দুর্গাপুরে ব্রিজের বেহাল অবস্থা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২৩ গ্রামের মানুষের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরস্থ বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে সেতুটি প্রায় ৯ বছর ধরে মুখ থুবরে পরে আছে। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে দু’টি ইউনিয়নের অন্তত ২৩ গ্রামের জনগনের। শুষ্ক মৌসুমে এ পথে সেতুর স্থানটি ধান ক্ষেত দিয়ে ঘুরে যাওয়া গেলেও বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতকারীদের ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও নারী-পুরুষ,বয়স্ক মানুষ ও রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানালেও এত দিনেও সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে বন্যার পানির তোড়ে আশপাশের ২৩ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি ধসে পড়ে। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় সড়ক থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ঐ ধসে পড়া সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এতে দক্ষিন

জাগিরপাড়া,নাওদ্বারা,জাঙ্গালিয়াকান্দা,চরপাড়া,ভাদুয়া,মুন্সিপাড়া,হাতিমারাকান্দা,নন্দেরছটি,পূর্বনন্দেরছটি,বন্ধউসান,গৌরাখালী,কান্দাপাড়া,কৃষ্ণপুর,আটলা,নিশ্চিন্তপুর,বারইপাড়া,হারিয়াউন্দ সহ প্রায় ২৩টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা সেতুটি কবে নির্মিত হবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,দীর্ঘদিনের ধসে পড়া সেতুটি সংস্কার বা পূণঃনিম্মান না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই সেতুটি মুখ থুবরে পরে থাকায় গাঁওকান্দিয়া ও বিরিশিরি এই দুই ইউনিয়নের লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ধসে পড়া সেতু ও রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে যানবাহন ঢুকতে না পারায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

জাগিরপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ আজিজুল হক বলেন,’ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না’। কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন,এখানে সেতু না থাকায় তাঁদের মতো কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁরা কৃষিপণ্য শহরে সহজে নিয়ে যেতে পারেন না। কৃষিপণ্য গ্রামেই বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে ভালো মূল্যও মিলছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। শিক্ষার্থী মোমেন আহাম্মেদ বলেন, ‘এ সড়কে প্রতিদিন কয়েকশত ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে বেশি অসুবিধা না হলেও বর্ষা মৌসমে এদিক দিয়ে আমরা কলেজে যেতে পারি না। অন্য সড়কে অনেক ঘুরে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। সঠিক সময়ে কলেজে যেতে হলে সময়ের অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়’। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাতেম আলী বলেন,সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি এরপরও কোন সুরাহা মেলেনি।
বিরিশিরি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু বলেন,ওই সেতুর ওপর দিয়ে শহরে যেতে মানুষ চলাচল করত। সেতু ভাঙা থাকার কারণে এলাকার লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জানিয়েছি ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন ব্রিজ সেংশন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোয়াজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,এই সেতুটি আমাদের না। সেতুটি(এলজিইডি)করেনি। তিনি আরও বলেন,ওই এলাকার সড়কটিই এলজিইডি’র আইডিভুক্ত না তাহলে সেখানে সেতু নির্মাণ কিভাবে করবে। তবে ওই সড়কটি (এলজিইডি) আইডি ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়েছি এবং উল্টে থাকা ব্রীজটির জায়গায় একটি তিন ব্যাল্ড কালভাট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।




চট্টগ্রামে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৯৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মৃদু এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৭ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দুটি দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪১ হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটে।

জোড়া এই ভূমিকম্পের পর ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এক গোলটেবিল বৈঠকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৩ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তুলে ধরে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।




কোটা পূরণ না হলেও হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
কোটা পূরণ না হলেও হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত হজ কোটা পূরণ না এবছর নয়বার সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কিছু কোটা বাকি রয়েছে।

এখন হাতে আর কোনো সময় নেই। তাই ওটা (কোটা) পূরণ না হলেও এ বছর হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কারণে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত থেকেও হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা কমেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হজযাত্রী সংখ্যা তুলনা করলে অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো।

হজ শেষ হলে আপনারা দেখতে পারবেন অন্যান্য দেশ কতো সংখ্যক হজ কোটা ফেরত দিয়েছে। তারপরও আমরা বলব, বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা ভালো হওয়ায় এক লাখ বিশ হাজারের মতো হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন।




এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরোটা সরকার থেকে পান। এর সঙ্গে সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয় তাঁদের। তবে বেসরকারি হওয়ায় তাঁরা সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পান। এই সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)।

তাই সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন)। সেখানে আলোচনার জন্য এ প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চেয়ারম্যান করাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে এ রকম অন্তত ২৪৪টি প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে তিন দিনে ২৪টি অধিবেশনে এসব প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।




১৯তম সংসদ অধিবেশন শুরু ২৮ আগস্ট

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২৮ আগস্ট একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন শুরু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২৮ আগস্ট রোববার বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।




অসমাপ্ত পরীক্ষা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে রাবি ছাত্র উপদেষ্টার চিঠি

স্থগিত হওয়া পরীক্ষা পুনরায় চালু করার অনুমতি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান।

বুধবার (৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর তিনি এ চিঠি পাঠান।

চিঠিতে অধ্যাপক লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে বিভিন্ন বর্ষের চলমান পরীক্ষা আটকে যায়। সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিভিন্ন বিভাগ। কিন্তু গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলমান পরীক্ষা পুনরায় স্থগিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় মেস ও বাসা ভাড়া করে অবস্থান করছিল। এদের বেশিরভাগই দুই-তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে মেসে উঠতে হয়েছিল। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র উপদেষ্টা।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে আটকে যাওয়া বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষাগুলো গত ২ জানুয়ারি থেকে নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে কয়েকটি বিভাগ। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় প্রশাসন।




নাটকীয় জয়ে ফাইনালে বার্সেলোনা

স্প্যানিশ কোপা ডেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে নাটকীয় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। আর এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের।

কোপা ডেল রের সেমিফাইনাল প্রথম লেগে সেভিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে অতিরিক্ত সময়ে তাদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালানরা।

অবশ্য অতিরিক্ত সময়ে ৯০+২ মিনিটের মাথায় সেভিয়ার ফার্নান্দো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিনথ হয়। এরপর ১০৩ মিনিটের মাথায় লুক ডি ইয়ং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তাতে বাকি সময় ৯ জন নিয়ে খেলতে হয় সেভিয়াকে। ৯ জন নিয়ে খেলে বার্সেলোনার মতো দলের বিপক্ষে আর পেরে ওঠেনি তারা। তাতে ফাইনালেও যাওয়া হয়নি তাদের।

১৭ এপ্রিল কোপা ডেল রের ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাও অথবা লেভান্তের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।

ঢাকা/আলো 




ইনস্টাগ্রামে আশা যেভাবে ধরা দেন

২০১২ সালে ‘ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন লুৎফুন্নাহার আশা। তবে শোবিজে তিনি ‘আজমেরি আশা’ নামেই পরিচিত। ৯ বছরের ক্যারিয়ারে টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করার পাশাপাশি নাটকে অভিনয় করেও সুনাম অর্জন করেছেন। বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও এবং একাধিক ওয়েব সিরিজেও দেখা গেছে তাকে।

আজমেরি আশা অভিনয়ে যেমন পটিয়সী তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভক্তদের নজরকাড়তে জানেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি মানেই হাজার হাজার লাইক। রূপসী এই অভিনেত্রীর কিছু ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের ফটো ফিচার। ছবিগুলো ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।

আজমেরী আশা ২০১২ সালের ভিট তারকাদের একজন। তিনি এই রিয়েলিটি শোতে প্রথম রানার্সআপ হয়েছিলেন। এরপর ‘ক্লোজআপ-কাছে আসার গল্প’র বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান

২০১২ সালে তাহসানের বিপরীতে ‘তৃতীয় মাত্রা’ নামক একটি টেলিফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে আশার কাজের শুরু

 

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ালেখা করেছেন আশা

 

 

আশার পরিবারে আরো একজন আছেন মিডিয়ায়। তিনি হলেন আশার ছোট বোন মডেল-অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা

 

গড়পড়তা কাজ করায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না আশা। অভিনয়ে সংখ্যার আধিক্যের চেয়ে গুণগত মানে প্রাধান্য দেন তিনি। যে কারণে তার ঝুলিতে বিজ্ঞাপনের তুলনায় নাটকের সংখ্যা কম

 

সম্প্রতি ‘আমার ফিলিংস নেই’, ‘পাগল হমু ক্যামতে’ এবং ‘ছোট ভাইয়ের বউ’ শিরোনামে তিনটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন আশা

 

ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয়তা রয়েছে আশার। ইনস্টাগ্রামে এ অভিনেত্রীর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ

ঢাকা/আলো 




মহামারিতেও উত্তরবঙ্গে চা উৎপাদনে রেকর্ড

উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার ১০ হাজার ১৭০ দশমিক ৫৭ একর জমির ২৭টি চা বাগান এবং ৭ হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে চা উৎপাদন হয়েছে এক কোটি তিন লাখ কেজি।

লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯৫ লাখ কেজি। বিগত বছরের তুলনায় ৭ লাখ ১১ হাজার কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা। এই করোনাকালীন সময়ে যা সর্বোচ্চ রেকর্ড, বলেছে চা বোর্ড।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চা বোর্ড জানায়, এবছর উত্তরবঙ্গের এসব বাগান থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের চলমান ১৮টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি তিন লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড আরো জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিলো ৮ হাজার ৬৮০ দশমিক ৮৬ একর এবং উৎপাদন হয়েছিলো ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি। সেই তুলনায় ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উৎপাদনও বেড়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার কেজি।

পার্বত্য ও সিলেট অঞ্চলের পর তৃতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়।  পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে।  আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে।  চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে।  সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কর্মসংস্থান।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জাহিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে বুঝা যায় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম।

 

তিনি আরো বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।

 

শামীম আল মামুন আরো বলেন, ‘এ বছর ক্ষুদ্র চাষিরা কাঁচা পাতার ন্যায্যদাম পাওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে।  নতুন নতুন চা আবাদীও বাড়ছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/আলো 




ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ বেতারের ‘তারুণ্যের কণ্ঠ’

তরুণ-তরুণীদের মাঝে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতারের ‘তারুণ্যের কণ্ঠ’ বহিঃধারণকৃত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাল্যবিয়ের কুফল ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেল নিয়মিতভাবে এই অনুষ্ঠান করে থাকে।

অনুষ্ঠানে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বাংলাদেশ বেতারের ‘তারুণ্যের কণ্ঠ’ অনুষ্ঠান অনবদ্য ভূমিকা রাখছে।’

অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশ বেতারের এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।’

সজীব দত্তের সঞ্চালনায় উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) তোফাজ্জল হোসেনের প্রযোজনায় ধারণকৃত এ অনুষ্ঠানটি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ৮.১০ মিনিটে ঢাকা-ক এবং এফএম ১০৬ মেগাহার্জে ও বাংলাদেশ বেতারের অ‌্যাপসে শোনা যাবে।

ঢাকা/আলো