নিবন্ধন পাচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদসহ ১০ দল

dnb news :

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ল নানাভাবে আলোচিত ও সমালোচিত গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) আরও ৯টি দল ছিটকে পড়ছে নিবন্ধনের তালিকা থেকে।

মাত্র দুটি দল এবার ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে। দল দুটি হলো— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নতুন দুটি দলের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৭ জুলাই) পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি।

আজ রোববার ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি।

কমিশনসভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

এদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে দলের নিবন্ধন নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে গণঅধিকার পরিষদের ছিটকে পড়ার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নিব এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে দুটি দল টিকেছে পরবর্তী ধাপের বাছাইয়ের জন্য। অর্থাৎ প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দলই বাদ পড়েছে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড় থেকে।

জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল ছিল। সেগুলো হচ্ছে— আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।

ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কিনা তা দুই দফা যাচাই করেছে ইসি। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।




এবার ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে তাওরাত ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দিলো সুইডেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন পোড়ানো এবং তার জেরে মুসলিম বিশ্বে সৃষ্ট ক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক ব্যক্তিকে ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত এবং খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুইডেনের পুলিশ।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, এক ব্যক্তি এই দিন রাজধানী স্টকহোম পুলিশ বরাবর তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে তিনি বলেন, গতমাসে স্টকহোম কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় তিনি এবং তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার তিনি এবং তার বন্ধুরা ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে তাওরাত ও বাইবেল পোড়াতে চান।

স্টকহোম পুলিশ এই আবেদন অনুমোদন করেছে। তবে শর্ত দিয়েছে— এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আবেদনকারী তার সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন সঙ্গীকে রাখতে পারবেন।

গত ২৯ জুন স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এক প্রতিবাদ মিছিলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এই কাজ যিনি করেছিলেন, তিনি শরণার্থী হিসেবে সুইডেনে গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তুরস্ক, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশসহ মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। মুসলিম বিশ্বের উদ্যোগে গত ১২ জুলাই এ বিষয়ক একটি প্রতিবাদ প্রস্তাব (রেজোল্যুশন) পাস করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। পরিষদের ৪৭টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ২৮টি সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোটও দিয়েছে। তবে এই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ উন্নত দেশের মতো সুইডেনের সংবিধানে জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল হয়েছে সুইডেনে এবং দেশটির রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে চেয়ে স্টকহোম পুলিশ বরাবর ইমেইল করেছিল এপি। জবাবে পাল্টা ইমেইলে স্টকহোম পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছি এবং বলেছি— কোনো প্রকার সহিংসতা করা যাবে না।’

এদিকে স্টকহোম পুলিশকে এই অনুমোদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিতে সুইডেনের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ। এক বিবৃতিতে হেরজগ বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। এখন আমাদের ধর্মগ্রন্থ তোরাহ পোড়ানোর অনুমোদন দেওয়ার তথ্য জানতে পেরে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’




রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক ।।

সমাবেশে একদফা ঘোষণার পরদিন এবার রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা যৌথ রূপরেখা ঘোষণা করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৩১ রূপরেখা ঘোষণা করা হলো।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন বা নির্বাচনের জন্য নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য এই রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। জনগণের চাহিদা পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে বিএনপিকে জনকল্যাণমূলক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন দল, জনগণ, গণমাধ্যমের প্রস্তাবনা বিবেচনায় রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে থাকা দলগুলো থেকে জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করা হবে।

বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা

১. সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী একটি নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
২. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

৩. সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী সভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয় করা হবে।

৪. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।

৫. বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে।

৬. আস্থাভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত এমন বিষয় ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

৭. রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও বিশিষ্টজনের মতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হবে। ইভিএম নয়, সকল কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করা হবে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা হবে।

৮. রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠান আইনি সংস্কারের মাধ্যমে পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

৯. বাংলাদেশের সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে। অধঃস্থন আদালতগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের কর্তৃত্ব সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিমকোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক সচিবালয় থাকবে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে সংবিধানে বর্ণিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। এজন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে বিচারক নিয়োগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের ৯৫ (গ) ধারা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও মানদণ্ড সংবলিত ‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’ প্রণয়ন করা হবে।

১০. যোগ্য, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন সংস্কার ও পুনঃগঠন করা হবে। বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে যোগ্যতা একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

১১. গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী এবং অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে।

১২. গত দেড় দশকে অর্থপাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের পাশাপাশি পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে ‘দুদকের’ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।

১৩. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটানো হবে। সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১৪. অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে। প্রবৃদ্ধির সুফল সুষম বণ্টনের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করা হবে।

১৫. দলমত ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র-বৃহৎ সব জাতি-গোষ্ঠীর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ও পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে।

১৬. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হইবে। শিশু-শ্রম বন্ধ করে তাদের জীবন বিকাশের উপযোগী পরিবেশ ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হইবে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা হবে। পাটকল, বস্ত্রকল, চিনিকলসহ সব বন্ধ শিল্প কারখানা আবার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা, দেশে বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে হয়রানি মুক্ত সেবা ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হবে। চা-বাগান, বস্তি, চরাঞ্চল, হাওড়-বাওর ও মঙ্গাপীড়িত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বৈষম্য দূরীকরণ ও সুষম উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

১৭. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি বাতিল করা হবে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করা হবে। আমদানি নির্ভরতা পরিহার করে নবায়নযোগ্য ও মিশ্র এনার্জিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং উপেক্ষিত গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আবিষ্কার ও আহরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৮. বৈদেশিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৯. স্বকীয় মর্যাদা বহাল রেখে প্রতিরক্ষা বাহিণীকে সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হবে।

২০. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও অন্য কোনো জনপ্রতিনিধির খবরদারি মুক্ত স্বাধীন স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করা হবে। মৃত্যুজনিত কারণ কিংবা আদালতের আদেশে পদ শূন্য না হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হবে না। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশবলে বরখাস্ত করা হবে না।

২১. স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা হবে এবং তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই তালিকার ভিত্তিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।

২২. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

২৩. নারী ও শিশুদের জীবনমান বিকাশে যুগোপযোগী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

২৪. শিক্ষাক্ষেত্রে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। একই মানের শিক্ষা ও মাতৃভাষায় শিক্ষা অগ্রাধিকার পাবে। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

২৬. স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করে সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু হবে। জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন না হওয়া পর্যন্ত সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও সম্প্রসারিত করা হবে।

২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে কৃষিপণ্যের জন্য সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শস্যবীমা, পশুবীমা, মৎস্য বীমা ও পোল্ট্রি বীমা চালু করা হবে। কৃষি জমির অকৃষি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হবে। রপ্তানিমুখী কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প খাতকে প্রণোদনা দেওয়া হবে।

২৮. সারা দেশে সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। দেশের সমুদ্র বন্দর ও নৌবন্দরগুলোর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হবে।

২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও ক্ষতি মোকাবিলায় টেকসই ও কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করা হবে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। বন্যা ও খরা প্রতিরোধে খাল-নদী খনন পুনঃখনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

৩০. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মহাকাশ গবেষণা এবং আনবিক শক্তি কমিশনের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক সুযোগ সমৃদ্ধ করা হবে।

৩১. একটি জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শহরে ও গ্রামে কৃষি জমি নষ্ট না করে এবং নগরে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ কমিয়ে পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়নের নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠির আবাসন নিশ্চিত করা হবে।




সুইডেনে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

dnb news :

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, সুইডেনে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অবমাননার মধ্য দিয়ে বিশ্বের দুই শত কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এই জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সুইডেনে আল-কুরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিশ্ব মুসলিম কোনভাবেই বরদাশত করবে না।

গত ঈদুল আযহার দিন সুইডেনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কঠোর নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবী জানান।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক
সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সহ- বায়তুলমাল সম্পাদক মো: জিল্লুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ
খন্দকার, হাজী নূর হোসেন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক আবদুল করিম, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূইয়া, কাজী আরিফুর রহমান, মো: আবুল কালাম, আমীর আলী হাওলাদার, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সেলিম হোসাইন, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।

সমাবেশের পর পূর্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।




দুর্গাপুরে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার

dnb news :
নেত্রকোণার দুর্গাপুর কংস নদীর মুচার বাড়ী ফেরীঘাটে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১৫ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরবর্তী ডেউটুকুন ফেরীঘাটের জেলেদের জাল থেকে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে, তার নাম মাহাবুব (১২) সে ডেউটুকুন গ্রামের রেনু মিয়া পুত্র। মাহাবুব এর মরদেহ উদ্ধার করতে পারলেও এখন পর্যন্ত ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হচ্ছে ডেওটুকুন গ্রামের মৃত আবু সিদ্দিকের পুত্র স্বপন মিয়া (২৫) ও আগমারকেন্ডা গ্রামের সাহেদ উদ্দিনের পুত্র সোহেল (২১)।
উল্লেখ্য, (৫ জুলাই) বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার মুচার বাড়ী ফেরীঘাট থেকে ২০/২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ফেরী নৌকা দিয়ে কংস নদী পারাপারের সময় নদীর তীব্র স্রোতে হঠাৎ কাৎ হয়ে
নৌকা ডুবির ঘটনায় বেশীরভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও নৌকার ৩ যাত্রী নিখোঁজ হয়।
পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আবু সাইদ জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে কংশ নদীতে বাকী দুই জনের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে।




গোপালগঞ্জে ট্রাক-অ্যাম্বুল্যান্স সংঘর্ষ, নিহত ৪

dnb news :

গোপালগঞ্জে ট্রাক ও অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো চারজন। বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার আরামবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

জাবেদ মাসুদ জানান, রোগী নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঘোনাপাড়াগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়ি দুটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে একজন এবং হাসপাতালে আনার পর আরো দুজনের মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার জুয়েল সরকার বলেন, দুজন হাসপাতালে আনার আগে ও দুজন হাসপাতালে আসার পর মারা যান। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




টাঙ্গাইলে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ২

dnb nes :

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে বাসচাপায় সিএন‌জিচা‌লিত অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

আজ বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সা‌ড়ে ৭টার দি‌কে জামালপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চ‌লিক মহাসড়‌কের উপ‌জেলার ছাত্তারকা‌ন্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জামা‌লপুরের স‌রিষাবা‌ড়ি উপজেলার মৃত গিয়াস উদ্দি‌নের ছে‌লে হা‌লিম ও একই উপ‌জেলার ডোয়াইল গ্রা‌মের ম‌জিবর রহমানের ছে‌লে ওয়াজেদ।

ধনবা‌ড়ী থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. ইদ্রিস আলী বলেন, সকালে ঢাকাগামী একটি বাস ধনবাড়ি উপজেলার ছাত্তারকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থ‌লে দুজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন আরও চারজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ধনবা‌ড়ী উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো।

ধনবা‌ড়ী উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্সের মে‌ডি‌কেল অফিসার ডা. আল আমিন ব‌লেন, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে হাসপাতা‌লে আনা হয়। এদের ম‌ধ্যে তিনজন‌কে উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।




দুর্গাপুরে অটো চালকের লাশ মিলল ব্রিজের নিচে

dnd news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্রিজের নিচ থেকে এরশাদুল হক (৪০) নামের এক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বড়বাট্টা গ্রামের একটি ব্রিজের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত এরশাদুল হক একই ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। সে পেশায় অটো চালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সকালে বড়বাট্রা গ্রামের ডেওটুকোন সড়কের গাবিনা নামক একটি ব্রিজের নিচে পানিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মৃতের লাশ উদ্ধার করে।

দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাদেক মিয়া বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।




ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ, ছুটির প্রথম দিনে কমলাপুরে ভিড়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহা বৃহস্পতিবার। পরিবারের সঙ্গে কোরবানির ঈদ উদযাপনে গত কদিন ধরেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে আজ মঙ্গলবার সরকারি ছুটির প্রথম দিনে গত কয়েকদিনের তুলনায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেশি দেখা গেছে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, একদিকে ছুটি শুরু, অন্যদিকে ট্রেনে নিরাপদ ভ্রমণ হওয়ায় সবাই ঘরে ফিরতে কমলাপুরমুখী হচ্ছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এমন ভিড় হতে পারে বলে জানান তারা।

ঈদুল আজহার আগে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল সোমবার। অফিস শেষ করেই অনেক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তবে আজ সকাল থেকেই আসল চাপ পড়েছে কমলাপুরে।

যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলেও রেল স্টেশনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা গেছে। টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনাটিকিটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।

আজ প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ট্রেনযোগে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বলে জানা গেছে। কমলাপুর স্টেশন থেকে লোকাল-আন্তঃনগর মিলে ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া, রয়েছে এক জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। আর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে আরও দুই জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে আজ।

এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত তেমন অভিযোগ না এলেও মঙ্গলবার দিনের শুরুর ট্রেন বিলম্ব হওয়া ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা।

ঈদুল ফিতরের মতো এবার ঈদুল আজহাতেও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।

আর ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হয় ফিরতি ট্রেনের টিকিট।

এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এবার ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৯ হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হবে। আর কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়বেন আজ।

এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।




‘ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন’

DNB NEWS :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে। সরকারের প্রতি জনগণের কোন প্রকার আস্থা না থাকলে যা হয়, এখন তাই হচ্ছে, দেশ এখন হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় চলমান সঙ্কট নিরসনকল্পে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস নেই। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক সংকট ঘনিভূত হচ্ছে। সরকার যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় পুনরায় যওয়ার ফন্দি ফিকির করছে। তিনি বলেন, সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে দেশের জনগণের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে এবং দেশে আরও একবার সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, বরকত উল্লাহ লতিফ, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সদস্য ডা: দেলোয়ার হোসেন, আল-ইকবাল প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে না। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি করেছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজনের পাঁয়তারা চলছে। মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দলীয় সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয় নাই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করাই দলীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকে। ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। ঈদের পর নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামী আন্দোলন। সে লক্ষ্যে শীঘ্রই কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।