আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের দক্ষিণ জাগিরপাড়া আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ২য় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আগামী ৮ নভেম্বর ২০২১ইং সোমবার বিকাল ৩টা হইতে মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হইবে।

উক্ত মাহফিলে আলহাজ্ব মাওঃ হারিছ উদ্দিন ও সহ সভাপতি হাফেজ মোস্তফা সাহেবের যৌথ সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, উত্তরা ঢাকার অ্যারাবিক মিডিয়াম মাদ্রাসা ‘দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ ড. সা্নাউল্লাহ আযহারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষাবোর্ড নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মাওঃ মামুনুর রশিদ রব্বানী।

এছাড়াও আলোচনা করবেন, আলহাজ্ব মাওঃ মুফতি আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব ডাঃ মাওঃ আলী আকবর, হাফেজ মাওঃ অলিউল্লাহ, মাওঃ ক্বারী মোস্তফা কামাল সাহেব।

বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, এস, এম রফিকুল ইসলাম, সভাপতি-দুর্গাপুর প্রেসক্লাব।

আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ২য় বার্ষিক মাহফিল সফল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে এলাকাবাসীসহ ধর্মপ্রাণ সকলের নিকট দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। উক্ত মাহফিলে সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রইল।

সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মতিউর রহমান ডিএনবি নিউজ-কে বলেন, আল কারীম দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসাটি অতি অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেথাপড়ার চাহিদা পূরণ করে আসছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও দক্ষ কমিটির পরিচালনায় হাটি হাটি করে নূরাণী ১ম জামাত হইতে জামাতে মেশকাত (স্নাতক) পর্যন্ত পাঠদান চলছে। আল।রাহর মেহেরবাণীতে সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা শিঘ্রই দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত চালূ করতে পারবো ইনশা আল্লাহ।




রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৮৯

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৮৯ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের কাছ থেকে ৩৭১ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন, ৫ হাজার ৫০৬ পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ৫৮৮ গ্রাম গাঁজা ও ২৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।




পথ পাঠাগার’কে বই ও অর্থ সহায়তা দিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্যের ধারক ও বাহক ‘‘পথ পাঠাগার’’কে বই ও নগদ অর্থ প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পথ পাঠাগার’কে এ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

পথ পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার  প্রতিনিধি কে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিটি মানুষ যখন ফেসবুক সহ নানান বিষয় নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, তখনই সাহিত্যের সকলকে ফিরিয়ে আনতে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেলুন, হোটেল ও রেস্তোরায় প্রতিষ্ঠা করেছি ‘‘পথ পাঠাগার’’।

এ পর্যন্ত ১৫টি পাঠাগার উদ্বোধনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করছি পুঁথিগত বিদ্যা। উপজেলা প্রশাসনের এই মহান উদ্দ্যেগ পাঠাগারের পাঠকদের উপস্থিতি অনেকটা বেড়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগার এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, আদিবাসী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অপুর্ব রাংসা প্রমুখ।

ইউএনও রাজীব বলেন, মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। তার অনন্ত জিজ্ঞাসা, অসীম কৌতূহল বিষয়ে সকল প্রশ্নের সমাধান ধরে রাখার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বই। শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সকল জ্ঞান জমা হয়ে রয়েছে বইয়ের ভেতরে। আর সেই বইয়ের আবাসন্থল হলো পাঠাগার। মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস পুঞ্জিভূত হয়ে রয়েছে পাঠাগারের একেকটি তাকের ভেতর। পাঠাগার হলো সময়ের খেয়াঘাট, যার মাধ্যমে মানুষ বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ভ্রমন করতে পারে। দুর্গাপুরে ‘‘পথ পাঠাগার’’ নামক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সে লক্ষ্যে সংগঠনটির অদম্য উদ্দ্যেগ বাড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষহতে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে বই ও পাঠাগারের রেগ কেনার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। আমি পথ পাঠাগারের সাফল্য কামনা করি।




ইসলামী বইমেলা’য় আজ সন্ধ্যায় আলেম লেখকদের মিলন মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ইসলামী বইমেলা’ অন্যতম। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বই মেলা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

আজ বুধবার ( ২৭ অেক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ইসলামী বইমেলা’য় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রিয় লেখক ও আলোচক শায়েখ আহমদুল্লাহর।

তিনি জানিয়েছেন, বই কিনতে মেলায় যাবো ইনশা আল্লাহ।

তার দেওয়া তথ্যমতে, আজ বই মেলায় আরো থাকবেন জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ, আলোকিত জ্ঞানীর উপস্থাপক ও তাকওয়া মসজিদ ধানমন্ডির খতীব মুফতি সাইফুল ইসলাম, ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ মুফতি ইউসুফ সুলতান, উস্তায শায়খ মুহিউদ্দীন ফারুকী, বিশিষ্ট্য আলোচক রাফি বিন মুনির এবং কলরবের জনপ্রিয় নাশীদ শিল্পী বদরুজ্জমান প্রমুখ।

দেশের পরিচিত লেখক ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে মেলায় এসে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন শায়েখ আহমদুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি, সবাই যার যার সুবিধা অনুযায়ী একেক দিন মেলায় আসবেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে বৃহস্পতিবার কলরবের সাঈদ আহমাদ, শুক্রবার বিশিষ্ট্য লেখক সাইমুম সাদী, মুহাদ্দিস ও টিভি উপস্থাপক মাহমুদুল হাসান, টিভি উপস্থাপক মুফতী হেদায়েতুল্লাহ প্রমুখ থাকবেন। শনিবার আলেম লেখক ও সাংবাদিক আলি হাসান তৈয়ব প্রমুখ থাকবেন ইন শা আল্লাহ’।

শায়েখ আহমদুল্লাহ তার আহ্বানে আরো বলেন, আপনিও চলে আসুন ইসলামী বইমেলায়। খুঁজে খুঁজে নির্ভরযোগ্য বই কিনে আলোকিত হোন, আলোকিত করুন পরিবার ও সমাজক ‘।




দুর্গাপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক কর্মশালা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ধান, গ্রীষ্মকালীন সব্জি ও মসলা আবাদ বৃদ্ধি করনীয় এক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নেত্রকোনা এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এফ এম মোবারক আলী‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল মাজেদ। এ বিষয়ে আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী ঢাকা এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, সংসদ সদস্য প্রতিনিধি বিপ্লব মজুমদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার প্রমুখ।




মেয়র জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ১৯ নভেম্বর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিসয়ে আগামী ১৯ নভেম্বর সিদ্ধান্ত হবে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে এমন কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য আরও কিছু সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী উপস্থাপনীয় অভিযোগ আগামী ১৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপিত হবে।

তিনি বলেন, সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি দলীয় আদর্শ এবং শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে প্রদত্ত শোকজ নোটিশের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।




দুর্গাপুরে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের স্বাবলম্বী এনজিওর মাধ্যমে ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাঁওকান্দিয়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভূগিদের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

টাকা ফেরতের দাবিতে উপজেলার কৃষ্ণেরচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা চত্তরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে ভুক্তভুগিরা জানান, দুর্গাপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে স্বাবলম্বী এনজিও সমিতি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। গত ৪ বছরে তাদের মাঠকর্মী ইমরান হোসেন গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে আসছেন। এলাকার সাধারণ গ্রাহকগণ তাদের হিসাবের বিপরিতে ঋণ চাইলেই নানা তালবাহানা শুরু করেন। এতে তাদের সন্দেহ হলে গ্রামের সকল মানুষ একত্রিত হয়ে সঞ্চিত অর্থ ফেরতের দাবি জানালে, বিষয়টি প্রাথমিক ধামাচাপা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় মাঠকর্মী। আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই অন্যের বাড়িতে কাজ করে কেউবা দিনমজুরী করে দিন চলে। অনেক কষ্ট করে আমরা এই টাকা গুলো জমিয়ে ছিলাম। আমরা আমাদের কষ্টের টাকা ফেরত চাই। এই নিয়ে পরপর দুইবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম্য সালিশের ব্যবস্থা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এ সময় অন্যান্য দিনমজুর শ্রমিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজিয়া খাতুন, রমিজ উদ্দিন, সুলতান মিয়া, হনুফা বেগম, আব্দুল কুদ্দুস, ইদ্রিস আলী প্রমুখ। #




রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস কারও নেই: জিএম কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কটূক্তি করে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়ে গর্হিত কাজ করেছেন। এজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ওই প্রতিমন্ত্রী সংবিধান সংরক্ষণের শপথ ভঙ্গ করেছেন। জননন্দিত সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদ এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।

জিএম কাদের বলেন, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। তাতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সমুন্নত আছে। তাই কটূক্তি করে ওই প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। তাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে দেশের মানুষ একদিন এর বিচার করবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার সঙ্গে সব ধর্মের অধিকার সাংবিধানিকভাবেই নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করার সাহস আর ক্ষমতা কারও নেই।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর মহানগর ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। বর্তমান সংবিধান গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে সংবিধানের অনেক ধারা সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সরকারদলীয় কোনো সংসদ সদস্য সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে না। এতে এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯০ ভাগই সরকারপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে। তাই সরকারপ্রধান যা চাইবেন, তার বাইরে কিছুই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে হবে। আইন না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে, ফুটবল খেলায় একটি দলের পক্ষ থেকে রেফারি নিয়োগ দেওয়ার মতো। আইন করে, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, নিবন্ধিত প্রায় ৪০টি দলের মধ্যে মাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সক্রিয় আছে। বাকি দলগুলো সাইনবোর্ড বা নেতা সর্বস্ব রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে রাজনীতির মাঠে নেই। আবার তাদের আরেক নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। বাকি নেতাদের মধ্যে বিভেদ ও বিভাজনের অভাব নেই।

আবার আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত।রাজনীতির মাঠেও আওয়ামী লীগ নেই বললেই চলে। কিন্তু গণমানুষের দাবি আদায়ে রাজনীতিতে সোচ্চার আছে শুধু জাতীয় পার্টি। ৩১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। নানা অপবাদ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডে রাজনীতি নিয়ে হতাশাগ্রস্ত। দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে যাবে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল হক নুরু, জাকির হোসেন মৃধা, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ স্বপন, আবদুল বাতেন, শেখ মো. মাসুদ, সাফিয়া পারভীন, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, এমএ কাদির, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, তরুণ পার্টির জিয়াউর রহমান মোড়ল ও কেএম সুজন।




খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার গৃহীত কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমে দানাদার খাদ্য, মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে।

আজ শনিবার বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে পাট ও কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১২ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কৃষির উন্নয়নে আমরা কৃষকদের জন্য সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ ও কৃষিযান্ত্রিকীকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং কৃষি প্রণোদনা/কৃষি পুনর্বাসন, কৃষিঋণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ই-কৃষির প্রবর্তন, জলবায়ু ও ঝুঁকি সহনশীল ফসলের জাত/প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। কৃষি শিক্ষা-গবেষণা খাতে আরো বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। যার ধারাবাহিকতায় খোরপোশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে এতে কৃষিনির্ভর শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।




কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দুর্গাপুরে আলেম-ওলামাদের ক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন কে অবমাননা করায় সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুরেও আলেম-ওলামাদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ৪দফা দাবি জানিয়েছেন উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর কাচারী মাদরাসা মিলনায়তনে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুফতি মামুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ওলামাগন বলেন, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীরপাড় পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে পবিত্র কোরআন রেখে অবমাননা করার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশে নব্বই ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নম্প্রদায় যে নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষীরা বারবার ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ৪দফা কর্মসুচী ঘোষনা করেন এবং সকলকে শান্ত থাকার জন্য আহবান জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ:সভাপতি মাও: অলি উল্লাহ, সহ:সভাপতি হাফেজ আব্দুল কাদির, মাও: আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন, সম্মনিত সদস্য মাও: সিরাজুল হক, অলি উল্লাহ, মাও: আমিনুল এহছান প্রমুখ। #