শোকের মাস আগস্ট শুরু, মাসজুড়েই থাকছে কর্মসূচি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শোকের মাস আগস্ট। করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের শোকাবহ এ মাসটিতে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির আয়োজন শুরু হয়েছে।

আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। এ দিন থেকেই আগস্ট মাসজুড়ে বাঙালি জাতি স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীনতার স্থপতি মহান এই নেতার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাঙালি জাতি। ঘৃণা, ধিক্কার জানাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকারী এ দেশীয় দোসর ও একাত্তরে পরাজিত ঘৃণিত শত্রুদের।

যদিও বরাবরের মতো এবারের আগস্টের প্রথম প্রহর তথা গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটেই মোমবাতি প্রজ্বালন, আলোর মিছিল, শপথগ্রহণ ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল ও সংগঠন শোকের মাসের কর্মসূচি সূচনা করেছে। অবশ্য করোনাভাইরাসের অব্যাহত সংকটের মুখে সব কর্মসূচিই ছিল সংক্ষিপ্ত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনাও ঘটেছে আগস্টের প্রথম প্রহরেই। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন অভিমুখে আলোর মিছিল, শপথগ্রহণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে।

বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ মাস হচ্ছে আগস্ট। এই আগস্টেই জাতির ইতিহাসের চরমতম শোকবিধুর ও কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালের এই আগস্টের মধ্যভাগে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন হাজার বছরের ইতিহাসের এই মহানায়কের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শ্যামল বাংলার মাটি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের কূট ষড়যন্ত্র আর হামলার শিকার হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং চেতনাও। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে এর বিচারের পথ রুদ্ধ করে আরেক কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও নানা কূটকৌশলের জাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা এবং পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

এই আগস্টেই ঘটেছিল জাতির ইতিহাসের আরও একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই গ্রেনেড হামলা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ঝরে গিয়েছিল মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ।

আজকের কর্মসূচি: বিভিন্ন দল ও সংগঠন শোকের মাসের প্রথম দিনে আজ রোববার দেশজুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে। সারাদেশের মানুষ বুকে শোকের প্রতীক কালোব্যাজ ধারণ করবে। রয়েছে শোক র‌্যালি, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবর ও বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে তার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠান করবে।




স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করুন: রাষ্ট্রপতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

মঙ্গলবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান বলে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে।

বঙ্গভবনের বার্তায় বলা হয়, “রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সকলের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বুধবার কোরাবানির ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার এমন এক সময়ে ঈদ এসেছে যখন মহামারীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে।

গত বছরের মত এবারও ঈদের দিন বঙ্গভবনেই ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি। পরে ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন।

আগে প্রতি ঈদে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন রাষ্ট্রপ্রধান। করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুবছর ধরে বঙ্গভবনে কোন ধরনের আয়োজন আর রাখা হচ্ছে না।




দুর্গাপুরে এনজিওদের উদ্দ্যেগে মাক্স বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে করোনা সংক্রমন আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাক্স বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ মাক্স বিতরণ করা হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস ও উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের উদ্দ্যেগে এ মাক্স বিতরণ কালে উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শামীম কবীর, কারিতাস এর উপজেলা সমন্বয়কারী ছবি ম্রং সেরা এর উপজেলা সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য এনজিও কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে হতদরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

দুর্গাপুরে হতদরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল সামাদের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে উনার পরিবারের পক্ষ থেকে ঈদ বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। সোমবার সকালে ফুলপুর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ফুলপুর ও আলমপুর গ্রামের ৫০০জন অসহায় ও অতি দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে শাড়ি ও লুঙ্গি তুলে দেন মরহুমের মেঝো ছেলে মো. আসাদুজ্জামান নয়ন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের পরিবারের সদস্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চন্ডিগড় ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. আব্দুল হামিদ, মো. দুলাল মিয়া, রায়হান মিয়া, সবুজ মিয়া, শহিদ মিয়া, আতাউর রহমান, আতিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আসাদুজ্জামান নয়ন বলেন, আমার পিতার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উনার আত্মার মাগফেরাত কামনায় অসহায় ও অতি দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেছি। পাশাপাশি করোনাকালীন দূর্যোগের সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের অসহায় মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই।




মুমিন হৃদয়ে কাবার জন্য ব্যাকুলতা

মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ

স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে কোনো মাধ্যমহীন সম্পর্ক ইসলামের অনন্য বৈশিষ্ট্য। তাই নিবিষ্ট মনে কেউ মহান আল্লাহর কাছে আকুতি জানালে তিনি তার ডাকে সাড়া দেন।

তবে দৃশ্যমান বস্তুর প্রতি মানবপ্রকৃতির আগ্রহও দমবার নয়। তাই মহান আল্লাহ দিকদিগন্তে ছড়িয়ে থাকা নিদর্শনাবলি পরিদর্শন করতেও বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলির প্রতি সম্মান জানালে নিশ্চয়ই তা অন্তরের আল্লাহভীতির অন্তর্ভুক্ত। ’ (সুরা হজ, আয়াত : ৩২)

 

সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য হজ ফরজ : হজ ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসার অনুপম নিদর্শন। তাই সামর্থ্যবানের জন্য হজ পালন করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম বাক্কায় ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়, তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। তাতে মাকামে ইবরাহিমসহ বহু সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ, মানুষের মধ্যে যে সামর্থ্যবান তার ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ওই ঘরের হজ করা কর্তব্য। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৬-৯৭)

হজের প্রতিদান : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই ওমরা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে। আর মকবুল হজের বিনিময় শুধু জান্নাত। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

ভালো-মন্দ ইচ্ছার কারণে পাপ-পুণ্য : আবু কাবশাহ আল আনমারি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘দুনিয়া চার ধরনের ব্যক্তির জন্য :

এক. আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ ও ইলম দান করেছেন। সে সম্পদের বিষয়ে রবকে ভয় করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে এবং সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কে অবগত। সে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ;

দুই. আল্লাহ তাআলা যাকে ইলম দিয়েছেন, সম্পদ দেননি। তবে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে যে আমি সম্পদশালী হলে তার মতো আমিও ভালো কাজ করতাম। নিয়তের কারণে সে সওয়াব পাবে। তাই উভয়ের সওয়াব সমান হবে;

তিন. আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দিয়েছেন, ইলম দেননি। ইলম না থাকায় সে সম্পদের অপব্যবহার করে। নিজের রবকে ভয় করে না, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে না এবং সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কেও জানে না। সে সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ;

চার. আল্লাহ যাকে ইলম দেননি ও সম্পদও দেননি। সে মনে মনে ইচ্ছা করে, আমার সম্পদ থাকলে আমিও তার (তৃতীয় ব্যক্তির) মতো কাজ করতাম। সে মন্দ ইচ্ছার প্রতিদান পায়। তাদের উভয়ের পাপ সমান হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩২৫)

নিয়মিত আমল ছুটে গেলেও সওয়াব : কেউ অপারগতার কারণে কোনো নিয়মিত আমল ছুটে গেলে আল্লাহ তার পূর্ণ সওয়াব দেন। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা অসুস্থ হলে বা সফরে বের হলে সে সুস্থ অবস্থায় অথবা মুকিম অবস্থায় যেসব আমল করত তখনো তার জন্য ওই সওয়াব লেখা হবে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৬)

হাজিদের সদৃশ্যতা গ্রহণ : সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য হজ পালন ফরজ। আর অন্যরা এ সওয়াব পেতে হাজিদের সদৃশ্যতা অবলম্বন করবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করল সে যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত হলো। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪০১)

যেসব আমলে মেলে হজের সওয়াব : জিলহজ মাসের শুরু থেকে কিছু আমল সবাই পালন করতে পারে। এর মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণের পাশাপাশি হাজিদের সঙ্গে সদৃশ্যতা লাভ করা যায়। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।

তাসবিহ পাঠ : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে বেশি উত্তম ও প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ’ পড়ো। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৫৪৪৬)
রোজা পালন : রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৩৭)

চুল ও নখ না কাটা : উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যখন জিলহজের প্রথম দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কোরবানি করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৭৭)

আরাফার দিন রোজা রাখা : আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের (৯ জিলহজের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি যে তিনি আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করবেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

মুমিনের তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে ভালোবাসার নতুন জাগরণ তৈরি করে বায়তুল্লাহ। মনের কালিমা মোচন করে সাদা ইহরাম। বিশ্বের অসংখ্য মুসলিমের প্রেমের সফর থমকে আছে কভিড-১৯ মহামারির কারণে। এ বছর সৌদিতে অবস্থানরত মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রী নিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালেও বিশ্বের ২৫ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করেছেন। আল্লাহর পবিত্র ঘরের অতিথি হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় প্রহর গুনছে অসংখ্য মুমিন। তাদের এ ব্যথা প্রশমিত হওয়ার মতো নয়। আল্লাহ তাদের হজের আশা পূরণ করুন এবং তাদের নিয়তের জন্য সাওয়াব দান করুন। আমিন।




পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা

ইসলাম ধর্মের সব থেকে পবিত্র উৎসব গুলির মধ্যে একটি হলো ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদকে ত্যাগের উৎসব বলা হয়। এই দিনে সকলেই তার প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর নামে কোরবানি করে থাকে।

প্রতিবছরই দুবার করে ঈদ উৎসব পালন করা হয়। প্রথমবার, পবিত্র রমজান মাসে এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদুল ফিতর পালন করা হয়। আর দ্বিতীয়বার ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায় জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে “ঈদুল আযহা” পালন করা হয়। ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পক্ষ থেকে এর পাঠক, পরামর্শক, সংবাদকর্মী, শুভানুধ্যায়ী তথা দেশবাসীকে  জানাই পবিত্র ঈদুল আযহা’এর  শুভেচ্ছা




আগামী কাল ঈদ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা, নাড়ীর টানে গ্রামে ছুটছে মানুষ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গতবারের মতো এবারও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উদযাপন হতে যাচ্ছে।

ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়দাবাদ বাসস্টেশনে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে স্রোতের মতো মানুষ বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে ভিড় করছেন। পায়ে হেটে, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন স্টেশনে যাচ্ছেন। করোনার ঝুঁকির কথা জেনেও সকলেই গ্রামের পথে ছুটছেন। এ ধরনের যাত্রার কারণে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সংক্রমণ কমাতে শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেও বেশিরভাগ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেয়া যায়নি।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর গত কয়েকদিন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সড়কে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। তবে ঈদের আগের দিন রাস্তায় লোকজন ও যানবাহনের উপস্থিতি কমতে শুরু করে। করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। এরপর ঈদকে সামনে রেখে গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন, মার্কেট ও শপিংমল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার।




ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে চামড়া, খাদ্য ও ওষুধ খাত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সোমবার এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মহামারীর অতি বিস্তারে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও শুরু কঠোর লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখার দাবি জানানো হলেও সোমবারের প্রজ্ঞাপনে তিন ধরনের শিল্প কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।

>> খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

>> কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা।

করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনে এতদিন শিল্প কারখানা চালু থাকলেও সাময়িক শিথিলতার পর ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে যে লকডাউন আসছে, তাতে শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার।

 




দুর্গাপুরে প্রভাবশালীদের ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন অব্যাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের কেরণখলা এলাকার সোমশশ্বরী নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে উত্তোলন বালু উত্তোলন করার খবর পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।

এ নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ওই এলাকার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই স্বপন মিয়া স্থানীয় ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সোমেশ^রী নদী থেকে ইজারা ছাড়াই বাংলা ড্রেজার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের কৃষকের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কেরণখলা বেরিবাঁধটি ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এতে বাঁধা দিলে ওই প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মহলটি মারমুখী হয়ে উঠেন তাদের ওপর। ওই এলাকার চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই স্বপন মিয়া, সেকুল মিয়া, কাশেম মেম্বার, হাবিল উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন মিলে ৩টি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিশালাকার স্তূপ তৈরী করে চলে বিক্রির মহোৎসব।

ওই অবাধ বালু বাণিজ্যের প্রায় দুইশত গজ দক্ষিণে স্থানীয় আব্দুল আজিজ, মিলন মিয়া, ছিদ্দিক, সালাম ও সেলিম মিলে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখে। এর কিছুদুর অগ্রসর হলেই দেখা মেলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে আরো দু‘তিন জন পার্টনার নিয়ে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালু উত্তোলন আপাততঃ বন্ধ রাখলেও পানি নেমে গেলেই পুনরায় শুরু বালু খেকোদের যুদ্ধ। চন্ডিগড় বাজার থেকে কেরনখলা যাওয়ার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মিত কার্পেটিং সড়কটি ভারী যানবাহন দিয়ে বালু আনা নেয়ার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল এর সাথে কথা বলার জন্য বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অবৈধভাবে বালু নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, সরকারি ইজারা ছাড়া সরকারি যে কোন ভুমি থেকে বালু উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে এমন কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 




কাবাঘরে স্বর্ণখচিত নতুন গিলাফ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কাবাকে আবৃত করে রাখা কাপড়টিকে বলে কিসওয়া বা গিলাফ। প্রতি বছর ৯ জিলহজ কাবা শরিফে পুরনো গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানোর রেওয়াজ চালু আঝছ। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে নতুন গিলাফ দেখে মুগ্ধ হন।

পুরাতন গিলাফটি খুলে তা কেটে বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকারপ্রধানদের উপহার দেওয়া হয়। গিলাফ পরিবর্তনের কাজে মসজিদুল হারামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক নেতৃত্ব দেন। এ সময় সৌদি বাদশার প্রতিনিধিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে ও পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবা শরিফের গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি র্স্বর্ণ ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। এর মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান এক মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া, যা পরস্পরের সঙ্গে সেলাই করা।

প্রতিবছর একটি সতর্কতামূলকসহ মোট দুটি করে গিলাফ তৈরি করা হয়। হাতে তৈরি করতে সময় লাগে আট থেকে নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। মক্কার উম্মুদ জুদ নামক এলাকার বিশেষ কারখানায় এগুলো তৈরি করা হয়।

আজ সোমবার ফজরের সালাতের পরেই মিনা থেকে দলে দলে হাজিরা উপস্থিত হবেন আরাফার ময়দানে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজিরা সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকবেন। আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে খুতবা পাঠ করবেন মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। খুতবা পাঠ শেষে জোহর ও আসরের ওয়াক্তের মাঝামাঝি সময়ে হাজিরা জামাতের সঙ্গে কছর নামাজ আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার জিকির-আসকার ও ইবাদতে মশগুল থাকবেন।

এরপর মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন এবং মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এশার ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সারা রাত অবস্থান করবেন। মিনায় জামারাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। ১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দিন মিনায় হাজির হয়ে তিনটি জামারায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপকালে ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে হাজিরা পাথর নিক্ষেপ করবেন। আরব নিউজ ও আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছরও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কোনো হজযাত্রীকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবে বাস করা দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ব্যক্তি হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। গতবারও বিধিনিষেধের মধ্যে ১ হাজার মুসলিমকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।