আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে: সেতুমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী বছর জুনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৯ আগস্ট) মেট্রোরেলের ‘ভায়াডাক্টের উপর মেট্রো ট্রেনের প্রথম চলাচল পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আগামী বছর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা; তিন জেলার এই তিন অংশবেষ্টিত পদ্মা নদীর পাড়ে পূর্ণদমে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে পদ্মা সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব (ডেক স্ল্যাব) বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর গত ২০ জুন শেষ হয়েছে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

গত ২৩ আগস্ট সড়কপথের শেষ স্ল্যাবটি বসানোর পর পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজের ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের সবকটি বসানো শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাঝখান দিয়ে গ্যাসলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে শেষ হতে চলছে রেললাইনের কাজও। আগামী বছরের জুনের আগেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা হবে। এ জন্য এ প্রকল্পে কর্মরত সবাই একযোগে দিনরাত কাজ করে চলেছেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।

সব মিলিয়ে আগামী মে মাসেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব। তবে সেতু বিভাগ জানিয়েছে, দিনক্ষণ ঠিক করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর।




রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৭ জন গ্রেফতার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৩টি মামলা হয়েছে।

অভিযানে গ্রেফতার ৫৭ জনের কাছ থেকে ২৬ হাজার ৮৬৫ পিস ইয়াবা, ১৩৯ দশমিক ৫ গ্রাম ৬২ পুরিয়া হেরোইন ও ২২ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।




বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় আ. লীগের ৯ নেতাকর্মীর জামিন

ডিএনবি নিউজ  ডেস্ক:

বরিশালে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছে আদালত।

আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- ইকতিয়ার উদ্দিন, আব্দুল সালাম মনু, আলো গাজী, মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, হুমায়ুন হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন।

এদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উভয় মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকি ছয়জন পুলিশের দায়েরকৃত জিআর- ৫৯৭/২১ নম্বর মামলার আসামি।

আদালতের সরকারি নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দে এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম ঝন্টু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ এবং ইউএনও পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান আসামি করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া বিসিসি’র ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ২। গত সোমবার গ্রেপ্তারকৃত ১৮ আসামির জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

এ ছাড়া গত ২১ আগস্ট রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় ১৮ আগস্টের ঘটনায় সিটি মেয়র এবং প্রশাসনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। সবশেষ বুধবার ১২ আসামির জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, আমরা আদালতের নিয়ম মেনে জামিনের আবেদন করেছি। বাকি আসামিদের জামিনের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন জানানো হবে। আশা করছি আদালত বাকি আসামিদের জামিন মঞ্জুর করবেন।




এবারও সংসদ অধিবেশনে যেতে পারবেন না সাংবাদিকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বুধবার সংসদ সচিবালয় ‘আসন্ন অধিবেশনে সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি নির্দেশনা’ শীর্ষক একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।

সেখানে বলা হয়, “সাম্প্রতিক করোনা মহামারিজনিত ভাইরাস (কোভিড ১৯)-এর সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে অধিবেশনের সকল কার্যক্রম ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ এর সরাসরি সম্প্রচার হতে কাভার করার জন্য সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

“করোনা পরিস্থিতিতে অধিবেশনকালীন গণমাধ্যমের সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দকে পাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।”

আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় বসছে সংসদের অধিবেশন।

সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের এক অধিবেশন থেকে আরেক অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেওয়ার সুযোগ নেই।

গত ৩ জুলাই শেষ হয়েছিল সংসদের বাজেট অধিবেশন।

মহামারীকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো শুরু হতে যাওয়া অধিবেশনটিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হবে বলে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।




খেলা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না ফুটবল খেলোয়ার আব্দুল হাকিম

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফুটবল খেলা শেষে নদীতে হাত-পা ধৌতকরণের সময় আব্দুল হাকিম (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের সোমেশ্বরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল হাকিম দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে মেনকিফান্দা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাকিম দীর্ঘদিন যাবত একই গ্রামে মামার বাড়িতে থাকতো। সে মৃগী রোগী ছিল এবং পানি দেখলে মাঝে মধ্যে খিঁচুনি ওঠতো। ওইদিন বিকেলে সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ্যায় মামার বাড়ির সামনে নদীতে হাত-পা ধুতে হাঁটু পানিতে নামেন আব্দুল হাকিম। এসময় হঠাৎ তার খিঁচুনি দেখা দিলে তার মামাতো বোনের চিকৎকারে বাড়ির লোকজন হাকিম কে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, হাকিমের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মরদেহ নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।




সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া ফুটওভার ব্রিজের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া গ্রামের মৃত ফুলচাদের ছেলে হায়দার আলী (৬০), একই গ্রামের মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক খোদা বক্স (৫০) ও কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামের শাহাদত হোসেন (৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ভোরে পাঁচলিয়া থেকে শাহজাদপুর যাওয়ার জন্য অটোরিকশা নিয়ে বের হন হায়দার আলী, খোদা বক্স ও শাহাদাত হোসেন। পাঁচলিয়া বাজার ফুটওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় রাজশাহীগামী রডবোঝাই একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।




করোনায় বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের চার কোটিরও  বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এই সংস্থা জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। যা করোনার কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির পুরোটা সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষার স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শিশুরা যত বেশি সময় ধরে স্কুলের বাইরে থাকবে, সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকি ততই বাড়বে। ফলে তাদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।

দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। আর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ওই বছরের ১৭ মার্চ। পরে সরকার করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, করোনার কারণে স্কুলে যেতে না পারায় শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিশুদের কেবল পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, একইসঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক শিশুরা।




দুর্গাপুরে সরকারী পাথর চুরির দায়ে এক ব্যক্তির কারাদন্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১নং বালু মহাল থেকে সরকারী পাথর চুরির দায়ে আবু সিদ্দিক(৩৫)নামে এক ব্যক্তিকে কারাদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার দুপুরে এই কারাদ- প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুয়েল সাংমা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫টি বালু মহাল রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যন্যা বালু মহাল চালু থাকলেও ১ বৈশাখ থেকে ১নং বালু মহাল বন্ধ রয়েছে। ঐ বালু মহালে বিপুল পরিমান বালু ও পাথর সরকারের হাওলায় থাকায়, সুযোগ বুঝে এই সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার ধান্ধায় থাকে এক শ্রেনীর চোর প্রকৃতির লোক। ঐদিন দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে পৌছে হাতে নাতে ধরে ফেলেন আবু সিদ্দিক নামে ঐ ব্যক্তিকে। পরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এ দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।




তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে কী ছিল?

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

শুক্রবার তারা দেশটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। এ অবস্থায় কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গত মে মাসে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর তালেবান বাহিনী এত দ্রুত এত বেশি সাফল্য পেয়ে যাবে, তা ছিল বাইডেন প্রশাসনের ধারণার বাইরে। এখন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়ন বলছে, শিগগিরই কাবুলেরও পতন ঘটতে পারে তালেবানের হাতে ।

পরিস্থিতির এমন অবনতির পরও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন না বাইডেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দূতাবাসের কর্মী প্রত্যাহারের কাজটি তারা সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে চান।

তালেবান বাহিনীর এই অগ্রযাত্রার মধ্যে সেই শান্তি চুক্তির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসছে। কাতারের রাজধানী দোহায় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবানের দোহা মুখপাত্র সোহাইল শাহীন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

চুক্তির মূল ধারা চারটি, যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ নামটিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না এবং এরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তালেবান হিসেবে পরিচিত। এই চুক্তিটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের, যদিও তালেবান নিজেদেরকে চুক্তির নথিতে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির শিরোনাম ছিল – ‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি’। এটি দারি, পশতু এবং ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হবে বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। তারিখ হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি হিজরি চান্দ্র ও সৌর বর্ষও উল্লেখ করা ছিল।

সমন্বিত ওই শান্তি চুক্তির চারটি ধারা একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।

প্রথম ধারায় বলা হয়, আল-কায়েদাসহ কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তালেবান নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও তারা করবে।

দ্বিতীয় ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, এটা বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনা তারা করবে এবং সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সূচিও ঘোষণা করা হবে।

তৃতীয় ধারায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এর সময়সূচি ঘোষণার পর, এবং তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেওয়ার নিশ্চয়তা ঘোষণা করার পর তালেবান পক্ষ আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এই আলোচনা শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়।

চতুর্থ ধারায় বলা হয়, আন্তঃআফগান দরকষাকষি ও আলোচনায় আলোচ্যসূচির একটি অংশে থাকবে অস্ত্রবিরতির বিষয়টি। আন্তঃআফগান আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা স্থায়ী ও সমন্বিত একটি অস্ত্রবিরতির তারিখ ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণার সময়ই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হবে।

চুক্তিটির পরের তিনটি অংশের প্রথম অংশে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী করণীয় তার বিবরণ রয়েছে। বলা হয়েছে, চুক্তি স্বক্ষরের ঘোষণার দিন থেকে পরের ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। প্রথম অংশে সেখানে ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রথমটিই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে। যেখানে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই চুক্তি ঘোষণার প্রথম ১৩৫ দিনের মধ্যে আট হাজার ৬০০ সেনা সরিয়ে নেবে। এবং একই সময়ের মধ্যে তারা সেদেশের পাঁচটি সেনাঘাঁটি থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে।

দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, পরের সাড়ে নয় মাসের মধ্যে বাকি বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং বাকি সেনাঘাঁটিগুলো থেকেও সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়টি মূলত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সময় বন্দি ৫ হাজার তালেবানকে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে তালেবান গোষ্ঠী তাদের হাতে বন্দি ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে বলে ঐকমত্য হয়।

চতুর্থ বিষয়টি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তালেবানের যেসব সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই তালিকাও পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ২০২০ সালের ২৭ অগাস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেবে।

পঞ্চমটি হল, আন্তঃআফগান আলোচনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তালেবানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে এবং ২০২০ সালের ২৯ মের মধ্যে তারা এ কাজটি করবে।

ষষ্ঠ বিষয়টি হল, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং আফগানিস্তানকে বিভক্ত করতে হুমকি দেওয়া বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে।

চুক্তির দ্বিতীয় অংশে তালেবানের করণীয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, পাঁচটি দফা বাস্তবায়ন করবে তালেবান।

প্রথমটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে নিজেদের কোনো সদস্য বা আল-কায়েদাসহ অন্য কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

দ্বিতীয় দফাটিও প্রায় একই ধরনের, যেখানে বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে পারবে না, যারা যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তৃতীয় দফাটি হল, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি যাতে সদস্য ও তহবিল সংগ্রহ এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে তালেবান।

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় যথাক্রমে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়া, অন্য কোনো ভ্রমণ অনুমতি না দেওয়া বা অন্য কোনো আইনি নথি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চুক্তিটির তৃতীয় অংশে আরও তিনটি দফা রয়েছে, যার প্রথমটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, তালেবান পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবে এবং নতুন পরিস্থিতিতে আন্তঃআফগান আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি আফগান ইসলামিক সরকার গঠনের চেষ্টা করবে যা থেকে প্রতীয়মান হবে আন্তঃআফগান আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, আন্তঃআফগান আলোচনার মাধ্যমে গঠিত আফগান ইসলামিক সরকারকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তারা ওই সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

চার পৃষ্ঠার ওই চুক্তির নথি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।




আসামে পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো-সংরক্ষণ বিল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভায় শুক্রবার পাস হয়ে গেল বিতর্কিত গো সংরক্ষণ বিল। এই বিল অনুসারে গরু নিয়ে যাওয়া, গো হত্যা, গরুর গোশত বিক্রির ক্ষেত্রে নানা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। গরুর গোশতের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এই বিলে। তবে অনেকের মতে এটি খাতায় কলমে না করলেও গরুর গোশত বিক্রিতে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হবে আসামে। এদিন প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনার পর বাজেট সেশনের শেষ দিনে দি আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১ পাস করা হয়।

এদিকে এই বিলটিতে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন।

বিরোধীরা এই বিলে ৭৬টি সংশোধনী আনতে চেয়েছিলেন। আন্তঃজেলা গরু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া, মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করার নির্দেশে শিথিলতা আনা, আইন না মানলে ৮ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মহিষকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তথ্য বলছে লোয়ার আসামে বিফকে ঘিরে প্রচুর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বার বার। আমাদের লক্ষ্য সম্প্রীতি। কিছু নিয়ম মেনে গরুর গোশত খেতে পারবেন। তবে যারা গরুর গোশত খান না তাদের আবেগকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত মুসলিমরা এর বিরোধিতা করবেন না।’

কংগ্রেস দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘গরুর ব্যবসার সাথে যুক্তদের প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো দরকার ছিল।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস