লকডাউন: নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩২০০ কোটি টাকা

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। 

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় গতবারের মত এবারও লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হচ্ছে সরকারকে।

এপ্রিলে এক দফা লকডাউন চলার পর গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবারও আগের মত বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।

সংক্রমণ এড়াতে এই বিধিনিষেধের মধ্যে যানবাহন এবং জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, যাদের প্রতিনিদের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়।

তাছাড়া মহামারী শুরুর পর গত ষোল মাসের মধ্যে অর্ধেক সময় পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সোয়া লাখ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। তার সঙ্গে এবার নতুন এই পাঁচটি প্যাকেজ যুক্ত হওয়ায় মোট সহায়তার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল।

১. নিম্ন আয়ের ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষ এই প্যাকেজের আওতায় নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। সেজন্য বরাদ্দ থাকছে মোট ৪৫০ কোটি টাকা। উপকারভোগীদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন।

২. শহর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ২৫ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আওতায় দেওয়া হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা। সেজন্য এ প্যাকেজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।

৩. জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা চালু আছে, তা অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

8. গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য সুদের হার আগের মতই ৪ শতাংশ হবে।

৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

#এসআই




দুর্গাপুরে এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবার উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘‘এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশন’’ এর উদ্যেগে করোনা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান।

এই সংগঠনকে নিজ অর্থায়নে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেন জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক। এছাড়া সিলিন্ডার কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন রিক্সাচালক মোঃ তারা মিয়া, সংগঠনের সেচ্ছাসেবকদের করোনা কালীন সময়ে মাঠে কাজ করার জন্য ১০টি পিপিই প্রদান করেন তামিম টেলিকমের স্বত্বাধীকারী মো তাকদির হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, একাডেমিক সুপারমভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক একে এম ইয়াহিয়া, বিকাশ চন্দ্র সাহা,,তাকদির হোসাইন, পথ পাঠাগার‘র সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার প্রমুখ।




দুর্গাপুরে এতিমদের নিয়ে পালিত হলো যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জাগিরপাড়া আল কারীম দারুল উলুম মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

যুগান্তর স্বজন সমাবেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে কোরআন খতম শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মো. সাইদুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসার শিক্ষক ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সদস্য মো. আজিজুল হক, যুগান্তর প্রতিনিধি তোবারক হোসেন খোকন, মুফতি ঈসমাইল, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা মোরশেদ আলম, হাজী আব্দুল গফুর, মাওলানা আতাউল্লাহ, হাফেজ মাকসুদুল প্রমুখ।




দুর্গাপুরে তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে করোনা প্রেক্ষাপটে কর্মহীন হয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাক্স বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




১৫ জুলাই থেকে ‌২৩ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সব’ চালু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করল সরকার। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল থাকছে। তবে এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সময়ে গণপরিবহন চালু থাকবে। দূরপাল্লার গণপরিবহণ, ট্রেন, নেৌপরিবহন চালু থাকবে। মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এর অর্থ দাঁড়াল, এই সময়ে সবকিছুই চলতে পারবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আজকের আদেশে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

তাতে এখনকার বিধিনিষেধের মতোই সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ সব যানবাহন বন্ধ এবং শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। আর এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্প কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে কলকারখানা খোলা রয়েছে।

গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় সরকার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রা বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এ জন্য তখন দূরপাল্লার পথে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, হাজার হাজার মানুষ কড়াকড়ি উপেক্ষা করে বাড়ির অভিমুখে রওনা হন। তাতে পথেঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফেরিঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে খরচও বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পযর্ন্ত ৮ দিন লকডাউন শিথিল থাকছে।




দুর্গাপুর হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও দুর্গাপুর পৌরসভা। সোমবার দুপুরে প্রয়োজনীয় এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল কম থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। চলমান এই সংকট কাটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএ ডাঃ মামুনুর রহমানের কাছে সার্জিক্যাল মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার, অক্সিমিটার সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হাসপাতালের করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ইউএনও ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রহমান, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমূখ।




দুর্গাপুরে সুমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ‘‘নদী ভাঙ্গনে আট গ্রামের মানুষ আতঙ্কে’’ দেশের জাতীয় পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি, কামারখালী, বহেরাতলী ও রানীখং এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, একাডেমীক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শুভ্র মানখিন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি সহ জেলা এবং উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে নদীর তীর ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের কাজ দ্রুত সম্পন্ন্যের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।




দুর্গাপুরের হাট বাজারে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার সংক্রমণে ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষ করে নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার দুর্গাপুর পৌরশহর ও আশপাশ এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে এখনও গাদাগাদি করে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি এমন যে, সেখানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও তেমন একটা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি বাজারগুলোতে।

এ নিয়ে রোবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে উপজেলা প্রশাসন কাজ করলেও সাধারণ ক্রেতারা তা আমলে নিচ্ছেনা। এতে প্রশাসনের নজরদারি আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সুধীমহল। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা না হলে এলাকায় করোনা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। দুর্গাপুর মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, বৌ বাজার, উৎরাইল বাজার ও শিবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। একইসঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। মানছেন না নিরাপদ বা শারীরিক দূরত্ব। অনেকের মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে উদাসীন। ক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে আবার মুখে মাস্ক পরলেও সেটি আবার কারো কারো ঝুলছে থুঁতনিতে। এছাড়া বাজারে ছোট ছোট চায়ের দোকানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই এসব চলতে দেখা গেছে। তবে অপচনশীল দ্রব্য যেমন, চাল, ডাল, তেলের বাজারে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রায় প্রতিদিনই মাইকিং, মাক্স বিতরণ এমনকি ভা¤্র্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা বর্ডার এলাকা গুলোতে তবে প্রশাসনিক নজরদারী আরো বাড়ানো হয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নজরদারী আরো বাড়ানো হবে।




দুর্গাপুরে প্রবেশ গেট নির্মান কাজের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক থেকে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর একটি পুরাতন উপজেলা হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে। এসকল খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এ উপজেলার বিভিন্ন ঐতিহ্য সমন্বয়ে একটি প্রবেশ গেট নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার প্রবেশদ্বার ঝাঞ্জাইল এলাকায় এ গেট নির্মান করা হয়।

এ উপলক্ষে পবিত্র ধমগ্রন্থপাঠ ও মোনাজাত শেষে গেট নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুর ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা আওয়ালীগ‘র নেতা মো. মফিজ উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. শহীদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মো. তজিব উদ্দিন তালুকদার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য: গেটের মুল স্ট্রাকচার ডিজাইন করেছেন বুয়েট (ঢাকা) এর চীপ ইঞ্জিনিয়ার মীর এনায়েত হোসেন এবং মুল নকশা শিল্পী হিসেবে আছেন অত্র এলাকার সন্তান ভাস্কর মাহমুদুল হাসান সোহাগ।




দুর্গাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মো. মাহাবুব (৩৫) নামে এক নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবের সহযোগী আহত নির্মাণ শ্রমিক হানিফ জানান, ওই এলাকার সাইদুল ইসলামের বাড়িতে দোতলার নির্মাণ কাজ চলার সময় নীচ থেকে অন্যান্য শ্রমিকেরা ছাদ বাইন্ডিংয়ের জন্য রশিতে বেধে লোহার রড উপরে তোলার সময় বাড়ীর দোতালার সামনে থাকা বিদ্যুৎ এর খুটির তারে রড লেগে বিদ্যুৎএর সর্ট খেয়ে দুজনেই ছাদের উপড়ে পড়ে যাই। পরবর্তিতে নীচ থেকে অন্যান্য শ্রমিকেরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত মাহাবুব মোহনগঞ্জ উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে আগাড় গ্রামে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যের বাবার বাড়ী মোহনগঞ্জ থেকে পরিবারের লোকজন এলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#