দুর্গাপুরে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঐ ইউনিয়নের পূর্ব বিলাশপুর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন নির্মিত রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫৭ মি. প্রস্থ ২ দশমিক ২৮০ মি.। এই কাজে এলজিএসপি-৩(লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঐ রাস্তাটি সম্পন্ন করার প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার মো.শফিকুল ইসলাম। বরাদ্দ অনুসারে কাজে উন্নতমানের সামগ্রি ব্যবহার করার কথা থাকলেও চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। বক্স কাটা মাটি আর নিম্ন মানের বালু মিশ্রিত করে ঐ রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। বক্স কাটার পরে বালু ফিলিং না করেই কোথাও ৬ ইঞ্চি, কোথাও ৭ইঞ্চি ফাঁকা করে ব্রিক ফ্লাট সলিং করা হয়েছে। মাটি আর বালু মিশিয়ে রাস্তার কাজ পুরোটাই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাকৈরগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর নুর মোহাম্মদ এইচবিবি’র রাস্তার কাজটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতি শফিক মেম্বার নানা অনিয়মের মধ্য তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনিয়ম খবর আপনার মাধ্যমেই জানলাম। আমরা এসব কাজ করার পর অর্থ বরাদ্দ পাই। তবে আমি ঐ প্রকল্পের কাজটি পরিদর্শন করেছি। অনেকটা কাজ পুনরায় করেছি। আর ভুল ক্রুটি তো থাকতেই পারে। এ বিষয়টি পত্রিকায় না লিখলেও তো পারো। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে গ্রামীণ হেরিং বন্ড রাস্তার কাজে অনিয়মে হতাশ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি মেম্বার আলকাছ উদ্দিন অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান মেম্বার শফিক নি¤œমানের সামগ্রি, চার লড়ি বালু, ৬/৭ ইঞ্চি দূরত্ব পরপর ইট বসিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় নব্বই ফুট রাস্তা ৭ফুট প্রস্থ করে নির্মাণ করে ফেলার পর সংশ্লিদের কাজের ইস্টিমেট চাইলে পরে ঐ নির্মিত রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে আরও ১ ফুট রাস্তা বৃদ্ধি করে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি ও স্থানীয় জনতাদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে পুণরায় কাজ নির্মাণের দাবীও জানান তারা। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ঐ এইচবিবি রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ রাস্তার বরাদ্দ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। ব্রিক ফ্লাট সলিং বসানোর কাজটি পাতলা করে হয়তো মিস্ত্রি বসিয়েছে। এ বিষয়টি আমি দেখছি তবে এ ছাড়া আর কোন অনিয়ম আছে বলে আমি মনে করিনা। উপজেলা সাব-এ্যাসিসটেন্ড প্রকৌশলী মো.সারওয়ার প্রতিবেদককে বলেন, আমি শুধু মাত্র ইস্টিমেইট করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আমি সরেজমিনে যাবো।
এলজিএসপি’র জেলা ফ্যাসিলেটর মো. মাসুদ কবির এ প্রতিবেদককে জানান, দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দের কাজটি কোটেশন আকারে ঠিকাদারের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। দশ লাখ থেকে শুরুকরে কাজ গুলি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করানো হয়, পদাধীকার বলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এ কাজটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কাজে কোন ধরণের অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রাপ্য অনুযায়ী বিল দেওয়া হবে। কতটুকু কাজ করা হয়েছে, তার মান নিয়ে উপজেলা সাব-প্রকৌশলী প্রত্যয়ন দিলেও রাস্তার কাজ দেখে বিল দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান কিছু জায়গায় সমস্যা ছিল তা পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম কিংবা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে এবং এর প্রমান মিললে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




পশ্চিমবঙ্গে মমতার মহাজয়

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রোববার বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯০ আসন। আর ৯৫টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ১৯০টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯৫টি আসনে।

এদিন, সকাল থেকে এখনও আট দফার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।

বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি থাকলেও দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।




ফ্রান্সের একটি গ্রামের নাম মুছে দিয়েছে ফেসবুক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নীতি লঙ্ঘন এবং অশালীনতার অভিযোগে ফ্রান্সের একটি গ্রামের নামে তৈরি পেজ মুছে দিয়েছে ফেসবুক। এক ঘটনায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের ওই গ্রামের নাম ভিলে দে বিচ (Ville de Bitche)! আর তাতেই বেধেছে বিপত্তি। গ্রামটির নামকে ফেসবুকের অ্যালগরিদম ইংরেজি ভাষার গালি Bitch-এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে। মূলত ফেসবুকের ভাষায় মেয়ে কুকুর বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি সাধারণত নারী জাতিকে হেয় করে গালি দিতে ব্যবহার করা হয়।

মোজেল নদী অববাহিকায় অবস্থিত নয়নাভিরাম এই শতাব্দী প্রাচীন গ্রামের মেয়র বলেছেন, ফেসবুকের এমন পদক্ষেপ রীতিমতো অসম্মানজনক। এসময় তিনি ফেসবুকের যন্ত্রনির্ভর অ্যালগরিদমের সমালোচনা করে বলেন, যদি একান্তই নজরদারি চালাতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে মানুষ নিয়োগ দেয়া উচিত।

গত মার্চ মাসে ফেসবুকের কাছ থেকে একটি চিঠি পান বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, অশালীন শব্দ ব্যবহার এবং নীতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের পেজটি ডিঅ্যাক্টিভেট করেছে ফেসবুক।




রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা ২৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পে দুলেছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা সহ সারা দেশ।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো ভারতের আসামে।

এদিকে সকালে মিরপুরবাসী আহসান ও ইয়ানা জানান, তাদের বাড়ি ৭ তলা, ভূমিকম্পের সময় তারা প্রচণ্ড দুলুনি অনুভব করেছেন। এ সময় ফার্নিচার ও টিভিসহ সবকিছু দুলছিল।




দুর্গাপুরে ধসে পড়া ব্রিজটি নজরে পড়ছে না কর্তৃপক্ষের

ডিএনবি নিউজ:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ গ্রামে প্রায় ১০ বছর আগে বন্যার প্রবল স্রোতে ধসে যাওয়া ব্রিজটির নির্মাণ ও গ্রামীণ সংযোগ সড়কটির মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ধসে পড়া ব্রিজটির কারণে ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তি চরমে আকার নিলেও যেন দেখার কেউ নেই। দীর্ঘ দিনের ধসে পড়া ব্রিজটি পুননির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। সোমবার সকালে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

গত বছরের বন্যায় বিরিশিরি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সেতুটি পুননির্মাণ হয়নি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট বছর না যেতেই ভেঙে পড়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, এক জায়গায় বছরের পর বছর প্রকল্প দিয়ে অর্থের অপচয় করছে একটি মহল। অথচ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারহীন হারিয়াউন্দ গ্রামের ভেতর দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘরবন্দি দিন কাটে অনেক পরিবারের। প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবে পড়া থাকা ব্রিজটি কবে ঠিক করা হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা করছে ভুক্তভোগীরা। বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই জায়গাটি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওখানে বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে এরকম ব্রিজ টেকসই করবে না। এখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ওই ব্রিজটি পড়ে রয়েছে। এটি আমি দেখেছি। সরেজমিন পরিদর্শণ করে উপজেলা প্রকৌশলী মাধ্যমে একটি গার্ডার ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’




দুর্গাপুর বালুমহাল থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে সরকারী সম্পদ মূল্যবান পাথর

ডিএনবি নিউজ:

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরীর নদীর বিভিন্ন বালু মহাল থেকে স্তুপ করা সরকারি পাথর  রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে পাথরখেকো চক্ররা। রোববার গভীর রাতে এমনটাই দেখা গেছে।
জানাগেছে, সোমেশ্বরী নদীতে ৫টি বালু মহাল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪২৮সনে ১বছরের জন্য ৫টি ঘাটের শুধু বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বালুর সাথে উত্তোলিত পাথর কোন ইজারা না দেয়ায় সেগুলো সরকারি হাওলাতেই থেকে যায় প্রতি বছর। উত্তোলিত পাথর গুলো বছরের কোন একসময় উপজেলা প্রশাসন সরকারি ভাবে নিলামে বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে ৫টি বালু মহালের ৪টি মহাল চালু হলেও ১নং মহাল চালু না হওয়ায় ঐ মহাল থেকে জমাকৃত পাথরগুলো রাতের আঁধারে চুরি করে নিচ্ছে পাথর খেকো চক্র। বালু মহালের ইজারাদার একেক সময় একেক জন থাকলেও পাথর চুরির উৎসব কখনও বন্ধ হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিন্ন পন্থায় প্রায় রাতেই ৩ থেকে ৫ ট্রাক পাথর ১নং বালু মহাল থেকে চুরি হচ্ছে বলে বাজারের এক ব্যবসায়ির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। নদীতে পাথর খেকো চক্রটি বেপরোয়া হওয়ায় ঐ চক্রের কাছে নদীর পাড়ের মানুষ অসহায়। চক্রটি এতোটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরোদ্ধে নদীর পাড়ের কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সরকারি ভাবে বালুর ইজারা নিয়ে জমাকৃত বালু খনন করে নেয়ার কথা থাকলেও বাংলা ড্রেজার বসিয়ে ভুগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বালুর সাথে উঠে আসে অসংখ্য ছোট পাথর। যে যার মতো নদীরপাড়ে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বিশাল গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলেই নানা বিপদ ঘটে প্রতিবাদকারীদের। আত্রাইখালী ঘাটের ১নং বালু মহাল এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা, লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও কোন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না অপরিকল্পিত বালু-পাথর উত্তোলন। এসব অভিযানে কিছু ড্রেজার আটক বা আগুন দিলেও নেপথ্যের কারিগররা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা হয়তো একদিন থাকবো না। এই বালু উত্তোলনের জের বুঝতে পারবে এলাকাবাসী বড় ভুমিকম্প হলে। ঘাট এলাকার কয়েকজন দোকানদার বলেন, পত্রিকায় নাম লিখলেই বাড়িতে এসে মারপিট করবে বালু ও পাথর লুটের চক্র। রাতভর অত্র এলাকাদিয়ে বালু-পাথরের ট্রাক আসা-যাওয়া ও হাইড্রোলিক হর্নের বাজানোতে আমরা কানে হাটকালা হওয়ার পথে। প্রতিবাদ করলে মারধর করবে। যার কারণে এখন আর কেউ প্রতিবাদ করেনা। তারা আরও বলেন, নদীর পাড়ে নাম মাত্র জমি কিনে বালু পাথর তুলে এখানে কোটিপতি হয়েছেন রাজনৈতিক নেতা ছাড়া আরো বেশকিছু প্রভাবশালীরা। এতে খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রভাবশালীরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ লুটতরাজ করে আসছে প্রতিনিয়ত বলছেন এলাকার মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন ইতোমধ্যে অন্যান্য মহাল গুলো চালু হলেও ১নং মহাল এখনো চালু হয়নি। পাথর চুরির বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশি প্রহরা জোরদার করে পাথর চুরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মহারাষ্ট্রে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠালো কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

ডিএনবি নিউজ:

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে দেশটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠিয়েছে কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকন হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের কাছে একশ’ অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাশ্মীরের এই ব্যবসায়ীরা নামমাত্র মূল্যে এগুলো ত্রাণ সংস্থাকে দিয়ে দেয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব যখন একেবারেই কম ছিল, ওই সময় কম দামে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কিনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

তবে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে ব্যাপক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে অক্সিজেনের দাম।

জানা গেছে, আগে যেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের দাম ছিল তিন হাজার আট শ থেকে চার হাজার পাঁচ শ রুপির মধ্যে, বর্তমানে সেসবের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার রুপি। কিন্তু কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুদ ছিল, তারা বর্তমানে এসেও চার হাজার দুই শ থেকে চার হাজার চার শ রুপি দরে এসব বিক্রি করে দেন।




মসজিদকে আইসোলেশন সেন্টারে বানিয়ে নজির স্থাপন করলো গুজরাটের মুসলমানরা

ডিএনবি ডিএনবি:

ভারতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মুসলমানরা। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি শহরের বড় মসজিদকে রূপান্তর করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালের জন্য আইসোলেশন সেন্টারে। বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ ট্রাস্টি বোর্ডের। সেখানে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সব ধর্মের মানুষ।

করোনায় বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসাব্যবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।

ভারতের গুজরাটের পুন এলাকার এ মসজিদের ট্রাস্টি ইরাফান শেখ বলেন, আমরা মসজিদকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছি। এ মুহূর্তে ৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। সেই জায়গা রয়েছে। তবে অক্সিজেন সংকটের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।




মাগফিরাত বার্তা নিয়ে আসছে রমজানের দ্বিতীয় দশক

মাওলানা আব্দুর রহমান আশরাফি

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম দশক হলো রহমত; তার দ্বিতীয় দশক হলো মাগফিরাত; এর শেষ দশক হলো নাজাত। (বায়হাকি শরিফ)। রমজান হলো প্রশিক্ষণের মাস। আল্লাহ চান তাঁর বান্দা তাঁর গুণাবলি অর্জন করে সে গুণে গুণান্বিত হোক।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও। আল্লাহর রং বা গুণ কী? তা হলো আল্লাহ তাআলার গুণাবলি। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম অন্যতম। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সা. আরও বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যারা এগুলো আত্মস্থ করবে; তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ও তিরমিজি)।

মহান আল্লাহর নামাবলি আত্মস্থ করার বা ধারণ করার ও গ্রহণ করার অর্থ হলো সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করে তার প্রতিফলন ঘটানো তথা সেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য নিজের কাজকর্মে, আচার-আচরণে প্রকাশ করা অর্থাৎ নিজেকে সেসব গুণের আধারে পরিণত করা বা সেসব গুণের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা।

মাগফিরাতের মূল শিক্ষা হলো, আমি আল্লাহর ক্ষমা পাব এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেব। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (তিরমিজি শরিফ)। ক্ষমা করে দিলে নিজের মনের বোঝা দূর হয়, মানসিক চাপ কমে যায়, মন হালকা ও পবিত্র হয়। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা লাভ করা যায়।

হাদিসের উক্তি অনুযায়ী ‘দুর্ভাগা তারা, যারা রমজান পেয়েও মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভ করতে পারল না।’ (বুখারি শরিফ)। মহান আল্লাহ তাআলার একটি গুণ হচ্ছে ক্ষমা করা। পবিত্র কোরআনে ক্ষমার ব্যাপারে তিনটি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যথা: ‘গাফফার’। এ শব্দটির অর্থ হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষমাশীল। পবিত্র কোরআনে এ শব্দটি পাঁচবার উল্লেখ হয়েছে। ‘গাফুর’, যার অর্থ হচ্ছে পরম ক্ষমাশীল। এ শব্দটি পবিত্র কোরআনে একানব্বই বার উল্লেখ হয়েছে। ‘গাফির’ যার অর্থ হচ্ছে ক্ষমাকারী। যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তিনি গুনাহ ক্ষমাকারী’। (সুরা ৪০ মোমিন, আয়াত: ৩)।

আরও উল্লেখ রয়েছে, ‘জেনে রেখো, তিনি পরাক্রমশালী পরম ক্ষমাশীল’। (সুরা ৩৯ জুমার, আয়াত: ৫)। বিশেষভাবে উল্লেখ হয়েছে, ‘হে নবী (সা.) আপনি আমার বান্দাদের বলে দিন, আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা-১৫ হিজর, আয়াত: ৪৯)। হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, বান্দা যদি দৈনিক সত্তরবার অপরাধ করে এবং সত্তরবার ক্ষমা চায় আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তাই নবী করিম (সা.) দৈনিক ৭০ বারের বেশি বা ১০০ বার ইস্তিগফার করতেন। অথচ তিনিসহ সব নবী-রাসুল ছিলেন নিষ্পাপ।

হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ডেকে বলতে থাকেন: কে আছো ক্ষমা চাওয়ার? ক্ষমা চাও, আমি মাফ করে দেব। (মুসলিম শরিফ)। উম্মুল মোমেনিন হজরত আয়িশা সিদ্দীকা রা. রাসুলে আকরাম সা. কে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আমি যদি শবে কদর পাই তাহলে আমি ওই রাতে কী দোয়া পড়ব? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, হে আয়িশা! তুমি এই দোয়াটি পড়বে। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।’ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন; অতএব আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।

হজরত সাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, কেউ যদি সকাল-সন্ধ্যায় বিশ্বাসের সঙ্গে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ে তাহলে সে যদি ওই দিন রাতে বা দিবসে ইন্তেকাল করে তাহলে সে জান্নাতি হবে। হাদিস শরিফে আরও বলা হয়েছে যে, যদি কেউ গুনাহ মাফের উদ্দেশ্যে ইস্তিগফার করাকে নিজের ওপর লাজিম তথা আবশ্যক করে নেয়, তাহলে আল্লাহ পাক তাকে ৩টি পুরস্কার দেবেন। ১. তার জীবনের কঠিন অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করবেন। ২. তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন। ৩. তাকে তার অচিন্তনীয় ও কল্পনাতীত স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা তার বান্দা-বান্দিদের প্রতি বিভিন্ন সময়ে তার গাফফার এবং গফুর নামের বদৌলতে ক্ষমার কুদরতি হাত প্রসারিত করেন। বেশি করে পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যের দশকে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষমা করে দেন। কারণ, এ মাসটি হচ্ছে রহমতের মাস, কোরআন নাজিলের মাস, ক্ষমার মাস, শবে কদরের রজনীর ফজিলত অর্জনের মাস।

রমজান ইবাদতের মাস। রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজের সমান সওয়াব। একটি ফরজ সত্তরটি ফরজের সমান; প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব সত্তর গুণ বেশি। এ মাসে গুনাহ করাও কঠিন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তাই সামর্থ্যমতো বেশি বেশি নেক আমল করার পাশাপাশি সকল প্রকার বদ আমল বা গুনাহ বর্জন করতে হবে।

লেখক: তরুণ আলেম, সাংবাদিক