। ফলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছে।

বেসরকারি হজ এজেন্সি এম জি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন বলেন, মোনাজ্জেমরা সঠিক সময়ে ভিসা না পাওয়ায় সৌদিতে বাড়ি ভাড়া করা যায়নি। ফলে হজযাত্রীদের এখন সদুত্তর দিতে পারছি না। ভিসা না পাওয়ায় বিমানের টিকিটও বুকিং দিতে পারছি না। আরও বেশ কিছু কাজ আটকে আছে ভিসা জটিলতায়।

তবে এ সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, সংকট সমাধানে আমরা কাজ করছি।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এখনো বেশিরভাগ এজেন্সির মোনাজ্জেমদের ভিসা নিশ্চিত করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে সংকট উত্তরণ সম্ভব, আমরা চেষ্টা করছি।




ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পক্ষে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ রাজ্যে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ও মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ মে থেকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এই বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘‘আমাদের শিক্ষার্থীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এসব ছোট্ট পরিসরে, স্কুল-ভিত্তিক স্নাতক সমাপনী উদযাপন অনুষ্ঠান তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ।’’

‘‘শিক্ষার্থীরা করতালি আর পরিবারের গর্বের মুহূর্তের মধ্য দিয়ে মঞ্চ পেরিয়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। একই সঙ্গে স্কুলে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তাদের কাছ থেকে বক্তৃতা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ফলে আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোতে ও সেগুলো নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সুচারুভাবে পরিচালনার ওপর মনোযোগ দেবো।’’

মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটনে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলের দখল নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কন্যাশিশু হিন্দের নামে হলটির নামকরণ করেছে। ১৮ এপ্রিল কলেজ কর্তৃপক্ষ মর্নিংসাইড এলাকায় কলাম্বিয়ার আরেকটি ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠিয়ে আরও শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করায়।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক পুলিশকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় (ইউএসসি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিকে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশকে ডাকে।

সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়ার পরদিন কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ ইউএসসির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দেয়। তবে ওই ক্যাম্পাস থেকে কোনও বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

রোববার এক বিবৃতিতে ইউএসসির প্রেসিডেন্ট ক্যারোল ফল্ট বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা এবং স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই দিন পুলিশের উপস্থিতিতে বোস্টনের ফেনওয়ে পার্ক এলাকায় নর্দার্নইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি




স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে।

ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশের ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।




অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ‌্য মন্ত্রণা‌লের এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।
২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।
৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।
৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।
৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। ৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং
১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিমারা স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো স্পষ্ট ভণ্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সউদী আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের ‘ফ্র্যাংকলি স্পিকিং’ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম এই অভিযোগ করেন।

গত সপ্তাহে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে আনোয়ার ইব্রাহিম আরব নিউজের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপস্থাপিকা ক্যাটি জ্যানসেনের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে বর্বর বলে আখ্যা দেন এবং নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যার নিন্দা করেন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বর্বরতাকে আরও উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ইসরায়েলকে) গণহত্যা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের কিছু দেশগুলোর এই বিষয়ে স্পষ্ট ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। তাঁরা শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডকে ক্রমাগত অস্বীকার করে যাচ্ছে।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি না যে—এই সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এ ধরনের অমানবিক, বর্বর কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিতে পারি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।’

এ সময় তিনি গাজা ইস্যুতে আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও ইরানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি আরব দেশগুলো, তুরস্ক, ইরান এবং সেই সব দেশগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করি যারা তাদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে এবং আমি মনে করি আমরা মালয়েশিয়া এবং এই অঞ্চলের বাইরের অন্যান্য অনেক দেশেও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এটি (গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন) দীর্ঘায়িত করতে চাই না। কারণ, এটি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার অনুপস্থিতিতে ধর্মান্ধ চরমপন্থি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডকেই উৎসাহিত করবে।’




দুর্গাপুরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি কৃষকের পাকা ধান ঝরে পড়লো

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় হঠাৎ ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর সদর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এই শিলাবৃষ্টি প্রায় ১০ মিনিট সময় স্থায়ী ছিল বলে জানা গেছে। এ মৌসুমে এমন শিলাবৃষ্টি পড়তে কখনো দেখেননি বলে জানান স্থানীয় কৃষকগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশিরভাগ জমির ধান কাটার উপযুক্ত হয়ে গেছে তবে শ্রমিক বা ধান কাটার মেশিন সংকটে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। গত রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ধানের শিষ থেকে বেশিরভাগই ধান ঝরে গেছে। জমির পাকা ধানগুলো ঘরে তোলার আগেই শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে এমন ক্ষতি যেনো কৃষকদের মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাছাড়া এই শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমি ফল ও গাছেরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

কুড়ালিয়া গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি ১৭ কাটা জমি লাগিয়েছিলাম কিন্তু ভাইরাসের জন্য ৭ কাটা কেটে ফেলি। সেই ৭ কাটায় ১০ মণ ধান পেয়েছি মাত্র। বাকি ১০ কাটা জমির পাকা ধান গতরাতে শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে। কয়েকদিন ধরেই কাটার জন্য চেষ্টা করছিলাম কিন্তু মেশিন পাচ্ছিলাম না।

এ নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত ৪৫% জমির ধান কর্তন হয়েছে। তবে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে অফিসের লোকজন মাঠে আছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।

 




স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে পদযাত্রা-সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো এবং গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। এ দিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসেঙ্গ একইসময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন তা অতুলনীয় ও অভাবনীয়।

এ ছাড়া এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞাপ্তিতে।




গাজা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যামূলক যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত ইহুদিবাদী পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাস কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ছাড়াই হামাস মিশরের রাজধানী কায়রোয় পণবন্দি মুক্তির ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে যাচ্ছে বলে যখন ইসরাইলি গণমাধ্যগুলোতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল তখন এ হুঁশিয়ারি দিল হামাস।

হামাসের সিনিয়র নেতা হিসাম বাদরান কাতারের নিউজ চ্যানেল আল-জাযিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।  তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য হামাস একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তবে সে চুক্তি যেকোনো মূল্যে হবে না।

হিসাম বাদরান বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার উগ্র মন্ত্রিসভা কাল্পনিক কিছু অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। নেতানিয়াহু নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে পণবন্দিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

মিশরের একাধিক সূত্র শনিবার জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও ইসরাইলি পণবন্দি মুক্তির আলোচনায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এবারের কায়রো বৈঠক থেকে ভিন্নরকম ফল বেরিয়ে আসতে পারে।

এর আগে মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় একাধিকবার বৈঠক হলেও ইসরাইল ও হামাস কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। হামাস বলেছে, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে গাজা থেকে সকল দখলদার সেনাকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, গাজায় অবাধ ত্রাণতৎপরতা জোরদার এবং উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না।#

পার্সটুডে




রেকর্ড সংখ্যক হাজিদের বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মে মাসের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজ যাত্রীরা।

আর এ বছর মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে— এমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবারের রমজান মাসে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর— হজেও মুসল্লিদের ঢল নামবে।

সদ্যই বিদায় নেওয়া পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছিলেন। রমজানে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর দিয়ে ৯০ লাখ মানুষ মদিনায় আসেন। হজের আগে ও পরে অনেক মানুষ মদিনায় যান।

এদিকে গত বছর হজ পালন করেছিলেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। করোনা মহামারির কারণে এর আগের তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। এতে করে মক্কায় ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করতে আসেন। যদিও সৌদির কর্মকর্তারা ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে এমন ধারণা করেছিলেন।

তাদের প্রত্যাশা এবার গতবারের তুলনায় আরও বেশি মানুষ হজ করতে আসবেন। আর তাই হজের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: গালফ নিউজ




যুক্তরাষ্ট্রে বহিস্কার হওয়ার শিক্ষার্থীদের যে সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়েমেনি যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন নতুন করে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠীটি আবারও আলোচনা এসেছে। খবর রয়টার্সের

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ বিক্ষোভে দমাতে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের কথা জানিয়েছে। আর বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতিদের দ্বারা পরিচালিত সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করছে আমরা তাদের বরণ করে নিতে চাই। আমরা যে কোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছে সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সানা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্নের জোর দাবি জানিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।