ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন: ঢাবি শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষকে পাঠদান থেকে অব্যাহতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে।

গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিভাগটির একাডেমিক কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সম্প্রতি এটি প্রকাশ পায়। ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে আরও বেশ কয়েকটি শাস্তির সিদ্ধান্ত সভায় গৃহীত হয়।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতেও বিশ্বজিৎ ঘোষকে কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে না, সিঅ্যান্ডডি ও একাডেমিক কমিটির সভায় তাকে ডাকা হবে না, তার নামে বরাদ্দকৃত বিভাগীয় কক্ষ বাতিল করা হবে এবং বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে কি না সেটি অভিযোগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়

কার্যবিবরণীতে বলা হয়, তদন্তকালীন সময়েও একাডেমিক কমিটির এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

একাডেমিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়বে সব ধরনের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষায় প্রত্যবেক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, এমফিল-পিএইচডি গবেষণা তত্ত্বাবধায়ন, পরীক্ষা কমিটির কাজে অংশগ্রহণ প্রভৃতি।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত মাসে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। পরে ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে গত ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আসা যৌন-নিপীড়নের লিখিত অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান। এরপর কমিটির সদস্যরা এটি নিয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করেন। পরে সবাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে মতামত দেন।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ওই সভায় উপস্থিত হয়ে তার ভুল হয়েছে বলে জানান। তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান এবং করুণা ভিক্ষা করেন। তবে একাডেমিক কমিটির সদস্যরা তার দ্বারা সংঘটিত অতীতের বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার এই প্রার্থনা গ্রহণ করেননি।

তবে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার সাফল্য এবং সুনামে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মাধ্যমে কোনো মহল এ কাজ করিয়েছে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা।




হিজাব-নামাজ নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসলাম ও মহানবী সা. এর ওপর কোন আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেন বার বার আঘাত করা হচ্ছে?

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলাম ও মুসলামনদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্র থেকে খালি নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে।

আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং অংশ নেন।




লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে অভিমানি স্ট্যাটাস দিয়ে ইউছুফ কামাল নামে এক ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে সদর হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ইউছুফ সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের আবদুর রহমান মাস্টার বাড়ির আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় স্যানাটারি দোকানির ব্যবসায়ী ছিলেন।

খবর পেয়ে সকালে পুলিশ বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগান থেকে কামালের মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতের কোন একসময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি মারা যান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, কামাল মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার তাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের কাছ থেকে কামাল টাকা চেয়েছে। কামাল রোজা রাখেনি৷ এতে মা তাকে ভাত খাওয়ানোর পর ৫০০ টাকা দেয়৷ এরপর বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরেনি। ইফতারের সময় ভাই ইব্রাহিম ফোন দিয়ে তাকে বাড়িতে আসার জন্য বললেও আসেনি। সকালে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বাগানে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ফেসবুক আইডিতে অভিমান করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তা হল- ‘এখন আর কেউ ভালোবাসে না। এই পৃথিবীতে যার টাকা আছে, তার দাম সবার কাছে আছে। হয়তো অভিমান করে চলে যাবো। আর আসবো না ফিরে’।

কামালের ভাই ওমান প্রবাসী মো. ইব্রাহিম বলেন, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে আমার ভাই অনার্স পাশ করে রায়েরবাগ এলাকায় ব্যবসা করে। এরমধ্যে কামাল মাদক সেবন করে অসুস্থ হলে কয়েকবার তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ৩ বছর আগে বিয়ে করেছে। ব্যবসায়ীক কারণে স্ত্রীকে নিয়ে সে ঢাকাতেই থাকতো। বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো। কি কারণে সে আমাদের ছেড়ে এভাবে চলে গেলো, তা বুঝতে পারছি না।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।




দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট বিদ‍্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে গত ৭ এপ্রিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত ৯টায় এ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে, যার আওতায় জনগণের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযোগ বেড়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌঁছানো যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গত ১২ বছরে পাঁচগুণ বেড়েছে। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎসহ দেশে এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট।

আরও ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।




শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এ অভিনন্দন জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, এই অঞ্চলের দেশগুলো যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা নিরসনে নিজেদের স্বার্থে সবগুলো দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদী।

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত ১১ এপ্রিল শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ১৭৪ জন সদস্য শাহবাজ শরীফের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে কেউ ভোট দেননি কেউ।

এই ১৭৪ জন সদস্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়।




দুর্গাপুরে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ট্রাকের চাপায় সোহাগ মিয়া নামের ৭ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের কৃষ্ণেরচর এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায়  ঘটনাস্থলে নিহত হয় শিশু সোহাগ। নিহত শিশু সোহাগ উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচর গ্রামের মোঃ হেলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের দিকে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের কৃষ্ণেরচর বাজার সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিল সোহাগ।

এমন সময় দুর্গাপুরের দিকে আসা একটি দ্রুতগামী খালিট্রাক সোহাগ মিয়া’কে চাপা দেয় এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঐ ট্রাকটি ভাংচুর সহ সাময়িকভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি)ভার: মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে এবং চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




পুলিশের সামনে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, এসআই প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শেরপুরের শ্রীবরদীতে পুলিশের সামনে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। তারা বলছে, পুলিশ তাদের সঙ্গে আছে। দ্রুত আসামি ধরায় তারা পুলিশের ওপর খুশি।

গত রবিবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেখানে পুলিশের তিন সদস্যও ছিলেন। গত ২৩ মার্চ শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হালুয়াহাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। যাকে হত্যা করা হয় তিনি হালুয়াহাটি গ্রামের কৃষক শেখবর আলী।

এ ঘটনায় ২৪ মার্চ সকালে শেখবরের ছোট ভাই মাহফুজ ৩৯ জনের নামে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় হালুয়াহাটি গ্রামের জিকু মিয়াকে।

এজাহারে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দুই ভাই জজ মিয়া ও জিকু মিয়ার সঙ্গে শেখবরের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ২২ মার্চ জিকুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন শেখবরের মা মাহফুজা বেগম। ২৩ মার্চ বিকেলে শ্রীবরদী থানার এসআই ওয়ারেছ আলীসহ তিন পুলিশ সদস্য ঘটনা তদন্তে হালুয়াহাটি গ্রামে যান।

এরপর পুলিশের সামনেই জজ মিয়া ও জিকু মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে শেখবরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জিকুর স্ত্রী, জজ মিয়া ও জজ মিয়ার স্ত্রীকে আটক করা হয়। পরদিন শেখবরের ভাইয়ের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে র‌্যাব-১৪ রাণীশিমুল ইউনিয়নের বালিঝুড়ির পাহাড় থেকে জিকুকে এবং রাত ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান রাজাকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মো. সাইফুল নামের একজনকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহফুজ বলেন, ‘জিকু, জিকুর ছেলে স্বাধীন, সাইফুল, জজ মিয়া আমাদের সামনেই আমার ভাইকে নির্মমভাবে কুপাইয়া খুন করে। বাঁচাইতে গেলে আমাগো প্রতিবেশী সরাফত আলীরেও কোপ দেয়। আমারেও কোপায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে স্বাধীন, সাইফুলরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে যায়।

‘পরে শ্রীবরদী থানা থাইক্কা আরও পুলিশ যাইয়া তিনজনরে ধইরা আনে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। পুলিশ আমাগো সঙ্গে আছে। তারা খুব তাড়াতাড়ি অনেক আসামি ধরছে। আর যাদের ধরা বাকি তাদেরও যেন তাড়াতাড়ি ধরে।’

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তবে শেখবরের ছেলে মিনার হোসেন বলেন, ‘পুলিশের তো জানের ভয় ছিল। এরাও রক্ষা করতে পারে নাই। পুলিশ আমাদের সঙ্গেই আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসামিদের বিচার চাই।’

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিকু ও সাইফুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেদিন ঘটনাস্থলে এসআই ওয়ারেছ আলীসহ কয়েকজন পুলিশ ছিল। তারা থাকার পরও কীভাবে, কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা চলছে। ২৫ মার্চ ওয়ারেছকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘পুরো বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় দেখছেন। এ বিষয়ে যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’




ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ:
 আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে আবার ফিরে এসেছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাস। এই মাসেরই কদরের রাতে নাজিল হয়েছিল মানব জাতির হেদায়েতের গ্রন্থ আল কোরআন। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবেকদর।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে চাঁদ দেখার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।



মসজিদে কুবা আরো দশ গুণ বড় করবে সৌদি আরব

ডিএববি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ ‘মসজিদে কুবা’। মহানবী (সা.)-এর নির্মিত মদিনার সন্নিকটে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। প্রথম হিজরিতে নির্মাণের পর এবারই প্রথম এত বড় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মদিনা মুনাওয়ারা সফরকালে বিখ্যাত কুবা মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মসজিদটি ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে এর পরিধি পাঁচ হাজার ৩৫ বর্গমিটার।
কুবা সেন্টারে এখানকার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যগুলো নথিভুক্ত করার পাশাপাশি মসজিদের আশপাশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা হবে। কুবা মসজিদ ঘিরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কূপ, খামার, বাগান ও মহানবীর তিনটি পথসহ মোট ৫৭টি স্থান রয়েছে। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হজযাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মসজিদে কুবায় নামাজ পড়ার অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় এসেছে, ‘নবী কারিম (সা.) প্রতি শনিবার কুবা মসজিদে আসতেন,  কখনও পায়ে হেঁটে, কখন আরোহণ করে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড : ০২, হাদিস : ১১১৯)
উসাইদ ইবনে খুদাইর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘মসজিদে কুবায় নামাজ, ওমরাহর সমতুল্য।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২২৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১১)
সাহাল ইবনে হানিফ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে একটি ওমরার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।’ (সুনান ইবনে মাজাহ, খণ্ড : ০১, হাদিস : ১৪১১)

 




‘শিক্ষাঙ্গনে ধর্ম পালনে বাধার সম্মুখীন হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় রীতি-নীতি মানার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হলে দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

সোমবার (১১ এপ্রিল) নগরীর আইসিএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মহিমান্বিত মাহে রমজানের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সন্তানরা শিক্ষাঙ্গনে পর্দাসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়া সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষাঙ্গনে যাবে, এটা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা হরণের পায়তারা করা হলে তা বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসায়ী আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

নগর সভাপতি নাঈম বিন জামশেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি,দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরী করতে চায়। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা রুখে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে নাঈম জামশেদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানকে তাকওয়া অর্জনের অনুশীলন এবং ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভরা বসন্ত বানিয়েছেন। এ মাস শুধু একটি মাসই নয়; বরং গোটা বছরের জন্য এটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন গোটা বছরের তাকওয়া-তাহারাতের সঞ্চয় গ্রহণ করে। পুরো বছরের ঈমানি প্রস্তুতি গ্রহণের এটাই মোক্ষম সময়।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নগর উত্তরের তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আনাস আবদুল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক সুহাইল তানভীর, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিযান বিন নাযির,কওমী মাদরাসা সম্পাদক মাহদী হাসান তাছনিম, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক নুরুন্নবী ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, শুরা সদস্য নাঈমুল ইসলাম, এইচ এম মাহমুদ হাসান, আরিফুল ইসলাম ও ইমরান হুসাইনসহ নগরের আওতাধীন থানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাখার নেতৃবৃন্দ।