হাওরে ধান কাটা উৎসবে মাতোয়ারা কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগেভাগে ধান কাটার ধুম পড়েছে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। কড়ারোদ অগ্রাহ্য করে মাঠে ছুটছেন কৃষক। হাতে কাস্তে, মুখে হাসি। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি ঘেমে-নেয়ে ধান কাটছেন তারা। নতুন ধানের নেশায় মাতোয়ারা সবাই। আবহাওয়া ভালো থাকায় একরে শতমন ধান হয়েছে।

সূর্যের তাপ যেন আগুনের হলকা। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে গায়ে ফোসকা পড়ে অবস্থা। এই আগুনে সূর্যের নিচে মাঠভরা বোরোধান। ৮০ ভাগ পাকলেই ধান কাটার তাগিদ ছিল কৃষি বিভাগের, এই কড়ারোদ উপেক্ষা করে সেই কাজটিও করে দেখিয়েছে হাওরের কৃষক। গরমে কষ্ট হলেও আর কিছু দিন এমন রোদও চায় তারা, যেন শতভাগ ধান গোলায় উঠাতে পারে।

ইমান আলী (৬১) বাড়ির সামনে খড় শুকাচ্ছিলেন। রোদেপুড়ে গায়ের রং যেন তামাটে বর্ণের। গামছা বাঁধা মাথায় ঝরঝর করে ঘাম ঝরছিল গা থেকে। দীর্ঘক্ষণ কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের এই কৃষকের চাষবাস বাড়ির সামনের বড় হাওরে। এবছর কেমন ধান হলো? প্রশ্ন শুনেই কুঁচকানো মুখের রেখায় রেখায় ফুটে উঠে প্রশান্তির হাসি। ‘এইবার ইচ্ছামতো ধান অইছে বাপ। চিন্তাও করি নাই এমুন ধান অইব। অক্করে ১০০ মণ।’

করিমগঞ্জ-নিকলীর আবদুল হামিদ সড়কের দুপাশে দিগন্তজোড়া হাওর। মাইলের পর মাইল কেবল ফসলি জমি। এ সড়কটি এখন হয়ে উঠেছে ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের স্থান।

বাড়ির বউ-ঝি থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও দিনরাত এক করে কাজ করছেন। এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিরাও ঘরে বসে নেই। মজলিসপুরের ধানের খলায় দেখা গেল, ছেলেদের সঙ্গে ধান মারাইয়ের কাজ করছেন জাহেরা বেগম (৭৫)। ঝাড়ু নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধানগুলো ঠিকঠাক করছেন। হাঁপ ছেড়ে সোজা হয়ে বললেন, ঘরে বইয়া থাকতে ভাল্লাগেনা, পুতাইনরা কষ্ট করতাছে আমি বইয়া থাহি ক্যামনে। রইদে কষ্ট অইলেও যতখানি ফারি করতাছি।

কয়রাকান্দা হাওরে ২০জনের ধানকাটা শ্রমিকের একটি দল ধান কাটছিল। তাদের একজন সোহরাব উদ্দিন (৩৫)। তিনি জানালেন, ১৬ কাঠা জমির ধান কাটলে তারা পাবে ২০ মণ ধান। মৌসুম শেষে এবার প্রত্যেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। তিনিও জানালেন, এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণ কৃষক আলমগীর (৩০)। তিনি জানালেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু জাতের ধান ছাড়া ব্রি-ধান ৮৯,৯২,৯৮ এবং হাইব্রিডসহ সব ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। রসিকতা করে হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘এবার ধানের ফলনে আমরা কৃষকরা সেঞ্চুরি করেছি। একরে শত মণ ধান হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট অর্জন বা সাফল্য বলা যায়।’

কৃষকরা জানান, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গিয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে আগভাগে ধান কাটা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ধান কেটে ঘরে তুলতে চান তারা। এ কারণে হাওরে অন্যবারের চেয়ে ব্যস্ততা বেশি।

ধান কাটার পাশাপাশি ধানের কেনাবেচাও শুরু হয়ে গেছে। বাল্কহেড ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় প্রতিদিন শত শত মণ ধান আসছে করিমগঞ্জের চামড়াঘাটের আড়তগুলোতে। সেখানে কথা হয় ইটনার ছিলনি গ্রামের আব্দুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ধারকর্জ করে এবার চার একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ভালো ধান হয়েছে। তবে প্রতিদিন দাম একটু করে কমছে। ঋণের টাকা পরিশোধ ও শ্রমিক খরচ মেটাতে শুরুতে কিছু ধান বেচতে হয় আমাদের। কিন্তু আড়ত মালিকরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম কম দিচ্ছেন। মোটা ধান বেচতে হচ্ছে ৮৫০টাকা মণ দরে। অথচ এক মণ ধান চাষে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকারও বেশি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কৃষকরা যদি ন্যায্যমূল্য না পায়, তাহলে কৃষিকাজে আগ্রহ আর থাকবে না। কত দিন আর বঞ্চিত হবে তারা।

তবে সেখানকার আড়তদার জামাল আহমেদ বলেন, চামরাঘাট আড়তে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার ধান কেনাবেচা হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের দাম বেশি পাচ্ছে কৃষক। মোটা ৮৫০ ও চিকন ধান ৯৫০টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কিশোরগঞ্জে এ মৌসুমে ১ লাখ ৬৭হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কেবল হাওরেই আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বললেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। একরে শত মণ ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো দ্রুত কাটা হচ্ছে। দিনরাত পরিশ্রম করে কৃষকরা ধান ঘরে তুলছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টারও নামানো হয়েছে। আবহাওয়া এখনো কৃষকের পাশে আছে বলেই তারা রোদে কষ্ট হলেও আনন্দের সঙ্গে ধান কাটতে পারছে। প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ, আবহাওয়া আর কয়েকটা দিন ভাল থাকলে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।




খাগড়াছ‌ড়িতে বজ্রপা‌তে মাদরাসার ছাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরফাত হো‌সেন (১০) না‌মে এক শিশু খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২‌ মে) সকা‌লে উপ‌জেলার বর্ণাল ইউ‌পির ৯নং ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর এলাকা  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আরাফাত স্থানীয় ইউসুপ মিয়ার ছে‌লে ও ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য মো. আবু বক্কর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, সকা‌লে বাতা‌সের মধ্যে বা‌ড়ির আঙ্গিনায় ৩/৪জন শিশুসহ খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে আরাফা‌তের মৃত্যু হয়।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




হজযাত্রীদের এ বছর ‘নুসুক কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে ‍‘নুসুক’ নামে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধভাবে হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ।

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে নতুন উদ্যোগ নিল দেশটি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ‘নুসুক কার্ড’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

বিভিন্ন দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর সৌদির স্থানীয় হজযাত্রীরা হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

হজ মন্ত্রণালয় ‘নুসুক কার্ড’কে একটি সরকারি মুদ্রিত কার্ড হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা বৈধ হজযাত্রীদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করবে। সৌদি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কলানা’র মাধ্যমে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন ব্যবহার করা যাবে।

হজ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজযাত্রীদের অবশ্যই নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ পারমিট নিতে হবে। কারণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া হজ করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।

বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ বছর নতুন কৌশলের আওতায় হজ প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।




জামিন পেলেন ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ ‘‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ – স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শ্রমিক লীগ, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন, সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের উদ্দ্যোগে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উওোলন শেষে উপজেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তিতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়াল) বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন।

অপর দিকে উপজেলা পরিষদের সোমেশ^রী মিলনায়তনে ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্গাপুর সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. আক্কাস আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে নিহত শ্রমিকদের জন্য দোয়া, আলোচনা সভা ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।




মহান মে দিবসে সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে যে কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা দিতে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এ শিল্পের কর্মহীন এবং দুস্থ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ তিন মাসের নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তর করেছি। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। মে দিবসের চেতনায় দেশের শ্রমিক-মালিক ঐক্য জোরদার করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এটাই হোক আমাদের মে দিবসের অঙ্গীকার।




থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে, ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।

প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়েছে, থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর সেখানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

ছয়দিনের এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন শেখ হাসিনা, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

নথিগুলোর মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়-সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।

শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন।

এর আগে ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতার প্রতি যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রাণী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।




কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশুদের নিয়ে ভিজলেন ডিএনসিসি মেয়র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের  ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে।’




দুর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন কারী ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগের কপি দায়ের করেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে অভিযোগ পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দ্ল্লুাহ্ হক। অভিযোগে তারা বলেন, আমরা আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমরা মনে করি, দুর্গাপুর থানার ওসি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ শুরু করে বিভিন্ন উস্কানীমুলক কথা বলে নির্বাচনের পরিবেশ অবনতি ঘটাতে চাচ্ছেন। আমরা তার এরকম কার্যক্রমে শঙ্কিত। থানার ওসির এরকম আচরণের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ থাকবে না বলে আমরা মনে করছি। এমন ঘটতে থাকলে আমরা আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। ওসির এরকম কর্মকান্ডের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। ওসি উত্তম চন্দ্র দেব কে দুর্গাপুর থেকে অবসারণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর নিকট দাবী জানাই।

এসময়, চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভীন আক্তার, কামাল পাশা, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, ফারুক আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিতের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করছি বলে আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ই মে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।