বেড়েই চলছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী গত তিন দিনে অন্তত ১৬টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নজরদারি ও হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, ভারত ১২টি ভিন্ন ভিন্ন শহরে নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলে তৈরি IAI Harop নামক ড্রোন, যা মূলত ‘কামিকাজে ড্রোন’ হিসেবে পরিচিত এবং আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

লাহোরের ওয়ালটন এলাকায় পাকিস্তানের চতুর্থ বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলায় চারজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি এলাকায় ড্রোন হামলায় একজন কৃষক নিহত হয়েছেন।

সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও সিয়ালকোটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাহোরের ওয়ালটন ও বারকি রোড এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা ভারতীয় ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা ১২টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছি এবং তাদের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছি। একটি ড্রোন লাহোরে আমাদের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।”

সামরিক উত্তেজনার এই আবহে কূটনৈতিক অঙ্গনেও তৎপরতা দেখা গেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘আইন আল-নিসর’-এর বরাতে জানা গেছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর হঠাৎ করে নয়াদিল্লি সফর করেছেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই মুখোমুখি অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।




সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলার স্বাধীনতা দিলো পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জানিয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার তাদের আছে।

এনএসসি বলেছে, ভারতের হামলার জবাবে সময় অনুযায়ী যথাযথ স্থানে পছন্দ মতো পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাবে। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে ‘‘সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’’ গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক এই সর্বোচ্চ কমিটি। খবর দ্যা ডনের।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি। এই বিষয়ে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে এনএসসি বলেছে, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।

এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’

বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র পাকিস্তানি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়।

পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।

যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।




হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

পাকিস্তানের আলোচিত আলেম মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, আজাদ কাশ্মিরে বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, তার নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মাসুদ আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’ মাসুদ আজহার বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মাও নিহত হয়েছেন।

মাওলানা মাসুদ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

মাওরানা মাসউদ আজহার জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তানিদের কাছে মুজাহিদ হিসেবে পরিচিত হলেও ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে। ২০১৮ সালের ১ মে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক মাসউদ আজহারকে আন্তর্জাতিক মুজাহিদ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।




নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়-আইন উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্প্রতি যে সুপারিশ পেশ করেছে এর বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। এই অবস্থায় নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বড় ধরনের কোনো সংস্কার করতে হলে জাতীয়ভাবে ঐকমত্য হতে হবে।

নারী কমিশনের সুপারিশ নিয়ে কারও কোনো ভিন্নমত থাকলে সেটা সহনশীলতা এবং শালীনতার মাধ্যমে পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান পারিবারিক আইনের সংস্কার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব আইনের পরিবর্তে অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীর জন্য বিয়ে, তালাক ও সন্তানের ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করার সুপারিশের পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের জন্য আইনটিকে ঐচ্ছিক রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে সম্পদে নারীর ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে সিডও সনদের ওপর অবশিষ্ট দুটি সংরক্ষণ প্রত্যাহার এবং আইএলও সনদ সি১৮৯ ও সি১৯০ অনুস্বাক্ষর ও পূর্ণ বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

তবে কমিশনের এসব সুপারিশ নিয়ে তুমুল আপত্তি দেখা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলো এর কড়া সমালোচনা করেছে। এই সুপারিশের বিভিন্ন ধারাকে সরাসরি কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী আখ্যায়িত করে পুরো কমিশন বাতিরের দাবি জানিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম গত ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে চার দাবিতে মহাসমাবেশ করে এর প্রধানতম দাবি ছিল এই কমিশন বাতিল করা।

তবে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হলেও এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল কেউ এত দিন মুখে খোলেননি। এবারই প্রথম আইন উপদেষ্টা এই কমিশন নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।




চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া: বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। দলীয় চেয়ারপারসনকে একনজর দেখতে এবং তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন বিমানবন্দর সড়কে।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেগম খালেদা জিয়া

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন ফুটপাতে। অনেকেই হাতে ফুল, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ও খালেদা জিয়ার ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বিমানবন্দর সড়ক ও আশপাশের এলাকা। বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি তাঁর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ফিরোজায় যান। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজায় যাওয়ার সময় পথে পথে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করে সেনাবাহিনীও।

প্রসঙ্গত, গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়।

খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরলেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বেতন-ভাতা কাঠামো, পৃথক সচিবালয়, গ্রেড পরিবর্তন ও স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশের মতো নেত্রকোনার দুর্গাপুরে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা। সোমবার (৫ মে) সিনিয়র সহকারি জজ আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, নেত্রকোনা জেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের বেতন স্কেলের আলোকে ন্যায্য বেতন-ভাতা নির্ধারণ এবং স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এর ফলে তারা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়। এ বৈষম্য নিরসনের লক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেস্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। দ্রুত এই সংকট সমাধান না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবি মানেশ চন্দ্র সাহা, সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদা মোস্তাফিজুর রহমান, বেঞ্চ সহকারি সোহেল রানা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল রায়হান প্রমুখ। এছাড়া আদালতের অন্যান্য কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।




ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের স্টিল আর্চ সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মাণাধীন কেওয়াটখালী স্টিল আর্চ সেতুর সংযোগ সড়কের নকশায় পরির্বতন আনা হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সমঝোতা না করে তড়িঘড়ি করে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাট নিশ্চিত করতে যাচ্ছে একটি চক্র।

শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা।

তারা বলেন, এ সেতু প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন এনে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ সড়কটি বাঁকা করে নেওয়ায় সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি ব্যয় বাড়বে। ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি ত্রুটিপূর্ণ নকশায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সংযোগ সড়কটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা ও শতাধিক মিল-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি ঘিরেই শুরু হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণকেন্দ্রিক লুটপাটের কার্যক্রম।

লাখ টাকার সম্পদ-স্থাপনাকে কয়েক কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণের নকশা আঁকাআঁকির অপকর্ম চলছে প্রকাশ্যেই। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি জনকল্যাণ নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ হওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর অস্ট্রেলিয়ার সিডনী হারবার ব্রিজের আদলে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার নিরাপদ, উন্নত ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সরকার ময়মনসিংহে এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। শহরের বাইপাস থেকে শম্ভূগঞ্জ পর্যন্ত ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নদের উপর সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য এক হাজার ১০০ মিটার; এর মধ্যে আর্চ স্টিলের অংশ থাকছে ৩২০ মিটার। এ ছাড়া সেতুর দু-পাশের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ১ কিলোমিটার।

অভিযোগ করা হয়েছে, প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ চক্রের অন্যতম সদস্য বিদায়ী প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম ও সদ্য বিদায়ী জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাহফুজুল হক এবং বিদায়ী ও বর্তমান প্রজেক্ট ম্যানেজার যথাক্রমে নূরে আলম ও দিদারুল আলমের যৌথ কারসাজিতে মাত্রাতিরিক্ত অপচয় করা হচ্ছে। এলাকাবাসি এমন অভিযোগ তুলে অবিলম্বে সংযোগ সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা সংশোধনেরও দাবি জানান।




ফ্যাসিবাদের দোসর একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কাছে মিডিয়া হাউজগুলো জিম্মি ছিলো-অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসকে কেন্দ্র করে আজ ৪ মে’২৫ (রোববার) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল।

ফ্যাসিবাদের দোসর একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কাছে মিডিয়া হাউজগুলো জিম্মি ছিলো। অসৎ ও লোভী একদল লোক সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের পক্ষে সমর্থন উৎপাদন করতো। ফ্যাসিবাদের বয়ানকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতো, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল পরিচালনা করতো। গণমাধ্যম থেকে প্রকৃত সাংবাদিকদের উৎখাত করে ছিলো পতিত স্বৈরাচার। ৫ আগষ্টের পরে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, যার প্রতিফলন বৈশ্বিক জরিপেও দেখা গেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, সাম্প্রতি মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হলেও সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ, স্বাধীন এবং সহনশীল কর্মপরিবেশ তৈরি করতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে সাংবাদিকরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা দ্রুত নিরসন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি রাষ্ট্রের বিকাশের অপরিহার্য উপাদান। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত না হলে নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারও ক্ষুন্ন হয়। একটি স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে জনগণের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং নীতি-নির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যম যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়, তেমনি ব্যক্তির স্বাধীনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে স্বাধীনতা বলা যায় না। তাই মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার অব্যাহত সংগ্রাম জারি রাখবে ইনশাআল্লাহ।




শাপলা গণহত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল সারাদেশে মানববন্ধন করবে ইসলামী ছাত্রশিবির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে চালানো হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শাপলা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্তিতে আগামীকাল সোমবার (৫ মে) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব বিভাগীয় শহরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়্যিম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন-

৫ মে ২০১৩—গণহ’ত্যার সাক্ষী এক ভয়াল দিন। ইসলাম ও দেশের পক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ শাপলা চত্বরে জমায়েত হলে, ফ্যাসিবাদী ও খুনি হাসিনা ক্ষমতা রক্ষার নেশায় রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চালায় বর্বর হামলা। নিরস্ত্র ধর্মপ্রাণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ, রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম অধ্যায়।

খুনি হাসিনার জুলুম, গ্রেফতার ও হত্যার হুমকির ভয়ে সন্তানহারা বহু বাবা-মা মুখ খুলতে পারেনি—বলতে পারেনি, তাদের ছেলে শাপলার শহীদ। মানবাধিকার সংস্থার তদন্ত সর্বস্তরে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

হত্যাকারী জালিমদের প্রতি ধিক্কার ও লানত। সেই সাথে আমাদের সম্মিলিত দাবি— শাপলা গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নতুন বাংলাদেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে ।




শাপলার গণহত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত: আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০১৩ সালের ৫ মে রাতের আঁধারে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন এর জন্য তার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার দায়ের করা উচিত বলে মনে করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ এখানে এসেছি। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো গণহত্যার জন্য এখনো কোনো মামলা হয়নি শেখ হাসিনার নামে। কেন আপনারা মামলা করেননি তা আমি জানি না। যারা শাপলায় গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মামলা করা  উচিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমরা মুসলমান। উম্মতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকতে হবে। গাজার শহীদ এবং কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর যুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।

নারী কমিশন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ইউনূস সরকারের কাছে আমার একটি প্রশ্ন, আপনারা অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন। এই অপ্রয়োজনীয় ইস্যুর জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে কি নারী সংস্কার কমিশন গঠন করার জন্য? না, ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আপনাদেরকে বলতে চাই, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না ।অপ্রয়োজনীয় যত কমিশন গঠন করেছেন সব বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ অযথা কাজে নষ্ট করবেন না।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের বিরুদ্ধে। আপনারা নারীনীতি নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের বৃহত্তর লড়াই নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না ।