


সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ল
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। রোববার (২২ মে) রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর আগে নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল রোববার (২২ মে) ব্যাংক লেনদেনের সময় পর্যন্ত। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এর নিবন্ধন কার্যক্রম ২২ মে সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয়েছে। শূন্য কোটা পূরণের জন্য সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজ অনুযায়ী বর্ধিত সময়সূচি ঘোষণা করা হলো।
নিবন্ধনের অর্থ পরিশোধে বর্ধিত সময় শুরু ২৩ মে, নিবন্ধনের অর্থ পরিশোধে বর্ধিত সময়ের শেষ তারিখ ২৪ মে (ব্যাংকিং সময় পর্যন্ত)। বর্ধিত সময়ে প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ২৫ হাজার ৯২৫ থেকে সর্বশেষ ক্রমিক ২৭ হাজার ১০৫ পর্যন্ত হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। সময়ে নিবন্ধনকারী ব্যক্তিরা শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-২-এর অধীন নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, রোববার পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১ হাজার ৮৫১ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৮৪৯ জন হজযাত্রী হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

বর্তমান সরকার সম্পাদকদের হুমকি দিচ্ছে: ফখরুল
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বর্তমান সরকার পত্রিকার সম্পাদকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে খুব কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের সাহসিকতাকে কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যে চারটি আইন করেছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কফিনে পেরেক দেওয়ার মতো, এটা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়েকটি সমস্যার একটি। সারা বিশ্বই মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে।
আমরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, তখন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যারা স্বাধীনভাবে লিখতে চান, মত প্রকাশ করতে চান, তারা তা করতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা করতে গিয়ে তারা ধরে নিয়েছে, সবার আগে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের নজরদারি এমন পর্যায়ে গেছে, কোন সাংবাদিক কখন কার সঙ্গে কথা বলছেন, দেখা করছেন, সেটাও তারা নজরদারি করছে এবং সুবিধামতো তাদের কথোপকথন প্রকাশ করে দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবারই সোচ্চার হওয়া উচিত, অন্যথায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী হয়ে থাকব।’
মতবিনিময় সভায় ‘মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ক্রমাবনতির প্রেক্ষিত ও বিএনপির ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।

দুর্গাপুরে নেতাই নদীতে ২৪ ঘন্টা পর নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

দুর্গাপুরে টানা বৃষ্টিতে ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দাবি
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় খুলনা রেলষ্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, জনগণ আজ ভালো নেই, সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতে পারছে না। কারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, গ্যাস সহ সকল নির্মাণসামগ্রী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ সরকার এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার এ ব্যপারে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয়ে।
সমাবেশে ১৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। ৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরী বাদ দিতে হবে। ৬. কারান্তরিণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। ৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। ৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। ১০. নির্বাচনে সকল দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। ১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। ১৩.রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। ১৫. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সু-সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধ ইতোমধ্যে মহামারি-বিধ্বস্ত ভঙ্গুর বিশ্ব অর্থনীতিকে আরো ভয়াবহ চাপে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৈশ্বিক রসদ ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২০ মে) তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত খাদ্য, শক্তি ও অর্থবিষয়ক গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি) প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘এটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে’।
ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাবের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয়ের জন্য জাতিসঙ্ঘ জিসিআরজি প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই গ্রুপে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন আগে থেকেই করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ধুঁকছে বিশ্ববাসী।
তিনি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহের স্বল্পতা এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সঙ্কটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বাংলাদেশের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) এবং ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো (এসআইডি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি ফোরামকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি কাটাতে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট সহায়তার প্রয়োজন তাদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত অর্থনীতি ও বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকারসহ সহজলভ্য অর্থায়ন সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং একটি সু-সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে জি-৭, জি-২০, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে, কার্যকর খাদ্য সঞ্চয় ও বিতরণ ব্যবস্থার জন্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি আরো বেশি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে আরো বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, অনেক এসআইডি এবং নিম্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অনেক উদ্ভাবনী জলবায়ু কর্মের নেতৃত্ব দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যদের সুবিধার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের জ্ঞান, বোঝাপড়া এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই’।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় দৃঢ় বিশ্বাসী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বদা বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি।’
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহনশীলতার জন্য পরিচিত। করোনা মহামারী তার সর্বশেষ উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মহামারি পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
তিনি ফোরামকে বলেন, ‘সময়মত টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা আমাদের একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিল।’
তিনি বলেন, সরকার তার রফতানি খাত এবং এসএমইকে সমর্থন করার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়েছে। ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদ্দীপনা প্যাকেজগুলো রোল আউট করা হয়েছিল।
এই পদক্ষেপগুলো দেশকে গত অর্থবছরে ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করেছে বলেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব এড়াতে কঠোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার নিয়মিতভাবে ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্য এবং নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সামাজিক-নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রসারিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কার্ড ইস্যু করার মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে (৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য হ্রাসসহ) ভোজ্যতেল, ডাল, চিনির মতো ভোগ্যপণ্য বিক্রি করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।’ সূত্র : ইউএনবি।

সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ‘
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। ১৯৫০ সালে গাফফার চৌধুরী পরিপূর্ণভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন ‘দৈনিক ইনসাফ’ পরিচালনা করতেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।
মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন।
১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান তিনি। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান। এরপর তার প্রবাসজীবনের ইতিহাস শুরু হয়।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।

হাইআতুল উলইয়ার রেজাল্ট প্রকাশ, পাশের হার ৭৮.১৪%
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার কিছু পরে ফল প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন হাইআতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
হাইআতুল উলইয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৈঠকে যারা উপস্থিত হয়েছেন- আল্লামা সাজিদুল রহমান, আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা জিয়া উদ্দিন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলিহুদ্দীন রাজুসহ হাইআতুল উলইয়ার স্থায়ী কমিটি ও পরীক্ষা উপকমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন।
এবারের পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৪৯২৯। ছাত্র সংখ্যা ১৫০৩৬, ছাত্রী ৯৮৯৩। বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়া বাংলাদেশর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২০৮৮৬। আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৩২০। তানযীমুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯৭০। ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬০। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৫৮। বেফাকুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৩৫।
ব্যাক্তিগত ফলাফল হাইয়াতুল উলইয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। সেখানে নিবন্ধন নং ও রোল নংদিতে হয়। এসএমএস-এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে হলে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে HTR। এরপর স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার লিখে সেন্ড করতে হবে ২৯৯৩৩ এই নম্বরে। এছাড়া ফলাফল দেখার জন্য শিক্ষার্থীরা ভিজিট করতে পারেন হাইয়াতুল উলইয়ার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ।

দুর্গাপুরে খ্যাতনামা ৯ জন আলেমের বিরুদ্ধে মামলা
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে খ্যাতনামা ৯জন আলেমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সোরওয়ার্দী নামের একজন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দুর্গাপুর চৌকি, নেত্রকোণায় এ মামলা দায়ের করা হয়। সি.আর. মোকদ্দমা নং-৬১/২০২২। ইসলামপুর ডাকুমারা মাদ্রাসার মোহ্তামিম হাফেজ মোস্তফা (৫০), লক্ষীপুর মাদ্রাসার মোহ্তামিম মাওঃ আব্দুল মজিদ (৫৩), মাওঃ হযরত আলী (৪৯), মাওঃ আবু হানিফ (৫০), মাওঃ রুকন উদ্দিন (৫০), মাওঃ আনাছ (৩৫), মাওঃ উমর ফারুক (৪২), মাওঃ নূরুদ্দিন (৪৫), মাওঃ রুহুল আমিন সিরাজী (৪৫)। এই ৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয় ডাকুমারা মাদ্রাসারা মোহতামীম হাফেজ মোস্তফা ১নং আসামি অন্যায়মত লাভবান হওয়ার দোরাশায় আমির সাহেবের নিকট হতে ১টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট জোর করে নিয়া যায়। যাহার মূল্য ১৪,০০০/- টাকা।উল্লেখ্য হাফেজ মোস্তফা ঘটনার কয়েকদিন আগে ও পরে দুর্গাপুরেই ছিলেন না।মাদ্রাসার কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তাছাড়াও তিনি স্থানীয় জনসাধারণের খুবই পরিচিত যে কারণে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চোর বলে আখ্যায়িত করায় জন সাধারণের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না শুণে অতি উৎসাহিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাবলীগ জামাতের কেউ মামলা দায়ের করেনি। তাবলীগ জামাতের কোন স্বাক্ষীও নাই। এটা একটা পরিকল্পিত মামলা বলে উল্লেখ করেন দুর্গাপুরের উলামামাশায়েখবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এসে উলামাদের একটি প্রতিনিধি দল মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
জানা যায়- সাদপন্থীদের একটি দল দুর্গাপুরে এসে কাকৈরগড়া তালুকদারবাড়ী মসজিদে উঠেন। ওখানে ৩দিন অবস্থানের পর বিলাশপুর ডাক্তার বাড়ী জামে মসজিদে অবস্থানকালে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহপোষন হলে তারা এখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অবশেষে এলাকবাসীর চাপের মুখে তারা যেতে বাধ্য হয়।
এটাকে অসম্মানবোধ করায় ক্ষোভ ও ক্ষমতার বশবর্তি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন সোরওয়ার্দী। তিনি দুর্গাপুরের সাদপন্থী তাবলীগের অনুসারী। তিনি একজন তাবলিগের সাথী হয়ে উলামায়ে কেরামকে অত্যন্ত উশৃঙ্খল, উগ্রপন্থী, ধর্মীয়কাজে বাঁধাপ্রদানকারী লোকজন বলে উল্লেখ করায় জনসাধারণ মেনে নিতে পারছেন না। জনসাধারণকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মার্কাজে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দুর্গাপুরের উলামামাশায়েকবৃন্দ।
মামলায় উল্লেখ করা হয় ১-৫নং আসামি একপর্যায়ে তাবলিগ জামাতের আমিরকে খুনের উদ্দেশ্যে গলার মধ্যে শ্বাসরোধ করে ধরে। এই সবগুলো কথাই বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে উল্লেখ করেন উলামা মাশায়েখবৃন্দ। এ সময় দুর্গাপুর পৌরসভার কাচারী মাদ্রাসার মোহতামীম হাফেজ মাওঃ অলি উল্লাহ, ঝানজাইল মাদ্রাসার মুফতি হাবিবুর রহমান, সাওতুল হেরা মাদ্রাসার মোহতামীম মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আলেমবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।