খিলগাঁওয়ে লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তেলের ট্যাংক লড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাফিউল ইসলাম (নাফিজ) নামের ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয় ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত নাফিজের ভাই শুভ জানান, মোটরসাইকেলের তেল নিতে নাফিজকে নিয়ে সাজ্জাদ খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন তেলের পাম্পে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পাম্পের সামনে একটি তেলের ট্রাংক লড়ি ঘোরানোর সময় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনই ছিটকে পড়ে যায়। সাজ্জাদ কিছুটা আঘাত পেলেও নাফিজ গুরুতর আহত হয়। দ্রুত নাফিজকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায়। নাফিজ এস এম কবীর উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে, ৭/২ দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় থাকতেন । দুই ভাইয়ের মধ্যে নাফিজ ছোট। সে বনশ্রী মডেল হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




হার কাম্য নয় তবে সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে: সাকিব

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন সাকিব আল হাসান। দল হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। তবে এক সিরিজ হারেই সবকিছুর শেষ দেখছেন না তিনি। জয়-পরাজয়কে স্বাভাবিকভাবে মূল্যায়ন করছেন। তার বিশ্বাস, দল উন্নতি করেছে সবকিছুতেই। ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে।

‘ফ্রেন্ডশিপ’ নামের একটি বেসরকারী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সাকিব আল হাসান যুক্ত হয়েছেন। সংস্থাটি গত ১৯ বছর চর ও দুর্যোগপ্রবণ দুর্গম এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠিদের নিয়ে কাজ করেছে। সোমবার সংস্থাটি ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড হিরোস’ নামের একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে। অনলাইনে সেই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হন সাকিব।

‘পরাজয় কাম্য নয়। তবে শুধু ক্রিকেটে নয় সকল খেলাধুলাতে জয়-পরাজয় থাকবে। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আর আমাদের উন্নতি যে হয়নি সেটিও না। সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে।’ – যোগ করেন সাকিব।

নির্বাসন কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সীমিত পরিসরের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব। তিন ওয়ানডে ঠিকঠাক মতো খেললেও চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট চলাকালীন ইনজুরিতে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় দিন ইনজুরিতে পড়ায় তাকে পরের তিনদিন পায়নি বাংলাদেশ। দলের হার ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন। ঢাকা টেস্টেও ইনজুরির কারণে ছিটকে যান।

 

ঢাকা/এলো




টিভিতে আজকের খেলা

ক্রিকেট

ভারত-ইংল্যান্ড
দ্বিতীয় টেস্ট, তৃতীয় দিন;
সরাসরি, সকাল ১০টা;
স্টার স্পোর্টস ওয়ান।

ফুটবল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ওয়েস্ট হাম-শেফিল্ড
সরাসরি, রাত ১২টা;
টি স্পোর্টস।

চেলসি-নিউক্যাসল
সরাসরি, রাত ২টা
টি স্পোর্টস।

আইএসএল
মুম্বাই সিটি-বেঙ্গালুরু
সরাসরি, রাত ৮টা;
স্টার স্পোর্টস টু।

ইতালিয়ান সিরি‘আ লিগ
হেলাস ভেরোনা-পারমা
সরাসরি, রাত ১টা ৪৫টা;
টেন টু।

টেনিস
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
সরাসরি, সকাল ৬টা;
সনি সিক্স ও টেন টু।

 

ঢাকা/আলো 




টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানের

মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম ফিফটি বঞ্চিত হলেও তাদের চল্লিশ ছাড়ানো দুটি ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে হারালো পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ জিতলো তারা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছিল পাকিস্তান। ৬৫ রানেই তারা সফরকারীদের ৭ উইকেট তুলে নেয়। কিন্তু ডেভিড মিলার ঝড়ে ৮ উইকেটে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৫ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের পক্ষে অভিষেক ম্যাচে লেগস্পিনার জাহিদ মাহমুদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান আলী।

লক্ষ্যে নেমে রিজওয়ান ও হায়দার আলীর ৫১ রানের জুটি ভালো শুরু এনে দেয়। হায়দার ১৫ রানে বিদায় নেওয়ার পর রিজওয়ানকে ৪২ রানে এলবিডাব্লিউ করেন তাবরাইজ শামসি। দ্রুত ফিরে যান হুসেইন তালাত (৫)। ৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ইনিংস সেরা ৪৪ রানে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের শিকার হন বাবর। তখন ১৪ ওভারে দলের স্কোর ৪ উইকেটে ১১২ রান।

পরের তিন ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান ঝড় তোলেন। তাতে শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল দলের। প্রথম বলে নো হয় এবং ছয় মারেন হাসান। পরে আরও একটি এক্সট্রা রানে শেষ চার বলে ৬ রান দরকার ছিল তাদের। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার ও ছয় মেরে দলকে জেতান হাসান। ১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান করে পাকিস্তান।

ঢাকা/আলো 




শচীনপুত্র অর্জুনের ছক্কা বৃষ্টি, খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস

হাত পাকিয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকারের পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার।

রোববার মুম্বাইয়ের স্থানীয় টুর্নামেন্টে ৩১ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দল জিতেছে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।

মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে চলছে ৭৩তম পুলিশ আমন্ত্রণ শিল্ড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেখানে এমআইজি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছেন অর্জুন। রোববার এ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ইসলাম জিমখানা ক্রিকেট একাডেমি। আগে ব্যাটিং করে এমআইজি ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান তোলে। জবাবে জিমখানা ক্রিকেট একাডেমি ৪১.৫ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়।

অর্জুন অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে ৫ চার ও ৮ ছক্কা হাঁকান। অফস্পিনার হাসির ডাফেদারকে এক ওভারে ৫ ছক্কা উড়ান। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আড়াল হয়েছে ওপেনার কেভিন ডি’ আলমেডিয়ার ৯৬ ও চার নম্বরে নামা প্রাগনেস কানদিলেয়ারের ১১২ রানের ইনিংস।

অর্জুনের এ পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দলগুলোকে ভাবাবে। প্রথমবার অর্জুন আইপিএলের নিলামের উঠেছেন। তার বেইস প্রাইজ ধরা হয়েছে ২০ লাখ রূপি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সিনিয়র দলের হয়ে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে অংশ নিয়েছেন তিনি।

 

ঢাকা/আলো 




১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো সু চির রিমান্ড

সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হবে।

মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বেশকিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ।  গত ৩ ফেব্রুয়ারি সু চির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে মিয়ানমারের একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে আমদানি ও রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেিছল আদালত।

পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, রাজধানী নেপিদুতে সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ওয়াকিটকি রেডিও পাওয়া গেছে। এগুলো বিনা অনুমতিতে ও অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




হাতির পিঠে ৫২ প্রেমিক জুটির বিয়ে

ভালোবাসা দিবসে থাইল্যান্ডে ৫২ প্রেমিক জুটি হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করেছেন। রোববার রাজধানী ব্যাংককের পূর্বদিকে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিয়ের কাজটি সারেন তারা।

রয়টার্স জানিয়েছে, হাতির র‌্যালির সামনেই ছিল নৃত্যশিল্পী ও ব্যান্ড পার্টি। হাতিগুলোর পিঠে ছিলেন প্রেমিক জুটি। বিয়ের কাজটি সারতে পৃথক হাতিতে ছিলেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা।

হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে অবশ্য থাইল্যান্ডে নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর চনবুরি প্রদেশের নং নুচ ট্রপিক্যাল গার্ডেনে এই আয়োজন হয়ে থাকে। অন্যান্য বছর প্রায় ১০০ জুটির বিয়ে হলেও এবার করোনার কারণে সংখ্যা ছিল কম।

ঢাকা/আলো




ইরানে করোনার চতুর্থ দফা ঢেউ শুরুর আশঙ্কা

করোনাভাইরাস রূপ বদলের কারণে ইরানে সংক্রমণের চতুর্থ দফা ঢেউ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শনিবার তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের বিস্তার রোধে ওই অঞ্চলের ৯টি শহরকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একই দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামাকি ইরানের মেডিকেল কলেজগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন দিন শুরু হয়েছে এবং আপনাদেরকে অবশ্যই সবচেয়ে অনিয়ন্ত্রিত রূপান্তরিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটি দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে মারা যাওয়া তিন জনের দেহে ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন রূপটি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে এক জন ৭১ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন। অথচ তার কোনো ভ্রমণ ইতিহাস নেই। রূপান্তরিত ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করেছে এবং শিগগিরই এটি শহর, গ্রাম কিংবা পরিবারের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাবে বলেও সতর্ক করেন নামাকি।

ঢাকা/আলো




ভালোবাসার মানুষদের কী উপহার দিলেন বুবলি?

শবনম বুবলি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবার নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভালোবাসার মানুষদের জন্য গিটারের সুর উপহার দিলেন তিনি।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বুবলি তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে একটি গানের অংশ বিশেষ গিটারে তুলেন তিনি। এ সময় বুবলি বলেন—সবাইকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার মনে হচ্ছিল, বিশেষ দিনটি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিশেষভাবে কাটাই। যারা একটু হলেও আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রতি বুবলির বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। কিন্তু মিউজিক ভীষণ পছন্দ করি। বিশেষ করে ইন্সট্রুমেন্ট। ছোটবেলা থেকেই গিটার ও পিয়ানো আমার কাছে বিশেষ। সেই জায়গা থেকেই আজকে আপনাদের জন্য গিটার প্লে করেছি। আমার অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমার একটি গানের অংশ গিটারে তুলেছি। আমি পেশাদার কোনো মিউজিশিয়ান না। সুতরাং কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না। জাস্ট মজা করে বাজিয়েছি।

 

ঢাকা/আলো 




একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসার ধুকধুকানি বেড়ে যায়

মৌসুমী-ওমর সানি

প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনুসহ অসংখ্য কালজয়ী প্রেমিকজুটি সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। সমাজের প্রতিটি নারী-পুরুষের মতো তারকারাও প্রেম-ভালোবাসার বাইরে নন। ভালোবাসার দুর্নিবার আকর্ষণ তাদের জীবন-যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দেশের অনেক তারকা পর্দার মতো বাস্তব জীবনে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। দেশের সফল তারকা জুটির মধ্যে ওমর সানি-মৌসুমী জুটি অন্যতম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নন্দিত এই তারকা জুটি রাইজিংবিডিকে শুনিয়েছেন তাদের প্রেম-বিয়ের গল্প।

প্রথম ভালোলাগা, প্রথম প্রেমের অনুভূতির স্মৃতিচারণ করেন মৌসুমী বলেন—‘‘সানির প্রথম সিনেমা ‘চাঁদের আলো’ দেখেই তাকে ভালো লেগে যায়। বিশেষ করে ওর ম্যানলি ভাবটা আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। পরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুকের ভেতর ভালোবাসার ধুকধুকানি আরো বেড়ে যায়। কিন্তু কখনো সরাসরি বলতে পারিনি। আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওর হাব-ভাব দেখে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে। একদিন সকালে আমার অনুমান সত্যি হলো। কারণ সেদিন সকালে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি মনে মনে এই দিনটির অপেক্ষা করলেও সেদিন সানির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে হেসে দিয়েছিলাম। সানি বলেছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। তখন সানিকে খুব নার্ভাস লাগছিল। তাই হেসে দিয়েছিলাম। এর পর থেকেই দুজন-দুজনেক বোঝা শুরু।’’

দাম্পত্য জীবনের ২৫ বছর পার করছেন ওমর সানি-মৌসুমী। সংসার জীবনের বোঝাপড়ার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আসলে সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যে বিষয়টি খুব জরুরি তা হলো—সত্য বলতে জানা। সানিকে আমি বিশ্বাস করি, সে কখনো আমার কাছে মিথ্যা বলে না। যে কারণে কে কী বলল, সেটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়, সানি কী বলল সেটাই আমি জানতে চাই।’

সংসার জীবনে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওমর সানি। তিনি বলেন, ‘সংসার জীবনে বিশ্বাস ও সম্মানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়াতে এটা আরো বেশি দরকার, কারণ এখানে কাজ করতে গেলে নানাজন নানা কথা বলেন। আমি গর্ব করি যে মৌসুমী ক্যারিয়ারে আমার চেয়ে এগিয়ে। বিষয়টিকে আমি সম্মান করি। আমি সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

ওমর সানির কোন বিষয়টি বেশি প্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন—‘সানি অন্যদের মতো নয়। যে কারণেই দীর্ঘ সময় আমরা সুখ-শান্তিতে একই ছাদের নিচে বসবাস করছি। আজ পর্যন্ত সানিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে হয়নি। সানির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, খুব সহজে মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। যত সহজে রাগে, তার চেয়ে তার দ্রুত রাগ কমে যায়। মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। এটি আমার খুব পছন্দ।’

একই প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া মৌসুমীর নাচ ও অভিনয়ের মধ্যে নিজস্বতা রয়েছে। সব মিলিয়ে সে ভালোবাসার মতোই একজন মানুষ।’

 

ঢাকা/আলো